যে কারণে স্বামীকে নিজ মুখে মাসনার কথা মনে করিয়ে দেবেন / For-That-Reason-Remind-The-Husband-Of-Masnah
Pending
0
যে কারণে স্বামীকে নিজ মুখে মাসনার কথা মনে করিয়ে দেবেন / For-That-Reason-Remind-The-Husband-Of-Masnah
যে কারণে স্বামীকে নিজ মুখে মাসনার কথা মনে করিয়ে দেবেন / For-That-Reason-Remind-The-Husband-Of-Masnah
যে কারণে স্বামীকে নিজ মুখে মাসনার কথা মনে করিয়ে দেবেন কথাটি হয়তো ভাইয়াদের ভালো লাগবেনা। কিন্তু এটাই সত্য যে সৃষ্টিগতভাবে পুরুষদের বহুগামিতা রোগ আছে, পুরুষ স্বীকার করুক আর লজ্জায় অস্বীকার করুক, কথাটা সত্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় সকল পুরুষ কল্পনায় একাধিক স্ত্রীর স্বপ্ন বুনে। এটাই বাস্তবতা। ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন যত বীর পুরুষদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিখা আছে, প্রায় সবাই বহুগামী ছিলেন। আমি সভ্য ইতিহাসের কথা বলছি। অসভ্য জংলী ইতিহাসের কথা বলছিনা যেখানে দ্রুপদীর পাচ স্বামী ছিল। এখন আমরা ফিতনার চরম সময়ে অবস্থান করছি। দিন দিন ফিতনা আরো বাড়তে থাকবে। আমি বনানীতে আপুর বাসায় গেলে দেখি মোড়ে দাড়িয়ে স্বল্পবসনা কিশোরী ধুম্রপান করে হারাম সংগীর সাথে। লজ্জায় আপাদমস্তক কালোকাপড়ে ঢাকা আমার মাথা নীচু হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আমার স্বামীরও চোখ সেদিকে যেতেই পারে, যেহেতু আমার যায়! কর্পোরেট সমাজের চাকচিক্যে ঢাকা অফিসে এলোমেলো বসনের, খোলা চুলের, সুগন্ধিমাখা গাইরে মাহরাম কলিগ যখন আবেদময়ী কন্ঠে আলাপ জমাতে চাইবে, হয়তো নয়বার আমার স্বামী এড়িয়ে যাবেন, দশম বার হয়তো বাধ্য হয়ে ম্যাডামের ফাউ আলাপ শুনতে হবে। হয়তো মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা শাইখের এই টাইপ অভিজ্ঞতা কম।
উনাদের এসব দেখতে হয় কম। ঠিক এমন একটা সময়ে আমি হয়তো সব সময় উনার মনমতো হতে পারব না। হয়তো আমার সন্তানের সাথে ছুটতে ছুটতে আমি ক্লান্ত থাকব। হয়তো প্রেগন্যান্সির নয় মাসের মাঝে সহবাসের জন্য নিষিদ্ধ ছয় মাস আর প্রসব পরবর্তী অসুস্থতাজনিত দুই মাস আমার স্বামীর প্রতিনিয়ত স্বপ্নদোষ হতে থাকবে। হয়তো উনি আমাকে বলবেন না। হয়তো পারস্পরিক আনুগত্য আর ভালোবাসা উনার মনোভাব প্রকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। হয়তো আমার ভয়ে আমার স্বামী মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারবেননা! ঠিক এমন সময়ে আমার স্বামী যাতে চোখ, জবান আর লজ্জাস্থানের সঠিক হেফাযত করতে পারেন। আমি তাই উনাকে মনে করিয়ে দেব, “তোমার আমলনামা, তুমি কি দিয়ে ভরবা তুমিই জানো, আমি যেখানে তোমাকে হালাল গ্রহণে বাধা দিচ্ছিনা, সেখানে তুমি যদি হারামে জড়াও, এর দায়ভার আমার নয়।” অন্তত আল্লাহকে বলতে বলতে পারব, আমি আমার স্বামীকে বাধা দেইনি ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মোহে পড়ে। আমি দুনিয়ার মোহে পড়িনি আল্লাহ!
😥 যে স্বামীকে স্বার্থপর আহাম্মক এর মত আগলে রাখতে চাইব আর উনার চরিত্রস্খলনের দায়ভার গুনাহে জারিয়া হিসেবে নিয়ে নেব, উনি যে আমাকে হাশরে মনে রাখবেন, তার কি গ্যারান্টি?? আর আমি যদি সবসময় উনাকে মনে করিয়ে দেই, “তোমার মন চাইলে তুমি মাসনা গ্রহণ করতে পার, তবু কুনারীর দিকে দৃষ্টি দিওনা, জাহান্নামের দিকে ছুটে যেওনা, আমি তোমাকে জান্নাতে চাই, এর বিনিময়ে আমি দুনিয়ায় সামান্য কষ্ট ভোগ করতে রাজি আছি!” আমার বিশ্বাস, আমার স্বামীর সামনে যখনই গাইরে মাহরাম নারী আসবে, উনার কানে বাজতে থাকবে সতর্কবার্তা, “কুনারীর দিকে দৃষ্টি দিওনা, জাহান্নামের দিকে ছুটে যেওনা….” কারণ আমি উনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি, তাই উনাকে হারাতে চাইনা। উনাকে জাহান্নামের দিকে এগিয়ে দিতে চাইনা। উনার গুনাহগুলার ভাগ ও নিতে চাইনা। কারণ আমি উনাকে জান্নাতে চাই।
😥😥😥 এখন এতে সবদিকে আমারই ফায়দা। কীভাবে? #আমার স্বামী চরিত্র হেফাযত করতে পারবেন। #উনি মাসনা গ্রহণ করুক আর নাই করুক, উনি সর্বদা সতর্ক থাকবেন। #আমার প্রতি উনার ভালোবাসা আর সম্মান বেড়ে যাবে। #আমি আমার স্বামীর কৃতকর্ম গুনাহে জারিয়া হিসেবে পাওয়া থেকে বেচে যাবো। #স্বামীকে নাসীহা দেবার জন্য আর দুনিয়ার মোহ ছাড়ার জন্য সাওয়াব পাবো। #স্বামীকে নিয়ে বেহুদা টেনশন থেকে বেচে যাবো। #আমার স্বামী কিছুতেই আমাকে হারাতে চাইবেন না, আমি হবো মহা মূল্যবান রত্ন উনার কাছে। সম্মানিতা স্ত্রী। #মাঝে মাঝে ঝগড়া হলে ভয় দেখাতে পারবো যে, তোমার দুই নাম্বার বউ এসে তোমাকে উচিৎ শিক্ষা দেবে! 🤣🤣 Written By: Mumtaz Mily