Neoton-বেশির ভাগই বিজ্ঞানী নিউটনকে চিনি; কিন্তু ধর্মীয় স্কলার নিউটনকে চিনি না

আমরা বেশির ভাগই বিজ্ঞানী নিউটনকে চিনি; কিন্তু আমরা অধিকাংশই ধর্মীয় স্কলার নিউটনকে চিনি না।’ নিউটন নামে কোনো ধর্মীয় স্কলার ছিলেন নাকি?
“বিজ্ঞানী নিউটনই হলো ধর্মীয় স্কলার নিউটন।”
“স্যার আইজ্যাক নিউটনকে আমরা বিজ্ঞানী হিসাবে চিনি তার বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডগুলোর জন্যে। কিন্তু বিজ্ঞানী পরিচয়ের বাইরেও তার বিশাল একটি পরিচয় আছে। সেটি হলো তিনি ছিলেন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত। সারা জীবন তিনি বিজ্ঞান নিয়ে যত কাজ করেছেন, ধর্ম নিয়ে কাজ করেছেন তার তিন গুণ। বিজ্ঞানের জন্য সারা জীবনে তিনি যত শব্দ লিখেছেন, ধর্মের জন্য লিখেছেন তার পাঁচ গুণ; কিন্তু কোনো এক আশ্চর্য কারণে নিউটনের ধার্মিকতা আর ধর্ম নিয়ে তার গবেষণার ব্যাপারটি আমাদের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়।” “স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত ছিলেন”
নিউটনের গতির ৩য় সূত্র আমরা কম-বেশি সবাই জানি, এবং বইতেও পড়েছি; কিন্তু আমরা ‘নিউটনের ১২ সূত্রের কথা জানিনা বা পড়িও নি। আজ আমরা বিজ্ঞানী নিউটনের বাইরে গিয়ে ধর্মীয় পণ্ডিত নিউটনের অজানা এক অধ্যায়ের কথা জানবো।

ঈশ্বরকে জানার জন্য নিউটন প্রথম যে ১২টি সূত্র দিয়েছিলেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :

————————————————————
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ১ম সূত্র :
———————————————-
“There is one God the Father (everliving), Omnipresent, Omniscient, Almighty, the maker of heaven & earth, and one Mediator between God & Man, the man Christ Jesus.”
#অর্থাৎ “ঈশ্বর হলেন একজন। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বজ্ঞানী এবং সর্বশক্তিমান। তিনি হলেন আসমান এবং জমিনের স্রষ্টা। মানুষ এবং ঈশ্বরের মাঝে সম্পর্কস্থাপনকারী মাধ্যম হলেন যিশু।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ২য় সূত্র :
———————————————
“The Fater is invisible God whom no eye hath seen or can see. All other things are sometimes visible.”
#অর্থাৎ “ঈশ্বর হলেন অদৃশ্য। কোনো দৃষ্টি তাকে দেখেনি অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য সব দৃশ্যমান।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৩য় সূত্র :
———————————————-
“The Father hath life in himself & hath given the son to have life in himself.”
#অর্থাৎ “ঈশ্বর নিজেই নিজের ভেতর জীবন্ত এবং তিনি নিজের মধ্যে থেকেই নিজ ক্ষমতাবলে বান্দাদের জীবন দান করেন।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৪র্থ সূত্র :
———————————————-
“The Father is omniscient & hath all knowledge originally in his own breast. And (He) communicates knowledge of future things to Jesus Christ. None in heaven or earth or under the earth is worthy to receive knowledge of future things immediately from the Father except the Lamb. (And therefore, the testimony of Jesus is the spirit of Prophey & Jesus is the word or Prophet of God)”
#অর্থাৎ “ঈশ্বর হচ্ছেন সর্বজ্ঞানী। তার অন্তরেই রয়েছে সকল জ্ঞান। তিনিই যিশুর কাছে ভবিষ্যৎ-বিষয়ক সকল জ্ঞান প্রেরণ করেন। ঈশ্বরের দূতগণ ব্যতীত আসমান কিংবা জমিনে এমন কেউ নেই, যারা সরাসরি ঈশ্বরের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে। এ কারণেই যিশু হলেন ঈশ্বরের ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত এবং তিনি হলেন ঈশ্বরের দূত।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৫ম সূত্র :
———————————————-
“The Father is immoveable. No place being capable of becoming emptier or fuller of him then it is by the eternal necessity of nature. All other being are moveable from place to place.”
#অর্থাৎ “ঈশ্বর হলেন অবিচল। জগতের কোনো স্থানই তার অনুপস্থিতিতে শূন্য কিংবা তার উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে না; বরং তার উপস্থিতিই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সবকিছু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৬ষ্ঠ সূত্র :
———————————————-
“All the worship whether of prayer praise or thanks giving was due to the Father before coming of Christ is still due to him. Christ came not to diminish the worship of his Father.”
#অর্থাৎ “যিশুর আগমনের পূর্বেও সব ধরনের প্রার্থনার একচ্ছত্র হকদার ছিলেন কেবল ঈশ্বর, এবং এখনো তা-ই আছেন। যিশু ঈশ্বরের প্রার্থনা কমাতে দুনিয়ায় আগমন করেননি।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৭ম সূত্র :
———————————————-
“Prayers are most prevalent when directed to the Father in the name of son.”
#অর্থাৎ “প্রার্থনাগুলো তখনই ফলপ্রসূ হয় যখন সেগুলোতে ঈশ্বরের মনোনীত দূতের নামের মাধ্যমে করা হয়।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৮ম সূত্র :
———————————————-
“We are to return thanks to father alone for creating us & giving us food, raiment & other blessing of this life and whatsoever we are to thank him for or desire that he would do for us we ask of him immediately in the name of Christ.”
#অর্থাৎ “আমরা কেবল ঈশ্বরের কাছেই কৃতজ্ঞ; কারণ, তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের খাদ্যের জোগান দিয়েছেন, পরনের বস্ত্র এবং জীবনের অন্যান্য কল্যাণ প্রদান করেন তিনিই। যিশুর নামের বদৌলতে আমরা ঈশ্বরের কাছে যা-ই চাই, তিনি আমাদের তা দিয়ে থাকেন।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ৯ম সূত্র :
———————————————-
“We need not pray to Christ to intercede for us. If we pray the Father aright, he’ll intercede.”
#অর্থাৎ “মধ্যস্থতা বা সুপারিশের জন্য যিশুর প্রার্থনা করার কোনো দরকার নেই। আমরা যদি সঠিকভাবে ঈশ্বরের প্রার্থনা করি, তাহলে যিশু এমনিতেই আমাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে সুপারিশ করবেন।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ১০ম সূত্র :
————————————————
“It is not necessary to salvation to direct our prayers to any other than the Father in the name of the son.”
#অর্থাৎ “পরিত্রাণের জন্য যিশুর নাম নিয়ে ঈশ্বর ছাড়া অন্য কারও কাছে প্রার্থনা করার কোনো দরকার নেই।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ১১তম সূত্র :
—————————————————
‘To give the name of God to angels or kings is not against the first commandment. To give the worship of the God of the Jews to angels or kings is against it. The meaning of the commandment is- Thou shalt worship no other Gods but me’.
#অর্থাৎ “কোনো ফেরেশতা বা রাজা বাদশাহকে ঈশ্বরের গুণবাচক উপাধিতে ভূষিত করলে সেটি প্রথম আদেশের বিপরীতে চলে যায় না; কিন্তু কোন ফেরেশতা বা রাজা বাদশাহকে যদি ঈশ্বরের মতো ইবাদত করা হয়, তখনই সেটি প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। প্রথম আদেশ হলো, “তোমরা আমি ছাড়া অন্য কারও পূজা কোরো না।”
স্যার আইজ্যাক নিউটনের ১২তম সূত্র :
—————————————————
“To us there is but one God the Father of whom are all things (And we of him), And one Lord Jesus Christ by whom are all things & we by him. That is, we are to worship the Father alone as God Almighty.”
#অর্থাৎ “আমাদের কাছে ঈশ্বর হলেন এক এবং একক। তিনি আমাদের এবং অন্য সকল বস্তুর প্রভু, এমনকি তিনি যিশুরও প্রভু”
[ 🔎Source: Transcription & Commentary Isaac Newton’s Twelve articles on God & Christ, Keynes MS 8, Kings College, Cambridge. ]
#উৎসঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ । পৃষ্ঠাঃ ২০৬-২০১৫ । লেখক : আরিফ আজাদ।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )