পড়ালেখা নষ্ট এবং পাগল বানানোর যাদু / Magic-For-Making-Mad

 

Magic-For-Making-Mad

 

পড়ালেখা নষ্ট এবং পাগল বানানোর যাদু / Magic-For-Making-Mad

আজকে পাগল করার যাদু নিয়ে আলোচনা করা হবে। অর্থাৎ যাদু করার কারণে কেউ যদি পাগল হয়ে যায়, বা পাগল করার যাদুর ক্ষেত্রে প্রায় সময়ই জ্বিন দিয়ে করা হয়, এজন্য প্রথমে সরাসরি রুকইয়া করাই উত্তম, পরে সাজেশন অনুযায়ী তিলাওয়াতের অডিও শোনা যেতে পারে। অন্যান্য ক্ষতিকারক যাদুর মত পাগল করার যাদুতেও সাধারণত আস্তে আস্তে প্রভাব পড়ে, একদিনেই মাথা নষ্ট হয় না।

এর লক্ষণ হিসেবে বলা যায়-

১. ঠিকমতো ঘুমাতে না পারা

২. কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে পারা

. এক যায়গায় অল্পক্ষণ থাকলেই অধৈর্য হয়ে যাওয়া

৪. কাজকর্মে কথাবার্তায় ভুল ভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া

৫. চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা

৬. অহেতুক কোনো কারণ ছাড়া হাটতে থাকা

৭. অবস্থা বেশি খারাপ হলে একদম পাগলের মত আচরণ করবে রাসুল স. এর সময়ের একটা ঘটনা আছে এরকম, কোনো গোত্রের একটা লোক পাগল হয়ে গিয়েছিল, পরে এক সাহাবী ওঁই গোত্রের এলাকার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা বলে- তোমাদের সাথি (মুহাম্মাদ স.) নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ এনেছেন? দেখত এর কিছু করতে পারো কিনা, আমরা অনেক চিকিৎসা করিয়েছি সুস্থ হয়নি। তখন ওঁই সাহাবী সুরা ফাতিহা পড়ে রুকিয়া করেছেন, আর পাগল লোকটা সুস্থ হয়ে গেছে। পরে সাহাবী এসে রাসুল স.কে এই ঘটনা শোনালে রাসুল স. জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি শুধুই সুরা ফাতিহা পড়েছিলে? সাহাবী রা. বলেন হ্যাঁ, তখন কোরআন দিয়ে রুকইয়া করার জন্য রাসুল স. প্রশংসা করেন। [আবু দাউদ] (কোথাও দেখেছিলাম, অন্য বর্ণনায় আছে উনি ৩দিন সকাল-সন্ধ্যা সুরা ফাতিহা কয়েকবার পড়েছেন, আর পড়া শেষে ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে থুতু দিয়েছেন)

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, কারো পড়ালেখা নষ্ট করার জন্য সচরাচর এই যাদুটাই করা হয়। অর্থাৎ পড়ালেখায় আগে বেশ ভালো ছিল, পরে হঠাত ধ্বস নেমেছে। এর পেছনে কারণ যদি হয় কেউ যাদু করছে, তাহলে আজকের পদ্ধতিতেই রুকিয়া করাবেন। 

পাগল বানানোর যাদুর জন্য রুকইয়া:

১. জ্বিন সিরিজে বলা নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে, রুগীর কাছে বসে যথাসম্ভব জোর আওয়াজে রুকইয়ার আয়াতগুলো পড়বেন। হয়তো জ্বিন চলে আসবে, তখন জ্বিন সিরিজে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে ডিল করবেন। জিজ্ঞেস করুন কেন ক্ষতি করছে, কেন কষ্ট দিচ্ছে। কেউ যাদু করলে কোথায় আছে যাদুর জিনিশ ইত্যাদি জিজ্ঞেস করে জ্বিন বিদায় করতে হবে।

২. আর যদি জ্বিন না আসে তবে আরো ২/৩বার রুকইয়া করে দেখুন। এরপর তবে এক গ্লাস পানি নিয়ে “আয়াতুল কুরসি, সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২, ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯” এই আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। এবং সেটা এখনি খেতে বলুন, অনেকের ক্ষেত্রে পানি খেয়ে সাথেসাথেই বমি হয়ে একদম ভালো হয়ে যায়।

৩. তারপরে নিচে বলা প্রেস্ক্রিপশন দিয়ে দিন, একমাস অথবা পঁয়তাল্লিশ দিন দেখা করে আপডেট জানাতে বলুন। পুরাপুরি ভালো না হলে, আবার রুকইয়া করে দেখুন, লাগলে আবার একই প্রেস্ক্রিপশন দিন। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে।

পাগল বানানোর যাদুর জন্য সেলফ রুকইয়া:

১. এই যাদুর ক্ষেত্রে যেহেতু জ্বিনের সাহায্য নেয়া হয়, এজন্য রুকইয়া করার পাশাপাশি একজন আলেমের সাথেও যোগাযোগ রাখবেন, তাহলে উনিও হেল্প করতে পারবেন। অথবা যদি পরিবারের অন্য কেউ যদি রুকইয়ার আয়াতগুলো পড়ে রুকইয়া করেন, তাহলেও হবে। আর এক্ষেত্রে অনেকের অবস্থা যেহেতু খুবই খারাপ থাকে, তাই সাধারণত অন্য কারো হেল্প নেয়া লাগেই। সব মিলিয়ে বলবো, একা একা রুকইয়া না করে, অন্তত অবস্থা পর্যবেক্ষন করার জন্য হলেও কেউ একজন সাথে থাকলে খুব ভালো হয়।

২. সেলফ রুকইয়ার জন্য প্রথমে পাকসাফ হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ুন। এরপর আল্লাহর কাছে আপনার সমস্যার কথা বলে সুস্থতার জন্য দু’আ করুন, তারপর দরুদ ইস্তিগফার পড়ে ট্রিটমেন্ট শুরু করুন। পানি রাখুন কাছে। এরপর প্রথমে সিহরের রুকইয়া বা অন্য কারো কমন রুকইয়া শুনুন। সমস্যা থাকলে তো বুঝতে পারবেন, যে যাদুর সমস্যা আছে।

৩. এরপর এক গ্লাস পানি নিয়ে “আয়াতুল কুরসি, সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২, ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯” এই আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিন। এবং খেয়ে নিন, কষ্ট হলেও খাবেন। সাথেসাথে বমি হয়ে অনেকের তখনই ভালো হয়ে যায়। নইলে সমস্যা একদম ভালো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নিচের প্রেসক্রিপশন ফলো করুন।

৪. একমাস পর আবার শুরু থেকে রুকইয়া করে দেখুন, সমস্যা বুঝতে পারলে প্রেসক্রিপশনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিন।

প্রেসক্রিপশন:

১. এক থেকে দেড় মাস প্রতিদিন বেশি থেকে বেশি রুকইয়া শুনতে হবে। সাধারণ রুকইয়া, সুরা বাক্বারা, সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, মূলক, জ্বিন, আ’লা, যিলযাল, ইখলাস, ফালাক্ব, নাস এগুলো কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা শুনবেন। যদি আরো বেশি শুনতে পারেন, আরো ভালো! (ডাউনলোড লিংক কমেন্টে দেখুন)

২. এই সিহরের চিকিৎসায় রুকইয়া শুনতে হয় বেশি, তবুও মাঝেমধ্যে রুকইয়ার গোসল করবেন। রুকইয়ার গোসলের নিয়ম: বালতিতে পানি নিয়ে তাতে দু’হাত ডুবিয়ে যেকোনো দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস, শেষে আবার দরুদ শরিফ- সবগুলো ৭বার করে পড়বেন। (৭বার নাহলে ৩বার পড়ুন, বাঁধাধরা নেই। বেশি পড়লে বেশি ভালো) পড়া শেষে ফুঁ দিবেন না, এমনিই ওই পানি দিয়ে গোসল করবেন। রুকইয়ার গোসল করার পর, চাইলে অন্য পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। আর টয়লেট এবং গোসলখানা একসাথে থাকলে সুরাগুলো পড়ার সময় বালতি বাহিরে এনে পড়বেন।

৩. রুকইয়া ভালোভাবে কার্যকর হতে নামাজ-কালাম ঠিকঠাক পড়তে হবে। ফরজ ইবাদাতে যেন ত্রুটি না হয়। (মেয়েদের জন্য পর্দা করাও ফরজ)

৪. সকাল সন্ধ্যার মাসনুন দোয়া, এবং ৩ ক্বুল (সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস)এর আমল ঠিকঠাক করবেন।

৫. ঘুমের আগে তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে বুলিয়ে নিবেন। আর আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন।

লক্ষণীয়ঃ

১। রুকইয়া চলবে যে কয়দিন, এর মাঝে ব্যাথানাশক কোনো ঔষধ খাওয়া যাবেনা। চাইলে হিজামা করাতে পারেন, ইনশাআল্লাহ উপকার হবে।

২। যদি ইতোমধ্যেই ব্রেইনের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়, তবে অবশ্যই রুকইয়ার সাথে ডাক্তারের চিকিৎসা করাতে হবে।

৩। রুকইয়া শোনার সময় কষ্ট হতে পারে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে যদি বেশি কষ্ট হয়, তখন উপরে বলা নিয়ম অনুযায়ী একবার রুকইয়ার গোসল করে নিবেন। আর পাগল করার যাদু আক্রান্ত হলে রুকইয়া শুনতে গিয়ে অনেক সময় এমনও হয়, রুকইয়া শুনতে শুনতে অজ্ঞান হয়ে যায়, জ্বিন ভর করে আবোলতাবোল বকতে থাকে। এক্ষেত্রে রুকইয়া বন্ধ করা যাবেনা, শুনাতেই থাকতে হবে। না শুনতে চাইলে জোর করে বা কৌশলে শোনাতে হবে।

৪। আর সমস্যা ভালো হওয়ার পরেও অন্তত এক-দুই সপ্তাহ রুকইয়াহ শোনাতে হবে, আর আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।  

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )