Islamic FAQ

Islamic FAQ – ইসলামিক প্রশ্নের উত্তরসমূহ!

☪ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ

ফরয নামাযের পর মাথায় হাত রেখে পঠিত দোয়ার বিধান

জিজ্ঞাসা–: ফরয নামাযের পর অনেকে মাথায় রেখে দোয়া পড়ে। কী দোয়া পড়ে? আমি এক আলেমকে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি বলেন, এটা বেদআত। আসলেই বেদআত? কোনো হাদীসে আছে? না কোনো বুযুর্গর আমল? বিস্তারিত জানতে চাই।–আপনার জনৈক মুসল্লি।
 
জবাব : এটাকে বেদআত বলা যাবে না। কেননা, এ মর্মে হাদিসে (তাবরানী ৩২৮৪, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১০) এসেছে, أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ إِذَا صَلَّى وَفَرَغَ مِنْ صَلاتِهِ مَسَحَ بِيَمِينِهِ عَلَى رَأْسِهِ ، وَقَالَ : بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ، اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَالْحَزَنَ নবী ﷺ যখন নামায শেষ করতেন, তখন ডান হাত দ্বারা মাথা স্পর্শ করতেন এবং এই দোয়া পড়তেন- بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ، اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَالْحَزَنَ হাদিসটিকে মুহাদ্দিসগণ ‘জঈফ’ তবে আমলযোগ্য বলেছেন। এবিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন: তবে সহীহ হাদীস, আছার ও আদইয়া-আযকারের কিতাবসমূহে উক্ত দোয়া ছাড়াও আরও বহু দোয়া রয়ছে, তাই সেগুলো পড়াই উত্তম হবে। উল্লেখ্য,  সেগুলোর জন্য মাথায় হাত রাখার প্রয়োজন পড়ে না। যেমন,আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ  বলেছেন, مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، فَتْلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ ، وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ “যে ব্যাক্তি প্রত্যেক নামাযের পর সুবহানাল্লাহ তেত্রিশবার, আলহামদুলিল্লাহ তেত্রিশবার ও আল্লাহু আকবার তেত্রিশবার বলবে এই হল নিরানব্বই-আর একশত পূর্ণ করার জন্য বলবে-لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ তার পাপসমূহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মত হয়।” (সহীহ মুসলিম ১২৩০)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত কি বেদআত? – Islamic FAQ

জিজ্ঞাসা–২০৮: আসসালামু আলাইকুম। হুযুর, আমি জানতে চাই, নামাজের পর সকল মুসল্লি একত্রে মুনাজাত করা যাবে কিনা? কিছু আলেম বলে যাবে আর কিছু আলেম বলে যাবে না। আশা করি, দলিলসহ জানাবেন।–মোঃ মুঞ্জুর আলি: monjur mk22@gmail.com

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, মূলত আমাদের সমাজে জামাতে নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত করার বিষয়ে দু’ধরণের প্রান্তিকতা রয়েছে। কেউ একে নামাযের অংশ মনে করেন। আর কেউ একে নাজায়িয ও বেদআত বলেন। অথচ উভয় ধারণাই ভুল। প্রকৃত সত্য হল, এটা কেবল মুস্তাহাব আমল, তবে তা নামাযের অংশ নয়। সুতরাং বাড়াবাড়ি একেবারে অনুচিত। এবিষয়ে কিছু হাদিস: ১.হযরত সালমান ফারসী রাযি. হতে বর্ণিত, ان اللہ حی کریم، یستحی ان یرفع الرجل الیہ یدیہ ان یردھما صِفراً خائِبیْن۔ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ তাআলা দয়ালু, দাতা। যখন বান্দা তাঁর সামনে প্রার্থনার হাত প্রসারিত করে তখন তা শূন্য ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জ্বাবোধ করেন। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৯৫) ২.আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া রহ. বলেন, رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔ আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাযি. একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯) ৩.হযরত সালমান রাযি. থেকে বর্ণিত, قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: ما رفع قوم اکفھم الی اللہ عز و جل یسئلونہ شیئا الا کان حقا علی اللہ ان یضع فی ایدیھم الذی سئلوا۔ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কিছু মানুষ হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তখন অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রার্থিত বিষয় দান করেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯) ৪.হযরত আবূ উমামাহ রাযি. হতে বর্ণিত, قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮) প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, প্রথম হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে, হাত তুলে মুনাজাত করলে তা কবূলের সম্ভাবনা বেশি। দ্বিতীয় হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺনামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করতেন। তৃতীয় হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করেন তখন তা কবূল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে। চতুর্থ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, নামায শেষে মুনাজাত কবূল হয়। সুতরাং প্রতীয়মান হল, নামাযের পর সকলে মিলে মুনাজাত করা যাবে। তবে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেও কাম্য নয়। والله اعلم بالصواب উত্তর দিয়েছেন মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

 

জানাযার নামাযের পর মুনাজাত দেয়া যাবে কি? Islamic FAQ

জিজ্ঞাসা–১৬০:hazrat , assalamu alaikum, murdarer janazar por doa kora bidat ki na , jante chai,– mohammad mizanoor Rahman : mizu9941@gmail.com

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته জানাযার নামাজ-ই মূলত দোয়া, তাই জানাযার নামাজের পর দোয়া-মুনাজাত করা যাবে না। তবে দাফন করার পর দোয়া করা শুধু জায়েজই নয় বরং উত্তম। (আবু দাউদ ২/৪৫৯) তবে মৃতকে মাটিতে দাফন করার পর, তার কবরের পাশে কিবলামুখী হয়ে হাত তুলে দোয়া করা জায়েজ আছে। কেননা হাদিসে এসেছে, عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، وَسَلُوا لَهُ بِالتَّثْبِيتِ، فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ হযরত উসমান বিন আফফান রাযি‏.‏ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মৃতের দাফন থেকে ফারিগ হতেন, তখন তিনি সেখানে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য দোয়া কর, এবং তার জন্য দৃঢ়তার দোয়া কর। কেননা, এখনি তাকে সুওয়াল করা হবে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩২২১) এ বিষয়ে সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড ফাতাওয়া লাজনাহ আদ-দায়েমাকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে বলা হয়- الدعاء عبادة من العبادات، والعبادات مبنية على التوقيف، فلا يجوز لأحد أن يتعبد بما لم يشرعه الله. ولم يثبت عن النبي صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أنه دعا بصحابته على جنازة ما بعد الفراغ من الصلاة عليها، والثابت عنه صلى الله عليه وسلم أنه كان يقف على القبر بعد أن يسوى على صاحبه ويقول: استغفروا لأخيكم واسألوا له التثبيت، فإنه الآن يسأل- وبما تقدم يتبين أن الصواب: القول بعدم جواز الدعاء بصفة جماعية بعد الفراغ من الصلاة على الميت، وأن ذلك بدعة- ‘দোয়া অন্যতম ইবাদত। আর ইবাদত দলীলের উপর নির্ভরশীল। অতএব কারো জন্য শরী‘আত বহির্ভূত পন্থায় ইবাদত করা জায়েয হবে না। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয় নি যে, তিনি জানাযার নামাজের পরে সাহাবীদের নিয়ে দোয়া করেছেন। তাঁর থেকে যা সাব্যস্ত হয়েছে তা হল- তাঁর সাহাবীদের কবর সমান করা হলে তিনি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ঈমানের উপর দৃঢ় রাখার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর। কারণ এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে’। পূর্বের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মাইয়েতের জন্য নামাজ আদায় করার পর দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করা জায়েয না হওয়াই সঠিক। কারণ তা বিদ‘আত’।(ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ৯/১৬, ফতওয়া নং ২২৫১) والله اعلم بالصواب উত্তর দিয়েছেন মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

 

সম্মিলিত জিকির ও দোয়া প্রসঙ্গে Islamic FAQ

জিজ্ঞাসা–১১১:বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। অামি শুনেছি, একসাথে অনেক মানুষ জিকির করা ও দোয়া মুনাযাত করা জায়েজ নাই। এমন কি ঐতিহাসিক হাটহজারী মাদ্রাসার ফতোয়া বোর্ডও নাকি এই ফতোয়া দিয়েছেন! এবিষয়ে উওর পাইলে খুশি হব। ইনশা আললাহ!–মুহামমাদ অাল-অামীন

জবাব: মূলত আপনার জিজ্ঞাসার দু’টি অংশ।

১. সম্মিলিত জিকির জায়েয কিনা?

২.সম্মিলিত মুনাজাত জায়েয কিনা?

১.সম্মিলিত জিকির জায়েয কিনা? এর উত্তর হল, অধিকাংশ ফকিহ বলেন, সম্মিলিত জিকির করা যাবে। তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে- এক: স্বর এত উচ্চ করা যাবেনা যাতে নিজের ও অন্যের কষ্ট হয়। দুই: লৌকিকতামুক্ত হতে হবে। (এমদাদুল আহকাম খ:১,পৃ:৩২০) তিন: জিকিরের স্বর উচ্চ করাকে ইবাদত মনে করা যাবে না। (ফয়যুল কালাম ১৩৯) দলীল:আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, قال رسول اللہ صلى الله عليه وسلم يقول الله انا عند ظن عبدى بى و انا معه اذا ذكرنى فان ذكرنى فى نفسه ذكرته فى نفسى وان ذكرنى فى ملاء ذكرته فى ملاء خير منهم وان تقرب الى شبرا تقربت اليه ذر اعا وان تقرب الى ذراعا تقربت اليه باعا وان اتانى يمشى اتينه هرولة রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা নিজেই ইরশাদ করেছেন, আমার বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা করে আমি তার সাথে তেমন আচরণ করি এবং বান্দা যখন আমার জিকির করে আমি তার সঙ্গী হই। যদি সে একাকি জিকির করে আমিও তাকে একাকি স্মরণ করি। যদি সে জামাতে সম্মিলিতভাবে জিকির করে, আমিও তাকে তার চেয়ে উত্তম জামাতে স্মরণ করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তাহলে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আর যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দুই হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে হেটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। (সহীহ বুখারী ৮/৫২৮ সহীহ মুসলিম ৪/২০৬) ইমাম সুয়ূতী রহ. বলেন, মজলিসে আল্লাহর জিকির সাধারণত একটু উচ্চ আওয়াজ ব্যতিত হয়না। (সিবাহাতুল ফিকির ৪৫) উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়, শর্তসাপেক্ষে বিশেষ করে অন্যদের শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে জিকির করা যাবে।

২.সম্মিলিত মুনাজাত জায়েয কিনা? এটাকেও অধিকাংশ ফকিহ জায়েয মনে করেন। দলীল: হযরত সালমান রা. থেকে বর্ণিত, قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: ما رفع قوم اکفھم الی اللہ عز و جل یسئلونہ شیئا الا کان حقا علی اللہ ان یضع فی ایدیھم الذی سئلوا۔ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কিছু মানুষ হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু দোয়া করে তখন অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রার্থিত বিষয় দান করেন। (মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৬৯) এ হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করেন তখন তা কবূল হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকে। দুঃখের বিষয় হল, সম্মিলিত দোয়া ও জিকির সম্পর্কে আমাদের সমাজে দু’ধরণের প্রান্তিকতা রয়েছে। কেউ একে একেবারে জরুরি মনে করেন। আর কেউ একে নাজায়েয ও বেদআত বলেন। অথচ উভয় ধারণাই ভুল। প্রকৃত সত্য হল, এটা কেবল জায়েয; জরুরি নয়, বেদআতও নয়। সুতরাং বাড়াবাড়ি একেবারে অনুচিত। তবে যে কোন দোয়া ও জিকির নিন্মস্বরে করা উত্তম। উল্লেখ্য, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর ফতওয়া আমি পাই নি, তবে দারুল উলুমের একজন তালিবে ইলম হিসাবে বলছি যে, আমি যেভাবে বলেছি, আশা করি, দারুল উলুমের ফতওয়া এর ব্যতিক্রম হবে না–ইনশাআল্লাহ। والله اعلم بالصواب উত্তর দিয়েছেন মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

 

Islamic FAQ

 

রিংটোন হিসাবে আযান, তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া ব্যবহার করা জায়েয কিনা? Islamic FAQ

জিজ্ঞাসা–২০৯: অনেকে মোবাইলের রিংটোন হিসাবে আযান, তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া ব্যবহার করে থাকেন । এটা জায়েয আছে কিনা?–মুহাম্মদ ইউসুফ : ababilbd6@gmail.com

জবাব: আযান, তিলাওয়াত, যিকর , দোয়া–এগুলো ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আর ইবাদত করতে হয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। ইবাদতের যথেচ্ছা ব্যবহার ও প্রয়োগ অন্যায়। মোবাইলে রিংটোন হিসাবে এগুলোর ব্যবহার যে অপাত্রে ব্যবহার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিক্রেতার জোরে জোরে সুবহানাল্লাহ বলা, তদ্রূপ প্রহরী জাগ্রত আছে একথা বুঝানোর জন্য জোরে জোরে যিকর করাকেই ফিকহবিদগণ অপব্যবহার হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। তাহলে রিংটোন হিসাবে এগুলোর ব্যবহার যে কেমন হবে তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। উপরন্তু রিংটোন হিসাবে এগুলোর ব্যবহারে আরো অন্যান্য শরয়ী খারাবী রয়েছে।

যেমন :

(ক) রিং আসলে কুরআনের তিলাওয়াত বেজে উঠছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ততার দরুণ তিলাওয়াতের প্রতি ভ্রূক্ষেপ করারই সুযোগ হয় না। তদ্রূপ কে রিং করেছে তা দেখা ও কল রিসিভ করার ব্যস্ততা তো লেগেই থাকে এ কারণেও তিলাওয়াতের আদব রক্ষা করে শ্রবণ করা হয় না।

(খ) রিং আসলে যেহেতু রিসিভের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এটিই মূল উদ্দেশ্য থাকে তাই আয়াতের যেকোনো স্থানেই তিলাওয়াত চলতে থাক সে দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে রিসিভ করে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারিত অংশের বিবেচনায় আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।

(গ) মোবাইল নিয়ে টয়লেট কিংবা বাথরুমে প্রবেশের পর রিং আসলে অপবিত্র স্থানে আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম, যিকর ও আযান বেজে উঠবে। এতে এগুলোর পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়। মোটকথা অনেক কারণেই তিলাওয়াত, আযান ও জিকরকে রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরী। (আততিবয়ান ফী আদাবি হামালাতিল কুরআন-ইমাম নববী ৪৬, হক্কুততিলাওয়া- হুসাইনী শাইখ উসমান ৪০১, ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৩১৫, আলমুগনী ৪/৪৮২, রদ্দুল মুহতার ১/৫১৮, ১/৫৪৬, আলাতে জাদীদা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ., আলকাফী ১/৩৭৬, আলআশবাহ ৩৫) والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী

১) প্রশ্নঃ ফেরেশতাগণ কোন সাহাবীর গোসল দিয়েছিলেন? উত্তরঃ হানযালা (রাঃ) এর।

২) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে বলা হত সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারী? উত্তরঃ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) কে।

৩) প্রশ্নঃ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) কোন যুদ্ধে সাইফুল্লাহ উপাধী লাভ করেছিলেন? উত্তরঃ মূতার যুদ্ধে।

৪) প্রশ্নঃ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) কোন যুদ্ধে নয়টি তরবারী ভেঙ্গেছিলেন? উত্তরঃ মূতার যুদ্ধে।

৫) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল? উত্তরঃ সাদ বিন মুআয (রাঃ) এর।

৬) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে জান্নাতের আটটি দরজা থেকেই আহবান করা হবে? উত্তরঃ আবু বকর (রাঃ) কে।

৭) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) মেরাজে গিয়ে কোন সাহাবীর পায়ের আওয়ায শুনতে পান? উত্তরঃ বেলাল বিন রাবাহ (রাঃ) এর।

৮) প্রশ্নঃ কোন সাহাবী ইসলামের প্রথম মুআয্যিন ছিলেন? উত্তরঃ বেলাল বিন রাবাহ (রাঃ)।

৯) প্রশ্নঃ নবী (সাঃ) এর কতজন মুআয্যিন ছিলেন? উত্তরঃ তিনজন; বেলাল বিন রাবাহ, আবদুল্লাহ বিন উম্মে মাকতূম ও আবু মাহযূরা (রাঃ)।

১০) প্রশ্নঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সাহাবীর নিকট থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনেছেন? উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে।

১১) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীর সূরা বাকারা তেলাওয়াত করার সময় আসমান থেকে ফেরেশতা নাযিল হয়েছিল? উত্তরঃ উসাইদ বিন হুযাইর (রাঃ) এর।

১২) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে তরজুমানুল কুরআন (কুরআনের অনুবাদক) ও সাইয়্যেদুল মুফাস্সিরীন (শ্রেষ্ঠ তাফসীরকারক) বলা হত? উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) কে।

১৩) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীর জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুআ করেছিলেন, “হে আল্লাহ তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান কর এবং কুরআনের তাফসীর শিক্ষা দান কর”? উত্তরঃ আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) এর জন্য।  

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )