যিনা,আজাব থেকে বাঁচা যাবেনা / Jina-Will-Not-Be-Saved-From-The-Abyss !

 
 
 
Jina-Will-Not-Be-Saved-From-The-Abyss
 
 
 
 

যিনা,আজাব থেকে বাঁচা যাবেনা / Jina-Will-Not-Be-Saved-From-The-Abyss !

যিনা কাকে বলে, কোন কাজগুলো যিনাঃ  লজ্জা না করে আমাদের সকলের জানা উচিৎ! হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা! জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে বাঁচতে চাইলে এখনই নিজেকে শুধরাও! নিজের আবেগ আর মনগড়া যুক্তি দিয়ে জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচা যাবেনা!  যিনা কী শুধুই অবৈধভাবে মেলামেশা করাকে বলা হয়? না! যিনা বহু প্রকারে বিভক্ত রয়েছে।
 
 
 যিনার কয়েকটি প্রকারভেদ নিচে উল্লেখ করা হল:
 
১) কোন বেগানা নারী অথবা পুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা।
 
২) যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা।
 
৩) বিবাহ সম্পর্ক ছাড়া অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা।
 
৪) ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা।
 
৫) সে সম্পর্কিত খারাপ কথা শোনা কানের যিনা।
 
৬) যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা।
 
৭) অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়। [বুখারী, মুসলিম, সুনানে আবূ-দাউদ, সুনানে আন-নাসাঈ]  অথচ আমরা কেবল সর্বশেষ ধাপটিকেই যিনা মনে করে থাকি! এবার ভেবে দেখুন আপনি এসবের কোনো একটির সাথে জড়িত আছেন কী না?  যিনা হারাম:- আল্লাহ্ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ তোমরা যিনার ধারে কাছে ও যাবেনা, কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ। [সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াতঃ ৩২]
 
 যিনার শাস্তি:- রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লা চিল্লি করছিলো। আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিলো। সর্বদা তাদের এ অবস্থা চলছিলো। আমি জিবরাঈল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম এরা কারা? জিবরাঈল (আঃ) বললেন, তারা হলো অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ। (বুখারী)  যিনাকারীর লজ্জাস্থানের দূর্গন্ধে জাহান্নাম বাসী অস্থির হয়ে উঠবে। সেদিন যিনাকারীকে পিপাসা মেটানোর জন্য এই পঁচা পানি দেওয়া হবে।  তাই সবারই উচিত প্রেমিক-প্রেমিকা নামের এই শয়তানি সম্পর্ক বাদ দেওয়া। কারন হাশরের ময়দানে এই সব শয়তানী সম্পর্ক থাকবে না। থাকবে শুধুই আগুন, সেদিন কেউ কাউকে চিনবেও না আর বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রাসুলের দেখানো পথে চলতাম। [সুরা ফুরকান: আয়াত ২৭]  জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস, আমি যদি রাসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। অমুক বন্ধুর ডাকে সাড়া না দিতাম তাহলে আজ আমার এ দশা হতো না। যদি কেউ না জেনে এই অপরাধ করে থাকে এবং খাস দিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করে তবে আল্লাহ্ পাক তাকে ক্ষমা করে দিবেন। [সুরা ফুরকান আয়াতঃ ৬৮-৭০]  হে আল্লাহ এমন গুনাহ্ থেকে আমাদের সকলকে হেফাজত করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
চিত্রে থাকতে পারে: এক বা আরও বেশি ব্যক্তি

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী

( এম. এ. ইন ইংলিশ )