আলেম ব্যক্তি যারা কবিরাজি করেন / When-A-Scholar-Is-Kabiraj

When-A-Scholar-Is-Kabiraj

যাদুটোনা ব্যবহার করা কবিরাজ চেনার কিছু পদ্ধতি বলা হয়েছিল। যথাঃ

 

  • আপনার কাপড় চাইবে
  • আপনার কোন অংশ (যেমন চুল চাইবে)
  • আপনার নাম এবং মায়ের নাম জিজ্ঞেস করবে।

এটা দেখার পর অনেকে প্রশ্ন করছেন, অনেক আলেম মানুষও তো এরকম করেন। তাদের ব্যাপারে কি বলব? কেউ বলছেন – অমুক বড় মাদরাসা থেকে ইফতা পড়া মুফতি সাহেব এভাবে এভাবে করেন, তার ব্যাপারে কি বলব? তাবিজ নিয়ে কথা বলতে গেলেও এরকম মন্তব্য শোনা যায়, খুব পরিচিত একজন মুত্তাকী আলেম আছেন, যিনি সংখ্যা দিয়ে তাবিজ লেখেন, এবং টাকাও নেন না। তাকে আমি কিভাবে ভুল বলব?

 

প্রিয় ভাই! এখানে কয়েকটা পয়েন্ট মাথায় ঢুকিয়ে নিলে আশা করি ব্যাপারটা সহজ হয়ে যাবে-
১. ‘রুকইয়া শারইয়্যাহ এবং শিরকিয়্যাহ’ একটা স্বতন্ত্র বিষয়। এই বিষয়ে ক্লাস নিতে চাইলে, ৪ মাসের এক সেমিস্টার পুরোটা ক্লাস নিয়েও আলোচনা শেষ করা মুশকিল।
২. একজন ব্যক্তি মুহাদ্দিস সাহেব অথবা মুফতি সাহেব হতে পারেন, কিন্তু তার মানেই উনি তাবিজ-কবচ বিষয়ে খুব গভীর ধারণা রাখবেন এমন তো না। উনি মাদরাসায় পড়েছেন ফিকহে ইসলামি অথবা উলুমে হাদিস বিষয়ে, বদনা চালান দেয়া তো দারুল ইফতায় শিখেননি।
৩. “উনি কাওমি মাদরাসায় পড়েছেন, উনি যে তাবিজ লেখেন!” – এর উত্তরে আমি বলি “দুঃখিত ভাই! কাওমি মাদরাসায় তাবিজ লেখা শিখানো হয় না। এটা উনি অন্য কোথাও শিখেছেন।”
৪. বাস্তবতা হচ্ছে, যারা এসব করেন, তাদের খুবই কম সংখ্যক এসবের গভীর জ্ঞান রাখেন। হয়তো একটা বই পেয়েছে কোন দোকানে বা ফুটপাথে, পড়ার পর আগ্রহ জন্মেছে। ব্যস! শুরু করে দিয়েছেন। এজন্যই আমরা অহরহ দেখি “বশ করার তাবিজ (পড়ুন যাদু) করতে গিয়ে ভুল করেছিল, এখন পাগল হয়ে গেছে, কিংবা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।”
৫. গভীর জ্ঞান না রাখা একটা কারণ, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে- এব্যাপারে বিজ্ঞ আলেমদের মতামত জানতে না চাওয়া, তাদের শরণাপন্ন না হওয়া।
৬. তৃতীয় কারণ হচ্ছে, এব্যাপারে শরিয়ত সমর্থিত পদ্ধতির প্রচলন না থাকা। যার কারণে, লোকেরা ধীরে ধীরে কুফরি যাদুটোনা আর তাবিজের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। স্মরণ করুন, আলী রা. এর প্রসিদ্ধ উক্তি –

 

“আহলে হক যখন চুপ থাকে, তখন আহলে বাতিল ধারণা করে, তারাই হক!”

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

 

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )