৩/ মাশাআল্লাহ, নামাজের মতো কঠিন একটা কাজ করতে পারছো। ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রিই হয়তো তোমাকে পর্দায় দেখবো। দোয়া করি, আল্লাহ সহজ করে দিন।
৪/হিজাবটা যদি আরেকটু এরকম করতে আপু, গলাটা দেখা যাচ্ছে তো তাই বললাম।
৫/ মাশাআল্লাহ, তুমি নামাজ পড়ো ! জানো তো, নামাজী ক্ববীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে। ভ্রু প্লাক করা কিন্তু ক্ববীরা গুনাহ। তোমার ভ্রু তো এমনিতেই মাশাআল্লাহ।
৬/ পর্দাটা রঙীন না করে কালো করলে ভালো হতো আপু। রঙীন বোরকা আকর্ষণীয় হয় জানো তো । তোমার পর্দার আগ্রহ দেখে বললাম, মনে কষ্ট নিও না।
৭/নামাজ যেমন ফরয রোজাও তেমন ফরয। আল্লাহ তোমাকে রোজার ফরয আদায় করার তৌফিক দিন।
৮/ মাশাআল্লাহ নামাজ রোজা সবই করছো। খুবই ভালো। অনুরোধ করবো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলোনা প্লিজ। জানো তো, মিথ্যা সব গুনাহের মা। তোমাকে আসলে মিথ্যা বলা মানায় না।
৯/ মাশাআল্লাহ, তোমার আমল দেখলে হিংসা হয়,
জানো ? তবে সাবধান, সুদ থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসো। যে সুদ খায়, যে সুদ দেয়, যে সুদের হিসাব করে, যে তার সাক্ষী থাকে তাদের সবার উপর আল্লাহর লানত। তুমি আমলদার মানুষ, তাই মনে করিয়ে দিলাম।
এগুলো দাওয়াতী বচন। রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো সুবচন এবং ভাষার মাধুর্য যা শ্রবণে অসংখ্য পথভোলা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসেছে।
আজ উম্মতের দাবীদার আমরা এর বিপরীত ভাষায় কথা বলার চর্চা করছি আর সবাইকে ইসলাম থেকে দুরে ঠেলে দিচ্ছি। আমরা ভুলে গেছি, মালিকী ইয়াওমিদ্দীন কেবল স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাল্লাহুতা’লা। রাসুল সাঃ এর উম্মতেরা নয়। তবে তারও আগে আমরা অন্তত কনফার্মড হই যে, আমরা তাঁর উম্মত হতে পেরেছি কিনা তারপর বরং সুখস্বপ্ন দেখি।
উম্মত মানে হলো অনুসরনকারী। যে রাসুল সাঃ কটাক্ষ করে কোনোদিন কাউকে একটি দুর্বাক্য বলেন নি, তার উম্মতের দাবীদার হয়ে কেউ যদি দাওয়ার নাম দিয়ে আইডি সাজায় আর বলে, আমার আইডি থেকে অমুক অমুক দলের যারা আছেন তারা বের হয়ে যান। সেই তিনি আদৌ উম্মাহর অংশ কিনা আমি জানিনা। আল্লাহ ভালো জানেন।
প্রিয় ভাই/বোনেরা, হাদীস ঘাটুন। তাহলে জানবেন.
বারসীসা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
বেশ্যা রমনী বিড়ালকে পানি পান করিয়ে জান্নাতি হয়েছে।
হামজা রাঃ এর কাতিল একজন সাহাবী হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছে।
অনেক সাহাবী গুমরাহ হতে হতে মুরতাদও (আল্লাহর পানাহ) হয়ে গেছে।
অনেক সাহাবী রাসুল সাঃ নিকটতম থেকে দুরতম হয়ে গেছে।
অনেক সাহাবী দুরতম থেকে নিকটতম হয়ে গেছেন।
কাউকে মন্দনামে ডাকার আগে একশবার ভাবুন।
রাসুল সাঃ এর কথা স্মরণ করুন। তিনি বলেছেন , ” যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।”
” অমুক খারাপ, আমি ওর চে ভালো ” এরচে ধ্বংসাত্মক অনুভূতি আর নাই।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।