ইউনিভার্সিটি হচ্ছে আমাদের আলোচনার বিষয় / University-Is-Our-Topic-Of-Discussion
IDCAdmin
ইউনিভার্সিটি হচ্ছে আমাদের আলোচনার বিষয় / University-Is-Our-Topic-Of-Discussion
ইউনিভার্সিটি হচ্ছে আমাদের আলোচনার বিষয় / University-Is-Our-Topic-Of-Discussion
২০১৪ সালে সব থেকে বেশি পিএইচডি হোল্ডার ছিল আমেরিকাতে । প্রায় ৬৭ হাজার ছাত্র সেই বছর পিএইচডি ডিগ্রী পায় । একই বছরে ভারতের প্রায় ২৪ হাজার ছাত্র পিএইডি ডিগ্রী লাভ করে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করে । এই তালিকায় ফ্রান্সের পিএইচডি হোল্ডারদের সংখ্যা ছিল আনুমানিক ২৮ হাজার । ইউনাইটেড কিংডমের ছিল ২৫ হাজার পিএইচডি হোল্ডার । আর জাপানের ছিল প্রায় ১৬ হাজার পিএইচডি হোল্ডার । ২০১৯ সালে ভালো মানের পিএইএচডি করছে এমন ইউনিভার্সিটিগুলোর একটা র্যাংকিং প্রকাশিত হয় ।
যথারীতি এই তালিকায় প্রথম সারির তিনটা ইউনিভার্সিটির নাম হলো ,অক্সফোর্ড , ক্যামব্রিজ এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও এই তালিকায় আমি বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটির কোন নাম পেলাম না । প্রাচ্যের অক্সফোর্ড উপকূলীয় অক্সফোর্ড প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ শাটলের ক্যাম্পাস ,একটারও নাম নাই । তালিকায় জাপান , সুইজারল্যান্ড ,কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের একাধিক ক্যাম্পাসের নাম এসেছে । এসেছে ফ্রান্সের নাম । এই তালিকায় অস্ট্রেলিয়াও আছে । শুধু নাম নেই বাংলাদেশের । এই কারনে দেখবেন ভারত যখন চন্দ্র অভিযানের প্রস্তুতি নেয় তখন আমরা বসে বসে স্রেফ অন্য দেশগুলোর খারাপ দিক তুলে ধরি । ক্লাস না করেও কিভাবে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া যায় এই ধান্দায় ব্যাস্ত বাঙ্গাল শিটের পেছনে দৌড়ায় ( আমিও হয়তো এর বাইরে নই । ) প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসেসমেন্টের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গণিতে সব থেকে বেশি স্কোর করেছে সিঙ্গাপুরের ছেলেমেয়েরা ।
তাদের স্কোর ৫৫১.৭ তালিকায় থাকা ৭০ টি দেশের মধ্যে সাউথ কোরিয়ার অবস্থান ৯ম । ব্রাজিলের অবস্থান ৬৩ । উভয়ের স্কোর যথাক্রমে ৫১৯ এবং ৩৯৫ । রাশিয়ার অবস্থান ২৮ চীনের অবস্থান ১০ স্কোর যথাক্রমে ৪৯২ এবং ৫১৪ বলাইবাহুল্য এই এসেসমেন্ট শুধু ১৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদেরকে নিয়েই করা হয়েছে । সেই বয়েসটার কথা বলছি যে বয়েসে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা ৫০ টা ফেসবুক আইডি চালায় আর অমুক স্যারের কোচিং আর তমুক জায়গার শিটের জন্য লাফঝাপ করে । ঠিক ১৫/ ২০ বছর বয়সী একটা বাংলাদেশি ছেলে ইউটিউব চ্যানেল খুলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর ধান্দায় থাকে । ট্রল করে পাবলিসিটি পায় । আমাদের দেশে তাই অন্যকে রোস্ট করে বানানো ভিডিওর কদর বেশি । সম্মান বেশি পায় সেই ধান্দাবাজ ইউটিউবার । ইংল্যান্ডের পিএইচডি হোল্ডারদের গড় বয়স ২৬/২৭ বছর । অর্থাৎ তিরিশ বছর হওয়ার আগেই সেই দেশের বহু ছাত্র পিএইচডি করে ফেলে । আমেরিকাতে এই বয়েস ৩৭ বছর ।
কানাডাতে এই বয়স ৩৬ বছর । ডেনমার্কে ৩৫ বছর । অথচ এই বয়েসে আমাদের ছেলেমেয়েগুলো নামকাওয়াস্তে একটা চকুরী ম্যানেজ করে ফেসবুক আর সোস্যাল সাইটে সেগুলো নিয়ে শো অফ করে । ফাস্ট অফিস কবে করলাম অফিসের চেয়ারে বসে সেলফি । অফিসের বাথরুমে গিয়ে সেলফি । জবের কোচিং করতে গিয়ে সেলফি কোনটাই বাদ নাই । টিউশন থেকে কয় টাকা দিলো । গার্ডিয়ান নাস্তা দিলো কিনা । দিলে সেটা ভালো হলো কিনা এইগুলো হচ্ছে আমাদের আলোচনার বিষয় । প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসেসমেন্টের আরেকটি পরিসংখ্যান দেখাচ্ছি । চীনে ১৫ বছর বয়সী একজন ছাত্রছাত্রী সপ্তাহে সাড়ে তেরো ঘন্টা ব্যয় করে নিজের হোমওয়ার্কের জন্য । একই সময়ে রাশিয়ার শিক্ষার্থীরা প্রায় সাড়ে সাড়ে নয় ঘন্টা সময় ব্যয় করে । একজন সাউথ কোরিয়ান শিক্ষার্থী প্রাত্যহিক ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা সময় নিজের পড়াশুনার পেছনে ব্যয় করে । নিয়মমাফিক ৮ ঘন্টা সময় দেয় স্কুলের জন্য । এবং বাকি ৮ ঘন্টা সময় দেয় নিজেদের পড়াশুনার পেছনে । পুকুর কাটার প্রশিক্ষন নেয়ার জন্য যদিও কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় , তথাপি একটা ভালো মানের গবেষণা প্রকল্প নেয়ার জন্য টাকা পাওয়া যায় না ।
ইউনিভার্সিটিগুলোতে সারাবছর জুড়ে চলা র্যাগ ডে , পুনর্মিলনী , কনসার্ট , ফিস্ট ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক কাজ মিলিয়ে যতো টাকা খরচ হয় তার দশ ভাগের একভাগ টাকাও কি ট্যালেন্ট বের করার কাজে ব্যবহার করা হয় ? বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনার ইউনিভার্সিটিতে আপনি নিজের এপ্লাইড সাবজেক্টের উপর যে পড়াশুনা করে এসেছেন সেটা একদম পরিপূর্ন ? সত্যি কথা হলো আমরা তো ভাই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে আসি নাই । এই কারনে কম্পিউটার সাইন্সে পাস করা একটা ছেলেও প্রোগ্রাম কোডিং করতে দশবার ভুল করে । জেনেটিক্সে পড়া একটা ছেলে ক্রোমসোম জিনিসটা বুঝিয়ে বলতে পারে না । টেকনিক্যাল সাবজেক্টে পড়াশুনা না করেও তাই আমাদের দেশে টেকনিক্যাল পোস্টে সহজেই চান্স পাওয়া যায় । কথাগুলো হতাশ করার জন্য বলা হয়নি । শুধু সত্যিটা তুলে ধরার জন্য টু দ্যা পয়েন্টে কিছু মার্ক করা হয়েছে ।
অতঃপর ভারত পাকিস্তানের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে থাকুন । ধন্যবাদ 🙂 লিখেছেনঃ Arafat Abdullah (মধ্যরাতের অশ্বারোহী) University Of Chittagong স্বপ্ন দেখি এবং আল্লাহ্র কাছে দোয়া করি, “আইডিসি ইংলিশ মিডিয়াম মাদরাসার” অনেক ছাত্র ছাত্রী পিএইচডি হোল্ডার হবে, ইংশাআল্লাহ্ , আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা কাম্য, বিস্তারিতঃ ০১৭১৬ ৯৮৮ ৯৫৩।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।