Rewards In Hereafter-দুনিয়ার নাপাকি হতে বের হয়ে আসার পুরুষ্কার!

Rewards In Hereafter

Rewards In Hereafter-দুনিয়ার নাপাকি হতে বের হয়ে আসার পুরুষ্কার!

 

বাদশাহ হারূনুর রশীদের ষোল বছরের একটি ছেলে ছিল। সে দুনিয়া বিমুখ দরবেশদের সুহবতে বেশি বেশি থাকত। সে প্রায়ই কবরস্থানে গিয়ে মৃতদেরকে লক্ষ্য করে বলত, তোমরা আমাদের পূর্বে পৃথিবীতে ছিলে এবং এই পৃথিবীর মালিক ছিলে।

এখন তোমরা কবরে শুয়ে আছ। হায়! যদি আমি জানতে পারতাম, তোমরা দুনিয়াতে কি করতে এবং লোকজন তোমাদের সম্পর্কে কি ধারণা পোষণ করত? সে এসব কথা বলত, আর ব্যাকুল হয়ে কাঁদত। একদিনের ঘটনা। এই ছেলে তার বাবা হারূনুর রশীদের নিকট এলো।

এ সময় বাদশাহর চতুর্দিকে উযীর-নাযীর ও মন্ত্রী পরিষদ সকলেই বসা ছিলেন। বাদশাহর ছেলের শরীরে তখন একটি কম্বল আর পরনে একটি কম্বল ছিল।

তাকে এই অবস্থায় দেখে বাদশাহর সভাপরিষদের কেউ কেউ বলতে লাগল, খলীফাতুল মুসলিমীনের এই ছেলেই হুজুরের বদনাম করবে। হুজুর যদি তাকে একটু শাসন করতেন তাহলে তার এই অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যেত। ধীরে ধীরে এই কথা হারূনুর রশীদের কানে এসে পৌছল।

বাদশাহর ও এই পরামর্শ পছন্দ হলো। তিনি তাঁর ছেলেকে বললেন, ছেলে আমার! তোমার এই চাল-চলন আমাকে অপমানিত করছে। ছেলে এই কথা শুনে হারূনুর রশীদের দিকে তাকাল, কোন কথা বলল না।

ঘটনাক্রমে তখন একটি পাখি কেল্লার গম্বুজে বসা ছিল, বাদশাহর ছেলে ঐ পাখিটির প্রতি লক্ষ্য করে বলল, হে পাখি তোমার সৃষ্টিকর্তার কসম! তুমি আমার হাতে এসে বস।

পাখি তাঁর কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতে এসে বসল। কিছুক্ষণ পর সে আবার বলল, তোমার স্থানে চলে যাও এবং তোমার সৃষ্টিকর্তার কসম! তুমি আমীরূল মুমিনের হাতে বসবে না।

পাখিটি তার স্থানে গিয়ে বসল, আর উঠল না। ছেলে তার এই ক্ষমতা, সভাপরিষদকে দেখিয়ে তার বাবাকে লক্ষ্য করে বলল, বাবা আপনি যখন আমাকে দুনিয়ার কারণে অপমানিত করলেন, তখন আমি সংকল্প করি নিয়েছি যে, আমি, আপনার থেকে পৃথক হয়ে যাব।

এ কথা বলে সে কোন আসবাব পত্র ও পাথেয় ছাড়াই বের হয়ে গেল। তার সঙ্গে শুধু একটি কোরআন শরীফ ও একটি আংটি ছিল। সে চলতে চলতে বসরা শহরে এসে থামল।

সে ওখানকার মজদুরদের সঙ্গে মাটি কাটার কাজ শুরূ করল। সে সপ্তাহে একদিন এক দেরহাম ও এক দেরহামের ষষ্ঠাংশের বিনিময়ে কাজ করত এবং আয় অনুযায়ী ব্যয় করত।

হযরত আবু আমের বসরী (রাহঃ) বলেন, আমার ঘরের একটি দেয়াল ধ্বসে গেলে আমি মেরামত করার জন্য মজদুরের তালাশে বের হলাম। আমি দেখলাম, মজদুরদের মধ্যে খুব সুন্দর একটি ছেলে বসে আছে।

আমি এমন সুন্দর ছেলে ইতিপূর্বে আর কখনও দেখিনি। তার সামনে একটি বস্তা ছিল, আর সে কোরআন তিলাওয়াত করছিল। আমি তাকে বললাম, এই ছেলে, কাজ করবে? সে বলল, হ্যাঁ। আমরা তো কাজের জন্যই সৃষ্টি হয়েছি। তবে কাজটা কোন ধরনের? আমি বললাম, মাটির কাজ।

সে বলল, উত্তম কাজ। তবে আমাকে এক দেরহাম ও এক দেরহামের ষষ্ঠাংশ দিতে হবে এবং নামাযের সময় নামায পড়ার সময় দিতে হবে। আমি বললাম, ঠিক আছে। আমি তাকে নিয়ে এসে কাজ বুঝিযে দিয়ে চলে গেলাম। মাগরিবের সময় এসে দেখি, সে একাই দশজনের মতো কাজ করেছে।

আমি তাকে তার দাবীকৃত মজুরীর চেয়ে দুই দেরহাম বেশি দিতে চাইলাম। সে বলল, হে আবু আমের! আমি এই দুই দেরহাম নিয়ে কি করব? সে তা নিতে অস্বীকার করল। অবশেষে আমি তাকে এক দেরহাম ও এক দেরহামের ষষ্ঠাংশ দিয়ে বিদায় করলাম।

দ্বিতীয় দিন আমি সকালে বাজারে গেলাম, কিন্তু সবদিকে খোঁজ নিয়ে তাকে আর পেলাম না। আমি লোকদের কাছে তার বিবরণ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, সেই ছেলেটি কোথায় গেছে? তারা বলল, সে শুধু সপ্তাহে একদিন মজদুরী করে। আপনি তাকে বাজারের দিন দেখতে পাবেন।

আমি মনে মনে ভাবলাম, কাজ আপাতত স্থগিত রাখব যখন সে আসবে তখন তাকে দিয়েই অবশিষ্ট কাজ করাব। অতঃপর যখন বাজারের দিন এলো, আমি তাকে অনুসন্ধান করার জন্য বাজারে গেলাম। গিয়ে দেখি, সে বসে আছে।

আমি তাকে সালাম করে কাজের কথা বললাম, সে পূর্বের মতো আমার সঙ্গে শর্ত করল। আমি তার শর্ত গ্রহণ করে তাকে নিয়ে এলাম এবং তাকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে দূরে বসে দেখলে লাগলাম, সে কিভাবে একা দ্রুত কাজ করে। আমি এমন স্থানে বসলাম, যেন সে আমাকে দেখতে না পায়।

আমি দেখলাম, সে হাতে পাথর নিয়ে দেয়ালে স্তুফ করে রাখছে, আর পাথরগুলো আপনা থেকেই লেগে যাচ্ছে। তখন আমি মনে মনে বললাম, নিশ্চয় সে কোন আল্লাহ্ওয়ালা হবে। তাই আল্লাহ্ তার কাজে সাহায্য করছেন। সন্ধ্যার সময় যখন সে ফিরে যেতে চইল তখন আমি তাকে তিন দের হাম দিতে চাইলাম।

সে নিতে অস্বীকার করল এবং এক দেরহাম ও এক দেরহামের ষষ্ঠাংশ নিল। তিন দিন পর আমি বাজারে এসে তাঁর খোঁজ নিলাম, কিন্তু তাঁকে পেলাম না। লোকজন বলল , সে এক নির্জন স্থানে তিন দিন যাবৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

আমি সেই ব্যক্তিকে সামান্য কিছু বকশিস দিয়ে বললাম, ভাই আমাকে তার কাছে নিয়ে চল। সে আমাকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে গেল। গিয়ে দেখি, ওখানে ঘর-দুয়ার কিছুই নেই । সে নিঃস্ব-অসহায়ের মতো বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে। আমি তাকে সালাম দিলাম। সে আমাকে দেখে মাথা উঠাল।

দেখলাম, তার মাথার নিছে একটি ইটের টুকরা রাখা আছে। সে মৃত্যৃর দোরগোড়ায় পৌছে গেছে। আমি দ্বিতীয়বার তাকে সালাম দিলাম। সে চোখ খোলল এবং আমাকে চিনতে পারল। আমি তার মাথা আমার কোলে রাখলাম।

