Rules of IDC Madrasah / আইডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসার খসড়া নীতিমালা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম  ‘بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ‎‎

 

Rules of IDC Madrasah / আডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসার খসড়া নীতিমালা

 

রচনাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান মোল্লা (মাসুম)

সম্পাদনাঃ 

জনাব ওবায়দুর রহমান মৃধা  এবং জনাব মাহবুব ওসমানী

 

ডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসার নীতিমালা

(১) “পরিভাষা”

বিষয় বা পূর্বাপর বিরুদ্ধভাবের কিছু না থাকলে এই নীতিমালাতেঃ

ক) “আইনবলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রচলিত রাষ্ট্রীয় আইন বুঝাবে। 

খ)নীতিমালাবলতে ডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসার নীতিমালা বুঝাবে

গ) “মাদ্রাসাবলতে ডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসা বুঝাবে। 

) “মেম্বারবলতে ডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসার সদস্য/শেয়ার হোল্ডার বুঝাবে।

 

(২) “নাম”

এই মাদ্রাসার নাম হবেডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসা

 

(৩) “ঠিকানা”

) এই মাদ্রাসার স্থায়ী ঠিকানা বর্তমানে নেই। যে জায়গায় ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে সেই ঠিকানা ব্যবহার করা হবে (স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করার পূর্ব পর্যন্ত)

) মাদ্রাসার ঠিকানা পরিবর্তন করা হলে তা নীতিমালায় সংশোধন করতে হবে।

 

(৪) “উদ্দেশ্য

) কোরআন, হাদিস, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ইংলিশ,ম্যাথ,জেনারেল নলেজ, ভূগোল,স্ট্যাট, , প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটারে পারদর্শী যোগ্য আলেম তৈরী করা।

) অর্জিত জ্ঞান দিয়ে নিজে আমল করা এবং দেশ জাতিকে সেবা করা।

) শিক্ষার্থীদের Intellectual, Emotional, Physical and Social Development নিশ্চিত করা।

ঘ) সর্বোপরি মহান আল্লাহ তার রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন এবং হালাল রুজি আয় করে দুনিয়া আখেরাতে সফল হওয়া।

)শিক্ষার্থীদের ধর্ম, নৈতিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশত্ববােধে উদ্বুদ্ধ করা।

চ) শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত করে প্রস্তুত করা;

জ) শিক্ষার্থীদের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তােলা;

ঝ)  শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করা;

ঞ)  শিক্ষার্থীদের Critical & Creative Thinking নিশ্চিত করা;

ট) সারা বিশ্বে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দেয়া।

 

(৫) উল্লেখিত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মাদ্রাসা নিম্নলিখিত কার্য করতে পারবেঃ

) সাধারণ সভায় অনুমোদিত নির্ধারিত শর্তে, ব্যাংক বা মেম্বার বা অন্যের নিকট হতে ক্যাশ ক্রেডিট, ধার, বিনিয়োগ, দান অথবা অন্য প্রকারের মূলধন সংগ্রহ করা এবং মাদ্রাসার স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়, পণ্য বা গুদামে গচ্ছিত মালামাল বন্ধক বা হস্তান্তর ক্রমে অথবা অন্য উপায়ে উক্ত ঋন পরিশোধের ব্যবস্থা করা।

খ্) মাদ্রাসার প্রয়োজনে জমি, গৃহাদি বা অন্য কোন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করা, বন্দোবস্ত নেওয়া বা পরিবর্তে বা অন্য প্রকারে সংগ্রহ করা অথবা ঘরবাড়ি,গুদাম শ্রেণীকক্ষ, অফিস ইত্যাদি নির্মাণ করা।

গ) আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্লট নয়, ফ্ল্যাট/বাড়ি তৈরি করে তা মেম্বারদের মধ্যে হস্তান্তর করা বিক্রয় করে তহবিল সংগ্রহ করা অথবা মুনাফা অর্জনের জন্য বিক্রয় করা। 

ঘ) ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিজস্ব মূলধন, ব্যাংক ঋন ( সুদ ব্যাতিত যদি সম্ভব হয় ) কিংবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ বিনিয়োগ ব্যবস্থায় জমি গৃহাদি বা অন্য কোন স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বা বন্দোবস্ত গ্রহণ করে গৃহায়নের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করতে পারবে।

) মেম্বার গণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় সরবরাহ করার নিমিত্তে ব্যবসা পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া।

 

(৬) “মেম্বার/সদস্য

) বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ্য মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রতিটি মুসলিম নাগরিক এই মাদ্রাসার মেম্বার বা সদস্য হতে পারবেন। 

) মেম্বারগণকে মাদ্রাসার নীতিমালা মেনে চলতে হবে। 

গ) নির্দিষ্ট আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে এবং মেম্বার রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর দিতে হবে। 

) সর্বমোট ২০০ টি শেয়ার বিতরণ করা হবে যার প্রতিটির মূল্য ০০,০০০/- (এক লাখ টাকা মাত্র) একজন মেম্বার সর্বোচ্চ ১০  (দশটি) শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন। 

ঙ) ৩১শে জুলাই ২০২২ ইং এর মধ্যে যারা মেম্বার হবেন তারা প্রতিষ্ঠাতা মেম্বার হিসাবে বিবেচিত হবেন।

 

(৭)‘’মেম্বারশিপ বেনিফিটস এবং মেন্ডাটরি কিছু নীতি’’

ক) আজীবনের জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিকানা। (বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে আইডিসি মাদরাসাটি হবে মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান, আর আইডিসি ফাউন্ডেশন টি হবে অলাভজনক) বি.দ্রঃ ফাউন্ডেশন টি পরে রেজিস্টার্ড করা হবে। 

খ) বিনিয়ােগকৃত মূলধন থেকে অর্জিত লাভ সম্মানিত মেম্বার/সদস্যগণের মাঝে বন্টন করা হবে, ইংশাআল্লাহ্‌।

গ) মেম্বার/সদস্যগণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত সব প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজের পরিবারের জন্য ৪০% এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য ১০% ছাড়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ঘ) প্রতিষ্ঠানের লাভ লসের ভাগীদার হবেন।

ঙ) প্রতিষ্ঠানগুলোর  (আইডিসি ফাউন্ডেশন, ও IDC English Medium Madrasah  ) এবং এর সাথে সম্পর্কিত সব প্রতিষ্ঠান কোন রকমের রাজনৈতিক পরিচয় ও ধর্মীয় গ্রুপিং থাকবেনা।

চ) আইডিসির সকল প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ধর্মীয় গ্রুপিং কিয়ামত পর্যন্ত ১০০% নিষিদ্ধ থাকবে, ইংশাআল্লাহ্‌।

জ) আমাদের মুল লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহ্‌ ও তার রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে সদস্যদের দুনিয়া এবং আখিরাতকে কামিয়াব করা।

 

(৮) মেম্বার সদস্য নির্বাচন

ক) কোন ব্যক্তি মেম্বার হওয়ার ইচ্ছা করলে মাদ্রাসায় পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে আবেদন করবেন । 

