Why I Quit My Job At The Government Bank-কেন আমি সরকারী ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিলাম

Why I Quit My Job At The Government Bank

Why I Quit My Job At The Government Bank-কেন আমি সরকারী ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিলাম

                                                                                          ———— Irfan Kazi

রামাদ্বান ১৪৪০(২০১৯) এবং ১৪৪২(২০২১) বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ আমার কাছে। এই সময়টায় অনেক পতন দেখতে হয়েছে আমার। যদিও এক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি আমাকে বিশেষতই সাহায্য করেছে। রামাদ্বান ১৪৪০ এ আমি ছিলাম একজন সরকারী ব্যাংকার। আর ১৪৪২ এ এসে একটি বেসরকারী আইটি কোম্পানির সামান্য একজন কর্মকর্তা। সামান্য বলছি কারণ অনেকের চোখে এটা সামান্যই। কিন্তু আমার জন্য অসামান্য বৈকি।
এই দুবছরে আমি কিছু লোভী, স্বার্থান্বেষী, চাটুকার চোখ চিনেছি। যারা সরকারী চাকরির সুবাদে বিনা কারণেই কাছে ঘেষত, তাদের দূরে সরে যেতে দেখেছি। যারা অকারণে সম্মান প্রদর্শন করত, তাদের কাছে অপমানিত হয়েছি। অনেকে খুব অবাক হত। “সরকারি চাকরি ছেড়ে দিলা?” “ব্যাংক মানেই হারাম নয়, তুমি তো পরিশ্রম করে ইনকাম করছ” “বেশি বুঝলে যা হয়!” “তোমাকে স্মার্ট ভাবছিলাম। কি করলা এটা?” সবকিছু উল্লেখ করার মতও নয়। তবে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই।
কেন আমি সরকারী ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিলাম যা হয়তো কিছু মানুষের জন্য পরম আরাধ্য। দেখে আসি।
১. সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৫-২৭৯। যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।
২. সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩০। হে মুমিনগণ, তোমরা সুদ খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও।
৩. হযরত মূসা ইবনে ইসমাঈল (রঃ, সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আজ রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট এসে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌছলাম। নদীর মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায়, তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খন্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে সে যতবার বেরিয়ে আসতে চায়,ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি রক্তের নদীতে দেখছেন, সে হল সূদখোর। (বুখারীঃঅধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ১৯৫৫)
৪. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞেস করা হল,হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সে গুলো কি কি? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, যাদু টোনা করা, আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন এমন প্রাণীকে অকারণে হত্যা করা, এতীমের মাল আত্মসাত করা, সুদ খাওয়া, জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং সতী সাধ্বী নিষ্কলুষ মুমিন মহিলার উপর ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। (মুসলিম, কিতাবুল ইমানঃ১৭০)
৫. হযরত আহমদ ইবনে ইউনুস(রঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূদখোর, সূদ দাতা, এর সাক্ষী এবং সুদের হিসাব/দলীল লেখক-সকল কে অভিশাপ দিয়েছেন। আর তিনি এদের সবাই কে সমান অপরাধী বলেছেন। (আবু দাউদ,অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ৩৩০০)
৬. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রঃ), আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সুদের সত্তরটি স্তর রয়েছে। সবচেয়ে নিম্নটি হল-নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা। (ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃ সুদ, ২২৭৪)
৭. হযরত আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি এমন এক গোত্রের পাশ দিয়ে গমন করি,যাদের পেট ছিল ঘরের মত বড়, যার মধ্যে বিভিন্ন রকম সাপ বাহির থেকে দেখা যাচ্ছিল। আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হল সুদখোর।(ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃ সুদ, ২২৭৩)
৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জেনেশুনে এক দিরহাম পরিমান সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ছত্রিশ বার ব্যভিচারের চাইতেও অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমদঃ ১০৩৩)
৯. আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, সূদের দ্বারা সম্পদ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন তার শেষ পরিণতি হ’ল নিঃস্বতা। (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭, সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৭০৩, ৬/২৭ পৃঃ।)
১০. সুরা তাওবাঃ আয়াত ২৯। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’।
১১. দেহের যে অংশ হারাম মাল দ্বারা পালিত হয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। হারাম পথের উপার্জন জাহান্নামে যাওয়ার পথকে সহজ করে দেবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘যে বান্দা হারাম সম্পদ উপার্জন করে, যদিও সে সদকা করে তা কবুল হবে না। আর যদি ব্যয় করে তবে তাতেও কোনো বরকত হবে না। আর যদি রেখে মারা যায় তা জাহান্নামে যাওয়ার পাথেয় হবে। আল্লাহ তায়ালা মন্দ (কাজ) দ্বারা মন্দকে মিটিয়ে দেন না, হ্যাঁ ভালো কাজ দ্বারা মন্দকে মিটিয়ে দেন, নিঃসন্দেহে নাপাকীকে নাপাকী দূরীভূত করতে পারে না।’ (মুসনাদে আহমদ : ৩৬৭২)
উপরে গেল কিতাবি কথা যেগুলোর অস্তিত্ব যুগে যুগে সুদ, সুদের ব্যাবসাকে নিকৃষ্টতম পাপের সাক্ষ্য দিয়ে আসছে। কিন্তু আমাকে ট্রিগার করেছিল কোনটা। সত্যি করে বলতে গেলে, আমাকে ট্রিগার করেছিল একদম প্রথমে পয়েণ্ট নং ৬। তারপর পয়েণ্ট নং ৮। তারপর পয়েণ্ট নং ১। তারপর পয়েণ্ট নং ১১।
পয়েণ্ট নং ৬ এর হাদিসটা যেদিন প্রথম শুনেছিলাম, ঘেন্নায় আমার শরীর কেঁপে উঠেছিল। আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি মেনেই নিতে পারিনি যে তুলনাটা কত অসহনীয় পর্যায়ের ভয়ংকর হতে পারে। আমি জানিনা যারা এখনো এর সাথে জড়িত তারা কিভাবে এটা সহ্য করে নেয়। পয়েণ্ট নং ৮ ও তাই। ১ নং পয়েণ্টটা আমরা দূর্বল ঈমানের লোকজন ততটা উপলব্ধি করতে পারিনা। একবার একটু চিন্তা করি তো? আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে যুদ্ধ! সৃষ্টির সাথে কি স্রষ্টার যুদ্ধ চলে? কি ভয়ংকর! শেষে আসে ১১ নং পয়েণ্ট। খুবই যৎসামান্য দান-সদকার অভ্যাস ছিল। হারাম আয়ে তা যদি কবুলই না হল, টুটা-ফাটা ইবাদাত যদি কবুলই না হল তবে সেই আয়ের মূল্য কী থাকে!
এবার আসি কোত্থেকে সাহস পেলাম ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার।
১. সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩। ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিজিক দেবেন যা সে ধারণাও করতে পারবে না।’
২. সুরা সাবা : আয়াত ৩৯। হে নবী! তাদেরকে বলুন, ‘আমার রব তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান মুক্ত হস্তে রিজিক দান করেন এবং যাকে চান মাপা-জোখা দেন। যা কিছু তোমরা ব্যয় করে দাও তার জায়গায় তিনি তোমাদের আরও দেন, তিনি সব রিজিকদাতার চেয়ে উত্তম রিজিকদাতা।’
কিছু ব্যাংকার বন্ধুর সাথে মাঝে মাঝে কথা হয়। নাম নেবনা। তাদের একটা কথা খুব কষ্ট দেয়। আয়ে বরকত নেই। থাকার কথাও না যদিও। কিন্তু হারাম থেকে ফিরে আসা সহজ নয়। আল্লাহ্‌ তা’আলা তো বলেই দিয়েছেন। সূরা বাকারা, আয়াত ২৬৮। শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায়, আর তোমাদেরকে অশ্লীল কাজ করতে তাগাদা দেয়। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং প্রাচুর্যের নিশ্চয়তা দেন। আল্লাহ তো সবকিছু ঘিরে আছেন, তিনি সব জানেন।
তবে এই কঠিন সময়েও সবরের পাশাপাশি আমাকে পূর্ণরুপে সাহায্য করেছেন আমার আহলিয়া, বাবা ও মা। তাদের কথা আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি।
যারা কষ্ট করে পড়েছেন তাদের জন্য শুভকামনা। যারা এই হারামকে হালাল বলে ফতোয়া দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের কাছে অনুরোধ এই রামাদ্বান মাসে অন্তত ঈমান হারিয়ে ফেলবেন না। আপনি হারামকে হালাল মনে করলে অতি অবশ্যই আপনি ঈমানহারা হবেন, কুফরি করবেন। যারা বিকল্প ব্যবস্থা জানতে চাচ্ছেন তারা নিকটস্থ আলেম বা ইমামের সহযোগিতা নিন। নিজস্ব কমিউনিটি করুন আর্থিক লেনদেনের জন্য। তারপরও সুদের চক্রকে প্রতিহত করার চেষ্টা করুন। আমার চেষ্টাই আমার আখিরাত। সব যুদ্ধ জেতা যায়না। কিন্তু নফসকে জিততেও দেওয়া যায়না। ওয়াল্লাহু আলাম।
আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Related posts

Overcoming procrastination with faith

by IDCAdmin
10 months ago

The Patience of Prophet Ayyub: A Lesson in Iman

by MasudDemra
7 months ago

Reasons for Breaking Faith – ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণ

by IDCAdmin
4 years ago
Exit mobile version