Human Milk Bank-কেন আমি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের বিরুদ্ধে!

Human Milk Bank

Human Milk Bank-কেন আমি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের বিরুদ্ধে!

 

দুধ নিয়ে তো বিশাল কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে! তয় ফল হয়েছে বেশ।

প্রথমে আপত্তি এসেছে মিল্ক ব্যাংকের বিরুদ্ধে থাকা দল থেকে।
আশংকা –
দুধ ভাই -দুধ বোন স্বামী -স্ত্রী হয়ে যেতে পারে -তাই।
.

আমরা যারা নিজেদের স্মার্ট বা শিক্ষিত মুসলিম মনে করি -তারা এহেন বিরোধীতা পছন্দ করি নাই।

বিরোধীদের উপহাস করেছি, বিদ্রুপ করেছি।

তারা আমাদের কাছে হয়ে গেছে ‘কাঠ মোল্লা ‘ বা ‘মূর্খ মুসলিম।’
.
আমরা যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং পশ্চিমাদের গুরু মানি, তাদের কাছে মানবতা আগে! ধর্ম পরে!

অথবা মনে করি –
এতে ধর্ম -অধর্মের কিছু নাই। মানুষের উপকার হবে। ব্যস!
.
এখানে দুটো কথা বলা দরকার।

মানবতার কথা সবচে বেশি বলে ইসলাম।

ইসলাম পালনকারী ইচ এন্ড এভরি পার্সন মানবতাবাদী।

বরং অন্যদের তুলনায় বেশি মানবতাবাদী।

আপনি ইসলামীক হলেই মানবতাবাদী। কিচ্ছা খতম।

কেননা –
ইসলামে এমন কোনো বিধান নাই যা মানবতাবোধে আঘাত করে।

ইসলামের প্রতিটি নিয়মনীতি মানুষের কল্যাণের তরেই।

কিন্তু কিছু নিয়ম আমাদের তুচ্ছ জ্ঞানে ক্যাচ করতে পারে না। তাই বিরোধীতা করি।
.
এই যে অপরের দুধ পান করিয়ে মাতৃদুগ্ধবঞ্চিত শিশুদের রক্ষা করার মতো মানবিক ব্যাপারটা তো ইসলামই আমাদেরকে জানালো। ইসলামী পরিভাষায় যেটাকে ‘রিযাআত ‘ বলে।

তাহলে –
আমরা যারা মডারেট বা মডার্ণ মুসলিম, তারা ইসলামী বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে মানবতার দোহাই দিয়ে হারামকে হালাল করতে চাই কেন?

ওই যে, এইটা আমরা করি অজ্ঞতা থেকে।

তাজা প্রমাণ দেই-
কতিপয় স্মার্ট মুসলিমরা মোল্লাদের তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীতা করায়।

পরে তর্কাতর্কি -আলোচনা -সমালোচনার মাধ্যমে যখন জানতে পারলো, ইসলামের আসলে দুধ ভাই -বোন নিয়ে কিছু রুলস আছে – তখন কটাক্ষ বাদ দিয়ে সমাধান নিয়ে এসেছে।

এখন বলছে ‘আইডেন্টিটি সুনির্দিষ্ট ‘ রেখে কাজটা করা যায়।
.
আইডেন্টিটি নিশ্চিত রাখা সম্ভব কি সম্ভব নয়-তা পরের বিষয়।

তবে পরবর্তীতে পোস্ট করা লেখায় উপহাস বন্ধ করেছে।

কেননা, ততক্ষণে জেনে গেছে ‘রিযাআত ‘সম্পর্কে।
.
এইটা হচ্ছে, আলোচনা -সমালোচনার সুফল।

এজন্যই সোস্যাল মিডয়াতে মত প্রকাশকে পছন্দ করি।
.
ভুল হোক বা সঠিক। তর্কাতর্কি হবে, আলোচনা হবে, বাদানুবাদ হবে। এতে অস্পষ্ট বিষয় স্পষ্ট হবে। অজ্ঞতা জ্ঞাত হবে। একটা বিষয় একসঙ্গে অনেকেই জানবে, সচেতন হবে, শিক্ষিত হবে। ইউনিক সব সমাধান বের হবে।
.
হ্যাঁ, কতিপয় মানুষ ‘ফেসবুক বিপ্লবী ‘ বা ‘ফেসবুক বুদ্ধিজীবী ‘ বলে উপহাস করে -তা সত্য। তাদেরও ভুল ভাঙ্গবে। সবাই তো আর চট করে বুঝে না। সবার ব্রেইন ফাস্ট নয়। কারো কারো স্লো। দে নিড টাইম।
……
যাক, পয়েন্টে আসি।

আমি আলেম ওলামা না। ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলি না। সেই অধিকার নাই। তাই, ধর্মে যা ‘হ্যাঁ’, তা আমার কাছেও ‘হ্যাঁ।’ যা ‘না ‘তা আমার কাছেও ‘না। ‘ মানতে পারি বা না পারি – এগেইনস্ট কিছু বলার স্পর্ধা রাখি না। কেননা আমি অজ্ঞ।
.
তবে যেইটা কমনসেন্সে আটকে যায় -তা নিয়ে বলার তাগাদা বোধ করি।
.
তো কমনসেন্স যেইটা বলে –

অনুর্ধ্ব দু বছরের কোনো শিশুকে দুধ পান করালে -তাদের সম্পর্ক হয়ে যায় মা ও সন্তানের সম্পর্ক। নিজের গর্ভজাত সন্তান হয়ে যায় ভাই বা বোন। নিজ ভাই বোনকে তো বিয়ে করা যায় না। কোনো ধর্মের মানুষই তা করে না। মানবতার দোহাই দিয়েও না। যারা মানবতার দোহাই দিচ্ছে, তারাও করবে না। এইটা ধর্মীয় কালচার বিরোধী। যদিও সায়েন্টিফিক্ লজিকও আছে না করার। কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানি না। না জানা সত্বেও করি না। কারণ কালচার বিরোধী। সুতরাং, কালচার এখানে গুরুত্ব পায় বেশি। ধর্ম বলেছে করা যাবে না। ব্যস করা যাবে না। অভার এন্ড আউট।

মানবতার কথা এই ইস্যুতে আসবেই না।

এইটা হইলো কমনসেন্স।
.
এইবার আসি ‘আইডেন্টিটি ‘ বা পরিচয় লিপিবদ্ধ করে রেখে, মিল্ক ব্যাংক চালানোর ব্যাপারে –

প্রক্রিয়াটি জটিল, জটিলতর। প্রায়ই অসম্ভব।

কেমন?

লেটস হ্যাভ আন একজ্যাম্পল –

আমি মা। মিল্ক ব্যাংকে দুধ জমা করি। আমার দুধ পান করলো যশোরের কোনো এক মেয়ে শিশু। সেই শিশুকে আমি চিনি না। বড় হয়ে সে পড়াশোনা করতে এলো ঢাকায়।

ভর্তি হলো একই কলেজে বা ভার্সিটিতে। যেখা‌নে আমার ছেলেও পড়ে। দুজনের মধ্যে ভাব হলো। প্রেম হলো। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু আমি মানলাম না। ছেলেকে নিজের পছন্দে বিয়ে করাবো -তাই। কিন্তু তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেললো আমার অমতে। মেয়েকে যেহেতু আমি দেখিও নাই সেহেতু চেনার প্রশ্ন আসবে না।

যাকে দুধ পান করালাম, সে হয়তো জানেই না সে তার শাশুড়ীর দুধ খেয়ে বেঁচে উঠেছিল। যেহেতু সে বাচ্চা ছিলো, তার জানার কথা না। যারা জানতো, তারাও জানায় নাই। জানানোর প্রয়োজন মনে করে নাই। অথবা জানলেও, যার সঙ্গে প্রেম করেছে -সে যে আমার ছেলে তা তো জানে না।

সুতরাং আইডেন্টিটি শতভাগ নিশ্চিত রেখেও, ভাই -বোনকে বিয়ে করা ঠেকিয়ে রাখা যাবে এইটা আমি মানি না।

হ্যাঁ, এমনটা হবেই তা হয়তো না। কিন্তু হতেও পারে। হু নৌজ! সন্দেহ থেকে যায়। আর কোনো কিছুতে সন্দেহ থাকলে, ইসলাম তা থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয় বলেই জানি।

কে পড়ে থাকবে এতো বছর আগের মিল্ক ব্যাংক থেকে দুধ পান করার ঘটনা নিয়ে?

এমনকি জানলেও, প্রেম ভালোবাসা হয়ে গেলে পোলাপান ধর্ম -টর্মও তো মানে না। সেখান দুধ ভাই -বোন কেয়ার করবে তাও বা বিশ্বাস করি কীভাবে?
.
এইবার কমনসেন্স বাদ। লেটস বি ইন্টালিজেন্ট –

বিজ্ঞান বলে ভাই – বোনের মধ্যে বিবাহ হলে জেনেটিক সমস্যা দেখা যায়। যেটাকে অটোসমাল রিসেসিভ বলে। অর্থাৎ সন্তান বিকলাঙ্গ হবার পসিবিলিটি খুবই বেশি।

অজুহাত উঠবে এইটা তো আর একই গর্ভের ভাই -বোন না।

কিন্তু বিজ্ঞান জানাচ্ছে – তফাৎ নাই।

১৯৭০ -এ মায়ের দুধে রেট্রোভাইরাসের মতো একটা উপাদান আবিস্কৃত হয়। যেটাকে বলে মাইক্রোভেসিকেল। কিন্তু তা কীভাবে কাজ করে অজানা ছিলো।

২০০০ সালে বিজ্ঞান আমাদেরকে জানায় – মায়ের দুধের এপিথেলিয়াল সেল ‘ এমএফজি ‘( মিল্ক ফ্যাট গ্লোবিউলস) নামক একটা ফর্ম গঠন করে। এইটার ভেতরেই মাইক্রোভেসিক্যলটা লুকানো থাকে। এই মাইক্রোভেসিক্যল হচ্ছে রেট্রোভাইরাসের রিভার্স ট্রান্সক্রিপটস।

মাইক্রোভেসিক্যল কী কাজ করে?

মায়ের দুধের সঙ্গে তা শিশুর পেটে যায়। যেহেতু এইটা লং লাস্টিং জিনিস, পাকস্থলীর এসিড এইটাকে হজম করতে পারে না। মাইক্রোভেসিক্যালে থাকা এমআরএনএ (মেসেঞ্জার অব আরএনএ, যেটা ফ্যামিলির জেনেটিক ইনফরমেশন বহন করে) এবং রিভার্স ট্রান্সক্রিপট এনজাইম বা প্রোটিন পাকস্থলীর ইন্টেস্টেন বা অন্ত্রে পৌঁছে যায় অক্ষত।

যেহেতু মাইক্রোভেসিক্যলের সাইজ ছোট (৫৫ এনএম) তা ক্যাভিউলার এন্ডোসাইটোসিসের মাধ্যমে রক্তে মিশে যায়। সেখান থেকে যায় এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলামে ।

তা থেকে নিউক্লিয়াস সেলে। তারপর মাইক্রোভেসিক্যালে থাকা এমআরএনএ এবং রিভার্স ট্রান্সক্রিপট এনজাইম ডিএনএ তৈরী করে। সেই সাথে এমআরএনএ ব্যবহার করে নতুন জিন প্রস্তুত করে ডিএনএ ‘র উভয় স্ট্র্যান্ডসের জন্যে। এই মাইক্রোভেসিক্যলকে বলে মিল্ক ট্রান্সক্রিপ্টম। এতে থাকে ১৪০০০ এক্টিভ জিন।

অর্থাৎ দুধের মাধ্যমে শিশুর জিন পরিবর্তন হয়ে যায়।

ফলে যে নারী অন্যের শিশুকে দুধ পান করায়, সেই সন্তান শুধু দুধের সম্পর্কে সন্তান হয়ে থাকে না। বায়োলজিক্যালিও নিজ সন্তান হয়ে যায়। গর্ভধারণ না করেও।

সুতরাং দুধ সন্তানের সঙ্গে নিজ সন্তানের বিয়ে হলে, তাদের সন্তান বিকলাঙ্গ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মহাজ্ঞানী স্রষ্টা জানেন এতে আমাদের অমঙ্গল রয়েছে। এজন্যই বিধিনিষেধ আরোপ করা।
.
তো মনে করেন, এমন কিছু ঘটলো। একটা অন্ধ সন্তান জন্ম নিলো। যে এই পৃথিবীতে রবে। বাঁচবে। মায়ের আদর পাবে। কিন্তু মাকে দেখবে না। বাবার স্নেহ পাবে, জানবে না বাবা দেখতে কেমন।

এই জোৎস্নার মায়াবী আলো, এই প্রকৃতির অমায়িক সৌন্দর্য, প্রেয়সীর অভিমান ভরা বাঁকা চাহনির বিমলানন্দ, সব কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে, সকলের নিকট থেকে অবহেলা পেয়ে বেঁচে রবে। জীবনের প্রতিটা মূহুর্ত নানান কষ্ট তাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। সে জীবন পাবে। কিন্তু উপভোগ করতে পারবে না। সে বাঁচবে। কিন্তু কীভাবে -তাও বুঝতে পারবে না।

নিজের একটা জামা খুঁজে গায়ে দিতে পারবে না। তৃষ্ণা পেলে এক গ্লাস পানি ঢেলে পান করতে পারবে না। আরেকজনের সহযোগিতা ছাড়া টয়লেটের কাজটাও সারতে পারবে না। সর্বক্ষণ অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে। এই অসহায়ত্বের বর্ণনা দেয়া সম্ভব না।

তার কাছে সেকেন্ডকে মনে হবে ঘন্টা। দিনকে মনে হবে বছর। কালকে মহাকাল।
প্রতিটি ক্ষণ তার মনে হবে এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো।

শিশুকালে মরে গেলে সোজা জান্নাতের সুখ পেতো। কিন্তু এমন বিষম যন্ত্রণাবিদ্ধ সুদীর্ঘ জীবন অসহনীয় কষ্টে কাটিয়ে দিবে তা দেখতে একজন মানুষ হিশেবে আমার কাছে চরম অমানবিক ঠেকে। এজন্যই আমার মানবতাবোধ মিল্ক ব্যাংকে সায় দেয় না।

অর্থাৎ আপনারা যারা তার স্বল্পদৈর্ঘ্য কষ্টে মর্মাহত হয়ে মিল্ক ব্যাংকের পক্ষে বলেন -আমি তার দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণায় মর্মাহত হয়ে মিল্ক ব্যাংকের বিপক্ষে বলি। সুতরাং আমার চেয়ে বড় মানবতাবাদী আপনি না। সো, অফ যান প্লিজ।

মিল্ক ব্যাংক ছাড়াই আমাদের সমাজে বহু শিশুর জন্যে বহু নারী এগিয়ে আসে এবং তা জানাশোনার গন্ডিতে রেখেই সেইফ জোন বা আইডেন্টিটি নিশ্চিত করে।

আর যদি মনে করেন, আমি ধর্ম মানি না বা আমি খোদার চেয়ে বেশি বুঝি – দেন ইউ ক্যান গো এহেড।

খুব কথা বলা হচ্ছে এই এক হিউম্যান মিল্ক নিয়ে। ভাবলাম আমিও কিছু বলি। তবে বাকিদের মতো নয়, আমার খাদ্য প্রকৌশল এর ভাষায়। আমার রিলিজিয়াস নলেজ খুব কম, বলতে পারেন বেসিক কিছু নিয়মের বাহিরে আমি তেমন কিছু বলতে পারি না।

সে যাইহোক যা বলতে চাচ্ছিলাম
হিউম্যান মিল্ক নিয়ে এত তর্ক-বির্তক হচ্ছে যে এটা হালাল না হারাম। আপাত দৃষ্টিতে এইটা পান করা হালাল সব বাচ্চাদের জন্য। (কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ভিন্ন)

[বি. দ্র. ধর্ম নিয়ে কেউ তর্ক করতে আসবেন না। কারণ আমি আগেই বলেছি ধর্ম সম্পর্কে ডিটেইলস ধারণা নেই। ]
আমাদেরত আগে জানা দরকার হিউম্যান মিল্ক এর ফিজিক্যাল কম্পোজিশন পাশাপাশি ক্যামিকেল কম্পোজিশন। নিচে আমি ম্যানসন করে দিচ্ছি তারপরও নিজেরা চেক করে নিবেন আবার – Ideal parameter of Human milk

properties:
Fat-(3-5)%
Carbohydrate which is calculated as lactose(milk sugar)- (6.5 – 7.4)% [it may differ]
Protein- 0.9%
Mineral (whuch is assumed as ash content) – 0.2%
Energy- (65 – 75)% kcal per 100ml.
Above all of these, there are some other properties also…

আমরা সবাই জানি বেশিরভাগ মারাত্মক রোগই ফ্লুইড এর মাধ্যমে ছড়ায় যেমন-এইডস, জন্ডিস, হেপাটাইটিস বি,HBIg, গনোরিয়া, সাইফিলিস, Chlamydia infections, বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ এবং নাম না জানা আরো অনেক রোগ হয়ে থাকে।

একেক মায়ের বুকের দুধের ফিজিক্যাল ও ক্যামিকেল প্রপারটিস একেক রকমের হয়। সব মায়ের বুকের দুধ সব শিশু হজম করতে পারেনা কারণ মায়েদের খাদ্যাভ্যাসের উপরে দুধের ফিজিক্যাল ও ক্যামিকেল প্রপারটিস ভিন্ন হয়। তাছাড়া লেক্টেটেট মায়ের রিসেন্ট এবং পূর্বের মেডিকেল হিস্টরি কেমন ছিল এইটার উপরও নির্ভর করে।

অনেক রকমের ইনফেকশন থাকতে পারে, ভাইরাস থাকতে পারে মোরওভার যদি কোন এন্টিবয়োটিক সেবন করে থাকেন ওই মা তাহলেতো আরো বিপদ বাচ্চার জন্য। একজন ডাক্তার যখন একজন লেক্টেটেট মা কে প্রেসক্রাইব করেন তখন অনেক দিক বিবেচনা করে তারপর প্রেসক্রাইব করেন কেননা ওই মা ব্রেস্ট ফিড করায় তার বাচ্চাকে।

এত এত সেন্সসিটিভ দিক আপনারা কি করে ওভারলোক করে যাচ্ছেন, সেটা আমার মাথায় আসছেনা। বাচ্চাদের এমনিতেই ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক কম তার ওপর যদি প্রপার হাইজিন এবং প্রপার ক্লিনিকেল ট্রিটমেন্ট ফলো না করে হিউম্যান মিল্ক প্রিজার্ব করার কথা ভাবেন তাহলে আপনাদের মত এত আধুনিক মানুষজনকে কিছু বুঝানোর ক্ষমতা হয়তো আমার মত নন পাবলিক ফিগারের নেই।

অনেকেই এখন বলবেন ফ্রিজিং করে খাওয়াবেন। এইখানেও কিন্তু অনেক অপকারিতা রয়ে গেছে। হিউম্যান মিল্ক রুম টেম্পারেচারে থাকে ৪ ঘন্টা। এইটা হয়ত কিছুটা সেইফ বাচ্চার কনজিউমের জন্য, যদি প্রপার হাইজিন মেইনটেইন করেন এবং নন ডিজিস এফ্যাক্টেড মায়ের দুধ প্রিজার্ব করেন তাহলে। আর যদি রেফ্রিজারিং করে রাখেন তাহলে ৪ দিন। আর ফ্রিজিং করলে ৬ মাস থেকে ১২ মাস। তবে এই ক্ষেত্রে রেফ্রিজারিং আর ফ্রিজিং করে রাখা মিল্ক আফটার থাউয়িং খাওয়ার মতন কন্ডিশনে কোন ভাবেই থাকে না। আপনি চাইলে খাওয়াতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে উপকার থেকে অপকারই বেশি পাবেন। আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য আপনারই নিশ্চিত করতে হবে।

এখন আসি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কখনোই সম্ভব না কারণ আমরা বিজনেস বুঝি এখানে কে সুস্থ আর কে সুস্থ না সেটা কেউ দেখবে না।আর কোন ভালো কেউ নিশ্চয়ই নিজের বুকের দুধ নিয়ে বিজনেস করবে না। আর যারা করবে তারা টাকার জন্যই করবে সুতরাং সে নিজে সুস্থ কিনা সেটা চিন্তাও করবে না।

আপনারা তো খুব বেশি সচেতন নিজের বাচ্চা কে নিয়ে, ক্লাস মেইনটেইন করেন, তাহলে কিভাবে বুঝবেন কোন ক্লাসের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন?? কি ভাবে বুঝবেন যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন সে কোনো রোগে আক্রান্ত কিনা??
আপনাদের উদ্দেশ্য মহৎ কিন্তু আমার মনে হয় উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা।

written by: Jahanara Akter Shwapno & Nazmun Lima

 

আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

 
 
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
 
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
 
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
 
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
 
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
 
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
 
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
 
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
 
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
 
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
 
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
 
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
 
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
 
رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
 
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
 
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
 
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
 
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
 
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
 
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
 
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
 
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
 
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
 
رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
 
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
 
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
 
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
 
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
 
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
 
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
 
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
 
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
 
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
 
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
 
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
 
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
 
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
 
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
 
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
 
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
 
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
 
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
 
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
 
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
 
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
 
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
 
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
 
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
 
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
 
 
 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Related posts

Islamic Names with B

by IDCAdmin
2 years ago

Islamic Names with Y

by IDCAdmin
2 years ago

Islamic Names with K

by IDCAdmin
2 years ago
Exit mobile version