) পরিচালনা পর্ষদ বিবেচনা করে তার আবেদন মনজুর বা উপযুক্ত কারণ থাকলে নামনজুর করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মনজুর অথবা নামনজুর হওয়ার সিদ্ধান্ত ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে জানিয়ে দিবেন। 

) আবেদনপত্র মনজুর হলে নির্ধারিত অর্থ মাদ্রাসার সঞ্চয় হিসাবে জমা দেয়ার পর মেম্বার হিসাবে তালিকাভুক্ত হবেন। শেয়ার ক্রয়ের তারিখ হতে সদস্য পদের মেয়াদ গণনা করা হবে।

 

(৯) “মেম্বারের মনোনীত ব্যক্তি”

ক) মেম্বার তার মৃত্যুর পর তার শেয়ার বা অন্য সত্ত্ব হস্তান্তর করার জন্য কিংবা তার শেয়ার বা সত্ত্বের মূল্য দেয়ার জন্য লিখিত ভাবে কোন ব্যক্তিকে গ্রহীতা মনোনীত করতে পারবেন। মেম্বার ইচ্ছা করলে যে কোন সময় তার মনোনয়ন লিখিতভাবে পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে। এক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কোন আইন প্রযোজ্য হবে না। 

খ) এইরুপ মনোনীত সকল ব্যক্তির একটি নামের তালিকা মাদ্রাসায় সংরক্ষণ করতে হবে। মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যু হলে মেম্বার তা লিখিত ভাবে মাদ্রাসাকে জানাবে।

গ) শেয়ার ক্রয়ের ০৩ ( তিন ) বৎসর পুর্ন হওয়ার পুর্বে কোণ মেম্বার মৃত্যুবরণ করলে তার মনোনীত ব্যাক্তি ইচ্ছা করলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারবেন।

 

(১০)“মেম্বারশিপ/সদস্যপদ ত্যাগ”

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠান ও ক্লাস কার্যক্রম শুরু করার তারিখ থেকে কোন মেম্বার ৩(তিন) বৎসরের পূর্বে মেম্বারশিপ/সদস্যপদ ত্যাগ করার আবেদন করতে পারবেন না। ৩(তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মাদ্রাসার নিকট কোন দেনা না থাকলে মেম্বারশিপ ত্যাগ করার জন্য ১(এক) মাসের নোটিশ প্রদান করবেন।

 

(১১) মেম্বারগণের জরিমানা, সাময়িক বহিষ্কার, বিতাড়ন ও শেয়ার বাজেয়াপ্ত”

কোন মেম্বার পরিচালনা পর্ষদের বিবেচনায়ঃ

) মাদ্রাসার নীতিমালা বা মাদ্রাসা প্রণীত অন্য কোন বিষয় লংঘন করলে বা 

খ) মাদ্রাসার স্বার্থ হানিকর কাজ করলে বা সাধারণ সভার নির্দেশ অমান্য করলে বা

গ) মাদ্রাসার পাওনা টাকা বা শেয়ারের টাকা ৪ মাস না দিলে বা মাদ্রাসার সাথে আবদ্ধ চুক্তি ভঙ্গ করলে, পরিচালনা পর্ষদ নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে তাকে জরিমানা, সাময়িক বহিষ্কার বা তার শেয়ার বাজেয়াপ্ত এবং তাকে বিতাড়িত করতে পারবে।

ঘ) পরিচালনা পর্ষদ কোন অভিযুক্ত মেম্বার সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে উক্ত মেম্বারকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দিবেন। 

ঙ) কোন মেম্বার সাময়িক বহিষ্কার হলে সময়ের জন্য মেম্বারশিপের যাবতীয় সুযোগ, অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

চ) সাময়িক বহিষ্কারের মেয়াদ ৩০(ত্রিশ) দিনের অধিক চলতে পারবে না।

ছ) বার্ষিক সাধারণ সভার বিলম্ব থাকলে জরিমানা, সাময়িক বহিষ্কার অথবা বিতাড়নের সকল আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মেম্বারের কোন আপীল আবেদন থাকলে যত শীঘ্র সম্ভব পরিচালনা পর্ষদ একটি সাধারণ সভা আহ্বান করবেন এবং উক্ত আবেদন সেই বিশেষ সাধারণ সভায় পেশ করবে। বিশেষ সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা অনুমোদিত না হলে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে না। 

জ) কোন মেম্বার নীতিমালা অনুযায়ী মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারালে পরিচালনা পর্ষদ তাকে মেম্বারশিপ হতে অপসারণ করতে পারবে।

 

(১২)“মেম্বারশিপের অবসান”

নিম্নলিখিত কারনে মেম্বারশিপের অবসান হবেঃ

ক) নীতিমালা অনুযায়ী সমস্ত শেয়ার বাজেয়াপ্ত বা হস্তান্তরিত হলে।

 খ) মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারালে।

গ) পদত্যাগ করলে।

ঘ) বিতাড়িত হলে।

ঙ) মৃত্যু হলে। 

চ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া, আদালত অথবা ডাক্তার কর্তৃক বিকৃত মস্তিষ্ক সাব্যস্ত হলে।  

ছ) নৈতিক ভ্রষ্টাচার অপরাধে আদালত কর্তৃক দন্ডিত হলে।

 

(১৩) “বিতাড়িত বা মেম্বারশিপ ত্যাগীর প্রাপ্য ফেরত”

ক) নীতিমালা অমান্য করায় বিতাড়িত, অপসারিত মেম্বার অথবা তার মনোনীত ব্যক্তি বিনা লাভে পরিচালিত পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত অনধিক এক বৎসরের মধ্যে ফেরত পাবেন।

খ) সাধারন আবেদনের ক্ষেত্রে অনধিক ৬(ছয়) মাসের মধ্যে ফেরত পাবেন।

গ) তবে ৩ বছরের পুর্বে কেউ মূলধন ফেরতের জন্য দাবী করতে পারবেনা। 

 

(১৪) “দায়িত্ব

মাদ্রাসার দেনার জন্য মেম্বারগন তার শেয়ারের আনুপাতিক হারে দায়ী থাকবেন।

 

(১৫) “মূলধন”

নিম্নলিখিতভাবে মাদ্রাসার মূলধন সংগ্রহ করা যেতে পারেঃ 

) সাধারণ শেয়ার বিক্রয় করে। 

খ) প্রকল্পের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিনিয়োগ গ্রহণ করা। ( শরিয়া মোতাবেক প্রয়োজনীয় শেয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে )

গ) ব্যাংক বা সরকারী বা অন্য কোন দেশীবিদেশী সংস্থা বা কোম্পানী থেকে লীজ, ধার গ্রহণ এবং অনুদান বা সাহায্য ( সাদাকা ) ও যাকাত গ্রহণ।  ( শরিয়া মোতাবেক )

) সম্পত্তি, ব্যবসা বা অন্য কোন বৈধ উৎস থেকে শরিয়া মোতাবেক আয়।  

) সরকার থেকে ঋন গ্রহণ ( শরিয়া মোতাবেক যদি পসিবল হয় )

) মাসিক অনুদান আদায়। 

) প্রত্যেক মেম্বার প্রতিমাসের নির্ধারিত টাকা মাসের নির্ধারিত তারিখের ( ১৫ তারিখ ) মধ্যে জমা দিবেন  

জ) পরিচালনা পর্ষদ মেম্বারগণের উন্নয়নমূলক কার্যসমূহ সুচারুরূপে পরিচালনার্থে মেম্বারগণের নিকট থেকে নিয়মিত, মাসিক,বাৎসরিক, এককালীন টাকা বা দান গ্রহণ করতে পারবেন।

 

(১৬) শেয়ার মূলধন

ক) মাদ্রাসার প্রাথমিক অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের লক্ষ্যমাত্রা ,০০,০০,০০০/- (দুই কোটি টাকা মাত্র) হবে।  ইহা সমান ২০০ অংশে বিভক্ত হবে। মেম্বার ব্যতিত অন্য কেহ শেয়ার ক্রয় করতে পারবে না। 

খ) কোন মেম্বার ১০ (দশ)টির বেশী শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন না। তবে প্রয়োজনে পরিবারের অন্য প্রাপ্তবয়স্ক বা সাবালক-সাবালিকা সদস্যের নামে নিতে পারবেন।

গ) মাদ্রাসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে সময়ে সময়ে শেয়ারের সংখ্যা ও শেয়ার মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে।

 

(১৭) শেয়ার সার্টিফিকেট

ক)  প্রত্যেক মেম্বার বিনামূল্যে মাদ্রাসার সীলমোহর অংকিত শেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন। উক্ত সার্টিফিকেটে তার মোট শেয়ার সংখা উল্লেখিত থাকবে। মাদ্রাসার চেয়ারম্যান ও জেনারেল সেক্রেটারি কর্তৃক সাক্ষরিত থাকবে।

খ) উক্ত সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে প্রতি শেয়ার সার্টিফিকেট বাবদ ৫০০ (পাঁচশত) টাকা জমা দিলে নতুন সার্টিফিকেট দেয়া যাবে।

 

(১৮) “শেয়ার হস্তান্তর”

ক) পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি নিয়ে যে কোন মেম্বার অন্য মেম্বারকে বা যাকে পর্ষদ মেম্বার হিসাবে ভর্তি করতে ইচ্ছুক, মেম্বার হওয়ার মত এমন ব্যক্তিকে পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে লিখিত দলিল দ্বারা তার শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে।

২) শেয়ার হস্তান্তরের কাজ যে পর্যন্ত সম্পন্ন না হয় বা মেম্বার বহিতে নাম লিপিবদ্ধ না হয় ততদিন পর্যন্ত হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য হবে না।

 

(১৯) “তহবিল সংরক্ষণ”

ক) মাদ্রাসার অব্যবহৃত তহবিল কোষাধ্যক্ষের নিকট জমা থাকবে। তবে তার পরিমান কখনোই পঞ্চাশ হাজার ( ৫০,০০০ ) অধিক হতে পারবে না।

খ) সরকারী/ বেসরকারী তফসীলি ব্যাংকে চলতি/সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা করতে হবে।

 

(২০) “বার্ষিক/বিশেষ সাধারণ সভার নোটিশ”

ক)  সাধারণ সভার অধিবেশনের ১৫ (পনের) দিন পূর্বে প্রত্যেক মেম্বারকে নোটিশ জারী করতে হবে। নোটিশে অধিশনের স্থান, কাল, তারিখ আলোচনার  বিষয় সুনির্দিষ্ট থাকবে। কিন্তু যে বার্ষিক বিশেষ সাধারণ সভায় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় থাকে সেক্ষেত্রে ৬০(ষাট) দিন পূর্বে নোটিশ জারী করতে হবে। এক্ষেত্রে  উদ্বৃত্তপত্র প্রদানের প্রয়োজন নেই।

খ) মেম্বারগনের দাবীর প্রেক্ষিতে সাধারণ সভা ডাকা হলে আবেদনকারী সদস্যগনের নামের তালিকাসহ লিখিত দাবিপত্রের কপি সকল নোটিশের সাথে সংযুক্ত আকারে জারি করতে হবে। মোট মেম্বারের ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) অংশ আবেদন না করলে এরূপ তলবি সাধারণ সভা আয়োজনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

গ) দৈবক্রমে বা ভুলবশতঃ কোন মেম্বারকে নোটিশ দেওয়া না হলে বা কোন মেম্বার নোটিশ না পেলে তা দ্বারা সভার কার্য বা বৈধতা বাতিল হবে না। এরূপ ভুল সর্বোচ্চ ১/১০ (এক দশমাংশ) অংশ মেম্বার এর ক্ষেত্রে ঘটলে তা গ্রহণ যোগ্য হবে।

 

(২১) “বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্যসূচি”

বার্ষিক সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত আলোচ্যসূচি থাকবেঃ

ক) বিগত বার্ষিক সাধারণ সভা সহ বিশেষ সাধারণ সভা কার্যবিবরণী পেশ।

খ) পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমের উপর বাৎসরিক রিপোর্ট পর্যালোচনা।

গ) বার্ষিক হিসাব বিবরণী বিবেচনা ও অনুমোদন।

ঘ) উদ্বৃত্তপত্র ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা।

ঙ) পরবর্তী আর্থিক বৎসরের জন্য প্রাক্কলিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন।

চ) মাদ্রাসার কোন মেম্বার বা কর্মচারী কর্তৃক কোন অভিযোগ বা মেম্বারশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হলে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৩০(ত্রিশ) দিন পূর্বে কোন নোটিশ পরিচালনা পর্ষদে দাখিল করা হলে উক্ত বিষয়ে শুনানী, পর্যালোচনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ

ছ) কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, বেতন নির্ধারণ সার্ভিস রুল অনুমোদন।

জ) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান বা পর্ষদের সকল বা বিশেষ কোন মেম্বারের বহিষ্কার বা মাদ্রাসার অন্য কোন মেম্বারকে বহিষ্কার

ঝ) নীতিমালা সংশোধন বা পুনঃপ্রণয়ন।

 

(২২) বিশেষ সাধারণ সভা”

ক) ন্যূনতম ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) মেম্বার লিখিত দাবী করলে বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করতে হবে। 

) বিশেষ সাধারণ সভা আহবানের জন্য মেম্বারগণের লিখিত দাবীর সাথে এর উদ্দেশ্য উল্লেখ থাকতে হবে।  

গ) বিশেষ সাধারণ সভা যে উদ্দেশ্যে ডাকা হবে সে বিষয় ভিন্ন অন্য কোন বিষয় আলোচনার জন্য উপস্থাপিত হতে পারবে না। 

ঘ) নির্বাচন ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভায় কোরাম পূর্ণ না হলে সভা বাতিল বলে গণ্য হবে।

 

(২৩) সাধারণ সভার সভাপতি

ক) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ সভায় নির্বাচন পর্বে নির্বাচন কমিটির প্রধান সভাপতিত্ব করবেন। 

) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করবেন। উল্লেখিত দুই জনের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত মেম্বারগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি করবেন।

গ) সাধারণ সভার সভাপতি অধিবেশনের শৃংখলা রক্ষা করবেন। দ্রুততার সাথে এবং সন্তোষজনক ভাবে যাতে সভা সু-সম্পন্ন হয় সে ভাবে অধিবেশন পরিচালনা করবেন সভাপতি। 

) সভাপতি যে কোন মেম্বারকে সভায় বিশৃংখলা সৃষ্টির দায়ে সভা স্থান থেকে বহিষ্কার করতে পারবেন। উক্ত সদস্য বা সদস্যগণ সভাস্থল ত্যাগ করার পর সভাপতির অনুমতি ব্যতীত পূনরায় সভায় উপস্থিত হতে বা ভোট প্রদান করতে পারবেন না। 

ঙ) সভা পরিচালনায় বিশৃংখলার সৃষ্টি হলে সভাপতি কার্যক্রম স্থগিত করে মুলতবী সভা অনুষ্ঠানের তারিখ সময় ঘোষনা করবেন  

 

(২৪) “সাধারণ সভার কোরাম”

ক) সাধারণ সভার কোরাম হবে মোট মেম্বারের ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে। 

খ) অধিবেশন শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেম্বার উপস্থিত না থাকলে সভা মূলতবী হবে। মূলতবী সভায় যতজন মেম্বারই উপস্থিত হোক না কেন আলোচনার বিষয়গুলি আলোচিত হতে পারবে। 

গ) কোরাম থাকার পরেও মেম্বারগণ চাইলে সভাপতি সভা মূলতবী করতে পারবেন।

ঘ) কোন মূলতবী সভায় পূর্বের অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়ের অবশিষ্ট বিষয় ভিন্ন অন্য বিষয় আলোচনা হতে পারবে না। 

ঙ) কোন অধিবেশন ০৬(ছয়) সপ্তাহ বা ততোধিক কালের জন্য মূলতবী থাকলে নতুন করে সভার নোটিশ জারী করতে হবে। 

 

(২৫) সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ভোটানুষ্ঠান

ক) সাধারণ সভার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত মেম্বারগণের ভোটাধিক্যে গৃহীত হবে। যদি ভোট সংখ্যা সমান হয় তাহলে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত ভোট দেয়ার ক্ষমতা থাকবে। এরুপ ভোট হাত তোলা বা পোল দ্বারা নির্ধারিত হবে।

খ) যে সিদ্ধান্ত ভোটে দেয়া হবে তা হাত তোলার দ্বারাই মিমাংসিত হবে। কিন্তু অন্তত ১০ (জন) মেম্বার অনুরোধ করলে এবং সভাপতি সম্মত হলে ভোট গ্রহণ হবে। 

 

(২৬) “সাধারণ সভার কার্যবিবরণী”

ক) মাদ্রাসার সাধারণ সভার কার্যবিবরণী একটি ভিন্ন পাতায় রক্ষিত থাকবে ঐ খাতায় উপস্থিত মেম্বারগণের নাম, মন্তব্য (যদি থাকে) এবং সভার অন্যান্য বিবরণী লিখিত থাকবে এবং তা পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করতে হবে। 

খ) যদি অধিবেশনের অব্যবহিত পরে কার্যবিবরণী লেখা না হয় এবং সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত না হয় তবে সভা শেষ হওয়ার ৭২(বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে সর্ব প্রকার ভুলভ্রান্তি পরিবর্তনমুক্ত বিবরণী লিখে তাতে সভাপতির স্বাক্ষর করাতে হবে। এই স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণী চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রমাণ স্বরূপ গণ্য হবে।

 

(২৭) “পরিচালনা পর্ষদ”

মাদ্রাসার কাজ পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। উক্ত পর্ষদ মাদ্রাসার নীতিমালা অনুযারী নির্বাচনে নির্বাচিত হবে। এই পর্ষদ সাধারণ সভার জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ ক্ষমতা ভিন্ন অন্যান্য যে কোন ক্ষমতা  ব্যবহার প্রয়োগ করতে পারবে। মাদ্রাসার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য যে সমস্ত ক্ষমতার দরকার তা উক্ত পর্ষদ ব্যবহার করতে পরবে এবং যে চুক্তি করার প্রয়োজন তা করতে পারবে। 

 

(২৮)“পরিচালনা পর্ষদ গঠন”

ক) অত্র মাদ্রাসর ১১ (এগার) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ থাকবে,যা নিম্নরূপ:

1) চেয়ারম্যান – ১ জন

2) ভাইসচেয়ারম্যান – ১ জন

3) জেনারেল সেক্রেটারি – ১ জন

4) জয়েন্ট সেক্রেটারি/অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি – ১ জন

5) ক্যশিয়ার১ জন 

6) সদস্য (নির্বাচিত) – 8 জন 

7) চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ১ জন সদস্য 

8) জেনারেল সেক্রেটারি কর্তৃক মনোনীত ১ জন সদস্য 

) দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য প্রতিটি পরিচালনা পর্ষদ দ্বায়িত্ব পালন করবে এবং উক্ত পর্যদ মেয়াদ পূর্তির পূর্বে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন সম্পন্ন করবে। 

গ) হঠাৎ কোন নির্বাচিত পর্যদ মেম্বারের পদ শূন্য হলে অবশিষ্ট নির্বাচিত মেম্বারগণ ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অপর কোন মেম্বার দ্বারা উক্ত শূন্য পদ পূরণ করবেন। 

ঘ) মাদ্রাসার মেম্বার হওয়ার কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ না হলে এবং তার বয়স ২৫(পঁচিশ) বৎসর উত্তীর্ণ না হলে কোন মেম্বার পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত বা মনোনীত হতে পারবেন না। 

ঙ) বর্ণিত মেয়াদ কালের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নির্বাচন সম্পন্ন করা না হলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথে উক্ত পর্ষদ বিলুপ্ত হবে এবং উপদেষ্টা পর্ষদ সাধারণ মেম্বারগনের মধ্য থেকে একটি অন্তবর্তী পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ করবেন। 

চ) অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ এর মেয়াদ হবে ১০০ দিন। উক্ত পর্যদ বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করে উক্ত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্বভার হস্তান্তর করবে। 

ছ) অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত পর্যদ বিলুপ্ত হবে। উক্ত পর্ষদ বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই উপদেষ্টা পরিষদ ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করে উক্ত ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন এবং নব নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।

 

(২৯) “নির্বাচন কমিশন নিয়োগ”

ক)  নির্বাচন অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৪৫ দিন পূর্বে পরিচালনা পর্ষদ ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। উক্ত নির্বাচন কমিশনে ১ (একজন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও (দুই) জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার থাকবেন যারা অবশ্যই মাদ্রাসার মেম্বারের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন।

) নির্বাচন কমিশনারগন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এবং কোন প্রকার পক্ষপাত মূলক আচরণ করতে পারবেন না। 

গ) নির্বাচন কমিশনারগণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মাদ্রাসার তহবিল থেকে করতে পারবেন যথাযত ভাউচারের মধ্যমে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তারা উপযুক্ত ভাতা গ্রহন করতে পরবেন।

 

(৩০) “নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম”

ক) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ন্যূনতম ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে তফসিল ঘোষণা করবে।

খ) নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোলিং অফিসার নিয়োগ করবে। 

গ) নির্বাচন কমিশন তাদের বিভিন্ন কার্যবিবরণী স্বাক্ষর সহ সংরক্ষণ করবে। 

ঘ) নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঙ) ভোট গ্রহণ শেষে সমস্ত মনোনয়ন, ব্যালট পেপার, কাউনটার ফয়েল, বৈধ, অবৈধ, বাতিলকৃত ও অব্যবহৃত ব্যালট পেপার সমূহ এবং নির্বাচন কমিশনের সাক্ষরিত নির্বাচনী ফলাফল রেজিস্টার বইতে লিপিবদ্ধ করে পৃথকভাবে সিলগালা লাগিয়ে মাদ্রাসার চেয়ারম্যান বা জেনারেল সেক্রেটারির নিকট বুঝিয়ে দিবে এবং প্রাপ্তি স্বীকরোক্তি হিসেবে রেজিস্টার বইতে স্বাক্ষর গ্রহণ করবে। তারপর উক্ত নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত গণ্য হবে।

 

(৩১) “নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বভার গ্রহণ”

নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার ৭(সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে সভা অনুষ্ঠান পূর্বক দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবে। উক্ত সভার কোরামের জন্য ৫০% নির্বাচিত পর্ষদ সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে।

 

(৩২) “উপদেষ্টা পর্ষদ”

ক) নব নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্বভার গ্রহণ করার এক মাসের মধ্যে উপদেষ্টা পর্ষদ গঠন করবেন। উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্যগণ অবশ্যই মাদ্রাসার মেম্বার হতে হবে। 

খ) উপদেষ্টা পর্ষদ এর সদস্য সংখ্যা অনধিক ৭ (সাত) জন হবে। এই ৭ (সাত) জনের মধ্যে ১ (এক) জন প্রধান হবেন। 

গ) পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বা জেনারেল সেক্রেটারি (যদি তারা নির্বাচিত না হয়) তবে সম্মান সূচক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। 

ঘ) উপদেষ্টা পর্ষদের  মেয়াদ (তিন) বৎসর। তবে পরবর্তী উপদেষ্টা পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবেন।

ঙ) উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্যগন মাদ্রাসার কল্যাণে পরিচালনা পর্ষদকে পরামর্শ প্রদান করবেন। পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিতি থাকতে পারবেন, মতামত দিতে পারবেন, উপস্তিত খাতায় স্বাক্ষর প্রদান করবেন। তবে পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোন বিষয়ের সিদ্ধান্তের জন্য ভোট প্রদান করতে পারবেন না।

চ) অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে উপদেষ্টা পর্ষদ বিশেষ সাধারন সভার আয়োজন করে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন।

 

(৩৩) “পরিচালনা পর্ষদের ক্ষমতা”

এই নীতিমালায় যে সকল সাধারন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব না করে নিম্নলিখিত বিশেষ ক্ষমতাগুলি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকবেঃ

ক) নতুন মেম্বার অন্তর্ভুক্ত করা।

খ) মাদ্রাসার তহবিল বৃদ্ধি করা এবং সঠিক ব্যাবহার ও বিনিয়োগ কোরা।

গ) মাদ্রাসার স্বার্থে মামলা দায়ের, পরিচালনা বা আপোষ করা।

ঘ) যে কোন আবেদন নিতিমালার আলোকে নিষ্পত্তি করা। 

ঙ) কর্মচারী নিয়োগ, বদলী, বরখাস্ত বা কর্তব্য নির্ধারণ করা। 

চ) মাদ্রাসার কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কার্যবিধি রচনা করা।

ছ) বিশেষ ধরনের কাজের জন্য উপ-কমিটি গঠন করা। তবে মাদ্রাসার দৈনন্দিন বা রুটিন কাজের জন্য কোন উপ-কমিটি গঠন করা যাবে না।

জ) পরিচালনা পর্ষদ মাদ্রাসার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশে নিয়োগ কমিটি গঠন করে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী উন্মোক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ করতে পারবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করা যাবে না।

ঝ) মাদ্রাসার কোন দ্রব্যাদি ক্রয় করার পূর্বে ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ম সমূহ অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।

 

(৩৪) “পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলী”

নীতিমালার আলোকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পরিচালনা পর্ষদ নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করবেঃ 

ক) আর্থিক লেনদেন।

খ) মাদ্রাসার আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দেনার সঠিক হিসাব সংরক্ষণ।

গ) বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপনের জন্য 

   অ) মাদ্রাসার কার্যাবলী সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়ন। 

  আ) নিম্নোক্ত হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করণ, যথা-

  1. i) নগদ অর্থের হিসাব (ক্যাশ একাউন্ট)  
  2. ii) উদ্বৃত্ত পত্র (ব্যলান্স সীট)

iii) লাভ-লোকসান হিসাব (প্রফিট এন্ড লস একাউন্ট) 

(iv) লাভ লোকসান  বণ্টন হিসাব (প্রফিট এন্ড লস এপ্রোপ্রিয়েশন একাউন্ট)

ঘ) বাৎসরি নিরীক্ষা/অডিট সম্পাদন (যে কোন CA ফার্ম দ্বারা) 

ঙ) মাদ্রাসার বিভিন্ন হিসাবপত্র উপযুক্ত হিসাবের বইতে উত্তোলন ও সংরক্ষণ। 

চ) মেম্বার রেজিস্ট্রার হালনাগাদ করা ও সংরক্ষণ। 

ছ) সাধারণ সভা আহবান। যথাসময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান।

জ) সাধারণ সভায় প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।

(৩৫) “পরিচালনা পর্ষদের সভা”   

ক) মাদ্রাসার কাজ সুষ্ঠূ ভাবে চালানোর জন্য প্রতিমাসে অন্তত একবার অথবা যতবার আবশ্যক ততবার পরিচালনা পর্ষদের সভা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান মাহোদয়ের বিবেচনায় সভায় আলোচনাযোগ্য কোন বিষয় না থাকলে নির্ধারিত সময়ে সভা আহবান অপ্রয়োজনীয় মর্মে বিবেচিত হলে তার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে জেনারেল সেক্রেটারি পরিচালনা পর্ষদের সভা আহবানের পরিবর্তে নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি পর্ষদের অন্যান্য সদস্যকে অবহিত করবেন।

