Abu Bakrs Action For Fear Of Haram-হারাম হওয়ার ভয়ে আবু বকর (রাঃ) কি করেছেন

Abu Bakrs Action For Fear Of Haram

Abu Bakrs Action For Fear Of Haram-হারাম হওয়ার ভয়ে আবু বকর (রাঃ) কি করেছেন

হারাম হওয়ার ভয়ে আবু বকর রা: কি করেছেন, তা এই কাহিনী পড়লে বুঝবেন। আর আমরা কি করছি, একটু তাকালে বুঝা যায়, পরকালের ভয় কত কম আমাদের মাঝে।
হযরত আবুবকর (রা:) এর এক গোলাম ছিল। গোলামটির মুক্ত হওয়ার জন্য একটি শর্ত ছিল। সে প্রেক্ষিতেই প্রতিদিন কিছু উপার্জন করতো, আর সেই অর্থ প্রদান করতো আবু বকরকে। প্রতিদিনের মতো গোলামটি আজও কাজে বেরিয়েছে। আজ আর কোন কাজ পায়না সে। ঘুরতে ঘুরতে সে এক গোত্রের কাছে এসে পৌঁছলো এবং জানতে পারলো সেই গোত্রে আজ বিয়ের অনুষ্ঠান। বিশাল আয়োজন। মেহমানদের জন্যে প্রচুর খাবার রান্না করা হয়েছে। এ যেন এক এলাহী কাণ্ড।
গোলামের মনটা খারাপই হয়ে গেল। নাহ ! আজ আর কোন কাজ পাওয়া যাবেনা। এই ভেবে সে মালিকের কাছে ফিরে যেতে শুরু করেছে। এমন সময় তার এক পরিচিত লোকের সাথে দেখা। শুধু পরিচিতই নয়, জাহেলীযুগে সে একটি উপকার করেছিল তার। এই লোকটি তখন অসুস্থ্ ছিল। ওই গোলাম তাকে সে দিন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে সারিয়ে তুলেছিল। সেই তখনই এই লোকটির পক্ষ থেকে গোলামকে কিছু পারিশ্রমিক দেয়ার কথা ছিল। যখন ঐ লোকটির সাথে গোলামের দেখা হলো, তখন তো আর তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া যায়না। লোকটি বলল: তোমার তো আমার কাছে কিছু পাওনা আছে। আজ যখন এসেছ তখন কিছু খাবার নিয়ে যাও।
গোলামটি না করলো না, বরং খুশী হলো। বেশ কিছু খাবার নিয়ে গোলাম আবু বকরের বাড়ি ফিরল। এসে ঐ খাবার গুলো রাখল আবু বকরের সামনে। হযরত আবু বকর ক্ষুধার্ত ছিলেন। খাবারগুলো পেয়েই তিনি খাওয়া শুরু করলেন। গোলাম কিছুটা অবাক হলো ব্যাপার কি? প্রতি দিন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি ভাবে অর্থ উপার্জন করেছি। অথচ আজ যে খাবার নিয়ে আসলাম তাতো জিজ্ঞাস করলেন না। কোত্থেকে খাবার আনলাম। আর কে-ই বা দিয়েছে। কেনই বা দিয়েছে?
আবুবকর (রা:) খাবারের লোকমা মুখে ভরে দিয়েছে। এমন সময় গোলাম তার জেগে উঠা প্রশ্নটি করে বসলো। আবুবকর (রা:) বললেন : খুব ক্ষিধে পেয়েছিল। তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করার কথা মনেই ছিলনা। এবার বলো কিভাবে এ খাবার পেয়েছ। গোলাম তার মন্ত্র পড়ে ফুঁক দেবার কাহিনী বললো। আর মন্ত্র পড়ে ফুঁক দেবার কারণেই যে এ খাবার পেয়েছে, তাও জানালো। তা জেনে আবুবকর (রা:) র চোখ লাল হয়ে উঠলো। কি? মন্ত্র পড়ে উপার্জন করা খাবার এনেছ? তুমি দেখি আমাকে ধ্বংস করার যোগাড় করেছ। এ কথা বলেই গলায় হাত ঢুকিয়ে দিলেন, উদ্দেশ্য বমি করা। কিন্তু গিলে ফেলা খাবার কিছুতেই বের করা সম্ভব হলো না। তিনি বার বার বমি করার চেষ্টা করতে থাকলেন। পাশেই লোকজন ছিল। আবুবকর (রা:) র অবস্থা দেখে একজন এগিয়ে এসে বলল, পানির মাধ্যমে বমি হতে পারে। আবু বকর (রা:) পানির পাত্র চেয়ে নিলেন এবং তা পান করলেন। তারপর আবারও বমির চেষ্টা করেন। এক সময় বমি করে ফেলেন। অবশেষে গিলে ফেলা খাবারগুলোও বেরিয়ে আসে বমির সাথে।
একজন লোক তখন বললেন: আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। আপনি এক লোকমা খাদ্য বের করার জন্যে কত কষ্ট করলেন। আবুবকর (রা:) উত্তরে বললেন: প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “হারাম খাদ্য দ্বারা গঠিত দেহের অংশ জাহান্নামের আগুনে জালানো হবে” আমার ভয় হয় এই খাবার দ্বারা আমার শরীরের কোন অংশ তৈরী হয়ে না যায়।”

আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Related posts

Hazrat Abu Bakr – হযরত আবু বকর (রাঃ) এর জীবনী

by IDCAdmin
3 years ago

Biography of Muaz Ibn Jabal – হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রাঃ এর জীবনী।

by IDCAdmin
3 years ago

Musab Ibn Umayr – মুস’আব ইবনে উমাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু

by IDCAdmin
3 years ago
Exit mobile version