এত হাসপাতাল ডাক্তার ওষুধ – এত হাসপাতাল, ডাক্তার, ওষুধ থাকার পরও বেশির ভাগের কপালেই জুটছে না চিকিৎসা সেবা,কেন?

সারা দুনিয়ায় এখন অসংখ্য হাসপাতাল। সংখ্যাটা প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছে। সমান তালে ডাক্তারের সংখ্যাও বাড়ছেই। আর রোগ!! সে তো যেন exponentially প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ অসুস্থ হচ্ছেই। এত হাসপাতাল, ডাক্তার, ওষুধ থাকার পরও বেশির ভাগের কাপালেই জুটছে না চিকিৎসা সেবা ।
আচ্ছা এর সমাধান কি? বেশি বেশি হাসাপাতাল তৈরি করা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, আরো কার্যকরী ঔষধ আবিষ্কারই কি এর সমাধান?? এযাবৎ কালের অভিজ্ঞতায় মনে হচ্ছে প্রতিকারের এই পদ্ধতি যথাযথ না।
কেননা “প্রতিরোধ প্রতিকারের চেয়ে উত্তম”
আমাদেরকে যদি সত্যি এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হয় তাহলে রোগের উৎসমূলে যেতে হবে। আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে এত রোগ কেন? কিভাবে ছড়াচ্ছে?
খাদ্য ও পরিবেশ এই দুটি বিষয় আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। মূলত আমাদের রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ খাদ্যে ভেজাল।
আমাদের খাদ্য নিশ্চিত করে কৃষি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কৃষি এখন ভয়াবহ চক্রে আবদ্ধ। এচক্রের সারসংক্ষেপ অল্প কথায় মিহওয়ারের ৩য় সংখ্যা থেকে উদ্ধৃতি করলে এরকমঃ
“বিশ্লেষকেরা বলছেন, যে বীজ নিয়ন্ত্রণে কোম্পানিগুলোর একচ্ছত্র মালিকানা রয়েছে এবং তাদের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে এবং গুটি কয়েক কোম্পানির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। যেমন ২০০৭ সালের হিশাব অনুযায়ী মনসান্টো ৪,৯৬৪ মিলিয়ন ডলারের বীজ ব্যবসা করে এবং মালিকানাধীন বীজের বাজারের ২৩% নিয়ন্ত্রণ করে,এর পরে রয়েছে ডু-পন্ট (১৫%), সিনজেনটা (৯%)। মাত্র ১০টি কোম্পানি পৃথিবীর মালিকানাধীন বীজের বাজার দখল করে আছে। তার মধ্যে উল্লেখিত তিনটি কোম্পানি ৪৭% বাজার দখল করে আছে। এর অর্থ হচ্ছে বিশ্ব কৃষি ব্যবস্থায় গুটিকয়েক বহুজাতিক কোম্পানির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এগুলো হলো এই কোম্পানি সমূহ বীজের পাশাপাশি খাদ্যকেও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গত শতকে এইডস, ডায়াবেটিস, বার্ডফ্লু সহ আরো অনেক রোগের জীবাণু ছড়ানোর পেছনে এরাই দায়ী। যেমন,গম ও চালের জিনের সাথে তারা ডায়াবেটিস সহ আরও নানাবিধ রোগ মিশয়ে দিয়ে থাকে। তার অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে,
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চকলেট এবং চিনিজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হল নেসলে (Nestle)
আবার ডায়াবেটিকস কিংবা চিনি খাওয়ার ফলে যে সকল অসুখ শরীরে দানাবাঁধে তার
মেট্যাংস (metanx) নামক ঔষধও তৈরি করে এই একই কোম্পানি!