খ) পরিচালনা পর্ষদের সভা অবশ্যই মাদ্রাসার অফিস বা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। 

গ) পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যকে সভার তারিখের অন্ততঃ ৭(সাত) দিন পূর্বে স্থান, কাল, তারিখ আলোচ্যসূচি উল্লেখ করে লিখিত নোটিশ দিতে হবে। 

ঘ) চেয়ারম্যান  উপস্থিত থাকলে সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তার অনুপস্থিতিতে ভাইসচেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করবেন। দুইজনই অনুপস্থিত থাকলে উপস্থিত পর্ষদের সদস্যদের মাঝ থেকে সবাই মিলে একজনকে সভাপতি নির্বাচন করবেন।

ঙ) ৫১ শতাংশ পর্ষদ সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়েছে বলে গণ্য হবে। 

চ) পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক প্রস্তাব ভোটাধিক্যে মীমাংসিত হবে এবং চেয়ারম্যান প্রয়োজনে ১ টি অতিরিক্ত ভোট দিতে পারবেন। উক্ত ভোটের কারণে যদি সমতা হয় তবে বিষয়টি পুনরায় আলোচনার জন্য উন্থাপিত হবে।

ছ) পরিচালনা পর্ষদ কোন বিশেষ কারণে বিশেষ সভার অধিবেশন আহবান করা প্রয়োজন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এরূপ বিশেষ সভায় আলোচ্যসূচী ভিন্ন অন্য কোন বিষয় আলোচিত হবে না |

জ) পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণী লিখতে হবে এবং পরবর্তী সভায় তা অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। চেয়ারম্যান তাতে স্বাক্ষর করবেন

ঝ) পরিচালনা পর্ষদের সভার মুলতবী, তলবি সভা, শৃঙ্খলা বিষয় গুলো সাধারণ সভার অনুরুপ হবে।

ঞ) চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে জেনারেল সেক্রেটারি পরিচালনা পর্ষদের সভার নোটিশ প্রদান করবেন।

ট) পরিচালনা পর্ষদের ১/৩(এক তৃতীয়াংশ) সদস্য অন্তত ৭(সাত) দিন সময় প্রদান করে চেয়ারম্যান কে তলবী সভা আহবানের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। তলবী পত্র প্রাপ্তির সাথে সাথে চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সভা আহবানের ব্যবস্থা করবেন।

ঠ) চেয়ারম্যান তলবী সভা আহবান করতে অনাগ্রহী হলে জেনারেল সেক্রেটারি তলবী পত্র প্রাপ্তির ৭২(বাহাত্তর) ঘণ্টা পরে উক্ত সভা আহবান করতে পারবেন। তলবী সভার জন্য প্রদত্ত তলবীপত্রে এরুপ সভা আহবানের উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করে যে সকল সদস্য সভা তলব করতে চান তাদের স্বাক্ষর মাদ্রাসার কার্যালয়ে জমা দিবেন। নোটিশে উল্লেখিত বিষয় ব্যতীত অন্য কোন বিষয় সভায় আলোচনা করা যাবে না।

(৩৬) “চেয়ারম্যান এবং ভাইস- চেয়ারম্যান এর ক্ষমতা ও কর্তব্য”

ক) নীতিমালা, সাধারণ সভা বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রদত্ত ক্ষমতা/নির্দিষ্ট কর্তব্য অনুযায়ী চেয়ারম্যান এবং ভাইস- চেয়ারম্যান কাজ করবেন।

খ) চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের  অনুপস্থিতিতে ভাইস- চেয়ারম্যান নীতিমালায় উল্লেখিত পরিচালনা পর্ষদের সকল প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

গ) পরিচালনা পর্ষদের যে সকল ক্ষমতা ও কর্তব্য আছে তা বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে চেয়ারম্যান বা তার অনুপস্থিতিতে ভাইস- চেয়ারম্যান যে সকল আদেশ জারি করবেন তা ঐ সকল কাজের অবব্যহিত পরেই পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু, চেয়ারম্যান এবং ভাইস- চেয়ারম্যান অবস্থা বিশেষ পরিচালনা পর্ষদের কোন সভার পদ ও আদেশ বা গৃহীত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে না অথবা পরিচালনা পর্ষদের যে সকল বিশেষ ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারিত ব্যাক্তিদের উপর ন্যাস্ত হবে উক্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান ব্যাবহার করতে পারবেন না, তবে উক্ত কার্যাদি মনিটরিং করতে পারবেন।

ঘ) মাদ্রাসার কোন বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের পূর্ব সিদ্ধান্ত থাকলে চেয়ারম্যান এবং ভাইস- চেয়ারম্যান উক্ত সিদ্ধান্তের পরিপন্থি কোন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন না।

ঙ) চেয়ারম্যান এবং ভাইস- চেয়ারম্যান কর্তৃক সকল আদেশ উক্তরুপ ক্ষমতা প্রয়োগের অব্যবহিত পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের সভায় সদস্যগনের অবগতির জন্য উপস্থাপন করতে হবে।

চ) ভাইস- চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানকে সর্বদাই সহযোগিতা করবেন এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।

 

(৩৭) “জেনারেল সেক্রেটারির ক্ষমতা ও কর্তব্য”

পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ সভার অধিনে জেনারেল সেক্রেটারি মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য নিম্নলিখিত ক্ষমতা চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করবেন:

ক) মাদ্রাসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ।

 খ) আদালত বা অন্যত্র মামলা মোকাদ্দমা দায়ের তদ্বির বা পরিচালনা করা।

গ) সধারন সভা ও পরিচালনা পর্ষদের সভা চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে আহবান এবং আয়োজন করা।

 ঘ) মাদ্রাসার বাৎসরিক আয়-ব্যয় হিসাব ও পেশ করা।

 ঙ) চেয়ারম্যানের অনুমতি ও পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশ অনুসারে মাদ্রাসার লক্ষ্যে সকল টাকা জমা করা এবং উক্ত জমার প্রামাণ্য রশিদ দেওয়া।  

 চ) চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে সকল প্রকার পরিচালনা খরচ এবং মাদ্রাসার তহবিল থেকে ভাড়া, বেতন, মামলা খরচ, পথ খরচ, ষ্টেশনারী, বিজ্ঞাপন, খাজনা ইত্যাদি বাবদ আবশ্যকীয় খরচ করা।

ছ) পরিচালনা পর্ষদের মাসিক সভায় পূর্ববর্তী মাসের জমা-খরচ হিসাব দাখিল করা।

জ) বার্ষিক সাধারণ সভায় পূর্ববর্তী বৎসরের প্রতিবেদন এবং পরবর্তী বৎসরের পরিকল্পনা ও বাজেট পেশ করা।

 

(৩৮) “জয়েন্ট সেক্রেটারি ক্ষমতা ও কর্তব্য”

ক) জেনারেল সেক্রেটারির অনুপস্তিতিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি, জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন।

খ) জেনারেল সেক্রেটারিঢ় সকল কাজে সহযোগিতা করবেন এবং জেনারেল সেক্রেটারির পদ শূন্য হলে অস্থায়ী ভাবে জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করবেন।

 

(৩৯) ট্রেজারারের ক্ষমতা ও কর্তব্য”

চেয়ারম্যান/ভাইস- চেয়ারম্যান এবং জেনারেল সেক্রেটারির অধিনে ট্রেজারার নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করবেন: 

ক) মাদ্রাসার নগদ ও অন্যান্য গচ্ছিত মূল্যবান সম্পদ হেফাজত করা।

খ) মাদ্রাসার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর হিসাব রাখা এবং অ্যাকাউন্ট এর দলিল পত্র হেফাজত করা। 

গ) মাদ্রাসার নগদ অর্থের হিসাব রাখা। 

ঘ) চেয়ারম্যান এবং জেনারেল সেক্রেটারির নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন প্রকার খরচ করা।

ঙ) ট্রেজারার পেটি ক্যাশ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) গচ্ছিত রাখতে পারবেন। 

 

(৪০) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য – 

ক) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ক্রমে অর্পিত দায়িত্ব পালন করা। 

খ) চেয়ারম্যান ও জেনারেল সেক্রেটারি নিম্নলিখিত ভাবে পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করবেনঃ এডমিন, মার্কেটিং ডিরেক্টর, বিভিন্ন দফতর, প্রকিউরমেন্ট , প্রচার, পাবলিক রিলেশন এবং এডুকেশনাল কারুকুলাম ইত্যাদি।

 

(৪১) “অভ্যন্তরীণ তত্ত্বাবধান ও হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি”

ক) বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩(তিন) বৎসরের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষ বা অডিট টিম গঠন করা হবে। যার সদস্য হবে ৩(তিন) জন। 

খ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষ মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন মন্তব্য সহ পরিচালনা পর্ষদের নিকট পেশ করবেন।

গ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষ কর্তৃক কোন আপত্তি উপস্থাপিত হলে তা পরিচালনা পর্ষদ নিষ্পত্তি করবে এবং অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনার জন্য উপস্থাপন করতে হবে। 

ঘ) অডিট কোষ চাইলে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার সহযোগীতায় রিপোর্ট সম্পাদন করতে পরবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মাদ্রাসার তহবিল থেকে নেয়া যাবে। তবে ব্যক্তি বা সংস্থা পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

ঙ) বাইরের কাউকে অডিট কার্য সম্পাদনের জন্য নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও জেনারেল সেক্রেটারির সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।

 

(৪২)প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পর্ষদ”

ক) গত ১৪/৫/২০২২ তারিখের সভায় উপস্থিত মেম্বার গণের সম্মতিতে নিম্নলিখিত ভাবে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়;

  1. i) চেয়ারম্যানঃ জনাব ওবায়দুর রহমান মৃধা 
  2. ii) ভাইস- চেয়ারম্যানঃ

iii) জেনারেল সেক্রেটারিঃ জনাব মাহবুব ওসমানী

  1. iv) 

v)

vi)

vii)

viii)

ix)

x)

xi)

 

খ) উক্ত প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পর্ষদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের কার্য সম্পাদন করবেন এবং আগামী ৩১/১২/২০২৫ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

 

(৪৩) “পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পদের অপসারন”

ক) কারো দ্বারা ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত না হলে চেয়ারম্যান/এমডি,  সেক্রেটারি/সিইও, সিএফও/ট্রেজারার  পদবিগুলি অপরিবর্তিত থাকবে।  

খ) ডিরেক্টর হতে হলে কমপক্ষে ৩/৫ টি শেয়ার নিতে হবে এবং ফাউন্ডিং মেম্বার হতে হলে ৩১ শে জুলাই ২০২২ এর মধ্যে প্রথম পেমেন্ট এবং মাসিক মেম্বারশিপ ফি পরিশোধ করতে হবে। 

গ) ডিরেক্টরসগন পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচন করতে পারবেন এবং ফাউন্ডিং মেম্বাররা শেয়ার প্রতি ভোটাধিকার পাবেন, আর অন্য সকল মেম্বারগন পার হেড ভোটাধিকার পাবেন। 

ঘ) নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে অপসারিত করতে চাইলে এই উদ্দেশে বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করে তা করতে হবে। নির্বাচিত কোন কর্মকর্তাকে সাধারণ সভা ভিন্ন পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদচ্যুত কিংবা অপসারন করা যাবে না।

ঙ) নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের কোন সদস্য চেয়ারম্যান এর লিখিত পূর্বানুমোদন ব্যতীত পরিচালনা পর্ষদের পরপর ৪ (চার) টি সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উক্ত সদস্যকে তার পদ থেকে অপসারন করা যাবে। এইরুপ অপসারনের পূর্বে পরপর ০৩(তিন) টি সভায় উক্ত সদস্য অনুপস্থিত থাকলে, পরবর্তী সভায়ও অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে মর্মে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। এইরুপ অপসারন সংঘটিত হলে সকল মেম্বার কে পত্র  মারফত অবহিত করতে হবে।

 

(৪৪) ‘’পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পদের বিলুপ্তি’’

পরিচালনা পর্ষদের সদস্য পদের বিলুপ্তি হবে যদি –

ক) কোন সদস্য পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা হারান 

খ) পদত্যাগ করেন বা মৃত্যু বরণ করেন

গ) মেম্বারশিপের যোগ্যতা হারান

 

(৪৫) “লাভ বণ্টন”

নিম্নলিখিত ভাবে মাদ্রাসার লাভ প্রতিবছর বণ্টন করা হবেঃ

ক) নীট লাভের ১৫% সংরক্ষিত তহবিল, ১০% আপদকালিন তহবিল, ২০% উন্নয়ন তহবিল, ৫% উৎসাহ বোনাস তহবিলে জমা হবে।

খ) নীট লাভের ৫০% মেম্বারগনের মধ্যে শেয়ার অনুপাতে বিতরন করা হবে।

 

(৪৬) “সংরক্ষিত তহবিল”

পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মাদ্রাসার পরিচালনার প্রয়োজনে সংরক্ষিত তহবিল ব্যাবহার করা যাবে।

 

(৪৭) “আপদকালিন তহবিল”

ভবিষ্যতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে মাদ্রাসার গুরুতর প্রয়োজনে আপদকালিন তহবিল ব্যাবহার করা যাবে। তবে আপদকালিন তহবিল হতে কোন টাকা খরচ করতে হলে অবশ্যই পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন করতে হবে।

 

(৪৮) “উন্নয়ন তহবিল”

ক) নীট লভ্যাংশের ২০% এবং ছাত্র ছাত্রীদের আদায়কৃত উন্নয়ন ফি এর সমন্বয়ে উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হবে। 

খ) উন্নয়ন তহবিলের টাকা উন্নয়ন কাজ ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। তবে প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রয়োজনে পরিচালনা পর্ষদের অনুমতিতে নিয়ে উক্ত তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যাবে।

গ) যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদিত হলে উন্নয়ন তহবিলের টাকা উক্ত প্রকল্পে খরচ করা যাবে।

ঘ) যে কোন ধরনের সাধারণ দান বা সাদাকা এই তহবিলে রাখা হবে। তবে যাকাত বা এতিমদের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত টাকা আলাদা ভাবে হিসাব পূর্বক সংশ্লিষ্ট খাতে/কাজে ব্যাবহার করা হবে।

 

(৪৯) “উৎসাহ বোনাস তহবিল”

মাদ্রাসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে তাদের দক্ষতা, আন্তরিকতা, সেবা ইত্যাদির মান নির্ণয় এবং উন্নতির লক্ষ্যে উৎসাহ বোনাস তহবিল থেকে বৎসরে ১ (এক) বার বা পরিচালনা পর্ষদ মনে করলে ২ (দুই) বার প্রদান করা যেতে পারে। উৎসাহ বোনাস কোন ক্রমেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা /কর্মচারীর ২ (দুই) মাসের মূল বেতনের অধিক হবে না। তবে উৎসাহ বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে এক বছর সময় পূর্ণ করতে হবে।

 

(৫০) “মেম্বারগণকে নীতিমালা ও উদ্বৃত্তপত্র সরবরাহ”

মাদ্রাসার মেম্বারগণকে নীতিমালা ও হিসাবের উদ্বৃত্তপত্র (ব্যাল্যান্স শিট) আবেদনের প্রেক্ষিতে সরবরাহ করা যেতে পারে। উক্ত আবেদন কমপক্ষে ৭ (সাত) কর্মদিবস পূর্বে করতে হবে, তবে বৎসরান্তে ব্যালেন্স শীট তৈরি হওয়ার পূর্বে আবেদন করতে পারবে না।

 

(৫১) “খাতাপত্র পরিদর্শন ও অনুলিপি সরবরাহ”

মাদ্রাসার মেম্বারগণ বিনামূল্যে নিম্নলিখিত খাতাপত্র পরিদর্শন করতে পারবেনঃ

ক) নীতিমালা

খ) মেম্বার তালিকা

গ) সর্বশেষ উদ্বৃত্তপত্র (ব্যাল্যান্স শিট)

ঘ) পরিচালনা পর্ষদের তালিকা

উক্ত যে কোন বিষয়ের অনুলিপি পেতে হলে মেম্বারগণকে ৭ (সাত) কর্ম দিবস পূর্বে নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।

 

(৫২) “বিবাদ নিষ্পত্তি”

মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সৃষ্ট কোন বিরোধ পরিচালনা পর্ষদ নিষ্পত্তি করতে না পারলে সাধারন পর্ষদ থেকে ৫ (পাঁচ) জন এবং উপদেষ্টা পর্ষদের মেম্বারগন সম্মিলিত ভাবে বিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। উক্ত সমন্বিত মেম্বারগণের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ে মতামত দ্বিধাবিভক্ত হলে উনারা ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ভোটের ক্ষেত্রে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট হলে প্রধান উপদেষ্টা ১ (এক) টি অতিরিক্ত ভোট দিবেন। কোন অবস্থাতেই ফৌজদারি অপরাধ ভিন্ন অন্য কোন বিবাদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেম্বার মামলা করতে পারবেন না।

 

(৫৩) “সতর্কতা”

ক) যেহেতু আইডিসি (ইংলিশ মিডিয়াম) মাদ্রাসা একটি দীনি প্রতিষ্ঠান তাই সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইসলামি মূল্যবোধ বজায় রেখে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার চেষ্টা করতে হবে। 

খ) “ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু আতিউল্লাহ ওয়া আতিউর রসুল ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।

হে বিশ্বাসীগন তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসুলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে প্রাজ্ঞ নেতার আনুগত্য কর। এরপর কোন বিষয়ে মতপার্থক্য হলে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের নিকট ফিরে যাও। ——- সূরা নিসা: ৫৯।” এই আয়তের সারমর্ম উপলব্ধি করে সবাই চলার চেষ্টা করবেন।

গ) উক্ত নীতিমালার কোন বিষয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বা রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থী হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। 

ঘ) নীতিমালায় উল্লেখ নাই এমন কোন বিষয় ভবিষ্যতে উদ্ভব হলে তা পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা করে লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ঙ)  ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চ) উক্ত নামে কোন মেম্বার বা শেয়ারহোল্ডার বাংলাদেশের কোথাও এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবে না।

 

(৫৪) “নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধনের পদ্ধতি”

ক) মাদ্রাসার নীতিমালার যে কোন ধারা বা উপধারা স্থান, কাল, পাত্র ভেদে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত মেম্বার দুই তৃতীয়াংশের (২/৩) সম্মতিতে তা করা যাবে।

খ) নীতিমালা পরিবর্তন সংক্রান্ত সভা আহ্বানের নোটিশ রেজিঃ ডাক যোগে প্রেরন অথবা বাহক মারফত মেম্বারগণের হাতে হাতে পৌঁছাতে হবে।

 

(৫৫) “বিভাগীয় নীতিমালা প্রণয়ন”

মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন বিভাগ গঠন করবেন। প্রতিটি বিভাগের একজন প্রধান থাকবেন। যিনি উক্ত বিভাগের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত এবং পরিচালনা পর্ষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন। প্রতিটি বিভাগীয় প্রধান তার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে উক্ত বিভাগের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবেন এবং পরিচালনা পর্ষদের নিকট জমা দিবেন। পরিচালনা পর্ষদ সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন করে (প্রয়জন মনে করলে) বিভাগীয় নীতিমালা অনুমোদন দিবেন। অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিচালনা করবেন।

 

(৫৬) “মাদ্রাসার কার্যক্রম গুটানো”

ক) মাদ্রাসার কার্যক্রম গুটানোর প্রস্তাব আসলে (আল্লাহ না করুন) সাধারণ সভা আহবান করতে হবে। সাধারণ সভার অধিবেশনে উপস্থিত মেম্বারগণের ৩/৪ (তিন চতুর্থাংশ) প্রস্তাব সমর্থন করলে মাদ্রাসার কার্যক্রম গুটানো যেতে পারে।

খ) মাদ্রাসার কার্যক্রম গুটানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।

গ) পরিচালনা পর্ষদ অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদ নিষ্পত্তি জনিত ৫২ নং ধারা কার্যকর হবে।

 

Related posts

Durud – সর্বোত্তম দুরুদ

by IDCAdmin
2 years ago

al Qurans 100 Advices To Mankind-মানবজাতির প্রতি আল কুরআনের ১০০ উপদেশ

by IDCAdmin
3 years ago

Amal in Lailatul Qadr-‘লাইলাতুল্ কদর’ এ কি কি ইবাদত করবেন

by IDCAdmin
3 years ago
Exit mobile version