ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত / Examples-Of-Justice

 

 

Examples-Of-Justice

 

ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত / Examples-Of-Justice

ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্তঃ @@@ সিরিয়ার একটি শহরের নাম রাকা। সেখান থেকে খলিফা হারুনুর-রশিদের নিকট চিঠি আসলো। চিঠিতে লেখা ছিল শহরের বিচারক এক মাস যাবত অসুস্থ, বিচার কাজ স্থগিত হয়ে আছে খলিফা যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। খলিফা চিঠির জবাব পাঠালেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক আসবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বিচারক এসে যোগ দিলেন। @@@ বিচার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রহরীরা একজন বৃদ্ধামহিলাকে আসামী হিসেবে দরবারে হাজির করলেন। তার অপরাধ ছিল তিনি শহরের এক রেস্তোরাঁ থেকে কিছু রুটি আর মধু চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। -বিচারক: আপনি চুরি করেছেন? –জ্বি –আপনি কি জানেন চুরি করা কতো বড় অপরাধ ও পাপ?

 

–জ্বি –জেনেও কেন চুরি করলেন? –কারণ আমি গত এক সপ্তাহ যাবত অনাহারে ছিলাম। আমার সাথে এতিম দু’নাতিও না খেয়ে ছিল। ওদের ক্ষুধার্ত চেহারা ও কান্না সহ্য করতে পারিনি তাই চুরি করেছি। আমার আর এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না হুজুর। @@@ বিচারক এবার পুরো দরবারে চোখ বুলালেন। বললেন কাল যেন নগর, খাদ্য,শরিয়া, পুলিশ প্রধান ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ সবাই উপস্থিত থাকেন। তখন এর রায় দেওয়া হবে । @@@ পরদিন সকালে সবাই হাজির হলেন। বিচারকও যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে রায় ঘোষণা করলেন-“ বৃদ্ধামহিলার চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৫০ টি চাবুক, ৫০০ দিনার রৌপ্য মুদ্রা আর অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো। তবে অকপটে সত্য বলার কারণে হাত কাটা মাফ করা হলো। বিচারক প্রহরীকে চাবুক আনার নির্দেশ দিয়ে নিচে নেমে ঐ বৃদ্ধা মহিলার পাশাপাশি দাঁড়ালেন।

 

@@@ বিচারক বললেন, যে নগরে একজন ক্ষুধার্ত বৃদ্ধামহিলা না খেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় চুরি করতে বাধ্য হয় সেখানে তো সবচেয়ে বড় অপরাধী সে দেশের খলিফা/শাসক। আর আমি এসেছি খলিফার প্রতিনিধি হয়ে। আমি যেহেতু তাঁর অধীনে চাকরি করি তাই ৫০ টি চাবুকের ২০ টি আমার হাতে মারা হউক। আর এটাই হলো বিচারকের আদেশ। আদেশ যেন পালন করা হয় এবং বিচারক হিসাবে আমার উপর চাবুক মারতে যেন কোনো রকম করুণা বা দয়া দেখানো না হয়। @@@ বিচারক হাত বাড়িয়ে দিলেন। দুই হাতে পরপর ২০ টি চাবুক মারা হলো। চাবুকের আঘাতের ফলে হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ঐ অবস্থায় বিচারক পকেট থেকে একটি রুমাল বের করলেন। কেউ একজন বিচারকের হাত বাঁধার জন্য এগিয়ে গেলে বিচারক নিষেধ করেন। এরপর বিচারক বললেন যে শহরে নগর প্রধান, খাদ্য গুদাম প্রধান ও অন্যান্য সমাজ হিতৈষীরা একজন অভাবগ্রস্ত মহিলার ভরন-পোষণ করতে পারেন না সেই নগরে তারাও অপরাধী। তাই বাকি ৩০ টি চাবুক সমানভাবে তাদেরকে মারা হোক। @@@ এরপর বিচারক নিজ পকেট থেকে বের করা রুমালের উপর ৫০ টি রৌপ্য মুদ্রা রাখলেন। তারপর বিচারপতি উপস্থিত সবাইকে বললেন “যে সমাজ একজন বৃদ্ধামহিলাকে চোর বানায়, যে সমাজে এতিম শিশুরা উপবাস থাকে সে সমাজের সবাই অপরাধী। তাই উপস্থিত সবাইকে ১০০ দিনার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানা করা হলো।

 

@@@ এবার মোট ৫০০ দিনার রৌপ্য মুদ্রা থেকে ১০০ দিনার রৌপ্য মুদ্রা জরিমানা বাবদ রেখে বাকি ৪০০ টি রৌপ্য মুদ্রা থেকে ২০ টি চুরি যাওয়া দোকানের মালিককে দেওয়া হলো। বাকি ৩৮০টি রৌপ্য মুদ্রা বৃদ্ধামহিলাকে দিয়ে বললেন এগুলো আপনার ভরণ পোষণের জন্য। আর আগামী মাসে আপনি খলিফা হারুনুর রশিদের দরবারে আসবেন। খলিফা হারুনুর রশিদ আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। @@@ একমাস পরে বৃদ্ধামহিলা খলীফার দরবারে গিয়ে দেখেন; খলীফার আসনে বসা লোকটিকে চেনাচেনা মনে হচ্ছে। মহিলা ভয়ে ভয়ে খলীফার আসনের দিকে এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন লোকটি সেদিনের সেই বিচারক। খলীফা চেয়ার থেকে নেমে এসে বললেন আপনাকে ও আপনার এতিম দু’নাতিকে উপোস রাখার জন্য সেদিন বিচারক হিসেবে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আজ দরবারে ডেকে এনেছি প্রজা অধিকার সমুন্নত করতে না পারা অধম এই খলীফাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। আপনি দয়াকরে আমাকে ক্ষমা করুন। সুবহানাল্লাহ ইসলামের ইতিহাস কতই না সুখকর ছিল!!!  

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী

( এম. এ. ইন ইংলিশ )