সে আমাকে এমন করতে নিষেধ করল এবং একেটি কবিতা পড়ল যার অর্থ – “বন্ধু আমার! স্বচ্ছল জীবন যেন তোমায় ধোঁকা না দেয়। এই জীবন একদিন শেয় হয়ে যাবে এবং এই আরাম-আয়েশ একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে। যখন তুমি কোন জানাযা কবরস্থানে নিযে যাবে, তখন থেকে মনে রেখ এরপর তোমাকে ও একদিন কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে”।

অতঃপর সে বলল, হে আবু আমের! আমার প্রাণ-পাখি যখন এই দেহপিঞ্জর থেকে উড়ে যাবে তখন তুমি আমাকে গোসল দিবে এবং আমার পরিহিত কাপড়েই আমাকে কাফন পরাবে। আমি বললাম, কেন তোমাকে নতুন কাপড়ে কাফন পরাব না?

সে বলল, মৃত ব্যক্তির তুলনায় জীবিত ব্যক্তিই নতুন কাপড়ের অধিক হকদার। আমার গোটা জীবনটাইতো এভাবে কাটিয়ে দেলাম। এখন নতুন কাপড় হলেও তা মাটি হয়ে যাবে, কিন্তু যা অবশিষ্ট থাকবে, তা হলো নেক আমল। আমার এই বস্তা এবং লুঙ্গী কবর খননকারীকে দেবে।

আর এই কোরআন শরীফ এবং আংটি আমীরুল মুমিনীন হারুনুর রশীদের নিকট পৌছে দিবে। তুমি নিজ হাতে আমীরুল মুমিনীনকে এগুলো দিবে এবং বলবে, আমার নিকট অপনার একটি আমানত আছে, এক মুসাফির বালক তা আমাকে দিয়েছে।

আমীরুল মুমিনীনকে এটাও বলবে যে, আপনি হুসিয়ার থাকুন, এই গাফলতী এবং প্রতারণার মাঝেই যেন আপনার মৃত্যু না এসে যায়। বালক কথা বলছিল এমন সময় হঠাৎ তার প্রাণপাখি বের হয়ে গেল। সে মৃত্যুবরণ করল। তার মৃত্যুর পর আমি জানতে পারলাম যে সে খলীফার কলিজার টুকরো পুত্র।

আমি তাঁর সকল ওসিয়ত পূণ্য করলাম এবং কোরআন শরীফ ও আংটি নিয়ে বাগদাদ আসলাম। বাগদাদ এসে আমি খলীফার মহলের দিকে রওনা হলাম। পথিমধ্যে একটি উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে দেখলাম, প্রায় এক হাজার সেন্য বাহিনীর একটি দল এগিয়ে আসছে।

তাদের পিছনে আরো দশটি দল আসছিল । প্রত্যেক দলে অন্তত এক হাজার করে সৈন্য ছিল। দশ নম্বর দলটিতে আমীরুল মুমিনীন হারুনুর রশীদ ছিলেন। আমি চিৎকার করে কললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলের নৈকট্যের কসম! আমার কথা একটু শুনুন।

আমীরুল মুমিনীন আমার কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি তাঁর নিকটে গিয়ে সেই কোনআন শরীফ ও আংটিটি তাঁকে দিলাম এবং তাঁর ছেলে আমাকে যা বলতে বলেছিল আমি সবকিছু বললাম। আমীরুল মুমিনীন আমার কথা শুনে সামান্য সময় মাথা নিচু করে রাখলেন এবং কাঁদলেন।

অতঃপর খাদেমকে বললেন, এই লোককে তোমার কাছে রাখ, যখন আমি খোঁজ করব তখন আমার সামনে নিয়ে আসবে। অতঃপর বাদশাহ্ শাহীমহলে ফিরে এসে খাসকামরায় বসে প্রহরীকে ডেকে বললেন, সেই লোককে নিয়ে এসো। প্রহরী আমার কাছে এসে বলল, হে আবু আমের!

আমীরুল মুমিনীন খুবই চিন্তিত, তোমার যদি একান্তই তাঁর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, তাহলে দশটার জাগায় পাঁচটা কথা বলবে। আমি বললাম, ঠিক আছে। আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমীরুল মুমিনীন আমাকে বললেন, হে আবু আমের! আমার কাছে এসে বাসো।

আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বসলাম। তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমার ছেলেকে চিনতে? সে কি কাজ করত? আমি বললাম, সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। অতঃপর বললেন, তুমিও কি তার দ্বারা এই কাজ নিয়েছ? আমি বললাম, হ্যাঁ, নিয়েছি।

তিনি বললেন, তাঁর দ্বারা এমন কাজ নিতে কি তোমার লজ্জা হলো না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আত্বীয়তার প্রতিও তুমি সম্মান প্রদর্শন করলে না? আমি বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! আমাকে ক্ষমা করুন, আমি সে সময় তাঁর পরিচয় জানতে পারিনি।

তাঁর মৃত্যুর পর আমি জানতে পরি যে, তিনি খলীফাতুল মুসলিমীনের প্রাণপ্রিয় পুত্র। অতঃপর তিনি বললেন,তুমি কি তাঁকে নিজ হাতে গোসল দিয়েছ, আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি নিজ হাতে তাকে গোসল দিয়েছি। তিনি বললেন, তোমার হাত দু’টো একটু বাড়াও।

এ কথা বলে তিনি আমার হাত দু’টি নিয়ে তাঁর বুকের উপর রাখলেন এবং অঝোর ধারায় কাঁদলেন। অতঃপর বললেন, তুমি কিভাবে এই নিঃস্ব , অসহায়কে কাফন পরিয়েছ এবং কিভাবে তার উপর মাটি দিতে সাহস করেছ?

এ কথা বলে তিনি খুবই বেদনাদায়ক একটি কবিতা পাঠ করলেন এবং বসরা পৌছে আপন পুত্রের কবরের সামনে দাঁড়ালেন। তিনি যখন কবর দেখলেন তখন বেহুঁশ হয়ে গেলেন। পরে হুঁশ ফিরে এল তিনি কয়েকটি দুঃখের করিতা পাঠ করলেন।

সে সময় উপস্থিত সকলেই আমীরুল মুমিনীনের দুঃখ দেখে কাঁদতে লাগলেন। হযরত আবু আমের বলেন, সেই রাতে আমি আমার ওযীফা আদায় করে শুয়ে পড়লাম। স্বপ্নে দেখি, একটি নুরের গম্বুজ। তার উপর নূরের আবরণ।

হঠাৎ আবরণ সরে গেল এবং হারুনুর রশীদের সেই ছেলে ঐ গম্বুজ থেকে বের হয়ে এসে আমাকে বলল, হে আবু আমের! আল্লাহ তাআলা তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

তুমি যথাযথভাবে আমার ওসিয়ত পূর্ণ করেছ। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, বাছা! তোমার অবস্থা কেমন, আর তোমার ঠিকানা কোথায় হয়েছে? সে বলল, আমি আমার অতিশয় দয়ালু ও মেহেরবান পরওয়ারদিগারের নিকট আছি। তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট আছেন।

তিনি আমাকে এমন এমন নেয়ামত দান করেছেন যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শুনেনি, এমনকি কারো অন্তরে ও সে সবের কল্পনা উদিত হয়নি।

আল্লাহ তাআলা আমাকে লক্ষ্য করে কসম খেয়ে বলেছেন, যে বান্দাই দুনিয়ার নাপাকি হতে তোমার মতো বের হয়ে আসবে, তাকেই আমি এইসব নেয়ামত দান করব। অতঃপর যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন তার সুসংবাদের কারণে আমার মনে এক ধরণের প্রশান্তি অনুভূত হলো।  

 

আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

 
 
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
 
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
 
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
 
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
 
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
 
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
 
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
 
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
 
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
 
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
 
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
 
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
 
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
 
رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
 
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
 
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
 
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
 
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
 
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
 
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
 
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
 
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
 
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
 
رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
 
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
 
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
 
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
 
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
 
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
 
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
 
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
 
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
 
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
 
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
 
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
 
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
 
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
 
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
 
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
 
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
 
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
 
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
 
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
 
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
 
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
 
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
 
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
 
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
 
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
 
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
 
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
 
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
 
 
 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Related posts

Abu Jar al Ghifari R

by IDCAdmin
2 years ago

বিরল কুরআন প্রদর্শনী’ নামে কাদিয়ানীদের / Qadiani কুরআন বিকৃতির ধৃষ্টতা!

by IDCAdmin
4 years ago

Battle of Badr – বদর যুদ্ধ কবে ও কোথায় হয়েছিল? – ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস – বদর দিবস থেকে যা কিছু শিক্ষণীয় ।

by IDCAdmin
2 years ago
Exit mobile version