Open Female-শয়তানকে ঠেকানো অনেকটা হাত দিয়ে জলস্রোত ঠেকানোর মতো!
IDCAdmin
Open Female-শয়তানকে ঠেকানো অনেকটা হাত দিয়ে জলস্রোত ঠেকানোর মতো!
শয়তানকে ঠেকানো অনেকটা হাত দিয়ে জলস্রোত ঠেকানোর মতো। ইস্তেগফার আর সর্বোচ্চ সতর্কতা ছাড়া বাঁচার উপায় নাই। . যৌনতা প্রকাশকারী অশ্লীল মেয়েদের চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু রাস্তায় আছে বলে মনে হয়না।
অথচ তাঁরা মনে করে সৌন্দর্য প্রকাশের অধিকার তাদের আছে। আর মাত্রই দেখলাম শিশু বিবাহ বন্ধের ডাক দিয়ে বলা হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। এটা আপনি বলতেই পারেন কিন্তু একটা মেয়ে কম বেশি ১২ বছরের পর যে আর শিশু থাকে না তা বোধকরি কারও অজানা নয়।
পারলে সে প্রক্রিয়াটা ঠেকিয়ে দেন না! পারবেন প্রতি মাসের পূর্নিমাকে হাত দিয়ে আড়াল করতে? . ছেলেরা ১৪ বছর বয়স থেকে পরিণত যদিও আইন তাকে শিশু বলে। আইনে বলা শিশু যে আসলে কি ধূর্ত সিংহ সেটা তার খপ্পরে না পড়লে বোঝা যায় না।
দেখেন মানুষের বিবেচনা বুদ্ধি এক আর যিনি মানুষের স্রষ্টা তার বিবেচনা আর বুদ্ধি আরেক। তিনিই তৃষ্ণা সৃষ্টি করেছেন আবার তিনিই পানির ব্যবস্থা করেছেন। এখন কেউ যদি বলে যতই তৃষ্ণার্ত হও পানি পাবে না বাতাস খাও, হবে? হবে না।
দেখেন বোনেরা এটা এমন একটা বাস্তবতা যে মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই এমন। . আমি একটা বাস্তব উদাহরন দিই। একটা নামকরা বিশাল গৌরবপূর্ণ ঐতিহাসিক ইউনিভার্সিটিতে আমার কিছু বন্ধু ছিলো। একদিন তাদের আবাসিকে গিয়ে দেখলাম মোবাইলে কিছু ভিডিও দেখছে।
কিসের জানেন? মোবাইলের ক্যামেরা অন করে সবার অগোচরে ধারন করা মেয়েদের শরীরের ভিডিও। বুঝেন এবার সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারীদের ক্ষুধা কত তীব্র। ও হ্যাঁ আমার ভার্সিটিতেও যে এমন কিছু ছিলো না এমন না।
মেধাবীদের বুদ্ধি জানেনতো! সে তো ছিলো ২০০৭ এখন ২০১৮। অগ্রগামী টেকনোলজির সুবিধা কোথায় চলে গেছে! সাথে গেছে চাহিদাও। . বোনেরা! এই বিষয় নিয়ে লেখার কোনদিন ইচ্ছা হয়নি।
কিন্তু রাস্তায় চলতে ভীষণ কষ্ট হয়। ডানে বামে সামনে কোথাও আপনারা কোনও সুযোগ রাখেননি। সবসময় নিচে তাকিয়ে চলা সহজ নয়।
আপনার উপর অনিচ্ছাকৃত একটা দৃষ্টি হয়ত মাফ হবে কিন্তু তার প্রভাব অন্তর জালিয়ে দেয়। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে এমন কোনও মেয়েকে জিজ্ঞেস করুন জোর করে যার নিকাব খুলে নেওয়া হয়েছে অতঃপর তার অন্তরের কী অবস্থা হয়।
বিশ্বাস করেন আপনার নগ্নতা আমাদের আনন্দ দেয় না, আযাব দেয়। . বোনেরা! বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে যেহেতু এড়ানোর উপায় নাই। লক্ষাধিক পিপাসিত যুবকের মাঝে নিজের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে যৌনতাকে উস্কে দেওয়ার কোনও মানে নাই। জান্নাতের সুধাতো দূরের কথা ঘ্রাণও কিন্তু জুটবে না। . [লিখেছেন: এস এম নাহিদ হাসান]
আরও পড়ুন…
Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!