Conventional Superstitions and Shirk – সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও শিরক সমূহ

Conventional Superstitions and Shirk – সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও শিরক সমূহ

বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর যিনি সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিক দাতা ও জ্ঞানদাতা।
শান্তি বর্ষিত হোক সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং সাহাবীগণের উপর।

সূরাঃআল-আন’আম ৬:১৭
“আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন দুর্দশা দ্বারা স্পর্শ করেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূরকারী কেউ নেই। আর যদি কোন কল্যাণ দ্বারা স্পর্শ করেন তবে তিনিই তো সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”

সুনানে ইবনে মাজাহ – ৩৫৩৮
আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শিরকী কাজ। রাবী বলেন, আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারনা আসে, তবে আল্লাহ এর উপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভুত হয়।

আমাদের চারপাশে, পরিবারে ও সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার তথা শিরকসমূহ নিচে সংগ্রহ করে দেয়া হলো। এটি একটি চলমান লেখা। এই বিষয়ে যখনই কোনো নতুন কিছু পাবো তা যোগ করে ফেলার ইচ্ছা রাখি। এর ফলে ভবিষ্যতে এইসব থেকে নিজেদের আকীদা পবিত্র রাখা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ…

খাদ্য বিষয়ক

খাওয়ার সময় সালাম দেয়া-নেয়া যাবে না।
ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে রোগ বেড়ে যাবে।
খাওয়ার সময় ঢেঁকুর আসলে অথবা গলায় খাবার আটকে গেলে কেউ স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে মনে করা।
খাওয়ার সময় জিহ্বায় কামড় লাগলে কেউ স্মরণ করছে মনে করা।
পরীক্ষা দিতে যাবার পূর্বে ডিম খেয়ে গেলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
হরলিকস খেলে বাচ্চারা ‘লম্বা-শক্তিশালী-বুদ্ধিমান’ হয়।
কোনো ফলের বিচি খেয়ে ফেললে পেটে গাছ হবে।
বছরের শুরুর দিন ভাল(মন্দ!) খাবার খেলে সারা বছর ভাল খাবার জুটবে
মাছ কাটা বাছাইয়ের সময় কিছু না খাওয়া, এতে গালে মেছতার দাগ পরে।
পিঠা ভালো হওয়ার বা নজর না লাগার জন্য জন্য পেরেক/ লোহা ব্যবহার করা।
প্রথম বানানো কোনো খাবার (পিঠা) না খেয়ে ফেলে/রেখে দেয়া।
জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
গোসল করে ফল খেতে হয় না।
খালি পেটে বা বাড়ি থেকে না খেয়ে গেলে অমঙ্গল।
দুধ ও আনারস এক সাথে খেলে বিষ হয়ে যায়।
একটি ভাতের দানা বানাতে সত্তরজন ফেরেশতা লাগে।
পাতিলের মধ্যে খাবার থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয় অথবা দাড়ি মোচ গজায় না।
চামচ দিয়ে পাতিলে বাড়ি দিতে হয়না।
এক গ্লাসে দুজন পানি খেলে ঝগড়া হয়।
হাত থেকে কাঁচের গ্লাস পরে ভেঙে যাওয়া অশুভ বার্তা আনবে।
ভাংগা গ্লাস এ পানি খেলে আয়ু কমে যায়।
একাধারে হেচকি ওঠা মানে চুরি করে কিছু খাওয়া।
কাঁচা মরিচ বা মরিচ গাছ দিলে ঝগড়া হয়/কাঁচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
লবন ধার করে আনতে নেই।
জবাইকৃত মুরগির পেটের ডিম, বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহিত মেয়েরা খাবে না।
মুরগির মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যুর সময় কাছে থাকার সুযোগ হয় না।
ভাই-বোন মিলে মুরগি জবাই করতে হয়না, বিপদ হয়।
ফলবান বৃক্ষ বা বাগানে নজর এড়াতে ঝাড়ু /স্যানডেল /মাটির পাতিলে রং মেখে তা ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
চন্দ্র গ্রহন / সূর্য গ্রহনের সময় কিছু খেতে বা কাটা-কাটি করতে নেই।
মহিলাদের মাসিক অবস্থায় তার হাতের কিছু বানানো খাওয়া যাবে না।
নতুন বৌ মাথায় হলুদ লবন লাগিয়ে খাবার বাড়বে না হলে ‘বাতাস’ লাগবে।

ঘর-বাড়ি বিষয়ক

নতুন বাড়ি বা গাড়ি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কুরআন খতম, মিলাদ মাহফিল করা।
নতুন ঘরের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বের খুটিঁতে লাল ফিতা বেঁধে রাখা।
সকালে কারো মুখ দেখে উঠা কে মঙ্গল/অমঙ্গল মনে করা ।
সকালে ঘর ঝাড়ু দেয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য কাউকে কোনো কিছু দেয়া নিষেধ।
রাতের বেলা//সন্ধ্যায় ঝাড়ু দিলে আয় উন্নতি হয় না।
ঝাড়ুর বাতাস লাগলে সাস্থ্য ভাল হয় না।
বাসী মুখে কাউকে বিদায় দেয়া যাবে না।
বাড়ির বাইরে যাত্রা কালে দই খেয়ে গেলে মঙ্গল।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় খালি কলস,কালো বিড়াল, ঝাড়ু, বিধবা নারী দেখলে যাত্রা অশুভ/অমঙ্গল।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কিছু ভেঙে গেলে একটু পর বের হতে হয় নাহলে বিপদ হতে পারে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর কিছু ভুলে ফেলে গেলে তা নিতে ফেরত আসা অমঙ্গল।
বাইরে যাবার আগে ‘হাঁচি’ দিলে একটু বসে যেতে হয়, নইলে বিপদ হয়।
বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
পিছনের দরজা দিয়ে বের হলে অমঙ্গল হয়।
যাই বলতে নেই ‘আসি’ বলতে হয় ।
দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে বিপদ আসে ।
খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়, না হলে ঘরে বিপদ আসে।
ঘরের চৌকাঠে বসা, দরিদ্রতার লক্ষণ।
তিন রাস্তার মোড়ে বসতে মানা, তাতে বংশ উজাড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঘুমন্ত মানুষের উপর দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে লম্বা হব না।
ঘুম থেকে ওঠার পর মশারির ৪ কোনা তাঙ্গিয়ে রাখা অমঙ্গল।
বালিশে বসতে হয়না – পিছনে/ **ছায় ফোঁড়া হয়।
বালিশে বসে বায়ু ত্যাগ করলে **ছা দিয়ে রক্ত বের হবে।
বিছানা খালি রাখা যাবেনা কিছু একটা থাকতে হবে।
ঘরে তুলসী গাছ রাখা মঙ্গল।
রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া ও ফল তোলা নিষেধ।
রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
রাতে ঘরের ময়লা পানি বাইরে ফেলা যাবে না।
বিভিন্ন কাজের ফলে ঘরের লক্ষী চলে যাবে (আপনি লক্ষী পূজা করেন?)
বিবাহ এবং স্বামী-স্ত্রী বিষয়ক
লেনদেনের জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন দেন মোহর একলক্ষ-এক টাকা ধার্য করা।
সোমবারের দিন কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ।
আপন পিতা জীবিত থাকলেও বিয়েতে অন্য মুরব্বিকে ‘উকিল বাপ’ বানানো।
বিয়ের পর মুরব্বিদের দাড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয়।
নতুন স্ত্রীকে ঘরে তোলার সময় চাল ছিটানো, ডিম ভাঙা, দুধ পা দিয়ে ফেলা, কুরআন মাথার উপর তুলে হাঁটা ইত্যাদি করা মঙ্গলজনক।
নতুন স্ত্রীকে কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
স্বামীর নাম, শশুরের নাম উচ্চারন করা যাবে না।
স্ত্রীর দুই হাতে চুড়ি আর নাকে নাক ফুল পরিধান স্বামীর জন্য মঙ্গলজনক।
মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
বিধবা নারীর নাকের নাকফুল ও হাতে চুড়ি খুলে ফেলতে হবে। সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
গালে হাত দিতে নেই, অমঙ্গল হয়।
বাসর ঘরে স্ত্রীরনিকট দেন মোহর মাপ চেয়ে নিলেই চলে, দিতে হয় না।
স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর জান্নাত।
নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত এক পদ দিয়ে খাওয়ানো।
সহবাসের সময় একটা সুতা হলেও গায়ে রাখতে হয়।
সহবাসের সময় উল্টা করলে সন্তান টেরা হয়। (ইয়াহুদী রীতি)
যে নারীর নাসিকাগ্র ঘামে সে স্বামীকে অধিক ভালোবাসে। অথবা উল্টা।
পুরুষের বুকে লোম থাকা স্ত্রীকে ভালোবাসার পরিচয়াক মনে করা।

সন্তান বিষয়ক
পীর, ফকির সন্তান দিতে পারে!
বাচ্চাদের হিন্দুদের “লক্ষী” নামে সম্বোধন করা। (লক্ষী টেরা/ছেলেটি/মেয়েটি খুব লক্ষী – নাউযুবিল্লাহ!)
গর্ভবর্তী মহিলাকে এক কাতে শয়ন করলে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়।
গর্ভবতী নারীরা সূর্যগ্রহণের সময় কিছু কাটলে গর্ভের সন্তান নাক-কান বা ঠোঁট কাটা অবস্থায় জন্ম নেয়।
গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি/আগুন, রসুন সাথে রাখলে বিপদ আসেনা।
মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না। এমনকি স্বামীও কুরবানী করবেনা।
পীরের কাছে যেয়ে, পাট পড়া, পানি পড়া, কোমরে সুতা ঝুলানো ইত্যাদি ব্যবহার করলে বাচ্চা প্রসব সহজ হয়।
স্ত্রীর দোষে অথবা পাতিলে মধ্যে ভাত খেলে অথবা প্লেট চেটে খেলে কন্যা সন্তান হয়।
মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় না।
‘মরিয়াম ফুল/নবি বুটি’ পানিতে ভিজিয়ে সে পানি খেলে বাচ্চা হয় অথবা প্রসব সহজ হয়।
জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায়।
সন্তানের নামকরণ হাবিজাবি রাখলে সন্তান বেঁচে থাকে।
প্রথম সন্তান মারা গেলে পরের সন্তানের কান ফুটো করে দিলে সে দীর্ঘ হায়াত পায়।
সন্তান হওয়ার পর ৪০ দিন বাপের বাড়ি থাকতে হবে।
আকিকার গোস্ত বাবা-মা খেতে পারবে না।
বাচ্চা জন্মের পর মুখে মধু দিলে ব্যবহার ভাল হয়।
নব জাতকের হাতে কালো সুতা/তাগা বা এ ধরনের কিছু বেঁধে দিলে রোগ-বালাই বা বদ জিন স্পর্শ করতে পারেনা।
কপালে, পায়ের নিচে নজর থেকে বাঁচতে কালো টিপ বা দাগ দেয়া।
বাচ্চার বালিশের নিচে জুতার টুকরা বিপদ মুক্ত রাখে।
জন্মের পর শিশুর মাথার চুল ফেললে ঠান্ডা/শরীর খারাপ হয়।
জন্মের পর চোখে আর ভুরুতে কাজল না দিলে চোখ ও ভুরু সুন্দর হবে না।
চোখ লাগা/ ‘বাতাস’ লাগা থেকে শিশুসন্তানকে রক্ষার জন্য সন্তানের গলায় মাছের হাড়, শামুক ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখা।
বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করলে বিপদ হয়না।
বাচ্চাদের বদনজর থেকে রক্ষার জন্য -‘ষাট ষাট বালাই ষাট’ বলতে হয়।
বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে।
পায়ের বা হাতের নিচে দিয়ে গেলে সন্তান লম্বা হবেনা।
নবজাতকের ঘরে হারিকেন/আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়।
বাচ্চার সামনে বাচ্চার ভাল কাজ বা গুণের প্রশংসা করলে বাচ্চা অবাধ্য হবে ও ঐ কাজ করা ছেড়ে দিবে।
বাচ্চার খাওয়ার রুচি ভালো অন্যদের বললে বাচ্চার রুচি কমে যায়।
কারো চোখ উঠলে/conjunctivitis হলে ছেলে বাচ্চার ** লাগালে ভালো হয়ে যায়!

ঈমানদার নারী সন্তান প্রসবের সময় মারইয়াম (আ) বা ফাতিমা (রা) বা অন্যান্য ঈমানদার মৃত নারী সাহায্য করতে আসেন!
পশু-পাখি বিষয়ক
কালো জন্তু দেখা অমঙ্গল (দাঁড় কাক, কালো বিড়াল ইত্যাদি)
দাঁড় কাক/কালো কাকের ডাক বিপদের পূর্বাভাস/মানুষ মারা যাবে মনে করা।
বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে।
পাখি ডাকলে (ইষ্টি কুটুম) আত্মীয়আসবে।
এক শালিক দেখলে খারাপ কিছু/জোড়াশালিক দেখলে ভালো কিছু হয়।
শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে। [সুনানে আবু দাউদ-ভবিষ্যৎ কথন ও কুলক্ষন-সুলক্ষণ ৩৯১২]
শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
দুজনের কথার ফাঁকে টিকটিকির আওয়াজকে কথার সত্যায়ন মনে করা। ঠিক ঠিক বলেছে।
পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
কালো পিঁপড়া ভালো/মুসলিম, লাল পিঁপড়া খারাপ/অমুসলিম।
খাবার পরে গা মোচড় দিলে তা কুকুরের পেটে চলে যায়।
গরুর বাছুরের গলায় জুতার টুকরা ঝুলিয়ে দিলে সেটা মানুষের কু-দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকে।
কুকুরকে পা দিয়ে বাড়িতে গর্ত করতে দখেলে কারো মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে।
রাতের বেলা মাছ চলাচল করতে হয় না।
মাকড়সা মারলে অমঙ্গল হয়
রাতে উকুন আনা অলক্ষীর লক্ষন
প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পান করানো হয়।
ডানে শুভলক্ষণ বামে কুলক্ষণ নির্ধারনে পাখিকে ঢিল মারা।

সৌন্দর্য্য বিষয়ক
সুন্দর লাগলে নজর না লাগার জন্য থুথু দেয়া।
ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না/দেখলে কঠিন পীড়া হয়।
রাতে আয়না দেখলে কঠিন পীড়া হয়
রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই/কাটলে চোখের জ্যোতি কমে।
নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
পড়ে যাওয়া চুল আলাদা করে জমিয়ে পরে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে
হঠাৎ বাম চোখ কাপলে দুঃখ আসে।
চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগালে সুস্থ হয়ে যাবে!
ডান হাতে তিল থাকলে বিদেশ গমন, বাম হাতে তিল থাকলে বিদেশ ফেরত।
ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে, বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
হাতে বাতের চুড়ি/বালা/কালো ব্যান্ড লাগালে ব্যাথা ভালো হয়।
হাতের তালুতে বিয়ে কয়টা হবে, আয়ু কতদিন বাকি ইত্যাদি ভাগ্য রেখা আছে।
হাত থেকে চিরুনি পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
গায়ে পা লাগলে অমঙ্গল / ব্যথা হয়।
গোসলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
গালের এক পাশে থাপ্পড় মাড়লে আরেক পাশে থাপ্পড় মাড়তে হবে নাহলে বিয়ে হবে না।
মাথায় একবার টোকা খাওয়া যাবে না নতুবা মাথায় শিং উঠবে।
মাথায় দুইটা চুলের পাক থাকলে দুইটা বিয়ে হবে
পায়ে মেহেদি ব্যবহার করা খারাপ কাজ।
ঘুমন্ত মানুষের উপর দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে লম্বা হবে না।
রাতে উকুন মারা অলক্ষীর(!) লক্ষন।
মাছের কাটা বাছাইয়ের সময় কিছু খেলে গালে মেছতার দাগ পরে।
ব্যবসা বিষয়ক
দোকানের প্রথম কাস্টমার খালি ফেরত দিতে নাই, অমঙ্গল হয়।
দোকান খুলে নগদ বিক্রি না করা পর্যন্ত বাকি দেওয়া নিষেধ, তাহলে সারাদিন বাকিই বিক্রি করতে হয়।
দোকান খুলে মঙ্গল হবে ভেবে সামনে পানি ছিটালে।
রাতের সুঁই-সূতা বলে বিক্রি করতে নেই।
রাতে পান খাবার ‘খর’ বিক্রি করতে নেই, এমন কি নামও বলা যাবেনা।
লেনদেনের জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না।
ব্যবসায় মঙ্গল আসবে বা নজর লাগবেনা দেখে নানা রকম জিনিস দোকানে ঝুলানো।

অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ক
স্যান্ডেল উল্টিয়ে রাখলে ঝগড়া হয়।
রুমাল দিলে ঝগড়া হয়।
ভয় পেলে বুকে থু থু দিতে হয়।
আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
দাঁড়ী-পাল্লা, কলম, বই ইত্যাদি নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে।
১৩ সংখ্যা অশুভ আর ৭ শুভ।
রাশিচক্র সত্য।
কারো বগলের নিচে দিয়ে গেলে সে লম্বা হবেনা, আর যার বগলের নিচে দিয়ে যাবে তার বগলে ফোঁড়া হবে।
রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
ছেড়ামোজা, গেঞ্জি সেলাই করতে নেই, দারিদ্রতা আসে।
ছেলে-মেয়ে কোনো কিছু কুঁচিকুঁচি করে কাটলে – তাদের বাবার খরচ বেড়ে যাবে।
বই খোলা রাখলে শয়তান পড়ে ফেলবে।
অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা বলার সময় সে উপস্থিত হলে, তার হায়াত বেড়েছে মনে করা।
বাংলাদেশ/প্রিয় দল/খেলোয়াড় ভাল খেলছে, এই মুহুর্তে জায়গা বদল করা যাবে না, তাকানো যাবেনা তাহলে দল হেরে যাবে

বিদ’আত ও বিভিন্ন রকম ধর্মীয় বিষয়ক
জায়নামাজ খোলা/বিছিয়ে রাখা যাবেনা, শয়তান নামাজ পড়ে ফেলবে!
জায়নামাজে কাবা এর ছবি অথবা মদিনার গম্বুজের ছবি সেখান বরাবর সিজদা দিতে হয়।
সম্মান করার উদ্দেশ্যে পা ছুঁয়ে সালাম/কদমবুসি করা।
রাশিফল/গণক বিশ্বাস করা।
কোন মাস বা সময় বা আবহাওয়া কে ভাল বা খারাপ মনে করা।
কোন বস্তু/ব্যক্তি কে লক্ষ্মী(!) বা শুভ মনে করা।
গাড়িতে, বাড়িতে ‘আল্লাহ’ এর নাম, আয়াতুল কুরসী, কাবা এর মডেল ইত্যাদি ঝুলানোর ফলে বিপদ আসবেনা।
ড্রিম ক্যাচার, লাকি চার্ম, ইভিল আই, এমনকি ইসলামিক নামকরণ শো পিস্ যেমন- আল্লাহ এর ৯৯ নাম, আয়াতুল কুরসী, কাবা এর মডেল, কাবা এর দরজা এর রেপ্লিকা ইত্যাদি টানলে ঘরে মঙ্গল আসবে ভাবা
হজ্ব থেকে ফেরত আসলে ৪০ দিন ঘরে বসে থাকতে হয়।
ছেলে/মেয়ের পরীক্ষা, বিদেশে যাত্রা, নতুন বাড়ি, বিপদ থেকে রক্ষা, আর্থিক উন্নয়নের ইত্যাদি মঙ্গল উদ্দেশ্যে কোন
ওযু করে নেইল পালিশ দিলে ওযু থাকে।
কলা হাত দিয়ে ভেঙে ভেঙে খাওয়া সুন্নত।
খাওয়ার পর প্লেট ধোয়া পানি পান করা সুন্নত।
খাবার পর মিষ্টি খাওয়া সুন্নত।
রাতের বেলা মাথায় কাপড় দিয়ে বাইরে যাওয়া।
আযান শুনলে মেয়েরা মাথায় কাপড় দিবে, অন্য সময় না দিলেও চলে।
গোসলের সময় দোয়া।
ফরজ গোসল না করলে ঘরের কাজ করা যায় না।
রত্ন-পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, নীলা সবার সহ্য হয় না, ভাগ্যে শনির প্রভাব পড়ে, হাতে ভাগ্য লিখা থাকে, পাথর ব্যবহার করা সুন্নত।
ঈদের রাতে, সবে বরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্বা ঘরে আসে।

তাসবীহের ছড়া দিয়ে তাসবীহ গননা করা বিদ’আত, আঙ্গুলের গিরা দ্বারা গননা করা সুন্নাত। কেননা আঙ্গুল সমূহ হাশরের ময়দানে সাক্ষ্য দেবে (আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ি)

হিন্দু পুরাণ থেকে আগত শব্দ বিষয়ক
মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া – ইহা কি শুদ্ধ?
সাক্ষী গোপাল – নিষ্ক্রিয় দর্শক
হরিলুট – অপচয়
রাবণের চিতা – চির অশান্তি
রাবণের গুষ্টি – বড় পরিবার
যে যায় লংকায় সে হয় রাবন – অত্যাচারী
রাহুর দশা – দুঃসময়
গোবর গণেশ – মূর্খ
তীর্থের কাক – প্রতীক্ষারত
ভানুমতীর খেল – অবিশ্বাস্য ব্যাপার
ঘরের শত্রু বিভিষণ
কষ্ট করলে কেষ্ট মিলবে! – কেষ্ট পেতে কষ্ট করছেন?
রাবণের মাথা
লক্ষী টেরা – নাউযুবিল্লাহ!
ছেলেটি/মেয়েটি খুব লক্ষী – নাউযুবিল্লাহ!
বৃন্দাবন – ইহা কোনো বন নহে! আসলে শব্দটি “ভৃন্দাভন” – হিন্দুদের একটা পূজার জায়গা
লীলাখেলা – অশালীন
শনির দশা – কপালে শনির দশা লেগেছে/ ওকে শনিতে পেয়েছে
বিনয়ের অবতার
ভীমরতি
রাম ছাগল
জগাখিচুড়ি
পদ্ম লোচন
মান্ধাতার আমল
কুম্ভকর্ণ
রাহুর দশা
রুদ্রমূর্তি
ভুতের মুখে রামনাম
যক্ষের ধন
রসাতলে যাওয়া
শতরূপা

ইনশা আল্লাহ চলবে….

বিদ’আতীদের পরিনামঃ
১, যারা বিদআত করে তারা হাশরের ময়দানে হাউযে কাওসারের পানি পান করতে পারবে না।
২, দুনিয়াতে তাদের দোয়া কবুল করা হবে না।
৩, বিদআতীরা চরমভাবে লাঞ্চিত।
৪, বিদআতীদের চূরান্ত পরিনাম জাহান্নাম

মানুষ যখন নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তখন সে শিরকে লিপ্ত হয়। (সূরা আল ফুরকান, ২৫:৪৩)

সূরাঃ ইউনুস ১০:১০৭
“আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন ক্ষতি পৌঁছান, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহের কোন প্রতিরোধকারী নেই। তিনি তার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা তাকে তা দেন। আর তিনি পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।”

সুনানে আবু দাউদ- ৩৯১০
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা ‘শিরক’, কোন বস্তুকে কুলক্ষন ভাবা শিরক। একথা তিনি তিনবার বললেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দিবেন।
মহান আল্লাহ সুবহানাল্লাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে প্রচলিত এ সব কুসংস্কার তথা শিরক থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন।

ইনশা আল্লাহ চলবে….

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )

 

Related posts

Judgment Day in the light of Al-Quran -আল কুরআনের আলোকে বিচার দিবস

by IDCAdmin
2 years ago

Shabe-Barat in the eyes of Qur’an and Hadith -কোরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে-বরাত

by IDCAdmin
2 years ago

Islam forbids men to wear golds – ইসলাম পুরুষদের স্বর্ণ পরতে নিষেধ করেছে

by IDCAdmin
2 years ago
Exit mobile version