একটি অসামাজিক বিয়ের গল্প / The-Story-Of-An-Antisocial-Marriage

 

 

the-story-of-an-antisocial-marriage

 

 

একটি অসামাজিক বিয়ের গল্প / The-Story-Of-An-Antisocial-Marriage

একটি অসামাজিক বিয়ের গল্প … পাত্র উপযুক্ত, শিক্ষিত তবে চাকুরি নেই।মাদিনা ইউনিভার্সিটি ফারেগ,১৬ বছর বয়স থেকে হেফজোখানার উস্তাদ।টানা ১০ বছর পর চাকুরি থেকে ইস্তফা নিতে হলো সরকারি কারনে।খুব কম বেতন ছিল,সেভিংসে এক পয়শাও ছিল না। কারন যা আর্ন করতো সবটাই খরচ করত কিতাব কিনায়,বিভিন্ন কোর্স করে,বিভিন্ন শিক্ষা সফরে যেয়ে ও বিভিন্ন সফটওয়্যারের কাজ শিখে। বিয়ের বয়স হয়েছে,প্রস্তাব আসছে অথচ এক পয়শাও নেই হাতে, বাবাও পয়শা ওয়ালা না যে ছেলেকে খরচ দিয়ে বিয়ে করাবে … পরিচিত একজন এক মেয়ের কথা জানালো, এতিম মেয়ে, মেয়ের পড়ালেখাও ছেলের বরাবর,এমন কি মেয়েও ১০ বছর ধরে হেফজোখানার ও একটি মাদরাসার উস্তাদা হিসেবে ছিলেন। যেহেতু মা বাবা কেউ নেই, ছোট ভাই বোন দের দেখা শুনার দায়িত্ব ছিল, বিয়ের উপযুক্ত ছোট এক বোন আছে যে কিনা জন্মগত ভাবে ডিজেবল, মা মারা যাওয়ার সময় সেই বোন কে আমানত হিসেবে দিয়ে গেলেন বড় বোনের হাতে, আর তাই বোন ও নিয়ত করলেন বিয়ে বসবে না কখনো … তাই যতই প্রস্তাব আসুক তিনি না করে দিতেন। পাত্র সব জেনেই বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলেন,যথারীতি প্রস্তাব দেওয়া হলো, মেয়ে না করে দিলেন … হঠাৎ মনে হলো একদিন নাকি স্বপ্ন দেখেছেন মাদিনার এক ইমাম সাহেবের মা তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। না করে দিলেও ইস্তিখারা করলেন। কদিন পর জানালেন তিনি রাজি এই বিয়েতে। পাত্র পক্ষ গেলো পাত্রির শহরে, একে অপরের সামনে বসে এক নজর দেখে নিলেন। তার পর পাত্রের বাবা বিয়ে পরালেন।মজলিসে সবার মাঝে খেজুর ছিটিয়ে দিলেন। পাত্রী খুব সিরিয়াস হয়ে কিছু কথা জানালেন, “ বিয়েতে আমার মহর কত হবে সেটা নির্ধারণ করার হক একমাত্র আমার, আমার স্বামী থেকে আমার কি কি লাগবে, কত ভরি গোল্ড লাগবে, কত ভরণপোষণ লাগবে এইসব একান্তই আমার ও আমার স্বামীর ব্যাপার, আশা করি এই নিয়ে আমার ভাই বোন বন্ধু মহল প্রতিবেশী কেউ কোন প্রশ্ন করবে না বা দখলদারি করবে না ” সেই থেকে কেউ আর কিছু জিগেস করে নি,করলেও “ পারিবারিক সব বিষয় শেয়ার করিনা ” এই উত্তর শুনেই চুপ গেছেন। তাই কেউ কানাঘুষা করার চান্সটুকু পায়নি, কত মহর হলো কত ভরি গোল্ড দিলো,কে কি হাদিয়া দিলো ইত্যাদি কোন কথা আর ফিরে ফিরে কানে আসে নি। মেয়ের শহরে ওয়ালিমা হলো, হলুদ সন্ধ্যা, মেহেদি নাইট সহ যাবতীয় সমস্ত সামাজিক রসুম বাদ দিয়ে খুব চমৎকার একটা ওয়ালিমা হলো … ওয়ালিমার পর মেয়ে চলে আসছে ছেলের শহরে। সাথে মায়ের আমানত টুকু … একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী দুনিয়া ও আখিরাত শিতল করার জন্য যথেষ্ট, এতিমের দায়িত্ব নেওয়ার ফজিলতের লোভ ও সামলানো গেলো না, সামর্থ্যর বাহিরেও বড় ঘর নিলো, যেখানে ছোট বোনের কোন পর্দার সমস্যা যেন না হয়। অবাক কর বিষয়, চাকুরি নেই, আয় রোজগার নেই অথচ সংসার পাতা হয়ে গেলো, রিজিকের মালিক তো আল্লাহ তাইনা? এতো চিন্তা কিসের বান্দার? বান্দা খালি তার দায়িত্ব পালন করুক। মাস খানেকের ভিতর একটা চাকুরি হলো, কদিন পর প্রমোশন,কদিন পর আবার প্রমোশন … কদিন পর আবার … আবার … অবশেষে ছেলে রাসুল সা. মাসজিদে এডুকেশন সেকশনের আই.টি প্রেসিডেন্ট হলেন … ভাবা যায় ? তাওয়াক্কুল করে দুটো হাত শক্ত করে ধরে দুজনের পথ চলা ছিল একেবারে শুন্য থেকে … বিয়ের ৪ বছর হলো, দুইজন নিয়ামাহ আছে তাদের, ছোট বোন টা এখন আরেক শহরে অন্য বোনের কাছে থেকে পড়াশুনা করছে … এই বিয়েকে অসামাজিক কেন বললাম? কারন সামাজিক অনেক রীতি রেওয়াজ মান্য হয়নি,বেকার ছেলে বিয়ে করেছে, মেয়ে এতিম, শুধু কি তাই? মেয়ে বয়সে ছেলের থেকেও বড় , কোন যৌতুক নেওয়া হয়নি, বিয়ের সময় কোন রকম রেওয়াজ মানা হয়নি, আরো সবচেয়ে বড় কথা ছেলে তো বাবা মাকে ছেড়ে বউ নিয়ে আলাদা বাসায় থাকে , বউ শাশুড়ির প্রতিদিনের ক্যাচাল হয়না, বউ কে সারাদিন কাজের মানুষের মত কাজ করা লাগে না … অসামাজিক বিয়ে কারন এখানে সমাজ কে সাইডে রেখে সুন্নত কে আঁকড়ে ধরা হয়েছে … গল্প টা আমার বড় ভাই ভাবীর, গল্প টা আমি অনেক কে শুনাই, কোন কল্পকাহিনী না, বাস্তব গল্প … আমাদের সমাজে কালো,মোটা, সুন্দর না, এতিম,বয়সে বড়, ডিভোর্সি, বিধবা এমন মেয়েদের কে বিয়ের পাত্রী হিসেবে গন্য করা হয়না … অথচ কে জানে আল্লাহ এদের মাঝেই দুনিয়া আখিরাতের নাজাত ও অনেক বড় ধরনের বারাকাহ রেখেছেন ? দুনিয়াদারী থেকে যখন দ্বীন পালন টা প্রাধান্য পায় তখন আল্লাহর সাহায্য সেখানে শীলা বৃষ্টির মত বর্ষণ করে … এই দম্পতী কে আমি দেখি একে অপর কে কুরআন মুখস্ত শুনানোর কম্পিটিশন করতে … নামাজের সময় জাগিয়ে দিতে, যেগুলো কে কিনা আমরা ভাবি শুধুই কল্পনাতে সম্ভব … অর্থ সম্পদ রূপ সব কিছুর আগে দ্বীন কে বেছে নিন … এমন গল্প টা সবার হোক …  

 

 

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )