Will Women Get Hurr In Paradise-জান্নাতে নারীরা কি হুর পাবেন?
IDCAdmin
Will Women Get Hurr In Paradise-জান্নাতে নারীরা কি হুর পাবেন?
জান্নাতে পুরুষ হুর পাবে এইজন্য অনেক বোনেরা নিজে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে তাদের জন্য হুর আছে কিনা আজকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
জান্নাতে থাকে উত্তম চরিত্রের সুন্দরীগণ।(রাহমান)
এইখানে শুধু জান্নাতের নারীর কথা বলা হয় নি বরং যেসব দুনিয়ার নারী জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চরিত্রও হবে উত্তম এবং চেহারা হবে অত্যন্ত সুন্দর। তাঁবুতে থাকবে সুরক্ষিত হুর।(রাহমান)
আল্লাহ কোরআনে ৪ জায়গায় হুরের কথা উল্লেখ করেছেন কিন্তু কোথাও বলেন নি যে,জান্নাতি হুর শুধুমাত্র পুরুষরাই পাবে বরং বলেছেন যে যারা মুমিন তাদের জন্য হুরের ব্যবস্থা থাকবে অর্থাৎ পুরুষদের মতো নারীদের জন্যও হুর থাকবে তবে সেই হুর কেমন হবে তা আল্লাহ তায়ালা
কোরআনে উল্লেখ করেন নি কেননা নারীরা লাজুক প্রকৃতির তাই কোরআনে পুরুষ হুরের বর্ননা থাকলে তারা হয়ত নিজেরাই লজ্জিত হয়ে যেত তাই আল্লাহ তায়ালা নারীদেরকে লজ্জিত করতে চাননি তাই এই আলাদা ভাবে পুরুষ হুরের কথা উল্লেখ না করে তিনি হুরের কথা উল্লেখ করেছেন।
অতএব,তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?(রাহমান)
এখানে উভয় দ্বারা কিন্তু শুধু পুরুষ বুঝায় না বরং নারী এবং পুরুষ উভয় শ্রেণিরই মানুষ এবং জ্বীন জাতি বোঝাচ্ছে।এটাকে কেউ অস্বীকার করে বলতে পারবে না যে,এইখানে উভয় দ্বারা আল্লাহ তায়ালা পুরুষ বুঝিয়েছেন।
মুত্তাকীদের জন্য থাকবে তাদের পুরস্কার স্বরুপ হুর।(ওয়াকিয়া)
মুত্তাকী তো শুধু পুরুষ হয় না বরং নারীও মুত্তাকী হয়।আর আল্লাহ যতবার মুমিন পুরুষের কথা উল্লেখ করেছেন ততবার মুমিন নারীর কথাও উল্লেখ করেছেন আবার
জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও আল্লাহ তায়ালা এমনকি জান্নাতের পুরস্কার হিসেবেও আলাদা করে শুধু পুরুষ পুরস্কার হিসেবে হুর পাবে তা মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন নি।তাই বলা যায় যে,জান্নাতে নারী পুরুষ উভয়ই সমান প্রতিদান এবং পুরস্কার পাবে এটাই
সত্য তাই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে,
যে মুমিন অবস্থায় সৎকাজ করবে সে নারী হোক বা পুরুষ হোক তাকে আমি দুনিয়ায় প্রশান্তিময় পবিত্র জীবন এবং জান্নাতে নেক আমলের বিনিময়ে উত্তম জীবন দান করব।(নাহল-৯৭)
যে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং বিন্দুমাত্রও জুলুমের শিকার হবে না আর তাদের জন্য থাকবে পবিত্র সঙ্গী।(নিসা-১২৪)
জান্নাতের আটটি দরজার যেকোন দরজা দিয়ে ইচ্ছে মুমিন নারী প্রবেশ করতে পারবে নিম্নোক্ত কাজ করতে পারলে-
১।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে
২।রমজানের রোজা রাখলে
৩।লজ্জাস্থানের হেফাজত করলে
৪।স্বামীর আনুগত্য করলে
নিশ্চয়ই ঈমানদার নারী জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাতের নারী হুরদের থেকেও ৭০ হাজার গুণ বেশি সুন্দরী এবং উত্তম হবে।(আত্তাজ-কিরাহ্,পৃষ্ঠা-৫৫৬)
জান্নাতে যেসব নারী প্রবেশ করবে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতি নারী হুরদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করবেন আর নিজ চেহারার নূর ঢেলে দিবেন,তাদেরকে রেশমের ও জাফরানের পোশাক পরিধান করাবেন,স্বর্নের আংটি পরিধান করাবেন এবং মেশকে আম্বর দিয়ে ভরিয়ে দিবেন।(তাবারানি)
নিশ্চয়ই যে নারী তার স্বামীকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠায়,নিজেকে হেফাজত করে ও ঘরে থাকে তবে সে জান্নাতের নারী হুরদের রাণী হবে।তাকে জান্নাতে গোসল দেয়া হবে আর তারপর তারা ঘোড়ায় সওয়ার করে তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে।(আল-হাদিস)
ক্রেডিট: উঞ্জিলা ফেরদৌস সুস্মিতা
আরও পড়ুন…
Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!