তুর্কি বুরসলারী স্কলারশিপ আবেদনের সময়সীমা প্রতি বছর ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলমান থাকে।
যা যা থাকছে স্কলারশিপেঃ
১) সম্পূর্ণ টিউশন ফি।
২) মাসিক বৃত্তি- অনার্সের জন্য ৮০০ লিরা, মাস্টার্সের জন্য ১১০০ লিরা এবং পিএইচডির জন্য ১৬০০ লিরা।
৩) মূল কোর্স শুরু হওয়ার আগে এক বছরের ফ্রি তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স।
৪) সরকারি/বেসরকারি ডর্মিটরিতে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা (সকাল ও রাতের খাবারসহ)
৫) মাস্টার্স এবং পিএইচডি স্টুডেন্টসরা ডর্মেটরিতে না থেকে আলাদা বাসায় থাকতে চাইলে ৫৫০ লিরা বাসা ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত দেয়া হবে। তবে অনার্সের স্টুডেন্টসদের জন্য দেয়া…
দিয়ানাত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর শুধুমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ ও থিওলজি বিষয়েই অনার্স করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অন্য কোন ফ্যাকাল্টিতে পড়ার সুযোগ নেই। আর স্কুল লেভেলের জন্য সাধারন তার্কিশদের মতোই সাবজেক্ট থাকে।
স্কুল লেভেলে যেভাবে পড়ানো হয়ঃ
প্রথমেই যাওয়ার পরে তার্কিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স হয় ৩ মাসের। ঐ ৩ মাসে সপ্তাহে ৭/৮ টা করে তার্কিশ ক্লাস থাকে। এক্সট্রা ক্লাস হিসেবে কুরআন তিলাওয়াত, আরবী, ইংরেজী থাকে। ৩ মাস শেষে মূল ক্লাস শুরু হয়। সাইন্স, আর্টস, কমার্স সব একসাথে। নবম, দশম শ্রেণী পুরোটাই এভাবে চলে। কোনো বিভাগ নাই। একাদশ শ্রেণীতে এসে ভাগ হয়।
একাদশ শ্রেণীতে এসে সাইন্স আর আর্টস হিসেবে ভাগ হয়। তবে তুর্কিতে যেটাকে আর্টস বলা হয়, তাতে কমার্সের সাবজেক্টও আছে। এক ঢিলে ২ পাখি মারা যায় আর কি! অনার্সের আগ পর্যন্ত এভাবেই চলে।
এই বছর ১ ফেরুয়ারী থেকে এপ্লিকেশন শুরু হবে। এপ্লিকেশন শুরু হওয়ার পর আপনি চাইলে যেকোনো দিন আবেদন করতে পারবেন। একসাথে পুরো আবেদন শেষ করতে হবে এরকম কোনো শর্ত নেই। আপনি চাইলে প্রথম দিন আবেদন শুরু করে শেষ দিনেও সাবমিট করতে পারবেন।
* সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
* পাসপোর্ট অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদের স্ক্যান কপি।(ইংরেজি কপি হতে হবে)
* স্কুল লেভেলের জন্য JSC বা JDC পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীট এবং অনার্সের জন্য SSC বা দাখিল এবং HSC বা আলিমের মূল সার্টিফিকেট ও মার্কশীটের স্ক্যান কপি।(সার্টিফিকেট এবং মার্কশীট কোথাও হতে সত্যায়িত করতে হবে না।)
বিঃদ্রঃ রেজাল্ট স্কোর সর্বনিম্ম ৪.৫০ এর উপরে হলে এপ্লিকেশন করা যাবে৷ তবে মার্কস ৭০% এর বেশি থাকলে ভালো। স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে জিপিএ ৫ প্রাধান্য বেশী পায়।
* দুইটি রিকমেন্ডেশন লেটার। (নিজ মাদ্রাসা বা কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের কাছ থেকে নিতে পারেন।
এক্সট্রা কারিকুলাম সাধারনত Award, Project, Certificate and Voluntary activities ইত্যাদিকে গণ্য করা হয়ে থাকে। মানে হচ্ছে একাডেমিক ক্যারিয়ারের বাহিরে যদি কোন সার্টিফিকেট পেয়ে থাকেন সেগুলো।
যেমনঃ কোন অলিম্পিয়াড, কোন কোর্স, কোন ক্যাম্প, কোন কনফারেন্স বা সেমিনার কিংবা কোথাও ডিবেট, বক্তব্য অথবা কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় হয়ে যে সার্টিফিকেটটা অর্জন করেছেন সেটাই এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট হিসেবে গন্য হবে। পাশাপাশি যদি ভলান্টিয়ারিং এর সার্টিফিকেট থাকে সেটাও এক্সট্রা কারিকুলাম হিসেবে গন্য হবে।
এছাড়াও অনলাইন সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য। যেহেতু এই বছর সবকিছুই অনলাইন বেইজড ছিলো তাই অনলাইন সার্টিফিকেট চাইলে শো করতে পারবেন।
এই স্কলারশিপ শুধুমাত্র রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয় না। কেননা রেজাল্ট প্রায় সবারই ভালো থাকে। সবার থেকে আপনাকে যেটা আলাদা করবে তা হলো এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস। তাই এটা স্কলারশীপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশী ভূমিকা রাখে।
রিকমেন্ডেশন লেটার কি এবং কার কাছ থেকে নিব?
আবেদনের জন্য একটি রেফারেন্স/ রিকমেন্ডেশন লেটার বাধ্যতামূলক। তবে দুই বা তার অধিকও হতে পারে। মিনিমাম দুটো দেওয়া ভালো। এক্ষেত্রে আপনার কলেজ প্রিন্সিপাল বা ডিপার্টমেন্ট এর হেড স্যারের থেকে অথবা কোন অর্গানাইজেশনে কাজ করলে তার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার নিতে পারবেন।
স্কলারশিপের রিকমেন্ডেশন লেটারেও এমন কোনো ভালো দিক যদি থাকে তা ঐ লেটারে উল্লেখ থাকলেই আপনি অন্যদের চাইতে এগিয়ে থাকতে পারবেন। আপনাকে যে সবচেয়ে বেশি চিনে, তার কাছ থেকে আপনার চারিত্রিক সনদ সংগ্রহ করুন। যেহেতু অনার্সে শুধুমাত্র থিওলজিতেই আবেদনের সুযোগ পাবেন,তাই অথরিটি আপনাকে সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে কি কি করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন এসব সংক্ষেপে লিখতে পারেন।
এই স্কলারশিপ পাওয়া মানে আপনাকে প্রথম বছর তুর্কি ভাষা শিখতেই হবে। স্কুল এবং অনার্স লেভেল, সবারই শেখা বাধ্যতামূলক। এখানে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার সুযোগ নেই।
এই তো গেলো আবেদন পর্ব। এবার আসা যাক আবেদন পরবর্তী সময়ে। আবেদন সম্পন্ন করার পরে দুই বা তিন মাস পর ইন্টারভিউ এর জন্য আহবান করা হবে। শুধুমাত্র যাদেরকে তারা যোগ্য মনে করে তাদেরকেই ডাকা হয় বাকিদের প্রথম পর্বেই রিজেকশন মেইল দিয়ে অর্কৃতকার্য হওয়ার বিষয়টা জানিয়ে দেয়। ইন্টারভিউ ডেইটের দিন প্রথমে একটা লিখিত পরীক্ষা হয়।
দিয়ানাতের লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমে ২০ নম্বরের একটি আইকিউ টেস্ট নেয়, তারপর ভাইবার জন্য ডেকে থাকে। এটা নিয়ে খুব বেশি ঘাবড়ানোর প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন খুব সহজ হয়। আমরা ইন্টারভিউ এর আগে এইসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
এবার আসা যাক ইন্টারভিউতে। ইন্টারভিউতে স্যারেরা আপনার সাবজেক্ট রিলেটেড কিছু প্রশ্ন করবে এবং আবেদনের সময় আপনি যে সকল ডকুমেন্টস আপলোড করেছেন সেগুলোর মূলকপি দেখতে চাইবে। আপনার কোরআন তেলাওয়াত এবং ইসলামিক নলেজ কেমন সেগুলো জানতে চাইবে।
ভাইভা ইংরেজি, আরবি বা মাতৃভাষায় হয়।
আপনি ইংরেজিতে দূর্বল হলে বাংলাতে দিতে পারবেন। আপনার কথা ট্রান্সলেট করার জন্য একজন দোভাষী থাকবে। ইংরেজী বা আরবি না পারলে পরে অর্ধেকে গিয়ে আটকা পরার চাইতে ইংরেজিতে বা আরবিতে না বলাই ভালো। মাতৃভাষায় বললেও সমস্যা নেই।
সমসাময়িক বিষয় এবং আপনার সাধারণ জ্ঞানের উপরে দক্ষতা যাচাই করবে। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি জানতে চাইবে।
ভাইভা দিয়ে বের হওয়ার সময় ফাইনাল রেজাল্ট কখন দিবে সেটাও বলে দিবে।
স্কলারশিপ পাওয়ার পর তুরস্কে আসতে কত টাকা খরচ হতে পারেঃ
এই স্কলারশিপ প্রাপ্তদের ভিসা ১০০% পাওয়া যায়। শুধুমাত্র মেডিকেল করা এবং ডকুমেন্টস ট্রান্সলেট ও নোটারী বাবদ সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মতো লাগবে। এছাড়া আর কোথাও টাকা লাগবে না।
ভিসা দেওয়ার পর ই-মেইলে বিমানের টিকেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আপনি স্কলারশিপের প্রাথমিক রেজাল্ট পাওয়ার পর থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ, ভিসা প্রসেসিং, টিকেট পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশী ছাত্ররা সাহায্য করবে।
তার্কিতে আসার পরে এয়ারপোর্টে রিসিভ করা, হোস্টেলে পৌছিয়ে দেওয়া, ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করানো এবং রেসিডেন্স পারমিট সহ সব কিছুতেই দিয়ানাত কর্তৃপক্ষ আপনাকে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও এখানে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভাইয়ারা তো
একদিনেই আবেদন করতে হবে এরকম কোন শর্ত নেই।
আপনি অল্প অল্প করে সুযোগ মতো আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া অটোমেটিক সেইভ হয়ে যাবে।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।