এইজন্য এই ভয়াবহ আগ্রাসনকে তুলে ধরার জন্য অনেক গবেষকগণ কাজ করে যাচ্ছেন! তন্মধ্যে F. William Engdahl এর লেখা Seeds of Destruction. The Hidden Agenda of Genetic manipulation নামক বইটি অন্যতম।
এসব সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ফলাফল স্বরূপ আমাদের স্বাস্থ্য খাত, আমাদের শারীরিক অবস্থা, মানসিক অবস্থা, পরিবেশের অবস্থা এতোটাই নিম্নগামী যেখানে আমাদের গড় আয়ু ছিল ৮০-৯০ বছর এখন তা কমতে কমতে ৪০ এর কোঠায় এসে নেমেছে। হঠাৎ মৃত্যু, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, নানা ধরণের ক্যান্সার রোগ বৃদ্ধি, শতভাগ মানুষ আজ দুর্বলতার মধ্যে ভূগছে,গ্যাস্ট্রিকে ভূগছে কিডনী সমস্যায় ভূগছে। অর্থাৎ প্রতিটি ঘর প্রতিটি ব্যক্তি আজ গণহারে অসুস্থতার মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। সুস্থ হওয়ার রাস্তা নেই কারণ তাদেরই দেওয়া ঔষধ খেয়ে সু এর ফলাফল কি?
এর ফলাফল হচ্ছে চকচকে সুন্দর সবজি উৎপাদন হলেও জমির অবস্থা ক্রমেই নষ্ট হতে শুরু করছে। মানুষ ভয়াবহ দুর্বলতা ও নতুন নতুন রোগের মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। আমরা জানি, GMO তথা Genetically Modified Organism অর্থাৎ বীজের মডিফাই করণ। বিশ্বব্যাপী শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে বীজ আসতে শুরু করলো। যা গবেষক ও বিজ্ঞানীদের ভাষায় এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট। কিন্তু ফলাফলস্বরূপ মানুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ক্যান্সারসহ সব ধরণের ভয়াবহ রোগ যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তা আশংকাজনক। মোট মৃত্যুর ৬১ ভাগই হচ্ছে এইসকল খাদ্য, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে। বর্তমানে ৮০ ভাগ খাদ্যে ক্যামিকেল মিশানো হয় । ৬৭ ভাগ জমিতে কীটনাশক মিশানো হচ্ছে। যার ফলে রোগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের সাথে উপযোগী পোকা গুলিও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যেমন জোনাকী পোকা আজ বিলুপ্তির পথে। বাৎসরিক কৃষি পরিসংখ্যান গ্রন্থে (Yearbook of Agricultural Statistics in Bangladesh, 2009) দেখা যায়, ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কীটনাশক ব্যবহারের পরিমান ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ১৯৯৩ সালে ছিল ৭৬৬০.৩৯ মেট্রিক টন, ২০০৭ সালে তা হয়েছে ৩৭৭১২.২০ মেট্রিক টন, অর্থাৎ ৩৯২% বেড়েছে। উল্লেখ্য ধান ও অন্য ফসলে হাইব্রীড বীজের ব্যবহার ১৯৯৮ সাল থেকে অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
সরাসরি হাতের সাহাযে জমিতে এই কীটনাশক ব্যবহারের কারণে আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশের ক্যান্সার রোগের ৬০ শতাংশ হচ্ছে কৃষক। কারণ এই কীটনাশক খালি হাতে তারা ব্যবহার করে থাকে। পানিতে বিভিন্ন ধরণের কেমিকেল ও কারখানার ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের দরুন পানি দূষণের কারণে প্রতিটি জমি নষ্ট হচ্ছে এবং কৃষকরা এভাবেই প্রতিদিন দারিদ্রতার সাথে হার মানছে। শুধু কি তাই, জাতিসংঘ কর্তৃক কৃষিতে ব্যবহৃত ১২টি কীটনাশক নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু তা বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এসকল কীটনাশকগুলো ব্যবহারের ফলে লিভার, কিডনী, স্তন ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব, ত্বকের সমস্যাসহ নানা ধরণের সমস্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই সব কিছুর কারণ এই ধরণের সার, কীটনাশক এবং বীজ ব্যবস্থা।
এই চক্রগুলোর কাছে বন্দি হওয়ার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে, যেসব বীজ কোম্পানি গুলো আমাদেরকে বীজ দিয়ে থাকে তাদের কেউ ঔষধ কোম্পানি খুলে বসেছে তো অন্যরা সমন্বয় করে একসাথে কাজ করছে।” (১)
এসব সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ফলাফল স্বরূপ স্বাস্থ্য খাত, আমাদের শারীরিক অবস্থা, মানসিক অবস্থা, পরিবেশের অবস্থা এতোটাই নিম্নগামী যেখানে আমাদের গড় আয়ু ছিল ৮০-৯০ বছর এখন তা কমতে কমতে ৪০ এর কোঠায় এসে নেমেছে। হঠাৎ মৃত্যু, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, নানা ধরণের ক্যান্সার রোগ বৃদ্ধি, শতভাগ মানুষ আজ দুর্বলতার মধ্যে ভূগছে,গ্যাস্ট্রিকে ভূগছে কিডনী সমস্যায় ভূগছে। অর্থাৎ প্রতিটি ঘর প্রতিটি ব্যক্তি আজ গণহারে অসুস্থতার মধ্যে নিপতিত হচ্ছে। সুস্থ হওয়ার রাস্তা নেই কারণ তাদেরই দেওয়া ঔষধ খেয়ে সুস্থ হওয়া পথ খুঁজছি।” (২)
তারা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়। ভেজাল মুক্ত থাকার জন্য আলাদা করে অর্গানিক ফুড নামে নতুন ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে প্রণয়ন হয়ে গেছে।
এতো গেল খাদ্যে ভেজাল। এরপর আমাদের পরিবেশের দিকে যদি তাকাই তাহলে সবার প্রথমেই আমাদের নগরায়ন প্রশ্নবিদ্ধ। বিদ্যমান নগরায়ন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এ শহর বন্দরে মানুষ বসবাস করতে পারে না। আমরা যে পদ্ধতিতে বিল্ডিং করে চলেছি তা অনেক বেশি ক্ষতিকর। বেশির ভাগ ভবনই আলো, বাতাসহীন। আর প্রত্যেকটি ভবন সূর্যের তাপে দিনের বেলা তাপ ধারণ করে উষ্ণ হয়ে থাকে এবং রাতের বেলায় সেই তাপ নির্গমন করে। এভাবে আমরা রাত দিন ২৪ ঘণ্টাই অস্বাভাবিক অস্বস্তিকর পরিবেশে কাটাই। এথেকে পরিত্রাণ পেতে ইলেকট্রনিকসের ব্যবহার হু হু করে বেড়ে চলেছে। এসি, ফ্যানসহ, টিউব লাইটসহ আরো কত কি?
শুধু তাই নয় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তেই স্থাপত্য নির্মাণ একই রকম। অথচ এক এক জায়গার পরিবেশ এক এক রকম। কোন অঞ্চল শীত প্রধান কোন অঞ্চল মরুভূমি। কোনা ট্রপিক্যাল অঞ্চল কোন বৃষ্টি প্রবণ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সবখানেই ইট পাথের বড় বড় ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে। অতঃপর কৃত্রিম ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বসবাস যোগ্য করতে হচ্ছে।
শুধু স্থাপনার ক্ষেত্রেই নয় একই সমস্যা অবকাঠামো নির্মাণেও। স্থল প্রধান দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা নদীমাতৃক, সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলেও প্রণয়ন করা হচ্ছে। যেমন আমাদের দেশ নদীমাতৃক। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকটি বড় বড় শহর নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
আমাদের রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকেই যদি নজর দিই তাহলেই বিষয়টি উপলব্ধিতে আসে। ঢাকার একেবারে দক্ষিণ সদরঘাট কেরানীগঞ্জ থেকে কামরাঙ্গীরচর, রামচন্দ্রপুর,বসিলা ধার ঘেঁষে একেবারে উত্তরে গাবতলীতে হয়ে বুড়িগঙ্গা গিয়ে মিলেছে তুরাগ নদীর সাথে। ঐদিকে ডেমরা ঘাট থেকে বালু নদীর একটি শাখা গিয়েছে বসুন্ধরা আবাসিকের দিকে। মাঝে আবার একটি শাখা খিলগাঁও হয়ে ঢুকে আফতাবনগর, বনশ্রী হয়ে রামপুরায় গিয়ে হাতিরঝিলে মিলেছে। হাতিরঝিল আবার তেঁজগাও,নিউ ইস্কাটন, কাওরান বাজার, বেগুনবাড়ি হয়ে পুলিশ প্লাজার পাশ ঘেঁষে গুলশানের দিকে চলে গিয়েছে। হাতিরঝিলের আরেকটি অংশ রামপুরা থেকে গুলশান, বাড্ডা, শাহজাদপুর হয়ে বারিধারায় গিয়ে থেমেছে।
এছাড়াও ঢাকার ভিতরে এখনো অনেকগুলো খাল রয়েছে। যেগুলো অবহেলায়, পরিচর্যাহীনতায় আজ মৃতপ্রায়। অথচ জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার এইরকম সুযোগ থেকেও আমরা স্থলপথকে বেচে নিয়ে এর পরিণাম ভোগ করছি।
মূলত এজন্য প্রয়োজন নিজস্ব মেথডোলজি। স্থানীয় পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রণয়ন। সে অনুযায়ী যানবাহন নির্মাণ। আরেক দেশের প্রযুক্তি দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হতে পারি। কিন্তু তাই বলে হুবহু নকল করলে তার ফলও ভোগ করতে হবে।
যোগাযোগের জন্য আমাদের ব্যবহৃত যানবাহন কতটুকু পরিবেশ বান্ধব? কতটুকু আমাদের দেশের উপযোগী তা আমাদের পুনরায় ভেবে দেখা উচিত। দুঃখজনক ভাবে এবিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা নেই। আরো পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই সকল বিষয়ে যে আমাদের গবেষণা করা প্রয়োজন তাও আমরা উপলব্ধি করছি না।
ফলাফল পৃথিবীর বসবাসের অযোগ্য নিকৃষ্ট নগরীর তকমা হরহামেশাই পাচ্ছি। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা পড়ছি। লঞ্চ ডুবে মরছি। অথচ বিষয়গুলো কতটুকু প্রাকৃতিক আর কতটুকু মানবসৃষ্ট তা ভাবছি না।
এরকম অপরিকল্পিত নগরায়ন, অনুপযোগী বাসস্থান নির্মাণ আমাদেরকে শারীরিক মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তুলছে। ফলে আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যাবস্থার দশা একেবারেই বেহাল।
খাদ্য ও পরিবেশের পর তৃতীয় যে বিষয়টি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।
আমাদের উপর যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা মোটেও আমাদের উপযোগী না। ইউরোপের যে বাস্তবতা আমাদের সে বাস্তবতা নেই। আমাদের ঔষধ প্রণয়ন, রোগ নির্ণয়, ডায়েট প্রণয়ণ সবকিছু আমাদের নিজস্ব পরিবেশ, খাদ্য, সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে প্রণয়ণ করতে হবে। নয়তো ৬ ফুট + শীত প্রধান দেশের মানুষের জন্য যে ঔষধ যে চিকিৎসা পদ্ধতি তা আমাদের মতো ৫ ফুট সাড়ে ৫ ফুটের ৬ ঋতুর বাঙালি তনুর উপর চাপালে যা হবার এখন তাই হচ্ছে।
এসকল সমস্যার সমাধান ব্যাতিরেকে যতই হাসপাতাল, ঔষধ, ডাক্তার তৈরি করি না কেন পরিস্থিতির পরিবর্তন অসম্ভব। এই পরিস্থিতির উত্তরণ না ঘটালে প্রিয়জনদের প্রতিনিয়ত হাঁপানি, এজমা, সাইনোসাইটিস, গ্যাস্ট্রিক থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার, আলসার, হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্টোক, কিডনী ডেমেজের মতো মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাতে দেখতে হবে।
একটি বসবাস যোগ্য নতুন দুনিয়া চাই
তথ্যসূত্রঃ
(১) মিহওয়ার ৩য় সংখ্যা – ১০৫ নং পৃষ্ঠা
(২) মিহওয়ার ৩য় সংখ্যা – ১০৬ নং পৃষ্ঠা
বিঃ দ্রঃ কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুন “বাংলা অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাঃ প্রেক্ষিত ইসলামী সভ্যতা” মিহওয়ার ৩য় সংখ্যা।
পোস্ট ক্রেডিটঃ Md Sayem Muhaimin

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )