বাথ সল্ট এবং রুকইয়ার গোসল / Bath-Salt-And-Bath-Of-Ruqyah

 

Bath-Salt-And-Bath-Of-Ruqyah

 

বাথ সল্ট এবং রুকইয়ার গোসল / Bath-Salt-And-Bath-Of-Ruqyah

 

বাথ সল্ট বা গোসলের লবণ। বড়সড় প্রসাধনীর দোকান বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কিংবা অনলাইন শপগুলোতে খোজ করলে পাবেন আশা করি। অথবা আপনি DIY পারসন হলে, গুগলে খোঁচা দিয়ে চাইলে নিজে বাথ সল্ট বানানোর পদ্ধতি খুঁজে নিতে পারেন। সাধারণ লবণের মত না, বরং একটু বড়বড় দানা, কখনও দলাদলা হয়ে থাকে। এটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করতে হয়। এমনিতেই এর অনেকগুলো উপকারিতা আছে, যেমন- পেইন কমানো, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, ঘুমের সমস্যা কমানো, ত্বকের দাগ দূর হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি! আরও ফায়দার জন্য আমরা চাইলে এটাকে রুকইয়ার গোসলে ব্যবহার করতে পারি। যাদু, জিন, বদনজর ইত্যাদির চিকিতসায় এই গোসলটা করা যেতে পারে।

সরল-সহজ গোসলের রেসিপি:

১. বাথ সল্ট ১ টেবিল চামচ।

২. (সম্ভব হলে) ৭টি বরই পাতা।

৩. একটা গামলা বা এরকম কোন যায়গায় হালকা গরম পানি নিয়ে এরমধ্যে এই দুইটা জিনিশ গুলান।

৪. এবং সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি- ৭বার। ইখলাস, ফালাক, নাস – ৩বার করে পড়ুন এবং ফুঁ দিন। (সমস্যা অনুযায়ী এর সাথে আরও কিছু আয়াত, যেমন- সিহরের আয়াত, আয়াতে শিফা বা রুকইয়ার অন্যান্য আয়াত পড়তে পারেন)

৫. পড়া শেষে এটা গোসলের হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করে নিন। বাথট্যাবে গোসল করলে ১০-১৫ মিনিট সেখানে নিজেকে ডুবিয়ে রাখুন।

  • আপনি চাইলে বাথ সল্ট, বরই পাতা এবং পানির ওপর আগেই রুকইয়ার আয়াত বা দোয়া পড়ে নিতে পারেন, পরে জাস্ট একসাথে মিশিয়ে গোসল করলেন। তবে আমার মনে হয়, প্রতিবার এসব গুলানো এবং পড়া বেশি ভালো।
  •  সাধারণভাবে পরপর ৩দিন বা ৭দিন গোসল করতে বলা হয়। বাদবাকি আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে প্রয়োজনে আপনি কমবেশি করতে পারেন, সমস্যা নাই।
  •  এছাড়া রুকইয়াহ গোসলের আরও অনেক পদ্ধতি আছে, এর আগে আমরা বদনজর অধ্যায়ে এবং সিহরের অধ্যায়ে দুটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। একটা পানিতে হাত রেখে দোয়া-কালাম পড়া, এটা ভারতীয় এক আলেমের বলা মেথড। আরেকটা হচ্ছে, ৭টি বরই পাতা পিষে পানিতে গুলিয়ে দোয়া-কালাম পড়া, এটা বিন বায রহ. এবং শাইখ ওয়াহিদ আব্দুস সালামের লেখায় পড়েছি, ইমাম নববি রহ.ও নাকি কোথায় যেন এই পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন, তবে সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি এখনও।

যাইহোক, আজকে বলা রুকইয়ার গোসলটা করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার হবে। আর হ্যা! আপনার গোসলের অভিজ্ঞতা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।  

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )