প্রশ্নঃ ফেসবুকের ইনকাম নিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিকোন জানতে চাই? The Islamic perspective on earning from Facebook.

ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা ইসলামিকভাবে হালাল নাকি হারাম—এটি নির্ভর করে ইনকামের পদ্ধতি এবং সোর্সের উপর। ইসলামের মূলনীতি অনুসারে, যেকোনো আয়ের বৈধতা নির্ধারিত হয় নিচের কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে:

হালাল ইনকামের শর্তসমূহ:

  1. সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে হতে হবে – ইসলামে প্রতারণা, মিথ্যা, ও ধোঁকাবাজি নিষিদ্ধ।

  2. হারাম কনটেন্ট ও পদ্ধতি এড়িয়ে চলতে হবে – ইসলামে অশ্লীলতা, সুদ, জুয়া, মাদক, প্রতারণা, ও হারাম জিনিস প্রচার নিষিদ্ধ।

  3. ইসলামি মূল্যবোধের পরিপন্থী না হওয়া – যে কোনো ব্যবসা বা আয়ের মাধ্যম ইসলামি নীতিমালার পরিপন্থী হলে তা হারাম হয়ে যাবে।

হারাম ইনকামের কিছু উদাহরণ:

  • অশ্লীল বা হারাম কনটেন্ট (যেমন: পর্নোগ্রাফি, জুয়া, হারাম পণ্য) প্রচার বা বিক্রির মাধ্যমে আয়।

  • মিথ্যা ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বা ভুয়া নিউজ শেয়ার করা।

  • ইসলামের বিরোধী, গীবত বা অন্যায় বিষয় প্রচার করা।

হালাল ইনকামের কিছু উদাহরণ:

  • ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, ও অনলাইন বিজনেস (যদি তা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত হয়)।

  • ইসলামিক শিক্ষা, নৈতিকতা, ও সমাজ-উপকারী কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম।

  • বৈধ পণ্য বা সার্ভিস বিক্রির মাধ্যমে আয়।

📜 কোরআন ও হাদিস থেকে দলিল:

  1. আল্লাহ বলেন:
    “হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। তবে যদি তা পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসার মাধ্যমে হয়, তাহলে বৈধ।”
    — (সূরা আন-নিসা: ২৯)

  2. রাসূল (ﷺ) বলেছেন:
    “যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
    — (সহিহ মুসলিম: ১০২)

🔹 সিদ্ধান্ত:

ফেসবুক থেকে আয় করা হালাল হতে পারে, যদি তা ন্যায়সঙ্গত ও ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী হয়। তবে হারাম কনটেন্ট, প্রতারণা বা অন্যায় কোনো উপায়ে হলে তা স্পষ্টত হারাম। তাই সতর্কভাবে ইনকামের মাধ্যম বেছে নেওয়া উচিত।

🔸 আল্লাহ আমাদের হালাল রিজিক অর্জনের তাওফিক দান করুন, আমিন! 🤲

প্রশ্নঃ ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম কি হালাল না হারাম?