কিছু ফিতনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ / Something-Important-About-Fitna

 

 

Something-Important-About-Fitna

 

 

কিছু ফিতনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ / Something-Important-About-Fitna

ফিতনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়তে চাচ্ছেন ? তাহলে এই পোস্ট প্রথমত আমার জন্য, এরপর আপনাদের জন্য। . উমাইর ইবনে হানী থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, . “একটি সময় আসবে, যখন মানুষ দুটি তাঁবুতে (দলে) বিভক্ত হয়ে যাবে। একটি তাবু হবে ঈমানের, যেখানে কোন নিফাক (কপটতা) থাকবে না। অপর তাঁবুটি হবে নিফাকের, যেখানে কোন ঈমান থাকবে না। যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে, তখন সেদিন থেকে বা তার পরদিন থেকে দাজ্জালের অপেক্ষা করো”। (সুনানে আবু দাউদ, খণ্ড ৪; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪) . নিফাকের ফিতনার মতো কঠিন এক ফিতনায় আজ আমরা অভ্যস্ত। এতো বেশীই অভ্যস্ত যে, কে কে সেই নিফাকের তাঁবুতে চলে গেছে বা যেতে পারে বা যাচ্ছে – সেটা নিয়ে আমাদের কতোই না চিন্তা-বিশ্লেষণ। অথচ প্রথমত আমাদের নিজেদের নিফাকের বিষয়ে খুব সিরিয়াস হওয়া জরুরি ছিলো। এই অবস্থায় এই আয়াত মনে পড়ে – . “আর তাদের মতো হয়ো না, যারা আল্লাহ’কে বিস্মৃত হয়েছে, ফলে আল্লাহ তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দিয়েছেন।” (সূরাতুল হাশর, আয়াত ১৯) . তাফসীরে ইবনে কাসিরে এই আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে, “… অর্থাৎ তোমাদের নেক আমল করার তাওফিক হবে না।” . কাউকে নিয়ে ট্রল করার ফজিলত কি ? আর এটা কোন ধরণের নেক আমল ? প্রকৃতপক্ষে এটা আল্লাহ’কে ভুলে যাওয়ার শাস্তি। . একজন মানুষ দ্বীনে আসার আগে করতো পার্থিব বিষয়ে ঝগড়া, দ্বীনে আসার পর দ্বীনী বিষয়ে ঝগড়া। এ কেমন দ্বীনে আসা ? এটাও আল্লাহ’কে ভুলে যাওয়ার শাস্তি। . এমন আরো অনেক কিছু আছে। আমরা এসব থেকে বের হতে পারছি না কারণ আমরা সঠিক আকিদা’র মস্তিস্কে রাখলেও তা আমাদের অন্তরে মিশে যায় নি। বরং সঠিক আকিদাকে আমরা কেউ কেউ ইউজ করছি অপরের মুখোশ উন্মোচনের জন্য, যখন কিনা নিজেদের সংশোধনের বিষয়ে গাফিল। . সঠিক আকিদার অন্যতম প্রভাব জানতে চান ? . উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু’র কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, তিনি মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত কিনা। এটা হচ্ছে সঠিক আকিদার প্রভাব। . আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু’কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে তিনি নিফাককে এতো ভয় কেন পান। তিনি জবাবে বলেছিলেন, “আমাকে আপন অবস্থায় থাকতে দাও। আমি আল্লাহ’র শপথ করে বলছি, একজন লোক মুহূর্তের মধ্যেই তার দ্বীনকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। ফলে সে দ্বীন থেকে বের হয়ে যায়।” এটা হচ্ছে সঠিক আকিদার প্রভাব। . আজ এই উম্মতের কি হলো যে, তারা নিজেদের নিফাক নিয়ে ভয় না করে লোকদের নিফাকের প্রতিই বেশী মনোযোগ দিচ্ছে! এর একটা কারণ, তারা সঠিক আকিদাহ’কে ইখলাসের সাথে ধারণ করতে পারছে না আর সুন্নতের ইত্তিবায় প্রচার করছে না। . কেউ যদি সত্যিই বর্তমান ফিতনায় পড়ে যাওয়া থেকে আর আগত ফিতনা থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত প্রথমত নিজেদেরকে আকিদাগত নিফাকি থেকে রক্ষা করা, এরপর আমলগত নিফাকি থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা করে যাওয়া। . আমাদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে – আল্লাহ কুরআনে মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য কি কি উল্লেখ করেছেন আর তাফসীরে এর ব্যাখ্যা কি, হাদিসে কি বলা হয়েছে মুনাফিকদের সম্পর্কে আর তার ব্যাখ্যা কি, সিরাতের কিতাবে মুনাফিকদের আচরণ কি কি জানা যায়, সাহাবায়ে কিরামগণের সময় মুনাফিকদের রূপ কি ছিলো ….. এরপর ? এরপর তা জেনে আমরা অমুক বা তমুকের মুনাফিকি খুঁজে বের করার আগে নিজেদের মুনাফিকি খুঁজে খুঁজে বের করে নিজেদেরকে সংশোধন করতে থাকবো। . তাকে পরে বলে দিয়েন। তাদেরকেও পরে বলে দিয়েন। আগে সবাই নিজের নফসকে আগে বলে দেই, খুব শক্তভাবে বলে দেই – . হে নফস, আশরায়ে মুবাশশারা নিজের বিষয়ে নিফাকের ভয় করতেন, সাহাবায়ে কিরামগণ নিজের বিষয়ে নিফাকের ভয় করতেন, তুই নিজেকে কি মনে করিস হে লাগামছাড়া প্রতারক নফস ? তোর কি মনে পড়ে তুই সেদিন সালাতে ওটা আর ওটা চিন্তা করছিলি ? তুই তো একটা বেয়াদব হে নফস, আল্লাহ’র সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওসব চিন্তা করিস আর মনে করিস নিজের ঈমান খুব পাক্কা ! ধিক্কার তোর জন্য নফস, ধিক্কার তোর জন্য। মনে রাখিস হে মুনাফিক নফস, দোযখের নিন্মস্তরে থাকবে মুনাফিকরা।  

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )