How Muslims should treat cats? – বিড়ালদের সাথে মুসলমানদের কীভাবে আচরণ করা উচিত?
পোষা প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে শান্তশিষ্ট প্রাণী হল বিড়াল
বিড়াল বন্ধুসুলভ এক স্তন্যপায়ী প্রাণী। তার মেজাজ মর্জিও অন্যসব পোষা প্রাণী থেকে অনেকটা আলাদা। আর বিড়ালের মিউ মিউ ডাক বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ধ্বনি গুলোর একটি।
বিড়াল ২০-১৪০ হার্জ শব্দ উৎপাদন করে। যা শরীরের পেশী ও অস্থিসন্ধি প্রদাহ নিরাময়ে থেরাপির মতো কাজ করে। সুবহান’অাল্লাহ।
যারা বিড়াল পুষে থাকেন তারা শারীরিকভাবে অন্যদের তুলনায় বেশ সুস্থ থাকেন। বিড়াল পুষলে মানসিক চাপ কমে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যারা বিড়াল পোষেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে ৩০ শতাংশ কম।
১। বিড়ালকে পরিষ্কার পাত্রে খাবার ও পানি দিন:
বিড়াল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে আর সেজন্য বিড়াল মাটিতে বা বালুতে গর্ত করে সেখানে মল ত্যাগ করে। এরপর তা ঢেকে দেয়। এছাড়া উন্মুক্ত মল থেকে গন্ধ ছড়ায় এবং তা তার শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে উপস্থিতি জানিয়ে দিতে পারে।
বিড়াল মূলত মাংসাশী প্রাণী। বিড়াল পালন করা কঠিন কিছু নয় বরং একটু যত্ন নিলেই তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। খাবারের পাশাপাশি বিড়ালকে পানি পান করানো খুবই জরুরী।
আপনার ঘর-বাড়ির আশেপাশে কোন একটি পরিষ্কার পাত্রে পানি রেখে দিতে পারেন তাদের জন্য। বোবা প্রাণী গুলো মুখ ফুটে বলতে না পারলেও খাবার-পানি খুঁজে ঠিকই। মানুষের একটু ভালোবাসা পেলেই তারা কাছে আসতে চাই।
আপনার অপ্রয়োজনীয় খাবার গুলো ডাস্টবিনে না ফেলে তা বিড়ালকে খেতে দিন। পোষা পশু-পাখিসহ আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা ও দয়া করেন। অজস্র সওয়াবে ঋদ্ধ করেন।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “দয়াবানদের ওপর দয়াময় আল্লাহও দয়া করেন। তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো। তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন”। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৪৯৪১]
২। বিড়াল সম্পর্কে ইসলামের কিছু বিধিবিধান:
ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল লালন-পালন করা জায়েজ বিড়াল পালনে ঘরে ইঁদুরের উৎপাত কমে আসে। এছাড়া মাছের কাঁটা, ঝুটা খাবার খেয়ে আমাদের পরিবেশকেও রাখে সুন্দর ও পরিষ্কার।
ইসলামে বিড়াল পালনকে যতটা সমর্থন করা হয়েছে আর কোন পোষা প্রাণীকে এতটা করা হয়নি। বিড়াল পালনকে উৎসাহ দিয়ে প্রচুর হাদিস ও মাসাআলা রয়েছে।
বিড়ালের মাংস খাওয়া হারাম হওয়ার কারণে এর ঝুটাও হারাম হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু একটা হাদিসের কারণে ইসলামি চিন্তাবিদগণ এর ঝুটাকে হারাম থেকে নামিয়ে মাকরুহ সাব্যস্ত করেছেন।
হাদিসটি হজরত কাবশা বিনতে কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘হজরত আবু কাতাদা (রা.) আমার নিকট আগমন করলেন। আমি তার জন্য পানিভর্তি একটি উজুর পাত্র উপস্থিত করলাম।
এমন সময় একটা বিড়াল তা হতে পান করল। তিনি ঐ বিড়ালটির জন্য পাত্রটি কাত করে দিলেন যাতে সে নির্বিঘ্নে পান করতে পারে। কাবশা (রা.) বলেন, তখন আবু কাতাদা (রা.) দেখলেন আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
তিনি বললেন, ‘হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্য বোধ করছ? আমি বলাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “এরা (বিড়াল) অপবিত্র নয়, এরা তোমাদের আশেপাশে বিচরণকারী এবং বিচরণকারিনী”। [নাসাঈ, আস-সুনান: ৩৪১]
৩। বিড়াল প্রীতির কারণে যে সাহাবী ‘আবু হুরায়রা’ অর্থাৎ বিড়ালের পিতা নামে খ্যাতি লাভ করেনঃ
আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর প্রিয় সাহাবী আব্দুর রহমান (রা.) বিড়াল পালন খুব পছন্দ করতেন। জামার ভেতর পোষা বিড়াল নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। একদিন তিনি জামার আস্তিনের নিচে একটি বিড়াল ছানা নিয়ে রাসূল ﷺ-এর দরবারে উপস্থিত হন।
সে সময়ে বিড়াল ছানাটি হঠাৎ করেই সবার সামনে বেরিয়ে পড়ল। এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে রসিকতা করে ‘ইয়া আবু হুরায়রা’ অর্থাৎ ‘হে বিড়ালের পিতা’ বলে সম্বোধন করলেন। ভদ্রলোকের ভ্রু কুঁচকে যায়নি সরল বোকা মানুষের মতো মুচকি হাসলেন। প্রিয় শিক্ষকের এই ডাকটা তার মনে ধরেছে খুব। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নামটাই বদলে ফেলবেন। একারণে তার আসল নাম আব্দুর রহমান ঢাকা পড়ে হয়ে যায় আবু হুরায়রা (বিড়ালের পিতা)।
এরপর থেকে তিনি মূল নামের চেয়ে আবু হুরায়রা নামে খ্যাতি লাভ করেন। সহীহ হাদিসের সর্বোচ্চ পরিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে তিনিই আবু হুরায়রা নামে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার বিড়াল প্রীতির কারণে এ নামেই তাকে ডাকতেন। আর সেদিন থেকে তিনি নিজেকে আবু হুরায়রা নামেই পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।
৪। বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী:
আল্লাহর রাসূল ﷺ যখন অজু করতেন তখন নিজের উযুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করাতেন।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা দাউদ ইবনে সালেহ্ ইবনে দীনার আত-তাম্মার হতে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত, তার (মায়ের) মুক্তিদানকারিণী মুনীব একদা তাকে আম্মাজান আয়েশা (রা.) এর নিকট ‘হারিসাহ্’ সহ প্রেরণ করেন।
অতঃপর আমি তাঁর নিকট পৌছে দেখতে পাই যে তিনি নামায রত আছেন। তিনি আমাকে (হারিসার পাত্রটি) রাখার জন্য ইশারা করলেন। ইত্যবসরে সেখানে একটি বিড়াল এসে তা হতে কিছু খেয়ে ফেললো।
আম্মাজান আয়েশা (রা.) নামায শেষে বিড়ালটি যে স্হান হতে খেয়েছিল সেখান হতেই খেলেন। এবং বললেন নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “বিড়াল অপবিত্র নয়। এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘুরাফেরা করে”। অতঃপর আম্মাজান আয়েশা (রা.) আরো বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা উযু করতে দেখেছি। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৭৬]
কোনো খাবারে যদি বিড়াল মুখ দেয় আর খাবারের মালিক ধনী হয় তাহলে ওই খাবার খাওয়া তার জন্যে মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। আর খাবারের মালিক যদি দরিদ্র হয় তাহলে তার জন্যে খাবারটি খাওয়া জায়েজ। [ফতওয়ায়ে আলমগিরি: ৪৩: ১]
৫। বাড়িতে বিড়াল পালনের বিধান:
বাড়িতে বিড়াল প্রতিপালনে কোন আপত্তি নাই। তবে বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। তাকে মার-পিট বা অত্যাচার করা যাবে না অন্যথায় গুনাহ হবে।
বিড়াল পালনে কোনো বাধা নেই। যারা মসজিদের হারাম কিংবা মসজিদে নববিতে যান তারা সেখানে প্রচুর বিড়াল ছোটাছুটি করতে দেখেন। আগত মুসল্লিরাও তাদের পানি কিংবা খাবার দিয়ে থাকেন।
ইসলামি স্কলাররা বলেছেন বিড়াল পালা বৈধ তবে তাকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া যাবে না। বিড়াল পুষতে চাইলে অবশ্যই তাকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। বিড়ালের প্রতি যথাযথ দয়া-অনুগ্রহ দেখাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “জনৈক মহিলাকে বিড়ালের প্রতি অমানবিক আচরণের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটি বন্দি করে রাখে। এ অবস্থায় বিড়ালটি মারা যায়। এমনকি বন্দি করে রেখে পানাহার করায়নি এবং ছেড়েও দেয়নি। যাতে করে বিড়ালটি জমিনের পোকা-মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে”। [মুসলিম, আস-সহীহ: ৫৭৪৫]
বর্ণিত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রাহি.) বলেন, ইমাম কুরতুবি (রাহি.) বলেছেন, ‘এ হাদিস থেকে বিড়াল পালা ও বিড়ালকে বেঁধে রাখা জায়েজ বলে প্রমাণিত হয়, যদি তাকে খানাপিনা দেওয়ার ব্যাপারে ত্রুটি না করা হয়’। [ফাতহুল বারি: ৬/৪১২]
৬। বিড়াল শরীর ও জায়নামাজে উঠে গেলে কি শরীর বা জায়নামাজ অপবিত্র হয়?
মক্কা সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে বিড়ালের অবাধ অনুপ্রবেশ। এরা প্রত্যেক ইবাদতকারীর পাশেই ঘুমায়। গা ঘেঁষে বসে থাকে যেখানে সেখানে। মানুষের আদর ভালোবাসায় লাই দিয়ে গড়া অদ্ভুত এই বিলাসপ্রবণ প্রাণী।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিড়ালের পেশাব নাপাক। যদি কাপড়ে বা জায়নামাজে এক দেরহাম বা তার চেয়ে বেশি বিড়ালের পেশাব লেগে যায়। তাহলে সেই জায়নামাজে বা সেই কাপড়ে নামাজ আদায় করা নাজায়েজ।
তবে যদি বিড়ালের পেশাব না লাগে তাহলে শুধুমাত্র বিড়ালের বসার দ্বারা কোনো জায়নামাজ বা কাপড় নাপাক হয়না।
যদি বিড়ালের শরীরে ভেজা অপবিত্র কিছু লেগে থাকা নিশ্চিত বা প্রবল সম্ভাবনার হয়। তাহলে শরীর ও জায়নামাজ অপবিত্র হবে। অন্যথায় অপবিত্র হবে না। [রদ্দুল মুহতার: ১/২০৪]
৭। বিড়াল কেনাবেচা করা হালাল নাকি হারাম?
বিড়াল ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম। বিড়াল এমন একটি প্রাণী যার মালিকানা সাব্যস্ত হয় না এবং একে খাঁচাবন্দীও করা জায়েয নয়। এজন্য বিড়াল ব্যবসায়ী পণ্য না। কারণ বিড়াল মানুষের পাশেই ঘুরাঘুরি করে।
এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ধমক দিয়েছেন। আবূ যুবাইর (রাহি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি জাবির (রা.) এর নিকট কুকুর ও বিড়াল কেনাবেচা করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- নবী করীম ﷺ এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন”। [মুসলিম, আস-সহীহ: ১৫৬৯, আবূ দাঊদ, আস-সুনান: ৩৪৭৯, মিশকাতুল মাসাবীহ: ২৭৬৮]
অন্য আরেকটি হাদিসে এসেছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ কুকুর ও বিড়ালের বিক্রয় মূল্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩৪৭৯]
বিদ্বানগণের মাঝে সামান্য মতভেদ থাকলেও ব্যবসা না করার ব্যাপারেই অধিকাংশ বিদ্বান মত দিয়েছেন। অনেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেন। যেমন ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহি.) বিড়াল কেনাবেচা কে হারাম হিসাবেই সাব্যস্ত করেছেন [যাদুল মা‘আদ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৮৫]
সৌদি আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড থেকেও এমনই ফাতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ‘কুকুর, বিড়াল সহ হিংস্র এ জাতীয় কোন প্রাণীই কেনাবেচনা জায়েয নেই। এতে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না’ [ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ৩৭]
দ্বীনের স্বার্থে পোস্টটি আপনার ওয়ালে শেয়ার করতে পারেন। যত খুশী কপি করতে পারেন অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ এটি দেখে আমল করলে তা আমাদের জন্য ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হিসাবে গণ্য হবে।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।