ফ্যাসিবাদ-স্বৈরতন্ত্র / Fascism-Dictatorship
ফ্যাসিবাদ-স্বৈরতন্ত্র / Fascism-Dictatorship
ফ্যাসিবাদ/স্বৈরতন্ত্র কেবল আধুনিক সভ্যতার সমস্যা নয়। প্রাচীনকাল থেকেই মানবজাতি এই সমস্যাটি মোকাবেলা করে আসছে। মূসা আলাইহিসসালাম এবং ফেরআউনের কাহিনী বর্ণনা করার মধ্য দিয়ে পবিত্র কুরআন আমাদেরকে জানাচ্ছে যে, ফ্যাসিবাদের ক্ষমতার কেন্দ্র পাঁচটিঃ
১. জালিম শাসক, যে নিজেকে গোটা রাষ্ট্রের মালিক মনে করে। প্রজাদেরকে তার দয়ায় বেঁচে থাকা ভৃত্য মনে করে। নিজের খেয়ালখুশিকেই আইন বানিয়ে নেয় এবং জনগনকে তা মানতে বাধ্য করে। যেমন- ফেরআউন। {ফেরআউন বলল, আমি যা বুঝি, তোমাদেরকে তাই বেঝাই, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথই দেখাই} [সূরা আল গাফির- ২৯]। জনগনের নূন্যতম প্রতিবাদকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা বলে সাব্যস্ত করে এবং প্রতিবাদী কন্ঠগুলোকে স্তব্ধ করতে সন্ত্রাস আর ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে। {ফেরআউন বলল, তোমরা আমাকে ছাড়, মূসাকে হত্যা করতে দাও, ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।} [সূরা আল গাফির- ২৬]
২. দূর্নীতিপরায়ণ মন্ত্রী, যে শাসককে সর্বদা কুপরামর্শ দেয়। তার কাছ থেকে সত্যকে আড়াল করে তাকে বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখে। জনগনের নূন্যতম স্বার্থ রক্ষা করার চেয়েও শাসকের মনোরন্জন করাই তার কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়। যেমন- ফেরআউনের মন্ত্রী হামান।
৩. রাষ্ট্রের ধনী ও ব্যাবসায়ী সম্প্রদায়, যারা নিজেদের স্বর্থ হাসিলের জন্য, গরীবের রক্ত চুষে তৈরি করা বিজনেস ওয়ার্লডকে টিকিয়ে রাখার জন্য ফ্যাসিস্ট শাসককে সর্বোতভাবে – অর্থ দিয়ে, প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে – সাহায্য করে। যেমন, ধনকুবের ক্বারূন।
৪. ধর্মীয় যাজক শ্রেনী, যারা অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের জুলুমকে বৈধতা দেয়ার জন্য ধর্মকে, ধর্মের লেবাসকে নগ্নভাবে ব্যাবহার করে। যেমন- ফেরআউনের ধর্মযাজক এবং জাদুকর সম্প্রদায়।
৫. সাংবাদিক শ্রেনী, যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে জনমত তৈরি করতে এবং বিরোধী মতকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। নির্লজ্জভাবে ঘটনার এক পিঠের উপর ফোকাস দিয়ে, অন্য পিঠকে গায়েব করে দেয়। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সত্যকে আড়াল করে দেয়। এই চরিত্রে আমরা দেখতে পাই মূসা আ. এবং যাদুকরদের মধ্যে ঘটে যাওয়া প্রতিযোগীতা উপভোগ করার জন্য মানুষকে আহবানকারী সম্প্রদায়কে। {এবং জনগনের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও। যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি- যদি তারাই বিজয়ী হয়।} [সূরা আশ শুয়ারা- ৩৯/৪০]। জাদুকররা জিতলে তাদের আনুগত্য করার আহবান জানিয়েছিল তারা, কিন্তু মূসা আ. জিতলে মানুষের করণীয় কী হবে – সে-ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিরব ছিল। . [শায়খ মুহাম্মাদ আল হাসান আদ-দাদ্দুর একটি সাক্ষাতকার অবলম্বনে] – Muhammad Noman ভাইয়ের ওয়াল থেকে।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )