কথা বা কাজের মাধ্যমে রিঅ্যাকশান না দেখানো / Reaction-Not-Shown
Pending
0
কথা বা কাজের মাধ্যমে রিঅ্যাকশান না দেখানো / Reaction-Not-Shown
আমি তোমাকে যদি ক্রোধতাড়িত ফয়সালার পরিণতির ফিরিস্তি বলি, তবে তুমি আশ্চর্য হবে। . কতো মানুষকে যে এ ক্রোধ পশুতে রূপান্তরিত করেছে! যার কারণে পিতার অনুগত ছেলে-সন্তানেরা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে কতো সাজানো পরিবার! . কতো কারাগার ভর্তি হয়েছে এ রাগের কারণে। . এ সবকিছুই ঘটেছে রাগের মুহূর্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে।” . – শায়খ আবদুল মালিক আল কাসিম (“সমস্যা নিরসনের ৪০ টি উপায়” বই থেকে) . আমার নিজেরও কড়া মেজাজের প্রবলেম আছে। আমার ক্ষেত্রে কিভাবে আমি কন্ট্রোল করা শিখলাম সেটা শেয়ার করি। . জামি আল উলুম ওয়াল হিকাম পড়ার সময় একটা হাদিস চোখে পড়েছিলো, যাতে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে – হয় ভালো কথা বলুন নয়তো চুপ থাকুন। . আল্লাহ আমাকে এই হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দেওয়ার পর গত কয়েক বছরে আগের তুলনায় রাগের উপর কন্ট্রোল ৬০% বা এর উপর এসেছে। . রাগ সবারই আসে। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে রাগ হজম করা, কথা বা কাজের মাধ্যমে রিঅ্যাকশান না দেখানো। . একটা হাদিসে বলা হয়েছে যে, রাগ ঈমানকে সেভাবে বিনস্ট করে যেভাবে ইলুয়া বিনস্ট করে মধুকে। . তাই কারো কারো ক্ষেত্রে এটা হতে পারে যে, শয়তান তাকে বিভিন্নভাবে ওয়াসওয়াসা দিয়ে খারাপ কাজ করাতে পারছে না, হঠাৎ করে কোন কারণে রাগিয়ে দিয়ে ঈমানের দুর্গে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য তার উপর আক্রমণ করে বসলো। . রাগ কন্ট্রোলের ইসলামসম্মত উপায় আছে। সেগুলো পড়ে জানুন আর আমল করার চেষ্টা করে যান। বেটার হয় কোন হক্কানী আলেমের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে নসিহত চাওয়া।