The Concept of Competition and Award in Islam -ইসলামে প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের ধারণা
IDCAdmin
The Concept of Competition and Award in Islam – ইসলামে প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের ধারণা
নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় একবার ঘোড়দৌড় (Horse Race) প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। ঘোড়াগুলোর মধ্যে কিছু ঘোড়া ছিলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, কিছু ঘোড়া ছিলো প্রশিক্ষণহীন।
স্কুলের দৌড় প্রতিযোগিতা যেমন দুটো ক্যাটাগরিতে থাকে ‘বড়োদের দৌড়’, ‘ছোটোদের দৌড়’, তেমনি রাসূলুল্লাহও (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটো ক্যাটাগরি করলেন।
এক ক্যাটাগরিতে রাখা হলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়া। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়ার দৌড়ের Start Line আর Finish Line নির্ধারণ করা হলো হাফ্য়া থেকে সানিয়াতুল বিদা পর্যন্ত। যার দূরত্ব প্রায় ৫-৬ মাইল।
অন্যদিকে, প্রশিক্ষণহীন ঘোড়াগুলোকে রাখা হলো আলাদা ক্যাটাগরিতে। এই ক্যাটাগরির স্টার্ট লাইন ও ফিনিশ লাইন ছিলো সানিয়া থেকে বনু যুরাইকের মসজিদ পর্যন্ত। যার দূরত্ব প্রায় ১ মাইল।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মূল প্রতিযোগী ছিলেন সাহাবীগণ। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তখন কিশোর সাহাবী। তিনিও সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সময়ে তিন ধরণের প্রতিযোগিতার বৈধতা প্রদান করেন।
সেগুলো ছিলো:
১- তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা (Archery)
২- ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা (Horse Race)
৩- উটদৌড় প্রতিযোগিতা (Camel Race)।
মদীনার ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতার পাশাপাশি উটদৌড়ের প্রতিযোগিতাও হতো। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের একটি রেইসিং কেমেল ছিলো। সেই উটের নাম ছিলো ‘আযবা’। উটটির ট্র্যাক রেকর্ড ছিলো চমৎকার। উটটিকে কখনো কোনো উট হারাতে পারেনি। শেষমেশ একদিন আযবা উট তার অপরাজিত থাকার রেকর্ড হারিয়ে ফেলে। এক বেদুইন যুবকের উট আযবা উটকে দৌড় প্রতিযোগিতায় হারিয়ে ফেলে।
সাহাবীরা অনেক কষ্ট পেলেন। নবিজীর উট হেরে গেলো! তারা যেনো নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।
নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে সান্ত্বনা দিলেন। এই সান্ত্বনা বাক্যের মধ্যে তিনি জানিয়ে দিলেন পৃথিবীর বাস্তবতার কথা। তিনি বললেন:
“দুনিয়ার সবকিছুরই উত্থানের পর পতন আছে।”
দুনিয়ার কোনো রেকর্ড চিরস্থায়ী না। আপনার আজকের রেকর্ড আগামীকাল কেউ একজন ভেঙ্গে ফেলবে। আপনি হয়তো এস.এস.সি-এইচ.এস.সিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। খুব প্রফুল্লবোধ করছেন, হতে পারে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আপনি চান্স পাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বা মেধাতালিকায় শীর্ষস্থানীয় অনেকেই ড্রপআউট করছে।
পুনশ্চ:
ব্রিটিশ আমলে ঢাকায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হতো ‘রেসকোর্স ময়দানে’। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
তথ্যসূত্র:
১. সহীহ বুখারী: ২৮৬৮।
২. জামে আত-তিরমিজি: ১৭০০।
৩. সহীহ বুখারী: ২৮৭২।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।