জিতু ভাইয়ের কোরবানির বাজেট / The-Budget-Of-Sacrifice
জিতু ভাইয়ের কোরবানির বাজেট / The-Budget-Of-Sacrifice
জিতু ভাইয়ের কোরবানির বাজেট / The-Budget-Of-Sacrifice
একটি আবেদন -জিতু ভাইয়ের কোরবানির বাজেট ছিল ২৫ হাজার টাকা। ঈদের বোনাস ২০ হাজার টাকার সাথে আগের জমানো ৫ হাজার টাকা মিলিয়ে এই বাজেট করেছেন। হঠাত বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। বাচ্চার ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। ৫ দিন পরে যখন হাসপাতাল থেকে বাচ্চাকে রিলিজ দেয়া হলো তখন মোট খরচ হলো ৩২ হাজার টাকা। – শাকিলের গরু কেনার কথা তার উপর তলার প্রতিবেশি মুনীরের সাথে। দুইজন মিলে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা দিবে। হঠাত করে শাকিলের স্ত্রীর জ্বর উঠে। টেস্টে ধরা পড়ে ডেঙ্গু। হাসপাতালে ভর্তি করার পরে ৪০ হাজার টাকা খরচের হিসাব মিলল। এর বাইরেও কিছু খরচ হয়েছে যার কোন হিসাব নাই।
-মিতু চাকরি করে প্রথমবার নিজের টাকায় কোরবানি দিবে। তার বাজেট ছিল ২০ হাজার টাকা। বাবার মৃত্যুর পরে অনেকদিন তারা কোরবানি দিতে পারেনি। এবার মিতুর বেতনের টাকায় অনেকদিন পরে বাসায় কোরবানি হবে। কিন্তু কয়েকদিন আগে মিতুর মায়ের ডেঙ্গু ধরার পড়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। সেখানে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উপরে বর্ণিত জিতু, শাকিল ও মিতু কেউ এবারে কোরবানি দিচ্ছে না। কারণ এদের কারো কোরবানি দেয়ার মত সামর্থ্য নেই। ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাদের অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে। ১ সপ্তাহ আগেও যাদের কাছে বেশ কিছু জমানো টাকা ছিল ১ সপ্তাহের ব্যবধানে তা শেষ হয়ে গিয়েছে। কোরবানির মাংস ৩ ভাগ করার নিয়ম। এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ গরিবদের জন্য ও আরেক ভাগ আত্মীয় স্বজনদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। আমরা যারা শহরে কোরবানি দেই তারা ২য় ভাগ দেয়ার মত লোক অনেক সময় পাই না। আক্রণ আমি থাকি হয় বগুড়ায় আমার সব আত্মীয় থাকে কুমিল্লায়। এরকম অনেকেই আছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ছাড়াও প্রতি বছর অনেক লোক যারা মধ্যবিত্ত সমাজে বসবাস করেন কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে কোরবানি দিতে পারেন না। স্কুলে থাকতে এক বড় ভাইকে দেখতাম যাদের পরিবারে দীর্ঘ দিন কোরবানি দেয়া হত না।
সেই বড় ভাই এসএসসিতে স্ট্যান্ড করেছিল, পরে বুয়েটে পড়েছিলেন। কোরবানি এলে আমরা এক সপ্তাহ আগে থেকেই গরু ছাগল নিয়ে মাতামাতি করতাম আর এই বড় ভাইয়ারা এই ৭ দিনে বাসা থেকে বের হতেন না। এরা লজ্জায় বাসা থেকে বের হতেন না। ঈদের দিনে আমরা যখন কোরবানি দিতাম তাদের মন খুব খারাপ থাকত। এবার ডেঙ্গুর কারণে অনেকেই কোরবানি দিতে পারবে না। আত্মীয়দের ভাগ যারা আত্মীয়দের মধ্যে দেয়ার সুযোগ পাবেন না তারা এই শ্রেনীকে মাংস দিতে পারেন। নিম্নবিত্তরা চাইতে পারে, খুজতে পারে কিন্তু মধ্যবিত্ত এই শ্রেনিরা খুজতে পারে না। মুরুব্বীরা না হয় চুপচাপ সহ্য করতে পারেন কিন্তু এইসব পরিবারের শিশুদের মন খুবই খারাপ থাকে। এবারের ঈদটা না হয় এইসব লোককে খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের সাথে মাংস শেয়ার করুন।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী
( এম. এ. ইন ইংলিশ )