Importance of Sura Waqiyah

Importance of Sura Waqiyah – সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত

 

সূরা আল- ওয়াক্বিয়াহ পবিত্র কোরআন শরীফের ৫৬তম সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ৯৬, রুকু আছে ৩টি। সূরা আল-ওয়াকিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়, পারার ক্রম হচ্ছে ৩০। 

সূরা আল- ওয়াক্বিয়া’র নামের অর্থ, নিশ্চিত ঘটনা।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ওয়াক্বিয়াহ  পাঠ করবে, সে কখনো ক্ষুধায় কষ্ট ভোগ করবে না।’ এই সূরা পাঠ করলে দরিদ্রতা গ্রাস করতে পারেনা।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) মৃত্যুর আগে বলেন, ‘তাদের (ইবনে মাসউদের সন্তানদের) জন্য আমি সূরা ওয়াকিয়াহ রেখে গেলাম।’ এই সূরা পাঠ করলে কেউ কখনো গরীব হবে না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিরাত্রে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তিলাওয়াত করবে সে কখনো অভাবগ্রস্ত থাকবে না।’ হাদিসে নারীদের এ সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। মা আয়েশা (রাঃ)-কে এ সূরা পাঠের জন্য নির্দেশ করা হয়েছিলো। সূরা ওয়াক্বিয়াহ জুমাবার পড়া যেতে পারে। এছাড়া রাতে পড়ার জন্যে হাদিসে বলা আছে।  

 

সূরা আল-ওয়াকিয়াহর আরবি থেকে বাংলা অনুবাদঃ

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,

لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই। خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।

إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী। وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। فَكَانَتْ هَبَاء مُّنبَثًّا অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা। وَكُنتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে। فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা। وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা। وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই। أُوْلَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ তারাই নৈকট্যশীল, فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ অবদানের উদ্যানসমূহে, ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে। عَلَى سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ স্বর্ণ খচিত সিংহাসন। مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে। يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা। بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে, لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না। وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে, وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে। وَحُورٌ عِينٌ তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ, كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ। لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না। إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম। وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান। فِي سِدْرٍ مَّخْضُودٍ তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে। وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ এবং কাঁদি কাঁদি কলায়, وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ এবং দীর্ঘ ছায়ায়। وَمَاء مَّسْكُوبٍ এবং প্রবাহিত পানিতে, وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ ও প্রচুর ফল-মূলে, لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়, وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। عُرُبًا أَتْرَابًا কামিনী, সমবয়স্কা। لِّأَصْحَابِ الْيَمِينِ ডান দিকের লোকদের জন্যে। ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে। وَثُلَّةٌ مِّنَ الْآخِرِينَ এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে। وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা। فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে, وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়। إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল। وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنثِ الْعَظِيمِ তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত। وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব? أَوَ آبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও! قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ, لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ। لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে, فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে, فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি। فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়। هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

 

أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।

أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?

نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।

عَلَى أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।

وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذكَّرُونَ তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?

أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?

أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?

لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট। إِنَّا لَمُغْرَمُونَ বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম; بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম। أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি? لَوْ نَشَاء جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ? نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী। فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন। فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি, وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে। إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ যা আছে এক গোপন কিতাবে, لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে? وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে? فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়। وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ এবং তোমরা তাকিয়ে থাক, وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَكِن لَّا تُبْصِرُونَ তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না। فَلَوْلَا إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়, تَرْجِعُونَهَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ? فَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়; فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান। وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ أَصْحَابِ الْيَمِينِ আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়, فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম। وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়, فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা। وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে। إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ এটা ধ্রুব সত্য। فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।   অন্তিম রোগশয্যায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)— এর শিক্ষাপ্রদ কথোপকথনঃ ইবনে—কাসীর ইবনে আসাকীরের বরাত দিয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) যখন অন্তিম রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওসমান (রাঃ) তাঁকে দেখতে যান৷ তখন তাঁদের মধ্যে শিক্ষাপ্রদ যে কথোপকথন হয় তা নিম্নরুপঃ- →হযরত ওসমানঃ ما تشتكي আপনার অসুখটা কি? →হযরত ইবনে মাসউদঃ ذنوبي আমার পাপসমূহই আমার অসুখ৷ →ওসমান গণীঃ ما تشتهي আপনার বাসনা কি? →ইবনে মাসউদঃ رحمة ربي আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি৷ →ওসমান গণীঃ আমি আপনার জন্যে কোন চিকিৎসক ডাকব কি? →ইবনে মাসউদঃ الطبيب امرضني চিকিৎসকই আমাকে রোগাক্রান্ত করেছেন৷ →ওসমান গনীঃ আমি আপনার জন্যে সরকারী বায়তুল মাল থেকে কোন উপটৌকন পাঠিয়ে দেব কি? →ইবনে মাসউদঃ لاحاجة لي فيها এর কোন প্রয়োজন নেই৷ →ওসমান গণীঃ উপটৌকন গ্রহণ করুন৷ তা আপনার পর আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে৷ →ইবনে মাসউদঃ আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার কন্যারা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে৷ কিন্তু আমি এরুপ চিন্তা করি না৷ কারণ, আমি কন্যাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতিরাত্রে সূরা ওয়াক্কিয়া পাঠ করে৷ আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)— কে বলতে শুনেছি, من قرأ سورةالواقعة كل ليلة لم تصبه فاقة ابدا” অর্থাৎ, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্কিয়া পাঠ করবে, সে কখনও উপবাস করবে না৷ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮] সুরা আর রাহমান, সুরা হাদিদ ও সুরা ওয়াকিয়া’র তেলাওয়াতকারীকে কেয়ামতের দিন জান্নাতুল ফিরদাউসের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে। অন্য এক হাদিসে আছে, সুরা ওয়াকিয়াহ হলো ধনাঢ্যতার সুরা, সুতরাং তোমরা নিজেরা তা পড় এবং তোমাদের সন্তানদেরকেও এ সুরার শিক্ষা দাও। অন্য এক বর্ণনায় আছে: তোমাদের নারীদেরকে এ সুরার শিক্ষা দাও। আম্মাজান হজরত আয়েশা [রা.] কে এ সুরা তেলাওয়াত করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল। তাছাড়া অভাবের সময় এ সুরার আমলের কথাটা তো হাদিস দ্বারাই প্রমানিত। এমনকি বর্ণিত আছে যে হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] কে যখন তার সন্তানদের জন্য একটি দিনারও রেখে না যাওয়ার কারণে তিরস্কার করা হলো তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, তাদের জন্য আমি সুরা ওয়াকিয়াহ রেখে গেলাম।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )