Ayate-Shifa

Ayate-Shifa তেত্রিশ আয়াত ও আয়াতে শিফার ফজিলত

রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াত ========================== পবিত্র কুরআনের আয়াতে শেফা নামে পরিচিত
আয়াতগুলো হচ্ছে :
১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – ﻭَﻳَﺸۡﻒِ ﺻُﺪُﻭۡﺭَ ﻗَﻮۡﻡٍ ﻣُّﺆۡﻣِﻨِﻴۡﻦَۙ (মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন)
২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, – ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻟِّﻤَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭۡﺭِۙ ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲ ۡﻥَ ( অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য)
৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াত, – ﻓِﻴۡﻪِ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻟِّﻠﻨَّﺎﺱِ (তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগমুক্তি)
৪. সুরা বনী ইস্রাঈলের ৮২ নং আয়াত, – ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ ﺍﻟۡـﻘُﺮۡﺍٰﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲ ۡﻥَ (আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত)
৫. সুরা আশ্-শোয়ারার ৮০ নং আয়াত, – ﻭَﺍِﺫَﺍ ﻣَﺮِﺿۡﺖُ ﻓَﻬُﻮَ ﻳَﺸۡﻔِﻴۡﻦِ এবং (যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন)
৬. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নং আয়াত – ﻗُﻞۡ ﻫُﻮَ ﻟِﻠَّﺬِﻳۡﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮۡﺍ ﻫُﺪًﻯ ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٌ (বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার)
উপরোক্ত প্রতিটি আয়াতেই কুরআনে মুমিনদের জন্য ‘শেফা’, ‘রহমত’ প্রভৃতির কথা উল্লেখিত হয়েছে। তফসীরবিদ ইমাম বায়হাকী (রহ.) ‘শেফা’ অর্থ আত্মা এবং দেহ উভয়ের শেফা বা নিরাময় বলেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে যেমন আত্মার যাবতীয় রোগ এবং মন্দ প্রবণতার চিকিৎসা রয়েছে, তেমনি দেহের যাবতীয় রোগ-ব্যাধীরও চিকিৎসা রয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াআল্লাহ তা’আলা আনহূ হতে বণিত। নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি” [বুখারী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৮৪৮, হাদীস নং-৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫ ]
ইমাম সুবকী রাদ্বিয়াআল্লাহ তা’আলা আনহূ উনাকে স্বপ্নে মহান আল্লাহ পাক বলেন, “তুমি কোরআন মজিদের শেফার আয়াত সমূহ একত্র করে তা তোমার ছেলের নিকট পাঠ কর অথবা আয়াতগুলো একটি পাত্রে একত্রে লিখে তা ছেলেকে পান করাও, যতক্ষন না তাতে সে আরাগ্য হয়। অতঃপর তিনি অনুরূপ করলে উনার ছেলেকে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুস্থতা দান করেন।” [তাফসীরে রূহুল মা’আনী, খন্ড-৮ম, পৃষ্ঠা-১৪৫]
”যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোন শেফা নেই” [তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫] তাই আল কোরআন মানুষের হিদায়াতের পাশাপাশি তাদের রোগ-বালাই থেকে পরত্রানের জন্যও কতই না কার্যকর, কতই না ফলপ্রসু। দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ কল্যান লাভের ক্ষেত্রে কতই না বাস্তব এর প্রতিটি তথ্য ও তত্ত।
আল কুরআন পুরোটাই শিফা বা আরোগ্য লাভের মাধ্যম। আল কুরআনের বহু স্থানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআন-কে শিফা বলেছেন। আল কুরআন শারিরিক ব্যাধির চিকিৎসা নয়, বরং আধ্যাত্নিক ব্যাধির চিকিৎসা এ ধরনের খন্ডিত ব্যাখ্যা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, আল-কুরআনকে আল্লাহ তাআলা সাধারণভাবে শিফা বলেছেন। তিনি বা তাঁর রাসূল কখনো বলেননি যে, শিফা বা আরোগ্য বলতে আধ্যাত্নিক রোগের শিফা বুঝানো হয়েছে। তাই যারা বলবেন, আল কুরআনকে শারিরিক ব্যাধির জন্য শিফা বলা যাবে না তারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেননি। যাই হোক জিনে ধরা রোগীর কাছে আল কুরআনের বিশেষ বিশেষ কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা হলে জিন ছেড়ে যায় আর রোগী ভাল হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. কর্তৃক আব্দুল্লাহ বিন উমার রা. থেকে তেত্রিশটি আয়াতের কথা বর্ণিত আছে। যদিও হাদীসের সনদটি সহীহ নয় কিন্তু আল কুরআনের আয়াতের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। আমি নিজেও একাধিকবার দেখেছি সুন্নাতের পাবন্দ একজন আলেমের কাছে জিনে ধরা রোগী নিয়ে আসা হল। তিনি তেত্রিশটি আয়াত পাঠ করে তাকে শুনালে জিন চলে যায় এবং রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এ রকম দৃশ্য বহুবার প্রত্যক্ষ করেছি। কুরআনের বরকত ও প্রভাব কত যে ব্যাপক তা কি আমরা সকলে অনুধাবন করতে পারি?
Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

আর সে তেত্রিশটি আয়াত হল:

 

  1. সূরা ফাতেহা পর,
  2. সূরা আল বাকারার ১ থেকে ৪ আয়াত,
  3. সূরা আল বাকারার ২৫৫ থেকে ২৫৭ আয়াত, যার মধ্যে আয়াতুল কুরসী রয়েছে।
  4. সূরা আল বাকারার ২৮৪ থেকে ২৮৬ আয়াত।
  5. সূরা আল আরাফের ৫৪ থেকে ৫৬ আয়াত।
  6. সূরা আল ইসরার (বনী ইসরাইল) ১১০ থেকে ১১১ আয়াত।
  7. সূরা আস সাফফাতের ১ আয়াত থেকে ১১ নং আয়াত।
  8. সূরা আর রাহমানের ৩৩ আয়াত থেকে ৩৫ নং আয়াত।
  9. সূরা জিন এর ১ নং আয়াত থেকে ৪ নং আয়াত। এভাবে তেত্রিশটি আয়াত হয়।
  10. কোন কোন বর্ণনায় এর সাথে সূরা হাশরের ২১ নং আয়াত থেকে ২৪ নং আয়াত পাঠ করার কথা এসেছে।
  11. আবার সূরা ইখলাছ, সূরা কাফেরূন, সূরা আল ফালাক ও সূরা আন নাছ পাঠ করার কথাও এসেছে।

তবে মূল কথা হল তেত্রিশ আয়াত পাঠ করতে হবে এমন কোন বিধান নেই। আগেই বলেছি এ সংক্রান্ত হাদীসটির সনদ সহীহ বলে প্রমাণিত নয়। বরং এ আয়াতগুলো ও এর সাথে অন্যান্য যে সকল আয়াতের কথা আলোচনা হয়েছে এগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে খূবই অর্থবহ, তৎপর্যপূর্ণ, বরকতময়। আর অভিজ্ঞতায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত। যেমন সূরা ফাতেহার কথা সকলে কাছে সুবিদিত যে তার এক নাম হল সূরা শিফা। আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সম্পর্কে সকলের জানা। সূরা বাকারার শেষ আয়াতসমূহের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। সূরা সাফফাত পাঠে জিন শয়তান ভয় পেয়ে যায় বলে হাদীসে এসেছে। সূরা ফালাক ও সূরা নাছ সকল প্রকার যাদু টোনা ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ইত্যাদি।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা । বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপক্ষে কম বেশি হতে পারে। এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।