introduction-to-allah-কেন সন্তানকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন?
introduction-to-allah-কেন সন্তানকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন?
কেন সন্তানকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন? ————– মাগরিব পড়ে নামছিলাম। সামনে কয়েকটা ছোট শিশু ছিল যারা হিফজ বা নাজেরায় পড়ছে। হঠাৎ ছোট একটা তারচে একটু বড়টাকে আমার পিছনে গুরুত্বের সাথে ইশারা করছে। তৎক্ষণাত কয়েকজন তৎপর হয়ে উঠল। মাথা ঘুরিয়ে বুঝলাম, একজন বৃদ্ধ নামছেন, তারা উনাকে নামতে সহায়তা করবে এজন্য তাড়াহুড়া। উনাকে নামানোর দৃশ্যটা দেখলে আচমকা মনে হতে পারে, মনে হয় কোন মন্ত্রীকে সসম্মানে নিরাপত্তার সহিত নামতে সহায়তা করা হচ্ছে। অবাক হবেন, এরা কেউ উনার ছেলে বা মেয়ের সন্তান নয়। মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্র। প্রতিদিনই নামায়। জুতা তুলে দেয়, লাঠি উঠায় ওদের অচেনা দাদাদের জন্য।
———- কিছুদিন আগে কোন একটা দিবসে গাজীপুরের এক বৃদ্ধাশ্রমের সাক্ষাতকার পড়েছিলাম। সব বৃদ্ধ বা মাঝবয়সী বাবা-মা’রা। উনাদের সবার সন্তান নাই বা থাকার জায়গা নাই, এরকম না। বরং বিমান, সেনা কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকুরের জন্মদাতা-দাত্রী উনারা। কাউকে সন্তানই দিয়ে গেছে। কেউবা সন্তানের মার খেয়ে রাস্তায় পড়েছিল কোন সহৃদয়বান পৌঁছে দিয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। কাউকে সন্তান-ছেলেবউ বের করে দিয়েছে, কেউবা অত্যাচার সইতে না পেরে নিজেই খুঁজে নিয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। কারো ভাষ্য ছিল, বৃদ্ধাশ্রমে আসার পর তাদের সন্তানরা বাবা বা মাকে মৃত দেখিয়ে ব্যাংকের টাকাটাও তুলে নিয়েছে। কয়েকজনের মত ছিল, এই টাকার জন্যই তাদের অত্যাচার, বের করে দেয়া হয়েছে।
———– বৃদ্ধাশ্রমের এক মা যার শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত সন্তান তখনও জীবিত। আক্ষেপ করে বলছিলেন, এত কষ্ট করেছি বড় করার জন্য। তাদের পড়াশোনার জন্য কত ত্যাগ। তারপরও সন্তানরা এমন কেন করবে? উত্তরটাও তিনিই দিয়েছেন। সন্তানদের নৈতিকতা শিক্ষা দেননি।
———– এই শব্দটা এখন খুব শোনা যায়। কোথাও ধর্ষণ হলে, নৃশংস খুন হলে শোনা যায় নৈতিকতা শিক্ষা। দায়িত্বশীলরাও বলেন, মানুষ নৈতিকতা-শিক্ষা বিবর্জিত বলে সমাজে অপরাধ বাড়ছে।
———— উনারা মুখে না আনলেও এককথায় নৈতিকতা শিক্ষা মানে সন্তান বা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। আরো পরিষ্কার করে বললে দ্বীনি শিক্ষা। শিশুর শুরুর সময়টাতে দ্বীনি শিক্ষার ব্যবস্থা করুন। শুদ্ধরুপে কুরআন শেখানোর আয়োজন পারলে হিফজ করিয়ে নিন। এরপর কোথাও পাঠান। কিন্তু শুরুর ভিত্তিটা মজবুত করুন। এবং সন্তানদের মধ্য হতে কোন এক বা দুজনকে মাদ্রাসায় দিন। এটাই নৈতিকতা শিক্ষা। আপনি যাচাই করে দেখুন, সাধারণ শিক্ষায় কেমন নৈতিকতা শেখানো হয়, বৈষয়িক বা টাকা কামানোর, বাড়ানোর শিক্ষা ছাড়া? তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়, বেশি বেশি টাকা আয়, বাড়ি, সম্পদ এসবই সফলতা। এই সফলতার পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় যারা তাকে অতি সফল বানাতে চেয়েছে তাদেরই ভুলে বসে। বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঘরে রাখলে তার কি লাভ-ক্ষতি তার ক্যালকুলেশন করে। শেষমেষ স্বামী-স্ত্রী মিলে অধিক লাভের আশায় বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসে।
———- যাক, আপনার নিরাপত্তার স্বার্থে হলেও এক সন্তানকে দ্বীনের তালিম দিন, মাদ্রাসায় দিন। শেষবয়সে অন্যরা বের করে দিলেও খুব কম আয়ের হলেও এই সন্তান আপনাকে আগলে রাখবে। কারণ আপনি তাকে ছোটকালে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তারা পড়েছিল এবং প্রতিদিনই বলেঃ হে আল্লাহ! আমার মাতা-পিতার উপর সেরকম রহম করুন যেরকম করেছিলেন তাঁরা আমাদের উপর শিশুকালে। সুব’হানাল্লহ! এ দু’আ যারা করে, তারা কিভাবে দিবে বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে? এটাই সবচে বড় নৈতিকতা শিক্ষা ভাই। এটাই দ্বীনের শিক্ষা।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল ) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )