Infertility-যাদের কোল জুড়ে সন্তান আসছে না – বাচ্চা না হওয়া বা (বন্ধ্যাত্ব)সমস্যা
IDCAdmin
Infertility-যাদের কোল জুড়ে সন্তান আসছে না – বাচ্চা না হওয়া বা (বন্ধ্যাত্ব)সমস্যা
লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ
….
পুর্বেই বলেছিলাম বর্তমান সময়ের আলোচিত কিছু সমস্যার মধ্যে একটা হচ্ছে বিয়ে বন্ধ আর আরেকটা বাচ্চা না হওয়া।
আমরা ইতিমধ্যেই বিয়ে বন্ধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি(আলহামদুলিল্লাহ)
আজ আমরা বাচ্চা না হওয়া বা (বন্ধ্যাত্ব)সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ…
[ক]
বাচ্চা না হওয়ার পেছনে নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সমস্যার পেছনে বেশ কিছু কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। আবার সেই অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতিও আবিষ্কার হয়েছে বর্তমানে। কিন্তু এর পরেও অনেকেই বাচ্চা কনসিভ করতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। ফলে হতাশায় ভুগছেন।
তাদের উদ্দ্যেশে প্রথম কথাই হচ্ছে সন্তান-সন্ততি দানের মালিক কিন্তু একমাত্র আল্লাহ। বিশ্বজগতের সবকিছু তাঁরই হাতে।
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।
[৪২:৪৯-৫০]
সুতরাং একমাত্র তাঁর উপর ভরসা করে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে সেজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। আর অবশ্যই অবশ্যই তাঁর উপর ভরসা করতে হবে আর সাহায্য চাইতে হবে।
[খ]
বেশি বেশি করে ইস্তিগফার করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন____
অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
[সুরা নূহ:১০-১২]
হযরত হাসান বশরি (রঃ) এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে তাঁর কাছে কেউ অনাবৃষ্টির অভিযোগ জানালে তিনি ইস্তিগফার করার শিক্ষা দিতেন। কেউ দরিদ্রতার অভিযোগ দিলে তিনি ইস্তিগফার শিক্ষা দিতেন। সন্তান না হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ জানালেও তিনি ইস্তিগফারের কথা বললেন।
যখন তাঁকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলো যে তিনি কেন তিনি সবাইকে ইস্তিগফারের কথা বললেন তখন তিনি উপরোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেন।
আর
[গ]
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়মিত আদায় এবং যিকর করা। সালাত ও যিকর অন্তরে প্রশান্তি আনে যা বিভিন্ন খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করে।
অর্থ: হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি।
[সুরা আল-মারইয়াম:০৪]
তবে দু’আ কবুলের জন্য অবশ্যই বিনীত হয়ে কাকুতি-মিনতি সহকারে দু’আ করা, সৎকাজে প্রতিযোগীতা করা, আশা ও ভীতির সাথে তাঁকে ডাকা।
[ঙ]
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। একে অপরকে বুঝা। কুর’আন, সুন্নাহ মেনে চলা। আর হ্যা সহবাসের পুর্বের দুয়া পাঠ করা।
[চ]
আর হ্যাঁ সর্বাবস্থায় তাঁর শুকরিয়া আদায় করা। আমাদের এইটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে রব্বুল আ’লামীন তাঁর বান্দাকে তাঁর হক্ব থেকে কখনো বঞ্চিত করবেন না। তাই নিরাশ না হয়ে তাঁর কাছে চাইতে হবে। আর তাঁর দেয়া অফুরন্ত নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
পরিশেষে একটা কথা, দু’আ ও চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। কারন গুনাহও বাচ্চা হওয়ার অন্তরায় হতে পারে তাই বেশি বেশি করে ইস্তিগফার করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা নিন, দুয়া করুন আর আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের উপর ভরসা রাখুন…
যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন রব্বুল আ’লামীন তাদের সমস্যা দূর করে দিন, তাদের জন্য সহজ করুন। আর এমন সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর হয়।। (আমীন!)
আরও পড়ুন…
Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।
ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য় বার ৮০০০ টাকা । বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে। এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।