Muslim Ruler Protected a Hindus Honor – মুসলিম শাসক হিন্দুর সম্মান রক্ষা করেছিলেন যেইভাবে
IDCAdmin
Muslim Ruler Protected a Hindus Honor – মুসলিম শাসক হিন্দুর সম্মান রক্ষা করেছিলেন যেইভাবে
সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে এক হিন্দু বৃদ্ধা এসে সম্রাট জাহাঙ্গীরকে নালিশ করলেন—
“জাঁহাপনা, আমার সন্তান আপনার সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। প্রতিদিন রাতে কোনো এক দুর্বৃত্ত এসে আমার বাড়িতে হামলা করে আর আমার পুত্রবধুর সতিত্ব নষ্ট করতে চেষ্টা করে। আমি আপনার কাছে আমার পুত্রবধুর সতিত্ব রক্ষার্থে বিচার চাই।”
সম্রাট জাহাঙ্গীর কিছু বললেন না। বুড়ি রেগে গিয়ে বললেন— “জাহাঙ্গীর, আমি তোমাকে হতে দেখেছি। তুমি যদি আমার পুত্রবধুর সতিত্বের দায়িত্ব না নাও আমি কিয়ামতের দিন স্রষ্টার আদালতের কাঠগড়ায় তোমাকে দাঁড় করাবো৷ তবুও জাহাঙ্গীর কিছুই বললেন না, তাই বুড়ি বললেন, ঠিক আছে জাহাঙ্গীর! আমাকে দুই দিন সময় দাও; আমি তোমার রাজ্য ছেড়ে চলে যাবো।” তথাপিও জাহাঙ্গীর কিছুই বললেন না; তারপর বুড়ি বাড়িতে চলে গেলেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর তরবারি হাতে নিয়ে ঘোড়ায় করে চলে গেলেন বুড়ির বাড়িতে। অন্ধকার রাত, বুড়ির বাড়ির সামনে টিম টিম করে আলো জ্বলছে। দরজায় একজন প্রহরী। জাহাঙ্গীর দূর থেকে শুনলেন মেয়েলি কণ্ঠের আওয়াজ— “বাঁচাও, বাঁচাও!” সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রহরীকে হত্যা করে বুড়ির ঘরে প্রবেশ করলেন। তারপর দুর্বৃত্তকে ধরে বুড়িকে বললেন— “বুড়ি আলো নিভাও।” বুড়ি আলো নিভিয়ে দিলেন আর সম্রাট জাহাঙ্গীর ওই দুর্বৃত্তের মাথা কেটে মাঠিতে ফেলে দিলেন৷ তারপর বললেন— “বুড়ি আলো জ্বালাও এবার।” আলো জ্বালানোর পর সম্রাট জাহাঙ্গীর দুর্বৃত্তের মুখ দেখে বললেন— “আলহামদুলিল্লাহ।” এরপর জাহাঙ্গীর ঢক ঢক করে পানি পান করে বুড়িকে বললেন— “কাল তুমি তোমার পুত্রবধুকে নিয়ে আমার দরবারে হাজির হবে।”
পরের দিন বুড়ি হাজির হলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজ দরবারে। জমজমাট রাজদরবার৷ বুড়িকে জিজ্ঞেস করলেন— “আমি কেন আলো নিভাতে বলেছিলাম তুমি কি জানো বুড়ি?”
বুড়ি বললেন— “নাহ, জানি না।”
সম্রাট জাহাঙ্গীর উত্তর দিলেন— “আমার ধারণা ছিল আমার বাড়ির এত কাছে আমার পুত্র ছাড়া কেউ এ কাজ করার সাহস পাবে না৷ আর আমি আমার ছেলেকে হত্যা করতে পারব না, মনে দুর্বলতা আসতে পারে, বিচার ন্যায়-নীতি বহির্ভূতও হয়ে যেতে পারে তাই আলো নিভাতে বলেছিলাম। কিন্তু, মুখ দেখার পর দেখি সে আমার ছেলে নয়, তাই আলহামদুলিল্লাহ পড়েছিলাম।”
তিনি বুড়িকে আবার জিজ্ঞেস করলেন— “বুড়ি! তুমি কি জানো কেনো আমি তোমার ঘরে গিয়ে পানি পান করেছিলাম?”
বুড়ি উত্তর দিলেন— “জানি না।”
জাহাঙ্গীর বললেন— “তুমি যখন আমার দরবারে নালিশ করে বলেছিলে কিয়ামতের দিন আমাকে আল্লাহর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে, তখন থেকে দুশ্চিন্তায় কিচ্ছু খাই নাই, শুধু তোমার ঘরে গিয়ে এক গ্লাস পানি পান করেছি। আমার ভয় হয়েছিল আমি ন্যায় বিচার করতে পারব কি না।”
তারপর সম্রাট জাহাঙ্গীর নিজের মাথা থেকে মুকুট খুলে বুড়ির পায়ের নিচে রেখে বললেন— “বুড়ি, মনে রেখো— একজন মুসলমানের কাছে একজন হিন্দু পুত্রবধুর সতিত্ব সম্রাটের মাথার মুকুটের চেয়েও বেশি দামী।”
এই ছিল মুসলিম শাসকদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।