Love – ভালোবাসার দোয়া, পছন্দের মানুষকে পাওয়ার জন্য শক্তিশালী আমল।
এই দোয়াটা প্রতিদিন দোয়া কবুলের টাইমে ১১ বার অথবা ৪০ বার আমল করবেন, ৪০ দিন আমল করার পর না পেলে মনে করবেন যার জন্য দোয়া করছেন, সে হয়তোবা আপনার জন্য কল্যানকর নয়।
এই ছাড়া ইস্তেখারা করতে পারেন, বিস্তারিত এখানে দেখেন।
যে আমলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে
যে আমলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। পরিবারে শান্তি ও শৃঙ্ক্ষলা স্থির হবে। তাই স্ত্রীর প্রতি যদি স্বামীর ভালোবাসা কমে যায় কিংবা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা কমে যায় তবে এ আমলটি করা যেতে পারে।
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِ وَلَوْ يَرَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ إِذْ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ أَنَّ ٱلْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعَذَابِ
উচ্চারণ :
ওয়া মিনান্ নাসি মাইঁ ইয়াত্তাখিজু মিংদুনিল্লাহি আংদাদাইঁ ইয়ুহিব্বুনাহুম্ কাহুব্বিল্লাহ; ওয়াল্লাজিনা আমানু আশাদ্দু হুব্বাল্লিল্লাহ; ওয়া লাও ইয়ারাল্লাজিনা জ্বালামু ইজ ইয়ারাওনাল আজাবা আন্নাল কুওওয়াতা লিল্লাহি ঝামিআও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদিদুল আজাব।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৬৫)
আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে ‘আল-ওয়াদুদু’ একটি। এ পবিত্র নামের আমলে স্বামী-স্ত্রী অমিল ও দূরত্ব কমে যায়।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর ভালোবাসার পাঁচটি শক্তিশালী দোয়া
1. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে, একে অপরের প্রতি ভালবাসা কমে গেলে, আয়া মানেই 60 বার পড়ে এবং জল, দুধ এবং খাবারে দম বন্ধ হয়ে যায়।
2. যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা কমে যায় বা দুজনের মধ্যে কোনো বন্ধন না থাকে বা তাদের একজন অপরজনের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়; অতঃপর আল্লাহর পবিত্র নাম বা ওয়াদুদ (ইয়া ওয়াদুদু) ১০০১ (এক হাজার এক) বার পাঠ করে কিছু মিষ্টি খাবার ও পানীয়ের মাঝে ফুঁ দিলে আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে।
3. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা কমে গেলে বা দুজনের মধ্যে কোনো বন্ধন না থাকলে বা পরস্পরের প্রতি অসন্তুষ্ট হলে পবিত্র কোরআনের এই আয়াত, وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي (ওয়া আলকাইতু আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নি ওয়ালিতুসনা আলা আইনী) (সূরা ত্বা হা-৩৯) আয়াতের অর্থ হল: আমি আমার নিজের দিক থেকে তোমাকে ভালবাসা জানিয়েছি, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে পরিলক্ষিত হয়। স্বামী রাগ করলে স্ত্রী স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (স্বামী স্বামীর সামনে এলে স্ত্রী এ কাজ করবে)। (স্ত্রী সামনে এলে স্বামী এটা করবে)। আল্লাহর রহমতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।
4. স্বামী রাগ করলে স্ত্রী এবং স্ত্রী রাগ করলে স্বামী নিম্নলিখিত পিরিয়ড করবে, পিরিয়ড হল فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ (ফাসা আইয়াকফিকাহুমুল্লাহু ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম) সুতরাং তাদের জন্য আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট। তিনি সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়। [সূরা আল-বাকারা 2:138] ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এবং এশার নামাজের পর ১০০ বার আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ দুজনের মধ্যে ভালোবাসা গভীর হবে।
5. সেই সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। পরিবারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। তাই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা কমে গেলে বা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা কমে গেলে এই আমল করা যেতে পারে। ومن الناس من يتخذ من دون الله أندادا يحبونهم كحبا لله ولو يرى الذين ظلموا إذ يرون العذا أن القوة لله جميعا وأن الله شديد العذاب العذاب
উচ্চারণ: ওয়া মিনান নাসি মেন ইয়াত্তাখিজু মিংদুনিল্লাহি আন্দাইন ইউহিববুনাহুম কাহুব্বিল্লাহ; ওয়াল্লাজিনা আমানু আশহাদ্দু হুব্বালিল্লাহ; ওয়া লাও ইয়ারাল্লাজিনা জবালামু ইস ইয়ারাওনাল আজাবা আন্নাল কুওয়াতা লিল্লাহি জামিয়াও ওয়া আন্নাল্লাহা শাদীদুল আজাব। (সূরা বাকারা: আয়াত 185)
আর কিছু লোক আছে যারা অন্যদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদেরকে ততটা ভালবাসে যতটা তারা আল্লাহকে ভালবাসে। কিন্তু যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তারা তাদের নিজেদেরকে যতটা ভালবাসে তার চেয়ে বেশি ভালবাসে। আর কতই না ভালো হতো যদি এই জালেমরা পার্থিব আযাব দেখে বুঝতে পারত যে, সব ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর এবং আল্লাহর শাস্তি সবচেয়ে কঠিন। [সূরা আল-বাকারা 2:185] যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, তবে স্ত্রী একটি মিষ্টি বস্তুর উপর এই আয়াতটি পাঠ করে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে স্বামীকে খাওয়াবেন। যে স্বামী আল্লাহর ইচ্ছায় অসন্তুষ্ট সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট হবে। কিন্তু অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো লাভ হবে না।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
যারা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করতে চান তারা সাবধান হনঃ-
☪ ঈমান এত সহজে হারাতে চান? নিচের বক্তব্যটি অনুগ্রহ করে মন দিয়ে পড়ুনঃ-
“আজ থেকে ২০ বছর আগেও মানুষ এই দিবসের কথা জানত না, এখন এই দিবস জানে না এমন বাঙ্গালী নেই বললেই চলে, আমরা এই দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন আঙ্গিকে বুঝার চেষ্টা করি…
✝ প্রথম কথা হল বিশ্ব ভালবাসা দিবস বলা হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে, এটা এক ধরনের প্রতারনা বলা চলে কারন আমরা যখন ইংরেজিতে খুঁজতে যাই বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ওয়ার্ল্ড লাভ ডে বা এই ধরনের কোন স্বীকৃতি পরিভাষা কোথাও পাওয়া যায়না!!! এটার ইংরেজি নাম বা অরিজিনাল নাম হল সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে, যার সহজ অর্থ সাধু ভ্যালেন্টাইনের দিবস, এখন এই নাম থেকে সহজেই বুঝতে পারছেন যে এটা একটা ধর্মীয় দিবস, একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ের বুজুর্গদেরকে তারা সেন্ট বা সাধু বলে, এই সকল সেন্টদের দিবস উপলক্ষে তারা বিভিন্ন উৎসব করে থাকেন।
☪ প্রথমত এটা একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষদের ধর্মীয় উৎসব। আর মুসলমানদের জন্য অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ এবং এটা ঈমান বিধ্বংসী!!!
মনে করেন আমাদের প্রতিবেশী হিন্দু ভাইয়েরা, তাদের একটা ধর্মীয় উৎসব আছে সরস্বতী পুজা, এখন যদি এটাকে আমরা বিশ্ব শিক্ষা দিবস নাম দিয়ে উদযাপন করি তাহলে কোনো মতেই এটাকে আমরা নৈতিক বলতে পারিনা। কারণ এটা একটা নির্দিষ্ট ধর্মের ধর্মীয় উৎসব।
✝ যেমন আমাদের আছে কুরবানির ঈদ, এটাকে বিশ্ব খাদ্য উৎসব বলে যদি হিন্দুদের অথবা অন্যদেরকে এটা পালন করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়, কৌশলে তাদের দিয়ে এই কুরবানির ঈদ পালন করানো হয় এটাও অনৈতিক হবে!!!
ঠিক তেমনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে বা সাধু ভ্যালেন্টাইন দিবস/সাধু ভ্যালেন্টাইনের ওরস/ সাধু ভ্যালেন্টাইনের বার্ষিকী উপলক্ষে এটাকে প্রতারনা মূলক ভাবে বিশ্ব ভালবাসা দিবস অনুবাদ করে ধর্মীয় দিবসটাকে সেকুলার রূপ দিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলন করা হচ্ছে বা চালু করা হচ্ছে!!!
এটা নিঃসন্দেহে প্রতারনা!!!
☪ এর মাধ্যমে একটা ধর্মীয় দিবস সেকুলার দিবস মানে ধর্মহীন একটা সাধারণ আনন্দের দিবসে পরিনত হয়েছে ফলে অন্যান্য ধর্মের মানুষেরা খৃস্টান ধর্মের দিবসটা পালন করে তাদের ধর্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, ঈমান নষ্ট করে ফেলছে। দুর্ভাগ্যবশত এই বিশ্ব ভালবাসা দিবসের নামে নামাজি বেনামাজি দ্বীনদার বেদ্বীনদার ইসলাম পন্থী অনৈসলামিক পন্থী সবাই এই দিবসটা পালন করতে শুরু করেছেন আমাদের দেশে, আর এটা হল এই দিবস পালনের প্রথম পর্যায়!!!
☪ দ্বিতীয় বিষয়টা ভালো করে বুঝতে হবেঃ ভালবাসা অনেক রকমের আছে, যেমন মনে করেন মাকে ভালবাসা, সন্তানকে ভালবাসা, দেশকে ভালবাসা, দরিদ্রকে ভালবাসা এগুলোও কিন্তু ভালবাসা। কিন্তু বিশ্ব ভালবাসা দিবসে কোন ভালবাসাকে প্রমোট করা হচ্ছে?
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )
কোন ভালবাসাকে?
অশ্লীল ভালবাসাকে, অর্থাৎ নারী পুরুষের জৈবিক ভালবাসাকে!!! এখন এই যে ভালবাসা দিবসের নামে যেটাকে প্রমোট করা হচ্ছে সেটা কী? নারী পুরুষের জৈবিক ভালবাসা!!!
✝ আর মুসলমানের জন্য এটা ভয়ঙ্কর …আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেনঃ
الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۚ وَاللَّه ُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُون.
যারা চায় যে মুসলমানদের মধ্যে অশ্লীলতা-ব্যাভিচার ছড়িয়ে পড়ুক তাদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি ও আখেরাতে রয়েছে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
(সুরা নুর-১৯)
কারন অশ্লীলতা ছড়ানোর অর্থই সভ্যতা ধ্বংস করে দেওয়া।
দ্বিতীয় বিষয়টা বুঝা গেলঃ
✝ প্রথম হল এটা অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসব, এটা উদযাপন করলে মুসলমানদের ইমান নষ্ট হবে! দ্বিতীয় হল এটার মাধ্যমে অশ্লীলতা/অশালিনতাকে প্রমোট করা হচ্ছে, একজন মুসলমান অশালিনতা প্রমোট করতে পারেনা!!! তাহলে তার দুনিয়াতে এবং আখিরাতে কঠিন শাস্তি হবে, তার পারিবারিক জীবনে শাস্তি আসবে, সামাজিক জীবনে শাস্তি সে মরনের আগে অনুভব করবে, মরন যন্ত্রণা ভোগ করবে।
এই দিবস পালন করা মানে খৃষ্ট ধর্ম পালন করা, এটা কোন মুসলমান করতে পারেনা!!! এজন্য আমরা মাঝে মাঝে বলি যে ভ্যালেন্টাইনস দিবসে গিফট দেওয়া পেপসি খাওয়া র্যালি করার চেয়ে এক দশ বিশ কেজি শুয়োরের গোস্ত কিনে ভুনে খেলে গুনাহ অনেক কম হবে কারণ প্রথম কথা শুয়োরের গোস্ত খেলে কেউ হালাল জেনে খায় না…
গুনাহ হয় বুঝে একবার খেলেই!
✝ কিন্তু এই যে খ্রিষ্ট দিবস পালন করছে হালাল জেনে,
দ্বিতীয়ত এটা অন্য ধর্মের উৎসব কথা বুঝছ না?
তৃতীয়ত একবার শুয়োরের গোস্ত খেলে প্রতিদিন এটা খাওয়ার লোভ হয় না, এত মজা শুয়োরের গোস্ত মনে হয় না, যা আমরা শুনি।
কিন্তু অশালিনতায় একদিন গেলে পরের দিন আবার মনে হয় যাবো, আবার এই তারুন্যের কারণে অশালীনতা তার মাথায় ঘুরতে থাকে!!! তার স্বাভাবিক বিকাশ বন্ধ হয়ে যায়।
এই জন্য আমরা সবাই এই দিবস পালনকে বর্জন করব এবং এটা বর্জনের দাওয়াত দিবো এটা বর্জন করতে মানুষদেরকে বলব!!!
নারী পুরুষের জৈবিক ভালবাসা প্রমোট করা লাগে না, এটা এমনিই প্রমোটেড!!! এটাকে কনট্রোল করতে হবে …আর যেটা প্রমোটেড নয় সেগুলোকে প্রমোট করার চেষ্টা করতে হবে।
☪☪ এবার ইতিহাস জানতে চেষ্টা করিঃ-
☪☪ ভ্যালেন্টাইন ডে বনাম ভালোবাসা দিবসঃ-
সেকুলাঙ্গারদের বিকৃতচর্চার এক অপূর্ব নমুনা!
✝ প্রথম রোমান সম্রাট হিসেবে প্রথম কন্সট্যানটাইন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। ৩০৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন। এরও বহু পরে তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। সন্তানদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৮১ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্ট ধর্ম রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়৷
এর পূর্ব পর্যন্ত রোমানরা ছিল মূর্তিপূজক। তৃতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি এসে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার রোম জুড়ে ব্যাপকতর হলে তদানীন্তন রোমান সম্রাট এটাকে একটা থ্রেট হিসেবে বিবেচনায় নেন এবং নাগরিকদের ধর্মত্যাগে চাপ প্রয়োগ করেন।
সেসময় ভ্যালেন্টাইন নামে মোট চারজন সেইন্টকে পাওয়া যায়, যারা চার্চের সুরক্ষায় এবং খ্রিস্টধর্মের প্রচারের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। যথাঃ
১) রোমান চিকিৎসক ও পাদ্রি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন। তিনি ছিলেন পদবীর দিক থেকে প্রেসবাইটার, বিশপের নীচেই। চিকিৎসক হিসেবে পুরো রোম জুড়েই তার খ্যাতি ছিল। বিশেষত অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব সারানোর চিকিৎসায় তিনি ছিলেন কিংবদন্তিতুল্য। তাকে কারাবন্দী করা হয়।
✝ কারাগারে তাকে ভয়াবহ রকম নির্যাতন করা হয়। যেন খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগ করেন সেজন্য তাকে রড দিয়ে পেটানো হত। তবুও ধর্মত্যাগ না করে উল্টে সম্রাটকেই খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানান। ২৭০ খ্রিস্টাব্দে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়। এই ঘটনা রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাউডিয়াসের সময়কার।
২) দ্বিতীয় যে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন, তিনি ছিলেন ইন্টেরামনা (Interamna) নামক এক শহরের গীর্জার বিশপ। যার আধুনিক নাম টার্নি, রোম থেকে ৬০ মাইল দূরের এক শহর।
✝ তিনি সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাউডিয়াসের সময়ে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের দায়ে গ্রেফতার হন। সম্রাটের কথায় ধর্মত্যাগ না করায় তাকেও ভয়াবহ নির্যাতন করা হয় এবং তিনিও অন্যায়ভাবে রাষ্ট্র কর্তৃক হত্যার শিকার হন। কেউ কেউ অবশ্য বলেন, এই ঘটনা সম্রাট অরিলাসের সময়কার।
৩) তৃতীয় যে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা জানা যায়, তিনি তার আরও বেশ কিছু অনুসারীসহ রোমান সাম্রাজ্যের অধীনস্ত আফ্রিকায় একই প্রক্রিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন৷
৪) চতুর্থ যে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের উল্লেখ পাওয়া যায় তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন ডুরোস্টোরাম শহরে। এই শহরটি ছিল প্রাচীন সিলিস্ত্রিয়ায়, বর্তমানে যা বুলগেরিয়া। রোমান গভর্নর এবসোলানাস এই শহরের শাসক ছিলেন।
✝ তাকেও পূর্ববর্তীদের মত একইভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা ছিল ১৪ এপ্রিলের। বুলগেরিয়ার কোথাও কোথাও এই দিনকে আজও চার্চগুলোয় ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে উদযাপনের চল আছে।
যাহোক, ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে এই প্রথম দুই সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন হত্যার স্বীকার হয়েছেন ১৪ ই ফেব্রুয়ারি।
আর অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন অব রোম হত্যার স্বীকার হয়েছেন ৬ জুন। আর সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন অব টার্নি মারা গেছেন ৩০ জুন।
ফলত পৃথিবীব্যাপী ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পালন করে।
আর অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা পালন করে থাকে ৬ জুন। কোনও কোনও চার্চ ৩০ জুনও তা পালন করে থাকে। দুদিনের যে কোনও একদিন তারা সেইসব নিহতদের জন্য চার্চে সমবেত হয়।
✝ রোমান শাসকরা এপোলোসহ আরও বহু দেবতার পূজা করত। সেসময় মূলত সব খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণকারীদের উপরই ব্যাপক দমন পীড়ন চালানো হয়৷ তৃতীয় শতাব্দীর সি ভয়াবহ পীড়নের কালে এইসব সেইন্টসরা নিজধর্মের সুরক্ষায় নিজেদের জীবন দিয়েছেন।
চারজন ভ্যালেন্টাইনের প্রত্যেকেই সঙ্গী, সাথী ও পরিবারসহ মৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন। গ্রেফতারের পর ধর্ম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হলেও তা তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খ্রিস্টধর্মের জন্য এই ত্যাগ, এই ভালোবাসাকে স্মরণ করতেই মূলত অর্থোডক্স ও ক্যাথলিক চার্চ আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের ঐতিহাসিক বর্ণনানুযায়ী ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করে থাকে।
এই ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনের মধ্যে দিয়ে যে শিক্ষার ধারণ করা হয় তা হলো- যা কিছুই বরণ করতে হোক, যত প্রতিকূলতাই আসুক, যদি রোমান সম্রাটের মত পরাক্রমশালী শক্তির বিরুদ্ধেও লড়তে হয়, এমনকি এতে যদি মৃত্যুকেও বেছে নিতে হয় তবুও খ্রিস্টধর্মের সুরক্ষায় তা করতে হবে।
অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডের মূল স্পিরিটটা হচ্ছে, পরিবার, প্রিয়জন, নিজের প্রতি ভালোবাসার চে’ খ্রিস্টধর্মের প্রতি ভালোবাসাটাই হবে মৌলিক। প্রয়োজনের মুহূর্তে বাকিসব তা ছাপিয়ে যাবে।
সেইসব সেইন্টদের এই স্পিরিটকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য খ্রিস্টানদের এই ভ্যালেন্টাইনকে অবশ্যই উৎসাহের সঙ্গে উদযাপনের অধিকার আছে।
✝✝ কিন্তু যারা ভ্যালেন্টাইন ডে-এর মত এত গুরুতর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিকৃতি করেছেন ‘ভালোবাসা দিবস’ নাম দিয়ে তারা এটা কেন করেছেন? ‘ভ্যালেন্টাইন’ তো একটা নাম, নামের তো অনুবাদ হয় না।
ভ্যালেন্টাইনের অনুবাদ ‘ভালোবাসা’ হয় কী করে? ভ্যালেন্টাইন শব্দের উদ্ভব হচ্ছে, ল্যাটিন শব্দ ‘ভ্যালেন’ থেকে, যার অর্থ ‘সুঠাম’। তাহলে এই অনুবাদের মধ্য দিয়ে কি আমাদের মুসলিম তরুণদের আপাত বিভ্রান্ত করে খ্রিস্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনে প্রাণিত করাই কি উদ্দেশ্য?
☪ আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন এবং হক্ব পথে পরিচালিত হওয়ার তাওফিক দান করেন আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
যে মেয়েকে ভালোবাসেন তাকে পাবেন কিংবা সে মেয়ে তাকে ভালোবাসবে
বিশ্বের অন্যতম এক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে নাম ঠিকানাবিহীন এক প্রেমিক জানতে চান যে- ‘তিনি এক মেয়েকে খুব ভালোবাসেন। এমন কোনো দোয়া কিংবা আমল আছে কি? যে আমল বা দোয়া পড়লে তিনি যে মেয়েকে ভালোবাসেন তাকে পাবেন কিংবা সে মেয়ে তাকে ভালোবাসবে। নতুবা সে মেয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হবে?
এ জিজ্ঞাসার জবাবে প্রতিষ্ঠানটির ফতোয়া বিভাগ জানান-
ইসলামি শরিয়া মোতাবেক কোনো মেয়েকে ভালোবাসা অবৈধ এবং কবিরা গোনাহ। তাই কোনো মেয়েকে ভালোবাসার বিষয়টি এড়িয়ে চলাই উচিত।
একান্তই যদি কেউ কারো প্রেমে পড়ে যায়, তবে তাকে একটি আমল করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ফতোয়া বিভাগ। আর তাহলো-
যে ব্যক্তি কোনো মেয়েকে ভালোবাসে তাকে শুক্রবার মধ্যরাতে উঠতে হবে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করতে হবে। মনের আশা পূরণের নিয়তে এ দোয়াটি পড়া যেতে পারে-
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ‘ফা ইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১২৯)
অর্থ : এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত পড়তে আল্লামা কাশ্মীরি রহ. রচিত কিতাব গাঞ্জিনা ই আসরার পড়ার পরামর্শও দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিকভাবে জীবন-যাপন ও সঠিক পদ্ধতি তার দরবারে প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ দান করুন। আমিন।
যেসব আমলে আল্লাহ দ্রুত দোয়া কবুল করেন
মুসলমান হিসেবে আমরা কমেবেশি সবাই দোয়া করি। এটা অনেকটা স্বভাবজাত বিষয়। তবে দোয়া করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এগুলোকে আলেমরা দোয়া কবুলের শর্ত ও আদব বলে অভিহিত করেছেন।
মুসলমান হিসেবে আমরা কমেবেশি সবাই দোয়া করি। এটা অনেকটা স্বভাবজাত বিষয়। তবে দোয়া করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এগুলোকে আলেমরা দোয়া কবুলের শর্ত ও আদব বলে অভিহিত করেছেন।
পবিত্রতা অর্জন: পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন।
বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করা: বিনয়ের সঙ্গে দু’হাত তুলে দোয়া করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহতায়ালার নিকট হাত তুলে হাতের তালু সামনে রেখে দোয়া কর। হাত উল্টো করো না। দোয়ার শেষে উত্তোলিত হাত মুখমন্ডলে বুলিয়ে নাও।’ -আবু দাউদ
মিনতিভরা কন্ঠে দোয়া করা: মিনতি ও নম্রতার সঙ্গে দোয়া করলে তা ইবাদত হিসেবে গন্য হয়। রাসূলে মকবুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া সব ইবাদতের মজ্জা ও সারাংশ।’ দাসত্বের পরিচয় প্রদানই ইবাদতের উদ্দেশ্য। বান্দার নিজের দীনতা ও অক্ষমতা বুঝতে পারা এবং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও অপার মহিমা উপলব্দি করার মধ্যেই দাসত্বের প্রকাশ ঘটে। দোয়ার মাধ্যমে এ দু’টি বিষয়ের পরিচয় পাওয়া যায়। অর্থাৎ নিজের অক্ষমতা ও অসহায়ত্ব এবং আল্লাহর অপ্রতিহত ক্ষমতা, অপার মহিমা ও প্রতাপ অন্তরে স্থান পাওয়া আবশ্যক। দীনতা ও নম্রতা দোয়ার মধ্যে যত অধিক হবে ততই মঙ্গল।
দু’হাত তুলে দোয়া করা: বিনয়, নম্রতা ও দাসত্ব প্রকাশ করার জন্য দোয়ার সময় দু’হাতের তালু আসমানের দিকে রাখতে হবে এবং হাত সম্পূর্ণ সম্প্রসারিত করে দু’হাতের মধ্যে ২/১ আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রাখতে হবে। হাত কচলানো, রশি পাকানোর মতো হাতের তালু ঘষাঘষি করা দোয়ার আদবের খেলাপ। মনে রাখবেন, আপনি শাহানশাহেরর দরবারে হাত তুলেছেন, তাই এখানে কোনো ধরনের অমনোযোগিতা কাম্য নয়। এছাড়া দোয়া শেষে দু’হাত তুলে দোয়া করে দোয়া শেষে হাত দু’টি মুখমন্ডলে মুছে নিবে। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, ‘যে হাত আল্লাহর দরবারে উত্তোলিত হয়, তা একেবারে শূণ্য অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন।’
আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ শরীফসহ দোয়া করা : আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ শরীফসহ দোয়া করা। আল্লাহর প্রশংসা যেমন, ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন’ দোয়ার শুরুতে বলা।
ইসমে আজমের সহিত দোয়া করা উত্তম।
এছাড়া ইসমে আজমের সহিত দোয়া করা উত্তম। হজরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ইসমে আজম এই আয়াতদ্বয়ে রয়েছে-
১. ‘ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদুন লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম।’ -সূরা বাক্বারা : ১৬৩
২. ‘আলীফ লাম মীম। আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম।’ -সূরা আল ইমরান : ১
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলে কারিম (সা.)-এর নিকট বসেছিলাম। একজন লোক সেখানে নামাজ পড়ছিল। সে তার দোয়ার মধ্যে আরজ করল, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার প্রয়োজন প্রার্থনা করছি এই ওসিলায় যে, প্রশংসা ও গুনকীর্তণ আপনার জন্যই উপযুক্ত। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি পরম দয়ালু ও অসীম অনুগ্রহদাতা এবং পৃথিবী ও আকাশ মন্ডলীর স্রষ্টা। আমি আপনার কাছেই আপনার অনুগ্রহ চাই। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যু! ইয়া জালজালালী ওয়াল ইকরাম! রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ বান্দা আল্লাহর ইসমে আজমের ওসিলায় দোয়া করেছে। এ ওসিলায় আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে, আল্লাহ তা দান করেন। -তিরমিজি
হজরত ফুজালা ইবনে উবায়দা (রা.) বর্ননা করেন, রাসূলে কারিম (সা.) এক ব্যক্তিকে দোয়া করতে শুনলেন। সে দোয়ায় আল্লাহপাকের প্রশংসা করল না এবং রাসূল (সা.)-এর ওপর দরুদও পাঠ করল না। এতে রাসূলে আকরাম (সা.) বললেন, লোকটি তড়িঘড়ি করে দোয়া করেছে। তিনি লোকটিকে ডেকে আনলেন এবং তাকে অথবা উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘যখন তোমাদের কেউ নামাজ পড়ে তখন দোয়া করার পূর্বে তার উচিত আল্লাহতায়ালার প্রশংসা করে নেয়া ও রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠ করা। এরপর যা ইচ্ছা তা চাওয়া। -তিরমিজি ও আবু দাউদ
এক হাদিসে এসেছে হজরত রাসূলে মাকবুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দোয়া করার পূর্বে দরুদ শরীফ পড়ে, তার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। মহান আল্লাহতায়ালা অসীম দয়ালু; দোয়ার কিয়দাংশ কবুল করে অপর অংশ কবুল না করা তার স্বভাব নয়। এই হাদিসের সারমর্ম এই যে, দরুদ তিনি অবশ্যই কবুল করে থাকেন, সুতরাং তিনি দরুদ কবুল করে দোয়ার অবশিষ্টাংশ অর্থাৎ প্রার্থনীয় বিষয় অগ্রাহ্য করেন না। শেষ পর্যন্ত উভয় অংশই কবুল করেন।
হজরত আবু সোলায়মান দারানী (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করে, তার উচিত, প্রথমে দরুদ পড়া এবং দরুদ পড়ে দোয়া শেষ করা। কেননা আল্লাহ উভয় দরুদ কবুল করেন। -কিমিয়ায়ে সাআদাত
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )