The way we are ruining our child’s future -যেভাবে আমরা আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছি।
IDCAdmin
The way we are ruining our child’s future
যেভাবে আমরা আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছি।
আমাকে এক কর্মজীবী নারী একবার গর্বভরে বলেছিলেন: আমার মেয়েটা শুধু কলা খেয়ে বেঁচে আছে। বেশ গর্বভরে। বাচ্চা মেয়েটার কত জীবনীশক্তি। কলা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে, কই মাছের প্রাণ। তার সন্তানগুলো সবক’টা শুকনা টিঙটিঙা। তিনি এক প্রতিষ্ঠানের বড় অফিসার। আত্মমর্যাদাবান নারী হয়েছেন ও আল্লাহর খলিফা হয়েছেন ঐ প্রতিষ্ঠানে। ঘরে অপুষ্ট দুটো শিশু। ৯টা-৫টা অফিস করেছেন। বুয়া বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করে, না পারলে কলা খাইয়ে রেখে দেয়।
আরেক নারী রোগী পেয়েছিলাম ৯ মাসের বাচ্চাকে দুধ ছাড়িয়ে দিয়েছেন। চাকরির সুবিধার্থে। চাকরি না করলে স্বামী রাখবে না। চাকরি দেখেই বিয়ে করেছে। তাই ২৪-৯= ১৫ মাসের আল্লাহর দেয়া খাবার বঞ্চিত শিশুটা।
ঘর-বাহির নারী-পুরুষ কর্মবণ্টন বা জেন্ডার রোল আল্লাহর দেয়া। নারী শরীর, নারীমন, নারীর সাইকোলজিক্যাল প্রসেসিং, নারীর রিএকশান, নারীর সাবলিমিনাল ইনটুইশন ক্ষমতা, নারীর হরমোন। সবকিছু ‘ঘরের দুনিয়া’টা সামলানোর উপযোগী। সেখানে সে সর্বেসর্বা, অবিকল্প। এখানে তার ফুলটাইম, পুরো কর্মশক্তি, পুরো মনোযোগ, পুরো ডেডিকেশন যা করতে পারতো। অর্ধেক মনোযোগ, অর্ধেক ডেডিকেশন, অর্ধেক কর্মশক্তি দ্বারা তা অর্জন সম্ভব? মনে হচ্ছে সব তো ঠিকঠাকই চলছে। বাচ্চাটা বেঁচে তো আছেই। সমস্যা কী? এক ঘণ্টা নিয়ে যে বাচ্চাটাকে পুরো মীল খাওয়ানো লাগতো, সে দুটো কলা খেয়ে টিকে তো আছে। বাহ, কত সুন্দর সব সামলাচ্ছে। তালিয়া।
ধরেন বাচ্চাটা ‘মা’ ‘মা’ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা ঘরে। আর মা ল্যাপটপ নিয়ে গ্যারেজে পালিয়ে ডাবল মাস্টার্স বা ট্রিপল পিএইচডি করছে। বা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ঘুমিয়ে গেছে কর্পোরেট মা-কে না পেয়ে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাপারটা কেমন। যেখানে নারী-পুরুষের জেন্ডার রোল মেনে চলা ওয়াজিব (মাআরেফুল কুরআন)। যার যে দায়িত্ব, তা পালন জরুরি। এরপর অতিরিক্ত কিছু করার অনুমতি রয়েছে। পুরুষ পরিবারের রিযিকের ব্যবস্থা করে ঘরে সময় দেয়া সুন্নাহ; ঘরোয়া কাজে হাত লাগানো সময় পেলে। আবার নারীরও ‘প্রয়োজনে’ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে, ইলমের খেদমতে সময় দেবার সুযোগ রয়েছে। তবে নিজ নিজ ওয়াজিব রোল পালন করে। সেখানে ছাড় দিয়ে, কম্প্রোমাইজ করে, কেটেছেঁটে, লো কোয়ালিটি দিয়ে, জোড়াতালি দিয়ে, পালিয়ে লুকিয়ে করার সুযোগ আছে কি না, আমি জানিনা। এর পিছনে যে পশ্চিমা সেক্যুলার ফেমিনিস্ট ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী চরিত্র সেটা আপনারা দেখতে পান কি না, নাকি খালি আমিই পাই।
এইবার পিজি হাসপাতালে এমডি কোর্সের ইন্ডাকশন স্পীকার ছিল যশস্বী চিকিৎসক ও এমপি ডা. প্রাণগোপাল স্যার। উনি পর্যন্ত বলেছিলেন: যখন তোমরা এমবিবিএস ভর্তি হয়েছিলে তোমরা কারও হাত ধরে এসেছিলে (বাপমা)। আজ যখন পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে এসেছো, তোমাদের হাতে-কোলে কেউ আছে (বাচ্চা)। পড়াশোনার এই চাপে তাদেরকে ভুলে যেও না। পড়ার বাইরে বাকিটা সময় ওদেরকে দিও। বিলাসিতা ও অলসতা ত্যাগ করো। কষ্ট হলেও চেম্বার করো না কেউ।
আপনি দুইটা ফুলটাইম জব করছেন, মানে আপনি আসলে কোনোটাই ঠিকমতো করছেন না। অথবা আপনি কোনো একটাকে ফুলটাইম দায়িত্ব মনেই করছেন না। যদি তাই হয়, তবে আপনার কেবলা ইউরোপ; যারা শিখিয়েছে ঘরের কাজগুলো ছোটো নীচু অমর্যাদার, কিছুইনা। ইসলাম এটা শেখায়নি। আপনি ইসলামিয়াত পড়াচ্ছেন না, আপনি পড়াচ্ছেন ইউরোপিয়াত। আমি প্রার্থনা করি: এই বাচ্চাগুলোর কান্না শেষ বয়সে মা-গুলোকে কাঁদাক। ফিরে আসুক বুমেরাং হয়ে। হাশরের মাঠে মাফ হয়ে যাক। কিন্তু দুনিয়ায় কিছুটা শাস্তি পাক স্রেফ আত্মমর্যাদার জন্য সন্তানের হক নষ্টকারী মায়েরা। আর সন্তান রেখে স্ত্রীকে চাকরিতে বাধ্য করা স্বামীরা৷
ইউরোপিয়াত পড়ানো উস্তায-উস্তাযা থেকে সাবধান।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।