সাদাস্রাব সমস্যা প্রসঙ্গে / White-Bleeding

 

White-Bleeding

 

সাদাস্রাব সমস্যা প্রসঙ্গে / White-Bleeding

লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ

[ক] সাদাস্রাব নিয়ে আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারনা কাজ করে। তা হচ্ছে অনেকে সাদাস্রাবটাকেই অস্বাভাবিক মনে করেন। এইটাকে রোগ হিসেবে ধরে অশান্তিতে ভুগেন। কিন্তু না পিরিয়ডের মত এইটাও একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, সাদাস্রাব না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক ব্যাপার। তবে যদি মাত্রাতিরিক্ত সাদাস্রাব হয় সাথে দুর্গন্ধ, চুলকানি, রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া স্বাভাবিক থাকলে ইনশাআল্লাহ দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আর হ্যাঁ সাদাস্রাবের মাত্রা কমবেশি হতে পারে বিশেষ কিছু মুহুর্তে। এতেও ভয়ের কিছু নেই। তবুও যদি আপনার অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।

 

[খ] সাপোর্ট গ্রুপে দেখলাম সাদাস্রাব নিয়ে অনেক প্রশ্ন আসছে। অনেকে আমল, রুকইয়াহ চাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলি_____ আপনার যদি মনে অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই মোতাবেক চলুন। পাশাপাশি নিজের খাদ্যাভ্যাস, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হোন। পরিমিত পরিমানে পুষ্টিকর খাবার খান। অনেকে আবার এই সময়ে সাদা জিনিস যেমন ডিম, দুধ খেতে নিষেধ করেন। এইটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং এ সময় আমিষ ও ভিটামিন যুক্ত খাবার ও প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া পিরিয়ডের সময় কাপড়/প্যাড/টিস্যু ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়েরা একটা প্যাড দীর্ঘ সময় ব্যবহার করেন। এইটা ক্ষতিকর। প্রতি ৬ ঘন্টায় অবশ্যই পরিবর্তন করুন। এছাড়াও নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন। নিজের প্রতি যত্নবান হোন।

 

[গ] এখন প্রশ্ন আসতে পারে সবই করেছি তবুও কমছে না। তাহলে বলবো এইগুলার পাশাপাশি আপনি রুকইয়াহ করতে পারেন। তবে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলো ফলো করার পাশাপাশি রুকইয়াহ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখি। যাদের “রাত্রীতে জ্বীনের সমস্যা” জনিত বিষয় আছে। উনাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ইয়াক্বীনের সাথে নিয়মিত রুকইয়াহ করলে সমস্যা চলে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ধারাবাহিতা বজায় রাখতে হবে। -নামাজ, পর্দা, মাসনুন আমলসহ সকল বিষয় গুরুত্বের সাথে পালন করবেন। – আর সমস্যা সমাধানের জন্য রব্বুল আ’লামীনের কাছে বেশি থেকে বেশি দু’আ করবেন।

 

[ঘ] সাধারণ নির্দেশনা : ১. প্রথমে ৩/৭ দিন বদনজরের রুকইয়াহ করবেন। তবে সাতদিন করাটাই উত্তম। এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখি। অনেকেই দায় এড়ানো রুকইয়াহ শুনেন শুধু। মনোযোগ দেয়া, রুকইয়ার গোসল করা— দুইটার ব্যাপারেই গুরুত্ব দেন না। এমনটা করবেন না প্লিজ। চেষ্টা করুন সকল কাজ গুরুত্বের সাথে করার। অনেকে বলেন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার জন্য গোসল করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আপনি গরম পানি ব্যবহার করুন। কোন সমস্যা নেই। গোসল শেষে এক কাপ আদা চা কিংবা কফি; যেটা আপনার পছন্দ খেতে পারেন। অনেকসময় বদনজরের গোসল করার উছিলাতেও ঠান্ডা সমস্যা কন্ট্রোলে থাকে আলহামদুলিল্লাহ। একান্তই যদি সম্ভব না হয়। তাহলে অন্তত রুকইয়ার পানি দিয়ে অযু করুন। তবে খেয়াল রাখবেন একান্তই না পারলে এটা করবেন। নাহলে গোসলই করবেন।

 

২. সারাদিনে অন্তত একবার সময় করে কোন ক্বারির “কমন রুকইয়াহ / সাধারণ রুকইয়াহ” শুনবেন এই সমস্যা ভালো হওয়ার নিয়াতে। আর রাতে অবশ্যই “রুকইয়াহ যিনা” শুনবেন। সম্ভব হলে রুকইয়া যিনা একাধিকবার শুনুন। (লিংক কমেন্টে পাবেন)

 

৩. প্রতিবার ফরজ নামাজ শেষে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হ্ামদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর” দুয়াটা দশবার করে পড়ুন। পাশাপাশি সকাল-সন্ধা এবং ঘুমের সময়ের মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করুন। (মাসনুন আমলের লিংক পাবেন কমেন্টে)

 

৪. আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি যদি হারাম সম্পর্ক বা অন্য কোন গুনাহ বা কোন আসক্তি থাকে তাহলে তা থেকে বেরিয়ে আসুন। ইতিমধ্যে হয়তো চেষ্টাও করছেন কিন্তু পারছেন না। এক্ষেত্রে বলবো চেষ্টার পাশাপাশি বেশি-বেশি করে দু’আ করুন। প্রতিদিন দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে চাইতে থাকুন। রব্বুল আ’লামীন আপনার জন্য সবকিছু সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে একটা কথা, শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি আত্মার সুস্থতারও ফিকির করুন। কারন এরা একে অপরের পরিপূরক….. নোটঃ সাদাস্রাব সম্পর্কিত মাসআলা গুলো অবশ্যই দেখে বা জেনে নিবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।  

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )