Para 27 – ২৭ পারা।সূরা আয-যারিয়াত এর ৩১-৬০ আয়াত, সূরা আত্ব তূর, সূরা আন-নাজম, সূরা আল ক্বামার, সূরা আর রহমান, সূরা আল ওয়াক্বিয়া ও সূরা আল হাদীদ

 

(31 قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ ইব্রাহীম বললঃ হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কি?

(Abraham) said: “And what, O ye Messengers, is your errand (now)?

(32 قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُّجْرِمِينَ

তারা বললঃ আমরা এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি,

They said, “We have been sent to a people (deep) in sin;-

(33 لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِّن طِينٍ

যাতে তাদের উপর মাটির ঢিলা নিক্ষেপ করি।

“To bring on, on them, (a shower of) stones of clay (brimstone)

, (34 مُسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ

যা সীমাতিক্রমকারীদের জন্যে আপনার পালনকর্তার কাছে চিহিßত আছে।

“Marked as from thy Lord for those who trespass beyond bounds.

” (35 فَأَخْرَجْنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ

অতঃপর সেখানে যারা ঈমানদার ছিল, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম।

Then We evacuated those of the Believers who were there

, (36 فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِينَ

এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।

But We found not there any just (Muslim) persons except in one house:

(37 وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِّلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ

যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি।

And We left there a Sign for such as fear the Grievous Penalty.

(38 وَفِي مُوسَى إِذْ أَرْسَلْنَاهُ إِلَى فِرْعَوْنَ بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ

এবং নিদর্শন রয়েছে মূসার বৃত্তান্তে; যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে প্রেরণ করেছিলাম।

And in Moses (was another Sign): Behold, We sent him to Pharaoh, with authority manifest.

(39 فَتَوَلَّى بِرُكْنِهِ وَقَالَ سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ

অতঃপর সে শক্তিবলে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললঃ সে হয় যাদুকর, না হয় পাগল।

But (Pharaoh) turned back with his Chiefs, and said, “A sorcerer, or one possessed!”

(40 فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٌ

অতঃপর আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম এবং তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল অভিযুক্ত।

So We took him and his forces, and threw them into the sea; and his was the blame.

(41 وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ

এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনীতে; যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অশুভ বায়ু।

And in the ‘Ad (people) (was another Sign): Behold, We sent against them the devastating Wind:

(42 مَا تَذَرُ مِن شَيْءٍ أَتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيمِ

এই বায়ু যার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলঃ তাকেই চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিয়েছিল।

It left nothing whatever that it came up against, but reduced it to ruin and rottenness.

(43 وَفِي ثَمُودَ إِذْ قِيلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوا حَتَّى حِينٍ

আরও নিদর্শন রয়েছে সামূদের ঘটনায়; যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, কিছুকাল মজা লুটে নাও।

And in the Thamud (was another Sign): Behold, they were told, “Enjoy (your brief day) for a little while!

” (44 فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَأَخَذَتْهُمُ الصَّاعِقَةُ وَهُمْ يَنظُرُونَ

অতঃপর তারা তাদের পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল এবং তাদের প্রতি বজ্রঘাত হল এমতাবস্থায় যে, তারা তা দেখেছিল।

But they insolently defied the Command of their Lord: So the stunning noise (of an earthquake) seized them, even while they were looking on.

(45 فَمَا اسْتَطَاعُوا مِن قِيَامٍ وَمَا كَانُوا مُنتَصِرِينَ

অতঃপর তারা দাঁড়াতে সক্ষম হল না এবং কোন প্রতিকারও করতে পারল না।

Then they could not even stand (on their feet), nor could they help themselves.

(46 وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ

আমি ইতিপূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি। নিশ্চিতই তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।

So were the People of Noah before them for they wickedly transgressed.

(47 وَالسَّمَاء بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ

আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।

With power and skill did We construct the Firmament: for it is We Who create the vastness of pace.

(48 وَالْأَرْضَ فَرَشْنَاهَا فَنِعْمَ الْمَاهِدُونَ

আমি ভূমিকে বিছিয়েছি। আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।

And We have spread out the (spacious) earth: How excellently We do spread out!

(49 وَمِن كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।

And of every thing We have created pairs: That ye may receive instruction

(50 فَفِرُّوا إِلَى اللَّهِ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

অতএব, আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তাঁর তরফ থেকে তোমাদের জন্যে সুস্পষ্ট সতর্ককারী।

Hasten ye then (at once) to Allah. I am from Him a Warner to you, clear and open!

(51 وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।

And make not another an object of worship with Allah. I am from Him a Warner to you, clear and open!

(52 كَذَلِكَ مَا أَتَى الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا قَالُوا سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ

এমনিভাবে, তাদের পূর্ববর্তীদের কাছে যখনই কোন রসূল আগমন করেছে, তারা বলছেঃ যাদুকর, না হয় উম্মাদ।

Similarly, no apostle came to the Peoples before them, but they said (of him) in like manner, “A sorcerer, or one possessed”!

(53 أَتَوَاصَوْا بِهِ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ

তারা কি একে অপরকে এই উপদেশই দিয়ে গেছে? বস্তুতঃ ওরা দুষ্ট সম্প্রদায়।

Is this the legacy they have transmitted, one to another? Nay, they are themselves a people transgressing beyond bounds!

(54 فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَا أَنتَ بِمَلُومٍ

অতএব, আপনি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এতে আপনি অপরাধী হবেন না।

So turn away from them: not thine is the blame.

(55 وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ

এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে।

But teach (thy Message) for teaching benefits the Believers.

(56 وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।

I have only created Jinns and men, that they may serve Me.

(57 مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَن يُطْعِمُونِ

আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে।

No Sustenance do I require of them, nor do I require that they should feed Me.

(58 إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ

আল্লাহ তা’আলাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।

For Allah is He Who gives (all) Sustenance,- Lord of Power,- Steadfast (for ever).

(59 فَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا ذَنُوبًا مِّثْلَ ذَنُوبِ أَصْحَابِهِمْ فَلَا يَسْتَعْجِلُونِ

অতএব, এই যালেমদের প্রাপ্য তাই, যা ওদের অতীত সহচরদের প্রাপ্য ছিল। কাজেই ওরা যেন আমার কাছে তা তাড়াতাড়ি না চায়।

For the Wrong-doers, their portion is like unto the portion of their fellows (of earlier generations): then let them not ask Me to hasten (that portion)!

(60 فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا مِن يَوْمِهِمُ الَّذِي يُوعَدُونَ

অতএব, কাফেরদের জন্যে দুর্ভোগ সেই দিনের, যেদিনের প্রতিশ্রুতি ওদেরকে দেয়া হয়েছে।

Woe, then, to the Unbelievers, on account of that Day of theirs which they have been promised!

 

52) সূরা আত্ব তূর – Surah At-Tur (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 49)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

 (1 وَالطُّورِ

কসম তূরপর্বতের,

By the Mount (of Revelation);

(2 وَكِتَابٍ مَّسْطُورٍ

এবং লিখিত কিতাবের,

By a Decree inscribed

(3 فِي رَقٍّ مَّنشُورٍ

প্রশস্ত পত্রে,

In a Scroll unfolded;

(4 وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ

কসম বায়তুল-মামুর তথা আবাদ গৃহের,

By the much-frequented Fane;

(5 وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ

এবং সমুন্নত ছাদের,

By the Canopy Raised High;

(6 وَالْبَحْرِ الْمَسْجُورِ

এবং উত্তাল সমুদ্রের,

And by the Ocean filled with Swell;-

(7 إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ

আপনার পালনকর্তার শাস্তি অবশ্যম্ভাবী,

Verily, the Doom of thy Lord will indeed come to pass;-

(8 مَا لَهُ مِن دَافِعٍ

তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না।

There is none can avert it;-

(9 يَوْمَ تَمُورُ السَّمَاء مَوْرًا

সেদিন আকাশ প্রকম্পিত হবে প্রবলভাবে।

On the Day when the firmament will be in dreadful commotion.

(10 وَتَسِيرُ الْجِبَالُ سَيْرًا

এবং পর্বতমালা হবে চলমান

And the mountains will fly hither and thither.

(11 فَوَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِلْمُكَذِّبِينَ

সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে,

Then woe that Day to those that treat (Truth) as Falsehood;

– (12 الَّذِينَ هُمْ فِي خَوْضٍ يَلْعَبُونَ

যারা ক্রীড়াচ্ছলে মিছেমিছি কথা বানায়।

That play (and paddle) in shallow trifles.

(13 يَوْمَ يُدَعُّونَ إِلَى نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا

সেদিন তোমাদেরকে জাহান্নামের অগ্নির দিকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়া হবে।

That Day shall they be thrust down to the Fire of Hell, irresistibly.

(14 هَذِهِ النَّارُ الَّتِي كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ

এবং বলা হবেঃ এই সেই অগ্নি, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে,

“This:, it will be said, “Is the Fire,- which ye were wont to deny!

(15 أَفَسِحْرٌ هَذَا أَمْ أَنتُمْ لَا تُبْصِرُونَ

এটা কি জাদু, না তোমরা চোখে দেখছ না? ”

Is this then a fake, or is it ye that do not see?

(16 اصْلَوْهَا فَاصْبِرُوا أَوْ لَا تَصْبِرُوا سَوَاء عَلَيْكُمْ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

এতে প্রবেশ কর অতঃপর তোমরা সবর কর অথবা না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যা করতে তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে।

“Burn ye therein: the same is it to you whether ye bear it with patience, or not: Ye but receive the recompense of your (own) deeds.

” (17 إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَعِيمٍ

নিশ্চয় খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে।

As to the Righteous, they will be in Gardens, and in Happiness,-

(18 فَاكِهِينَ بِمَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ وَوَقَاهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ

তারা উপভোগ করবে যা তাদের পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন।

Enjoying the (Bliss) which their Lord hath bestowed on them, and their Lord shall deliver them from the Penalty of the Fire.

(19 كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর।

(To them will be said:) “Eat and drink ye, with profit and health, because of your (good) deeds.”

(20 مُتَّكِئِينَ عَلَى سُرُرٍ مَّصْفُوفَةٍ وَزَوَّجْنَاهُم بِحُورٍ عِينٍ

তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।

They will recline (with ease) on Thrones (of dignity) arranged in ranks; and We shall join them to Companions, with beautiful big and lustrous eyes.

(21 وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ

যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।

And those who believe and whose families follow them in Faith,- to them shall We join their families: Nor shall We deprive them (of the fruit) of aught of their works: (Yet) is each individual in pledge for his deeds.

(22 وَأَمْدَدْنَاهُم بِفَاكِهَةٍ وَلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ

আমি তাদেরকে দেব ফল-মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।

And We shall bestow on them, of fruit and meat, anything they shall desire.

(23 يَتَنَازَعُونَ فِيهَا كَأْسًا لَّا لَغْوٌ فِيهَا وَلَا تَأْثِيمٌ

সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে; যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই।

They shall there exchange, one with another, a (loving) cup free of frivolity, free of all taint of ill.

(24 وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَأَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُونٌ

সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে।

Round about them will serve, (devoted) to them. Youths (handsome) as Pearls well-guarded.

(25 وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ

তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

They will advance to each other, engaging in mutual inquiry.

(26 قَالُوا إِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِي أَهْلِنَا مُشْفِقِينَ

তারা বলবেঃ আমরা ইতিপূর্বে নিজেদের বাসগৃহে ভীত-কম্পিত ছিলাম।

They will say: “Aforetime, we were not without fear for the sake of our people.

(27 فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُومِ

অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।

“But Allah has been good to us, and has delivered us from the Penalty of the Scorching Wind.

(28 إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلُ نَدْعُوهُ إِنَّهُ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيمُ

আমরা পূর্বেও আল্লাহকে ডাকতাম। তিনি সৌজন্যশীল, পরম দয়ালু।

“Truly, we did call unto Him from of old: truly it is He, the Beneficent, the Merciful!”

(29 فَذَكِّرْ فَمَا أَنتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَلَا مَجْنُونٍ

অতএব, আপনি উপদেশ দান করুন। আপনার পালনকর্তার কৃপায় আপনি অতীন্দ্রিয়বাদী নন এবং উম্মাদও নন।

Therefore proclaim thou the praises (of thy Lord): for by the Grace of thy Lord, thou art no (vulgar) soothsayer, nor art thou one possessed.

(30 أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ

তারা কি বলতে চায়ঃ সে একজন কবি আমরা তার মৃত্যু-দুর্ঘটনার প্রতীক্ষা করছি।

Or do they say:- “A Poet! we await for him some calamity (hatched) by Time!”

(31 قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُم مِّنَ الْمُتَرَبِّصِينَ

বলুনঃ তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষারত আছি।

Say thou: “Await ye!- I too will wait along with you!”

(32 أَمْ تَأْمُرُهُمْ أَحْلَامُهُم بِهَذَا أَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ

তাদের বুদ্ধি কি এ বিষয়ে তাদেরকে আদেশ করে, না তারা সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়?

Is it that their faculties of understanding urge them to this, or are they but a people transgressing beyond bounds?

(33 أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُ بَل لَّا يُؤْمِنُونَ

না তারা বলেঃ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী।

Or do they say, “He fabricated the (Message)”? Nay, they have no faith!

(34 فَلْيَأْتُوا بِحَدِيثٍ مِّثْلِهِ إِن كَانُوا صَادِقِينَ

যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবেএর অনুরূপ কোন রচনা উপস্থিত করুক।

Let them then produce a recital like unto it,- If (it be) they speak the truth!

(35 أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ

তারা কি আপনা-আপনিই সৃজিত হয়ে গেছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?

Were they created of nothing, or were they themselves the creators?

(36 أَمْ خَلَقُوا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بَل لَّا يُوقِنُونَ

না তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছে? বরং তারা বিশ্বাস করে না।

Or did they create the heavens and the earth? Nay, they have no firm belief.

(37 أَمْ عِندَهُمْ خَزَائِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ الْمُصَيْطِرُونَ

তাদের কাছে কি আপনার পালনকর্তার ভান্ডার রয়েছে, না তারাই সবকিছুর তত্ত্বাবধায়ক?

Or are the Treasures of thy Lord with them, or are they the managers (of affairs)?

(38 أَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ يَسْتَمِعُونَ فِيهِ فَلْيَأْتِ مُسْتَمِعُهُم بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ

না তাদের কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা শ্রবণ করে? থাকলে তাদের শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক।

Or have they a ladder, by which they can (climb up to heaven and) listen (to its secrets)? Then let (such a) listener of theirs produce a manifest proof

. (39 أَمْ لَهُ الْبَنَاتُ وَلَكُمُ الْبَنُونَ

না তার কন্যা-সন্তান আছে আর তোমাদের আছে পুত্রসন্তান?

Or has He only daughters and ye have sons?

(40 أَمْ تَسْأَلُهُمْ أَجْرًا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُونَ

না আপনি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চান যে, তাদের উপর জরিমানার বোঝা চেপে বসে?

Or is it that thou dost ask for a reward, so that they are burdened with a load of debt?-

(41 أَمْ عِندَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ

না তাদের কাছে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান আছে যে, তারাই তা লিপিবদ্ধ করে?

Or that the Unseen in it their hands, and they write it down?

(42 أَمْ يُرِيدُونَ كَيْدًا فَالَّذِينَ كَفَرُوا هُمُ الْمَكِيدُونَ

না তারা চক্রান্ত করতে চায়? অতএব যারা কাফের, তারই চক্রান্তের শিকার হবে।

Or do they intend a plot (against thee)? But those who defy Allah are themselves involved in a Plot!

(43 أَمْ لَهُمْ إِلَهٌ غَيْرُ اللَّهِ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ

না তাদের আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন উপাস্য আছে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা’আলা তা থেকে পবিত্র।

Or have they a god other than Allah. Exalted is Allah far above the things they associate with Him!

(44 وَإِن يَرَوْا كِسْفًا مِّنَ السَّمَاء سَاقِطًا يَقُولُوا سَحَابٌ مَّرْكُومٌ

তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।

Were they to see a piece of the sky falling (on them), they would (only) say: “Clouds gathered in heaps!”

(45 فَذَرْهُمْ حَتَّى يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي فِيهِ يُصْعَقُونَ

তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে।

So leave them alone until they encounter that Day of theirs, wherein they shall (perforce) swoon (with terror),

– (46 يَوْمَ لَا يُغْنِي عَنْهُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

সেদিন তাদের চক্রান্ত তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।

The Day when their plotting will avail them nothing and no help shall be given them.

(47 وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا عَذَابًا دُونَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

গোনাহগারদের জন্যে এছাড়া আরও শাস্তি রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।

And verily, for those who do wrong, there is another punishment besides this: But most of them understand not.

(48 وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِينَ تَقُومُ

আপনি আপনার পালনকর্তার নির্দেশের অপেক্ষায় সবর করুন। আপনি আমার দৃষ্টির সামনে আছেন এবং আপনি আপনার পালনকর্তêার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন যখন আপনি গাত্রোত্থান করেন।

Now await in patience the command of thy Lord: for verily thou art in Our eyes: and celebrate the praises of thy Lord the while thou standest forth,

(49 وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَإِدْبَارَ النُّجُومِ

এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।

And for part of the night also praise thou Him,- and at the retreat of the stars!

 

53) সূরা আন-নাজম – Surah An-Najm (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 62)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(1 وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى

নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।

By the Star when it goes down,-

(2 مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى

তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।

Your Companion is neither astray nor being misled.

(3 وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى

এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।

Nor does he say (aught) of (his own) Desire.

(4 إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى

কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।

It is no less than inspiration sent down to him:

(5 عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَى

তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,

He was taught by one Mighty in Power,

(6 ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَى

সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল। Endued with Wisdom: for he appeared (in stately form);

(7 وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى উর্ধ্ব দিগন্তে, While he was in the highest part of the horizon:

(8 ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল। Then he approached and came closer,

(9 فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ত

খন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।

And was at a distance of but two bow-

lengths or (even) nearer;

(10 فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى

তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন।

So did ((Allah)) convey the inspiration to His Servant- (conveyed) what He (meant) to convey.

(11 مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى

রসূলের অন্তর মিথ্যা বলেনি যা সে দেখেছে।

The (Prophet’s) (mind and) heart in no way falsified

that which he saw.

(12 أَفَتُمَارُونَهُ عَلَى مَا يَرَى

তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে?

Will ye then dispute with him concerning what he saw?

(13 وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى

নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল,

For indeed he saw him at a second descent,

(14 عِندَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى

সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে,

Near the Lote-tree beyond which none may pass:

(15 عِندَهَا جَنَّةُ الْمَأْوَى

যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত।

Near it is the Garden of Abode.

(16 إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى

যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।

Behold, the Lote-tree was shrouded (in mystery unspeakable!)

(17 مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَى

তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি।

(His) sight never swerved, nor did it go wrong!

(18 لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى

নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।

For truly did he see, of the Signs of his Lord, the Greatest!

(19 أَفَرَأَيْتُمُ اللَّاتَ وَالْعُزَّى

তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে।

Have ye seen Lat. and ‘Uzza,

(20 وَمَنَاةَ الثَّالِثَةَ الْأُخْرَى

এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?

And another, the third (goddess), Manat?

(21 أَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْأُنثَى

পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য

? What! for you the male sex, and for Him, the female?

(22 تِلْكَ إِذًا قِسْمَةٌ ضِيزَى

এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন।

Behold, such would be indeed a division most unfair!

(23 إِنْ هِيَ إِلَّا أَسْمَاء سَمَّيْتُمُوهَا أَنتُمْ وَآبَاؤُكُم مَّا أَنزَلَ اللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَانٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَمَا تَهْوَى الْأَنفُسُ وَلَقَدْ جَاءهُم مِّن رَّبِّهِمُ

الْهُدَى এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।

These are nothing but names which ye have devised,- ye and your fathers,- for which Allah has sent down no authority (whatever). They follow nothing but conjecture and what their own souls desire!- Even though there has already come to them Guidance from their Lord!

(24 أَمْ لِلْإِنسَانِ مَا تَمَنَّى

মানুষ যা চায়, তাই কি পায়?

Nay, shall man have (just) anything he hankers after?

(25 فَلِلَّهِ الْآخِرَةُ وَالْأُولَى অতএব, পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সব মঙ্গলই আল্লাহর হাতে। But it is to Allah that the End and the Beginning (of all things) belong.

(26 وَكَم مِّن مَّلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِن بَعْدِ أَن يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَن يَشَاء وَيَرْضَى

আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন।

How many-so-ever be the angels in the heavens, their intercession will avail nothing except after Allah has given leave for whom He pleases and that he is acceptable to Him.

(27 إِنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ لَيُسَمُّونَ الْمَلَائِكَةَ تَسْمِيَةَ الْأُنثَى

যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে।

Those who believe not in the Hereafter, name the angels with female names.

(28 وَمَا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا

অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়।

But they have no knowledge therein. They follow nothing but conjecture; and conjecture avails nothing against Truth.

(29 فَأَعْرِضْ عَن مَّن تَوَلَّى عَن ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ إِلَّا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا

অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ এবং কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে তার তরফ থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিন।

Therefore shun those who turn away from Our Message and desire nothing but the life of this world.

(30 ذَلِكَ مَبْلَغُهُم مِّنَ الْعِلْمِ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدَى

তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকেবিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।

That is as far as knowledge will reach them. Verily thy Lord knoweth best those who stray from His Path, and He knoweth best those who receive guidance.

(31 وَلِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ لِيَجْزِيَ الَّذِينَ أَسَاؤُوا بِمَا عَمِلُوا وَيَجْزِيَ الَّذِينَ أَحْسَنُوا بِالْحُسْنَى

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর, যাতে তিনি মন্দকর্মীদেরকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেন এবং সৎকর্মীদেরকে দেন ভাল ফল।

Yea, to Allah belongs all that is in the heavens and on earth: so that He rewards those who do evil, according to their deeds, and He rewards those who do good, with what is best.

(32 الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلَّا اللَّمَمَ إِنَّ رَبَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ هُوَ أَعْلَمُ بِكُمْ إِذْ أَنشَأَكُم مِّنَ الْأَرْضِ وَإِذْ أَنتُمْ أَجِنَّةٌ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ فَلَا تُزَكُّوا أَنفُسَكُمْ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى

যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।

Those who avoid great sins and shameful deeds, only (falling into) small faults,- verily thy Lord is ample in forgiveness. He knows you well when He brings you out of the earth, And when ye are hidden in your mothers’ wombs. Therefore justify not yourselves: He knows best who it is that guards against evil.

(33 أَفَرَأَيْتَ الَّذِي تَوَلَّى

আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

Seest thou one who turns back,

(34 وَأَعْطَى قَلِيلًا وَأَكْدَى

এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।

Gives a little, then hardens (his heart)?

(35 أَعِندَهُ عِلْمُ الْغَيْبِ فَهُوَ يَرَى

তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে?

What! Has he knowledge of the Unseen so that he can see?

(36 أَمْ لَمْ يُنَبَّأْ بِمَا فِي صُحُفِ مُوسَى

তাকে কি জানানো হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে,

Nay, is he not acquainted with what is in the Books of Moses-

(37 وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى

এবং ইব্রাহীমের কিতাবে, যে তার দায়িত্ব পালন করেছিল?

And of Abraham who fulfilled his engagements?-

(38 أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى

কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না।

Namely, that no bearer of burdens can bear the burden of another;

(39 وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَى

এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে,

That man can have nothing but what he strives for;

(40 وَأَنَّ سَعْيَهُ سَوْفَ يُرَى

তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।

That (the fruit of) his striving will soon come in sight:

(41 ثُمَّ يُجْزَاهُ الْجَزَاء الْأَوْفَى

অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।

Then will he be rewarded with a reward complete;

(42 وَأَنَّ إِلَى رَبِّكَ الْمُنتَهَى

তোমার পালনকর্তার কাছে সবকিছুর সমাপ্তি,

That to thy Lord is the final Goal;

(43 وَأَنَّهُ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى

এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান

That it is He Who granteth Laughter and Tears;

(44 وَأَنَّهُ هُوَ أَمَاتَ وَأَحْيَا

এবং তিনিই মারেন ও বাঁচান,

That it is He Who granteth Death and Life;

(45 وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى

এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।

That He did create in pairs,- male and female,

(46 مِن نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى

একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়।

From a seed when lodged (in its place);

(47 وَأَنَّ عَلَيْهِ النَّشْأَةَ الْأُخْرَى

পুনরুত্থানের দায়িত্ব তাঁরই,

That He hath promised a Second Creation (Raising of the Dead);

(48 وَأَنَّهُ هُوَ أَغْنَى وَأَقْنَى

এবং তিনিই ধনবান করেন ও সম্পদ দান করেন।

That it is He Who giveth wealth and satisfaction;

(49 وَأَنَّهُ هُوَ رَبُّ الشِّعْرَى

তিনি শিরা নক্ষত্রের মালিক।

That He is the Lord of Sirius (the Mighty Star);

(50 وَأَنَّهُ أَهْلَكَ عَادًا الْأُولَى

তিনিই প্রথম আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছেন,

And that it is He Who destroyed the (powerful) ancient ‘Ad (people),

(51 وَثَمُودَ فَمَا أَبْقَى

এবং সামুদকেও; অতঃপর কাউকে অব্যহতি দেননি।

And the Thamud nor gave them a lease of perpetual life.

(52 وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا هُمْ أَظْلَمَ وَأَطْغَى

এবং তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল আরও জালেম ও অবাধ্য।

And before them, the people of Noah, for that they were (all) most unjust and most insolent transgressors,

(53 وَالْمُؤْتَفِكَةَ أَهْوَى

তিনিই জনপদকে শুন্যে উত্তোলন করে নিক্ষেপ করেছেন।

And He destroyed the Overthrown Cities (of Sodom and Gomorrah).

(54 فَغَشَّاهَا مَا غَشَّى

অতঃপর তাকে আচ্ছন্ন করে নেয় যা আচ্ছন্ন করার।

So that (ruins unknown) have covered them up.

(55 فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكَ تَتَمَارَى

অতঃপর তুমি তোমার পালনকর্তার কোন অনুগ্রহকে মিথ্যা বলবে?

Then which of the gifts of thy Lord, (O man,) wilt thou dispute about?

(56 هَذَا نَذِيرٌ مِّنَ النُّذُرِ الْأُولَى

অতীতের সতর্ককারীদের মধ্যে সে-ও একজন সতর্ককারী।

This is a Warner, of the (series of) Warners of old!

(57 أَزِفَتْ الْآزِفَةُ

কেয়ামত নিকটে এসে গেছে।

The (Judgment) ever approaching draws nigh:

(58 لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ اللَّهِ كَاشِفَةٌ

আল্লাহ ব্যতীত কেউ একে প্রকাশ করতে সক্ষম নয়।

No (soul) but Allah can lay it bare.

(59 أَفَمِنْ هَذَا الْحَدِيثِ تَعْجَبُونَ

তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ?

Do ye then wonder at this recital?

(60 وَتَضْحَكُونَ وَلَا تَبْكُونَ

এবং হাসছ-ক্রন্দন করছ না?

And will ye laugh and not weep,-

(61 وَأَنتُمْ سَامِدُونَ

তোমরা ক্রীড়া-কৌতুক করছ,

Wasting your time in vanities?

(62 فَاسْجُدُوا لِلَّهِ وَاعْبُدُوا

অতএব আল্লাহকে সেজদা কর এবং তাঁর এবাদত কর।

But fall ye down in prostration to Allah, and adore (Him)!

54) সূরা আল ক্বামার – Surah Al-Qamar (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 55)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

 (1 اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ

কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।

The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder.

(2 وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ

তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।

But if they see a Sign, they turn away, and say, “This is (but) transient magic.”

(3 وَكَذَّبُوا وَاتَّبَعُوا أَهْوَاءهُمْ وَكُلُّ أَمْرٍ مُّسْتَقِرٌّ

তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়।

They reject (the warning) and follow their (own) lusts but every matter has its appointed time.

(4 وَلَقَدْ جَاءهُم مِّنَ الْأَنبَاء مَا فِيهِ مُزْدَجَرٌ

তাদের কাছে এমন সংবাদ এসে গেছে, যাতে সাবধানবাণী রয়েছে।

There have already come to them Recitals wherein there is (enough) to check (them),

(5 حِكْمَةٌ بَالِغَةٌ فَمَا تُغْنِ النُّذُرُ

এটা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে সতর্ককারীগণ তাদের কোন উপকারে আসে না।

Mature wisdom;- but (the preaching of) Warners profits them not.

(6 فَتَوَلَّ عَنْهُمْ يَوْمَ يَدْعُ الدَّاعِ إِلَى شَيْءٍ نُّكُرٍ

অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। যেদিন আহবানকারী আহবান করবে এক অপ্রিয় পরিণামের দিকে,

Therefore, (O Prophet,) turn away from them. The Day that the Caller will call (them) to a terrible affair,

(7 خُشَّعًا أَبْصَارُهُمْ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ كَأَنَّهُمْ جَرَادٌ مُّنتَشِرٌ

তারা তখন অবনমিত নেত্রে কবর থেকে বের হবে বিক্ষিপ্ত পংগপাল সদৃশ।

They will come forth,- their eyes humbled – from (their) graves, (torpid) like locusts scattered abroad,

(8 مُّهْطِعِينَ إِلَى الدَّاعِ يَقُولُ الْكَافِرُونَ هَذَا يَوْمٌ عَسِرٌ

তারা আহবানকারীর দিকে দৌড়াতে থাকবে। কাফেরা বলবেঃ এটা কঠিন দিন।

Hastening, with eyes transfixed, towards the Caller!- “Hard is this Day!”, the Unbelievers will say.

(9 كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ فَكَذَّبُوا عَبْدَنَا وَقَالُوا مَجْنُونٌ وَازْدُجِرَ

তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও মিথ্যারোপ করেছিল। তারা মিথ্যারোপ করেছিল আমার বান্দা নূহের প্রতি এবং বলেছিলঃ এ তো উম্মাদ। তাঁরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করেছিল।

Before them the People of Noah rejected (their apostle): they rejected Our servant, and said, “Here is one possessed!”, and he was driven out.

(10 فَدَعَا رَبَّهُ أَنِّي مَغْلُوبٌ فَانتَصِرْ

অতঃপর সে তার পালনকর্তাকে ডেকে বললঃ আমি অক্ষম, অতএব, তুমি প্রতিবিধান কর।

Then he called on his Lord: “I am one overcome: do Thou then help (me)!”

(11 فَفَتَحْنَا أَبْوَابَ السَّمَاء بِمَاء مُّنْهَمِرٍ

তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে।

So We opened the gates of heaven, with water pouring forth.

(12 وَفَجَّرْنَا الْأَرْضَ عُيُونًا فَالْتَقَى الْمَاء عَلَى أَمْرٍ قَدْ قُدِرَ

এবং ভুমি থেকে প্রবাহিত করলাম প্রস্রবণ। অতঃপর সব পানি মিলিত হল এক পরিকম্পিত কাজে।

And We caused the earth to gush forth with springs, so the waters met (and rose) to the extent decreed.

(13 وَحَمَلْنَاهُ عَلَى ذَاتِ أَلْوَاحٍ وَدُسُرٍ

আমি নূহকে আরোহণ করালাম এক কাষ্ঠ ও পেরেক নির্মিত জলযানে।

But We bore him on an (Ark) made of broad planks and caulked with palm- fibre:

(14 تَجْرِي بِأَعْيُنِنَا جَزَاء لِّمَن كَانَ كُفِرَ

যা চলত আমার দৃষ্টি সামনে। এটা তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ ছিল, যাকে প্রত্যখ্যান করা হয়েছিল।

She floats under our eyes (and care): a recompense to one who had been rejected (with scorn)!

(15 وَلَقَد تَّرَكْنَاهَا آيَةً فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি একে এক নিদর্শনরূপে রেখে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have left this as a Sign (for all time): then is there any that will receive admonition?

(16 فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

But how (terrible) was My Penalty and My Warning?

(17 وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?

(18 كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কেমন কঠোর হয়েছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

The ‘Ad (people) (too) rejected (Truth): then how terrible was My Penalty and My Warning?

(19 إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي يَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّ

আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম ঝঞ্জাবায়ু এক চিরাচরিত অশুভ দিনে।

For We sent against them a furious wind, on a Day of violent Disaster,

(20 تَنزِعُ النَّاسَ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنقَعِرٍ

তা মানুষকে উৎখাত করছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।

Plucking out men as if they were roots of palm-trees torn up (from the ground).

(21 فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

Yea, how (terrible) was My Penalty and My Warning!

(22 وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

But We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?

(23 كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِالنُّذُرِ

সামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।

The Thamud (also) rejected (their) Warners.

(24 فَقَالُوا أَبَشَرًا مِّنَّا وَاحِدًا نَّتَّبِعُهُ إِنَّا إِذًا لَّفِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ

তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব।

For they said: “What! a man! a Solitary one from among ourselves! shall we follow such a one? Truly should we then be straying in mind, and mad!

(25 أَؤُلْقِيَ الذِّكْرُ عَلَيْهِ مِن بَيْنِنَا بَلْ هُوَ كَذَّابٌ أَشِرٌ

আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।

“Is it that the Message is sent to him, of all people amongst us? Nay, he is a liar, an insolent one!”

(26 سَيَعْلَمُونَ غَدًا مَّنِ الْكَذَّابُ الْأَشِرُ

এখন আগামীকল্যই তারা জানতে পারবে কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।

Ah! they will know on the morrow, which is the liar, the insolent one!

(27 إِنَّا مُرْسِلُو النَّاقَةِ فِتْنَةً لَّهُمْ فَارْتَقِبْهُمْ وَاصْطَبِرْ

আমি তাদের পরীক্ষার জন্য এক উষ্ট্রী প্রেরণ করব, অতএব, তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ এবং সবর কর।

For We will send the she-camel by way of trial for them. So watch them, (O Salih), and possess thyself in patience!

(28 وَنَبِّئْهُمْ أَنَّ الْمَاء قِسْمَةٌ بَيْنَهُمْ كُلُّ شِرْبٍ مُّحْتَضَرٌ

এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানির পালা নির্ধারিত হয়েছে এবং পালাক্রমে উপস্থিত হতে হবে।

And tell them that the water is to be divided between them: Each one’s right to drink being brought forward (by suitable turns).

(29 فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطَى فَعَقَرَ

অতঃপর তারা তাদের সঙ্গীকে ডাকল। সে তাকে ধরল এবং বধ করল।

But they called to their companion, and he took a sword in hand, and hamstrung (her).

(30 فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ

অতঃপর কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

Ah! how (terrible) was My Penalty and My Warning!

(31 إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَكَانُوا كَهَشِيمِ الْمُحْتَظِرِ

আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত খোয়াড়ের ন্যায়।

For We sent against them a single Mighty Blast, and they became like the dry stubble used by one who pens cattle.

(32 وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?

(33 كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ بِالنُّذُرِ

লূত-সম্প্রদায় সতর্ককারীদের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল।

The people of Lut rejected (his) warning.

(34 إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا إِلَّا آلَ لُوطٍ نَّجَّيْنَاهُم بِسَحَرٍ

আমি তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী প্রচন্ড ঘূর্ণিবায়ু; কিন্তু লূত পরিবারের উপর নয়। আমি তাদেরকে রাতের শেষপ্রহরে উদ্ধার করেছিলাম।

We sent against them a violent Tornado with showers of stones, (which destroyed them), except Lut’s household: them We delivered by early Dawn,-

(35 نِعْمَةً مِّنْ عِندِنَا كَذَلِكَ نَجْزِي مَن شَكَرَ

আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ। যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে, আমি তাদেরকে এভাবে পুরস্কৃত করে থকি।

As a Grace from Us: thus do We reward those who give thanks.

(36 وَلَقَدْ أَنذَرَهُم بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ

লূত (আঃ) তাদেরকে আমার প্রচন্ড পাকড়াও সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। অতঃপর তারা সতর্কবাণী সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করেছিল।

And (Lut) did warn them of Our Punishment, but they disputed about the Warning.

(37 وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَن ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ

তারা লূতের (আঃ) কাছে তার মেহমানদেরকে দাবী করেছিল। তখন আমি তাদের চক্ষু লোপ করে দিলাম। অতএব, আস্বাদন কর আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।

And they even sought to snatch away his guests from him, but We blinded their eyes. (They heard:) “Now taste ye My Wrath and My Warning.”

(38 وَلَقَدْ صَبَّحَهُم بُكْرَةً عَذَابٌ مُّسْتَقِرٌّ

তাদেরকে প্রত্যুষে নির্ধারিত শাস্তি আঘাত হেনেছিল।

Early on the morrow, an abiding Punishment seized them

: (39 فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ

অতএব, আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী আস্বাদন কর। ”

So taste ye My Wrath and My Warning.”

(40 وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি কোরআনকে বোঝবার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And We have indeed made the Qur’an easy to understand and remember: then is there any that will receive admonition?

(41 وَلَقَدْ جَاء آلَ فِرْعَوْنَ النُّذُرُ

ফেরাউন সম্প্রদায়ের কাছেও সতর্ককারীগণ আগমন করেছিল।

To the People of Pharaoh, too, aforetime, came Warners (from Allah..

(42 كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كُلِّهَا فَأَخَذْنَاهُمْ أَخْذَ عَزِيزٍ مُّقْتَدِرٍ

তারা আমার সকল নিদর্শনের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। অতঃপর আমি পরাভূতকারী, পরাক্রমশালীর ন্যায় তাদেরকে পাকড়াও করলাম।

The (people) rejected all Our Signs; but We seized them with such Penalty (as comes) from One Exalted in Power, able to carry out His Will.

(43 أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِّنْ أُوْلَئِكُمْ أَمْ لَكُم بَرَاءةٌ فِي الزُّبُرِ

তোমাদের মধ্যকার কাফেররা কি তাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ ? না তোমাদের মুক্তির সনদপত্র রয়েছে কিতাবসমূহে?

Are your Unbelievers, (O Quraish), better than they? Or have ye an immunity in the Sacred Books?

(44 أَمْ يَقُولُونَ نَحْنُ جَمِيعٌ مُّنتَصِرٌ

না তারা বলে যে, আমারা এক অপরাজেয় দল?

Or do they say: “We acting together can defend ourselves”?

(45 سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّونَ الدُّبُرَ

এ দল তো সত্ত্বরই পরাজিত হবে এবং পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।

Soon will their multitude be put to flight, and they will show their backs.

(46 بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ

বরং কেয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময় এবং কেয়ামত ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর।

Nay, the Hour (of Judgment) is the time promised them (for their full recompense): And that Hour will be most grievous and most bitter.

(47 إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ

নিশ্চয় অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত।

Truly those in sin are the ones straying in mind, and mad.

(48 يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ

যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবেঃ অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।

The Day they will be dragged through the Fire on their faces, (they will hear:) “Taste ye the touch of Hell!”

(49 إِنَّا كُلَّ شَيْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ

আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।

Verily, all things have We created in proportion and measure.

(50 وَمَا أَمْرُنَا إِلَّا وَاحِدَةٌ كَلَمْحٍ بِالْبَصَرِ

আমার কাজ তো এক মুহূর্তে চোখের পলকের মত।

And Our Command is but a single (Act),- like the twinkling of an eye.

(51 وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا أَشْيَاعَكُمْ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ

আমি তোমাদের সমমনা লোকদেরকে ধ্বংস করেছি, অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?

And (oft) in the past, have We destroyed gangs like unto you: then is there any that will receive admonition?

(52 وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ فِي الزُّبُرِ

তারা যা কিছু করেছে, সবই আমলনামায় লিপিবদ্ধ আছে।

All that they do is noted in (their) Books (of Deeds):

(53 وَكُلُّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ مُسْتَطَرٌ

ছোট ও বড় সবই লিপিবদ্ধ।

Every matter, small and great, is on record.

(54 إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَهَرٍ

খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নির্ঝরিণীতে।

As to the Righteous, they will be in the midst of Gardens and Rivers,

(55 فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ

যোগ্য আসনে, সর্বাধিপতি সম্রাটের সান্নিধ্যে।

In an Assembly of Truth, in the Presence of a Sovereign Omnipotent.

55) সূরা আর রহমান – Surah Ar-Rahman (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 78)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

 

 

(1
الرَّحْمَنُ
করুনাময় আল্লাহ।

((Allah)) Most Gracious!


(2
عَلَّمَ الْقُرْآنَ
শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,

It is He Who has taught the Qur’an.


(3
خَلَقَ الْإِنسَانَ
সৃষ্টি করেছেন মানুষ,

He has created man:


(4
عَلَّمَهُ الْبَيَانَ
তাকে শিখিয়েছেন বর্ণনা।

He has taught him speech (and intelligence).


(5
الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ
সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।

The sun and the moon follow courses (exactly) computed;


(6
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ
এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।

And the herbs and the trees – both (alike) bow in adoration.


(7
وَالسَّمَاء رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيزَانَ
তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন তুলাদন্ড।

And the Firmament has He raised high, and He has set up the Balance (of Justice),


(8
أَلَّا تَطْغَوْا فِي الْمِيزَانِ
যাতে তোমরা সীমালংঘন না কর তুলাদন্ডে।

In order that ye may not transgress (due) balance.


(9
وَأَقِيمُوا الْوَزْنَ بِالْقِسْطِ وَلَا تُخْسِرُوا الْمِيزَانَ
তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না।

So establish weight with justice and fall not short in the balance.


(10
وَالْأَرْضَ وَضَعَهَا لِلْأَنَامِ
তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে।

It is He Who has spread out the earth for (His) creatures:


(11
فِيهَا فَاكِهَةٌ وَالنَّخْلُ ذَاتُ الْأَكْمَامِ
এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ।

Therein is fruit and date-palms, producing spathes (enclosing dates);


(12
وَالْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَالرَّيْحَانُ
আর আছে খোসাবিশিষ্ট শস্য ও সুগন্ধি ফুল।

Also corn, with (its) leaves and stalk for fodder, and sweet-smelling plants.


(13
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(14
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِن صَلْصَالٍ كَالْفَخَّارِ
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে।

He created man from sounding clay like unto pottery,


(15
وَخَلَقَ الْجَانَّ مِن مَّارِجٍ مِّن نَّارٍ
এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।

And He created Jinns from fire free of smoke:


(16
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(17
رَبُّ الْمَشْرِقَيْنِ وَرَبُّ الْمَغْرِبَيْنِ
তিনি দুই উদয়াচল ও দুই অস্তাচলের মালিক।

(He is) Lord of the two Easts and Lord of the two Wests:


(18
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(19
مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন।

He has let free the two bodies of flowing water, meeting together:


(20
بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيَانِ
উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না।

Between them is a Barrier which they do not transgress:


(21
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(22
يَخْرُجُ مِنْهُمَا اللُّؤْلُؤُ وَالْمَرْجَانُ
উভয় দরিয়া থেকে উৎপন্ন হয় মোতি ও প্রবাল।

Out of them come Pearls and Coral:


(23
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(24
وَلَهُ الْجَوَارِ الْمُنشَآتُ فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ
দরিয়ায় বিচরণশীল পর্বতদৃশ্য জাহাজসমূহ তাঁরই (নিয়ন্ত্রনাধীন)

And His are the Ships sailing smoothly through the seas, lofty as mountains:


(25
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(26
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ
ভূপৃষ্টের সবকিছুই ধ্বংসশীল।

All that is on earth will perish:


(27
وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
একমাত্র আপনার মহিমায় ও মহানুভব পালনকর্তার সত্তা ছাড়া।

But will abide (for ever) the Face of thy Lord,- full of Majesty, Bounty and Honour.


(28
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(29
يَسْأَلُهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই তাঁর কাছে প্রার্থী। তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন।

Of Him seeks (its need) every creature in the heavens and on earth: every day in (new) Splendour doth He (shine)!


(30
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(31
سَنَفْرُغُ لَكُمْ أَيُّهَا الثَّقَلَانِ
হে জিন ও মানব! আমি শীঘ্রই তোমাদের জন্যে কর্মমুক্ত হয়ে যাব।

Soon shall We settle your affairs, O both ye worlds!


(32
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(33
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।

O ye assembly of Jinns and men! If it be ye can pass beyond the zones of the heavens and the earth, pass ye! not without authority shall ye be able to pass!


(34
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(35
يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ
ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।

On you will be sent (O ye evil ones twain!) a flame of fire (to burn) and a smoke (to choke): no defence will ye have:


(36
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(37
فَإِذَا انشَقَّتِ السَّمَاء فَكَانَتْ وَرْدَةً كَالدِّهَانِ
যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।

When the sky is rent asunder, and it becomes red like ointment:


(38
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(39
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلَا جَانٌّ
সেদিন মানুষ না তার অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে, না জিন।

On that Day no question will be asked of man or Jinn as to his sin.


(40
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(41
يُعْرَفُ الْمُجْرِمُونَ بِسِيمَاهُمْ فَيُؤْخَذُ بِالنَّوَاصِي وَالْأَقْدَامِ
অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে; অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।

(For) the sinners will be known by their marks: and they will be seized by their forelocks and their feet.


(42
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(43
هَذِهِ جَهَنَّمُ الَّتِي يُكَذِّبُ بِهَا الْمُجْرِمُونَ
এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।

This is the Hell which the Sinners deny:


(44
يَطُوفُونَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ حَمِيمٍ آنٍ
তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে।

In its midst and in the midst of boiling hot water will they wander round!


(45
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(46
وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি উদ্যান।

But for such as fear the time when they will stand before (the Judgment Seat of) their Lord, there will be two Gardens-


(47
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(48
ذَوَاتَا أَفْنَانٍ
উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট।

Containing all kinds (of trees and delights);-


(49
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(50
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।

In them (each) will be two Springs flowing (free);


(51
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(52
فِيهِمَا مِن كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।

In them will be Fruits of every kind, two and two.


(53
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(54
مُتَّكِئِينَ عَلَى فُرُشٍ بَطَائِنُهَا مِنْ إِسْتَبْرَقٍ وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।

They will recline on Carpets, whose inner linings will be of rich brocade: the Fruit of the Gardens will be near (and easy of reach).


(55
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(56
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।

In them will be (Maidens), chaste, restraining their glances, whom no man or Jinn before them has touched;-


(57
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(58
كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।

Like unto Rubies and coral.


(59
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(60
هَلْ جَزَاء الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ
সৎকাজের প্রতিদান উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?

Is there any Reward for Good – other than Good?


(61
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(62
وَمِن دُونِهِمَا جَنَّتَانِ
এই দু’টি ছাড়া আরও দু’টি উদ্যান রয়েছে।

And besides these two, there are two other Gardens,-


(63
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(64
مُدْهَامَّتَانِ
কালোমত ঘন সবুজ।

Dark-green in colour (from plentiful watering).


(65
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(66
فِيهِمَا عَيْنَانِ نَضَّاخَتَانِ
তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।

In them (each) will be two Springs pouring forth water in continuous abundance:


(67
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(68
فِيهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَخْلٌ وَرُمَّانٌ
তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।

In them will be Fruits, and dates and pomegranates:


(69
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(70
فِيهِنَّ خَيْرَاتٌ حِسَانٌ
সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ।

In them will be fair (Companions), good, beautiful;-


(71
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(72
حُورٌ مَّقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।

Companions restrained (as to their glances), in (goodly) pavilions;-


(73
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(74
لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।

Whom no man or Jinn before them has touched;-


(75
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?-


(76
مُتَّكِئِينَ عَلَى رَفْرَفٍ خُضْرٍ وَعَبْقَرِيٍّ حِسَانٍ
তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।

Reclining on green Cushions and rich Carpets of beauty.


(77
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?

Then which of the favours of your Lord will ye deny?


(78
تَبَارَكَ اسْمُ رَبِّكَ ذِي الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব।

Blessed be the name of thy Lord, full of Majesty, Bounty and Honour.


56) সূরা আল ওয়াক্বিয়া – Surah Al-Waqi’a (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 96)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(1 إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,

When the Event inevitable cometh to pass,

 

(2 لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ

যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।

Then will no (soul) entertain falsehood concerning its coming.

 

(3 خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ
এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
(Many) will it bring low; (many) will it exalt;
(4 إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
When the earth shall be shaken to its depths,
(5 وَبُسَّتِ الْجِبَالُ بَسًّا
এবং পর্বতমালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।
And the mountains shall be crumbled to atoms,
(6 فَكَانَتْ هَبَاء مُّنبَثًّا
অতঃপর তা হয়ে যাবে উৎক্ষিপ্ত ধূলিকণা।
Becoming dust scattered abroad,
(7 وَكُنتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً
এবং তোমরা তিনভাবে বিভক্ত হয়ে পড়বে।
And ye shall be sorted out into three classes.
(8 فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
যারা ডান দিকে, কত ভাগ্যবান তারা।
Then (there will be) the Companions of the Right Hand;- What will be the Companions of the Right Hand?
(9 وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
এবং যারা বামদিকে, কত হতভাগা তারা।
And the Companions of the Left Hand,- what will be the Companions of the Left Hand?
(10 وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ
অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই।
And those Foremost (in Faith) will be Foremost (in the Hereafter).
(11 أُوْلَئِكَ الْمُقَرَّبُونَ
তারাই নৈকট্যশীল,
These will be those Nearest to Allah.
(12 فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
অবদানের উদ্যানসমূহে,
In Gardens of Bliss:
(13 ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
তারা একদল পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
A number of people from those of old,
(14 وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
এবং অল্পসংখ্যক পরবর্তীদের মধ্যে থেকে।
And a few from those of later times.

(15 عَلَى سُرُرٍ مَّوْضُونَةٍ

স্বর্ণ খচিত সিংহাসন।

(They will be) on Thrones encrusted (with gold and precious stones),

 

(16 مُتَّكِئِينَ عَلَيْهَا مُتَقَابِلِينَ
তারা তাতে হেলান দিয়ে বসবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে।
Reclining on them, facing each other.
(17 يَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ
তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।
Roundabout them will (serve) youths of perpetual (freshness),
(18 بِأَكْوَابٍ وَأَبَارِيقَ وَكَأْسٍ مِّن مَّعِينٍ
পানপাত্র কুঁজা ও খাঁটি সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে,
With goblets, (shining) beakers, and cups (filled) out of clear-flowing fountains:
(19 لَا يُصَدَّعُونَ عَنْهَا وَلَا يُنزِفُونَ
যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
No after-ache will they receive therefrom, nor will they suffer intoxication:
(20وَفَاكِهَةٍ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ
আর তাদের পছন্দমত ফল-মুল নিয়ে,
And with fruits, any that they may select:
(21 وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ
এবং রুচিমত পাখীর মাংস নিয়ে।
And the flesh of fowls, any that they may desire.
(22 وَحُورٌ عِينٌ
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,
And (there will be) Companions with beautiful, big, and lustrous eyes,-
(23 كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ
আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়,
Like unto Pearls well-guarded.
(24 جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
তারা যা কিছু করত, তার পুরস্কারস্বরূপ।
A Reward for the deeds of their past (life).
(25 لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।
Not frivolity will they hear therein, nor any taint of ill,-
(26 إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا
কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
Only the saying, “Peace! Peace”.
(27 وَأَصْحَابُ الْيَمِينِ مَا أَصْحَابُ الْيَمِينِ
যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।
The Companions of the Right Hand,- what will be the Companions of the Right Hand?
(28 فِي سِدْرٍ مَّخْضُودٍ
তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে।
(They will be) among Lote-trees without thorns,
(29 وَطَلْحٍ مَّنضُودٍ
এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
Among Talh trees with flowers (or fruits) piled one above another,
(30 وَظِلٍّ مَّمْدُودٍ
এবং দীর্ঘ ছায়ায়।
In shade long-extended,
(31 وَمَاء مَّسْكُوبٍ
এবং প্রবাহিত পানিতে,
By water flowing constantly,
(32 وَفَاكِهَةٍ كَثِيرَةٍ
ও প্রচুর ফল-মূলে,
And fruit in abundance.
(33 لَّا مَقْطُوعَةٍ وَلَا مَمْنُوعَةٍ
যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধ ও নয়,
Whose season is not limited, nor (supply) forbidden,
(34 وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ
আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
And on Thrones (of Dignity), raised high.
(35 إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
We have created (their Companions) of special creation.
(36 فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
And made them virgin – pure (and undefiled), –
(37 عُرُبًا أَتْرَابًا
কামিনী, সমবয়স্কা।
Beloved (by nature), equal in age,-
(38 لِّأَصْحَابِ الْيَمِينِ
ডান দিকের লোকদের জন্যে।
For the Companions of the Right Hand.
(39 ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ
তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
A (goodly) number from those of old,
(40 وَثُلَّةٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
And a (goodly) number from those of later times.
(41 وَأَصْحَابُ الشِّمَالِ مَا أَصْحَابُ الشِّمَالِ
বামপার্শ্বস্থ লোক, কত না হতভাগা তারা।
The Companions of the Left Hand,- what will be the Companions of the Left Hand?
(42 فِي سَمُومٍ وَحَمِيمٍ
তারা থাকবে প্রখর বাষ্পে এবং উত্তপ্ত পানিতে,
(They will be) in the midst of a Fierce Blast of Fire and in Boiling Water,
(43 وَظِلٍّ مِّن يَحْمُومٍ
এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়।
And in the shades of Black Smoke:
(44 لَّا بَارِدٍ وَلَا كَرِيمٍ
যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়।
Nothing (will there be) to refresh, nor to please:
(45 إِنَّهُمْ كَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ مُتْرَفِينَ
তারা ইতিপূর্বে স্বাচ্ছন্দ্যশীল ছিল।
For that they were wont to be indulged, before that, in wealth (and luxury),
(46 وَكَانُوا يُصِرُّونَ عَلَى الْحِنثِ الْعَظِيمِ
তারা সদাসর্বদা ঘোরতর পাপকর্মে ডুবে থাকত।
And persisted obstinately in wickedness supreme!
(47 وَكَانُوا يَقُولُونَ أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
তারা বলতঃ আমরা যখন মরে অস্থি ও মৃত্তিকায় পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি পুনরুত্থিত হব?
And they used to say, “What! when we die and become dust and bones, shall we then indeed be raised up again?-
(48 أَوَ آبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণও!
“(We) and our fathers of old?”
(49 قُلْ إِنَّ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ
বলুনঃ পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ,
Say: “Yea, those of old and those of later times,
(50 لَمَجْمُوعُونَ إِلَى مِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
সবাই একত্রিত হবে এক নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।
“All will certainly be gathered together for the meeting appointed for a Day well-known.
(51 ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُّونَ الْمُكَذِّبُونَ
অতঃপর হে পথভ্রষ্ট, মিথ্যারোপকারীগণ।
“Then will ye truly,- O ye that go wrong, and treat (Truth) as Falsehood!-
(52 لَآكِلُونَ مِن شَجَرٍ مِّن زَقُّومٍ
তোমরা অবশ্যই ভক্ষণ করবে যাক্কুম বৃক্ষ থেকে,
“Ye will surely taste of the Tree of Zaqqum.
(53 فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
অতঃপর তা দ্বারা উদর পূর্ণ করবে,
“Then will ye fill your insides therewith,
(54 فَشَارِبُونَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ
অতঃপর তার উপর পান করবে উত্তপ্ত পানি।
“And drink Boiling Water on top of it:
(55 فَشَارِبُونَ شُرْبَ الْهِيمِ
পান করবে পিপাসিত উটের ন্যায়।
“Indeed ye shall drink like diseased camels raging with thirst!”
(56 هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ الدِّينِ
কেয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন।
Such will be their entertainment on the Day of Requital!
(57 نَحْنُ خَلَقْنَاكُمْ فَلَوْلَا تُصَدِّقُونَ
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
It is We Who have created you: why will ye not witness the Truth?
(58 أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ
তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে।
Do ye then see?- The (human Seed) that ye throw out,-
(59 أَأَنتُمْ تَخْلُقُونَهُ أَمْ نَحْنُ الْخَالِقُونَ
তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
Is it ye who create it, or are We the Creators?
(60 نَحْنُ قَدَّرْنَا بَيْنَكُمُ الْمَوْتَ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।
We have decreed Death to be your common lot, and We are not to be frustrated
(61 عَلَى أَن نُّبَدِّلَ أَمْثَالَكُمْ وَنُنشِئَكُمْ فِي مَا لَا تَعْلَمُونَ
এ ব্যাপারে যে, তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের মত লোককে নিয়ে আসি এবং তোমাদেরকে এমন করে দেই, যা তোমরা জান না।
from changing your Forms and creating you (again) in (forms) that ye know not.
(62 وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ النَّشْأَةَ الْأُولَى فَلَوْلَا تَذكَّرُونَ
তোমরা অবগত হয়েছ প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে, তবে তোমরা অনুধাবন কর না কেন?
And ye certainly know already the first form of creation: why then do ye not celebrate His praises?
(63 أَفَرَأَيْتُم مَّا تَحْرُثُونَ
তোমরা যে বীজ বপন কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
See ye the seed that ye sow in the ground?
(64 أَأَنتُمْ تَزْرَعُونَهُ أَمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
তোমরা তাকে উৎপন্ন কর, না আমি উৎপন্নকারী ?
Is it ye that cause it to grow, or are We the Cause?
(65
لَوْ نَشَاء لَجَعَلْنَاهُ حُطَامًا فَظَلَلْتُمْ تَفَكَّهُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে খড়কুটা করে দিতে পারি, অতঃপর হয়ে যাবে তোমরা বিস্ময়াবিষ্ট।
Were it Our Will, We could crumble it to dry powder, and ye would be left in wonderment,
(66 إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
(Saying), “We are indeed left with debts (for nothing):
(67 بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
বরং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
“Indeed are we shut out (of the fruits of our labour)”
(68 أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
See ye the water which ye drink?
(69 أَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ الْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ الْمُنزِلُونَ
তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?
Do ye bring it down (in rain) from the cloud or do We?
(70 لَوْ نَشَاء جَعَلْنَاهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ
আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না?
Were it Our Will, We could make it salt (and unpalatable): then why do ye not give thanks?
(71 أَفَرَأَيْتُمُ النَّارَ الَّتِي تُورُونَ
তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
See ye the Fire which ye kindle?
(72 أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
Is it ye who grow the tree which feeds the fire, or do We grow it?
(73 نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
We have made it a memorial (of Our handiwork), and an article of comfort and convenience for the denizens of deserts.
(74 فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
Then celebrate with praises the name of thy Lord, the Supreme!
(75 فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
Furthermore I call to witness the setting of the Stars,-
(76 وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
And that is indeed a mighty adjuration if ye but knew,-
(77 إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,
That this is indeed a qur’an Most Honourable,
(78 فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ
যা আছে এক গোপন কিতাবে,
In Book well-guarded,
(79 لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
Which none shall touch but those who are clean:
(80 تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ
এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
A Revelation from the Lord of the Worlds.
(81 أَفَبِهَذَا الْحَدِيثِ أَنتُم مُّدْهِنُونَ
তবুও কি তোমরা এই বাণীর প্রতি শৈথিল্য পদর্শন করবে?
Is it such a Message that ye would hold in light esteem?
(82 وَتَجْعَلُونَ رِزْقَكُمْ أَنَّكُمْ تُكَذِّبُونَ
এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?
And have ye made it your livelihood that ye should declare it false?
(83 فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ
অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয়।
Then why do ye not (intervene) when (the soul of the dying man) reaches the throat,-

(84 وَأَنتُمْ حِينَئِذٍ تَنظُرُونَ

এবং তোমরা তাকিয়ে থাক,

And ye the while (sit) looking on,

 

(85 وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنكُمْ وَلَكِن لَّا تُبْصِرُونَ
তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না।
But We are nearer to him than ye, and yet see not,-
(86 فَلَوْلَا إِن كُنتُمْ غَيْرَ مَدِينِينَ
যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়,
Then why do ye not,- If you are exempt from (future) account,-
(87 تَرْجِعُونَهَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
Call back the soul, if ye are true (in the claim of independence)?
(88 فَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُقَرَّبِينَ
যদি সে নৈকট্যশীলদের একজন হয়;
Thus, then, if he be of those Nearest to Allah,
(89 فَرَوْحٌ وَرَيْحَانٌ وَجَنَّةُ نَعِيمٍ
তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।
(There is for him) Rest and Satisfaction, and a Garden of Delights.
(90 وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
আর যদি সে ডান পার্শ্বস্থদের একজন হয়,
And if he be of the Companions of the Right Hand,
(91 فَسَلَامٌ لَّكَ مِنْ أَصْحَابِ الْيَمِينِ
তবে তাকে বলা হবেঃ তোমার জন্যে ডানপার্শ্বসস্থদের পক্ষ থেকে সালাম।
(For him is the salutation), “Peace be unto thee”, from the Companions of the Right Hand.
(92 وَأَمَّا إِن كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ
আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,
And if he be of those who treat (Truth) as Falsehood, who go wrong,
(93 فَنُزُلٌ مِّنْ حَمِيمٍ
তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা।
For him is Entertainment with Boiling Water.
(94 وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ
এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে অগ্নিতে।
And burning in Hell-Fire.
(95 إِنَّ هَذَا لَهُوَ حَقُّ الْيَقِينِ
এটা ধ্রুব সত্য।
Verily, this is the Very Truth and Certainly.
(96 فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
So celebrate with praises the name of thy Lord, the Supreme.

57) সূরা আল হাদীদ – Surah Al-Hadid (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 29)

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(1 سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি শক্তিধর; প্রজ্ঞাময়।

Whatever is in the heavens and on earth,- let it declare the Praises and Glory of Allah. for He is the Exalted in Might, the Wise.

(2 لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।

To Him belongs the dominion of the heavens and the earth: It is He Who gives Life and Death, and He has Power over all things.

(3 هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।

He is the First and the Last, the Evident and the Immanent: and He has full knowledge of all things.

(4 هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ السَّمَاء وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা ভূমি থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি তোমাদের সাথে আছেন তোমরা যেখানেই থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন।

He it is Who created the heavens and the earth in Six Days, and is moreover firmly established on the Throne (of Authority). He knows what enters within the earth and what comes forth out of it, what comes down from heaven and what mounts up to it. And He is with you wheresoever ye may be. And Allah sees well all that ye do.

(5 لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الأمُورُ

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। সবকিছু তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।

To Him belongs the dominion of the heavens and the earth: and all affairs are referred back to Allah.

(6 يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَهُوَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত।

He merges Night into Day, and He merges Day into Night; and He has full knowledge of the secrets of (all) hearts.

(7 آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَأَنفِقُوا مِمَّا جَعَلَكُم مُّسْتَخْلَفِينَ فِيهِ فَالَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَأَنفَقُوا لَهُمْ أَجْرٌ كَبِيرٌ

তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তিনি তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় কর। অতএব, তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও ব্যয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে মহাপুরস্কার।

Believe in Allah and His apostle, and spend (in charity) out of the (substance) whereof He has made you heirs. For, those of you who believe and spend (in charity),- for them is a great Reward.

(8 وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ لِتُؤْمِنُوا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيثَاقَكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছ না, অথচ রসূল তোমাদেরকে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার দাওয়াত দিচ্ছেন? আল্লাহ তো পূর্বেই তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছেন-যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।

What cause have ye why ye should not believe in Allah.- and the Messenger invites you to believe in your Lord, and has indeed taken your Covenant, if ye are men of Faith.

(9 هُوَ الَّذِي يُنَزِّلُ عَلَى عَبْدِهِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ لِيُخْرِجَكُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَإِنَّ اللَّهَ بِكُمْ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ

তিনিই তাঁর দাসের প্রতি প্রকাশ্য আয়াত অবতীর্ণ করেন, যাতে তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোকে আনয়ন করেন। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি করুণাময়, পরম দয়ালু।

He is the One Who sends to His Servant Manifest Signs, that He may lead you from the depths of Darkness into the Light and verily Allah is to you most kind and Merciful.

(10 وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنكُم مَّنْ أَنفَقَ مِن قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُوْلَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِّنَ الَّذِينَ أَنفَقُوا مِن بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে কিসে বাধা দেয়, যখন আল্লাহই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের উত্তরাধিকারী? তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যদা বড় তাদের অপেক্ষা, যার পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কে কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।

And what cause have ye why ye should not spend in the cause of Allah.- For to Allah belongs the heritage of the heavens and the earth. Not equal among you are those who spent (freely) and fought, before the Victory, (with those who did so later). Those are higher in rank than those who spent (freely) and fought afterwards. But to all has Allah promised a goodly (reward). And Allah is well acquainted with all that ye do.

(11 مَن ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ وَلَهُ أَجْرٌ كَرِيمٌ

কে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে উত্তম ধার দিবে, এরপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্যে রয়েছে সম্মানিত পুরস্কার।

Who is he that will Loan to Allah a beautiful loan? for ((Allah)) will increase it manifold to his credit, and he will have (besides) a liberal Reward.

(12 يَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ يَسْعَى نُورُهُم بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِم بُشْرَاكُمُ الْيَوْمَ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে বলা হবেঃ আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য।

One Day shalt thou see the believing men and the believing women- how their Light runs forward before them and by their right hands: (their greeting will be): “Good News for you this Day! Gardens beneath which flow rivers! to dwell therein for aye! This is indeed the highest Achievement!”

(13 يَوْمَ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالْمُنَافِقَاتُ لِلَّذِينَ آمَنُوا انظُرُونَا نَقْتَبِسْ مِن نُّورِكُمْ قِيلَ ارْجِعُوا وَرَاءكُمْ فَالْتَمِسُوا نُورًا فَضُرِبَ بَيْنَهُم بِسُورٍ لَّهُ بَابٌ بَاطِنُهُ فِيهِ الرَّحْمَةُ وَظَاهِرُهُ مِن قِبَلِهِ الْعَذَابُ

যেদিন কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারীরা মুমিনদেরকে বলবেঃ তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা কর, আমরাও কিছু আলো নিব তোমাদের জ্যোতি থেকে। বলা হবেঃ তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ কর। অতঃপর উভয় দলের মাঝখানে খাড়া করা হবে একটি প্রাচীর, যার একটি দরজা হবে। তার অভ্যন্তরে থাকবে রহমত এবং বাইরে থাকবে আযাব।

One Day will the Hypocrites- men and women – say to the Believers: “Wait for us! Let us borrow (a Light) from your Light!” It will be said: “Turn ye back to your rear! then seek a Light (where ye can)!” So a wall will be put up betwixt them, with a gate therein. Within it will be Mercy throughout, and without it, all alongside, will be (Wrath and) Punishment!

(14 يُنَادُونَهُمْ أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ قَالُوا بَلَى وَلَكِنَّكُمْ فَتَنتُمْ أَنفُسَكُمْ وَتَرَبَّصْتُمْ وَارْتَبْتُمْ وَغَرَّتْكُمُ الْأَمَانِيُّ حَتَّى جَاء أَمْرُ اللَّهِ وَغَرَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ

তারা মুমিনদেরকে ডেকে বলবেঃ আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? তারা বলবেঃ হঁ্যা কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ। প্রতীক্ষা করেছ, সন্দেহ পোষণ করেছ এবং অলীক আশার পেছনে বিভ্রান্ত হয়েছ, অবশেষে আল্লাহর আদেশ পৌঁছেছে। এই সবই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত করেছে।

(Those without) will call out, “Were we not with you?” (The others) will reply, “True! but ye led yourselves into temptation; ye looked forward (to our ruin); ye doubted ((Allah)’s Promise); and (your false) desires deceived you; until there issued the Command of Allah. And the Deceiver deceived you in respect of Allah.

(15 فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنكُمْ فِدْيَةٌ وَلَا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مَأْوَاكُمُ النَّارُ هِيَ مَوْلَاكُمْ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ

অতএব, আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপন গ্রহণ করা হবে না। এবং কাফেরদের কাছ থেকেও নয়। তোমাদের সবার আবাস্থল জাহান্নাম। সেটাই তোমাদের সঙ্গী। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তন স্থল।

“This Day shall no ransom be accepted of you, nor of those who rejected Allah.” Your abode is the Fire: that is the proper place to claim you: and an evil refuge it is!”

(16 أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ

যারা মুমিন, তাদের জন্যে কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি? তারা তাদের মত যেন না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। তাদের উপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয়েছে, অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।

Has not the Time arrived for the Believers that their hearts in all humility should engage in the remembrance of Allah and of the Truth which has been revealed (to them), and that they should not become like those to whom was given Revelation aforetime, but long ages passed over them and their hearts grew hard? For many among them are rebellious transgressors.

(17 اعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহই ভূ-ভাগকে তার মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করেন। আমি পরিস্কারভাবে তোমাদের জন্যে আয়াতগুলো ব্যক্ত করেছি, যাতে তোমরা বোঝ।

Know ye (all) that Allah giveth life to the earth after its death! already have We shown the Signs plainly to you, that ye may learn wisdom.

(18 إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ

নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার।

For those who give in Charity, men and women, and loan to Allah a Beautiful Loan, it shall be increased manifold (to their credit), and they shall have (besides) a liberal reward.

(19 وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ لَهُمْ أَجْرُهُمْ وَنُورُهُمْ وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ

আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তারাই তাদের পালনকর্তার কাছে সিদ্দীক ও শহীদ বলে বিবেচিত। তাদের জন্যে রয়েছে পুরস্কার ও জ্যোতি এবং যারা কাফের ও আমার নিদর্শন অস্বীকারকারী তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে।

And those who believe in Allah and His apostles- they are the Sincere (lovers of Truth), and the witnesses (who testify), in the eyes of their Lord: They shall have their Reward and their Light. But those who reject Allah and deny Our Signs,- they are the Companions of Hell-Fire.

(20 اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُونُ حُطَامًا وَفِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَمَغْفِرَةٌ مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانٌ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ

তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়।

Know ye (all), that the life of this world is but play and amusement, pomp and mutual boasting and multiplying, (in rivalry) among yourselves, riches and children. Here is a similitude: How rain and the growth which it brings forth, delight (the hearts of) the tillers; soon it withers; thou wilt see it grow yellow; then it becomes dry and crumbles away. But in the Hereafter is a Penalty severe (for the devotees of wrong). And Forgiveness from Allah and (His) Good Pleasure (for the devotees of Allah.. And what is the life of this world, but goods and chattels of deception?

(21 سَابِقُوا إِلَى مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا كَعَرْضِ السَّمَاء وَالْأَرْضِ أُعِدَّتْ لِلَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاء وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ

তোমরা অগ্রে ধাবিত হও তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে, যা আকাশ ও পৃথিবীর মত প্রশস্ত। এটা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসস্থাপনকারীদের জন্যে। এটা আল্লাহর কৃপা, তিনি যাকে ইচ্ছা, এটা দান করেন। আল্লাহ মহান কৃপার অধিকারী।

Be ye foremost (in seeking) Forgiveness from your Lord, and a Garden (of Bliss), the width whereof is as the width of heaven and earth, prepared for those who believe in Allah and His apostles: that is the Grace of Allah, which He bestows on whom he pleases: and Allah is the Lord of Grace abounding.

(22 مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِّن قَبْلِ أَن نَّبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ

পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।

No misfortune can happen on earth or in your souls but is recorded in a decree before We bring it into existence: That is truly easy for Allah.

(23 لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ

এটা এজন্যে বলা হয়, যাতে তোমরা যা হারাও তজ্জন্যে দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তজ্জন্যে উল্লসিত না হও। আল্লাহ কোন উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না,

In order that ye may not despair over matters that pass you by, nor exult over favours bestowed upon you. For Allah loveth not any vainglorious boaster,-

(24 الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَمَن يَتَوَلَّ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ

যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার প্রতি উৎসাহ দেয়, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার জানা উচিত যে, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।

Such persons as are covetous and commend covetousness to men. And if any turn back (from Allah.s Way), verily Allah is Free of all Needs, Worthy of all Praise.

(25 لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ وَأَنزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ

আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।

We sent aforetime our apostles with Clear Signs and sent down with them the Book and the Balance (of Right and Wrong), that men may stand forth in justice; and We sent down Iron, in which is (material for) mighty war, as well as many benefits for mankind, that Allah may test who it is that will help, Unseen, Him and His apostles: For Allah is Full of Strength, Exalted in Might (and able to enforce His Will).

(26 وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا وَإِبْرَاهِيمَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ فَمِنْهُم مُّهْتَدٍ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ

আমি নূহ ও ইব্রাহীমকে রসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং তাদের বংশধরের মধ্যে নবুওয়ত ও কিতাব অব্যাহত রেখেছি। অতঃপর তাদের কতক সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে এবং অধিকাংশই হয়েছে পাপাচারী।

And We sent Noah and Abraham, and established in their line Prophethood and Revelation: and some of them were on right guidance. But many of them became rebellious transgressors. (27 ثُمَّ قَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِرُسُلِنَا وَقَفَّيْنَا بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَآتَيْنَاهُ الْإِنجِيلَ وَجَعَلْنَا فِي قُلُوبِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ رَأْفَةً وَرَحْمَةً وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ إِلَّا ابْتِغَاء رِضْوَانِ اللَّهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا فَآتَيْنَا الَّذِينَ آمَنُوا مِنْهُمْ أَجْرَهُمْ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ

অতঃপর আমি তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করেছি আমার রসূলগণকে এবং তাদের অনুগামী করেছি মরিয়ম তনয় ঈসাকে ও তাকে দিয়েছি ইঞ্জিল। আমি তার অনুসারীদের অন্তরে স্থাপন করেছি নম্রতা ও দয়া। আর বৈরাগ্য, সে তো তারা নিজেরাই উদ্ভাবন করেছে; আমি এটা তাদের উপর ফরজ করিনি; কিন্তু তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে এটা অবলম্বন করেছে। অতঃপর তারা যথাযথভাবে তা পালন করেনি। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী ছিল, আমি তাদেরকে তাদের প্রাপ্য পুরস্কার দিয়েছি। আর তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।

Then, in their wake, We followed them up with (others of) Our apostles: We sent after them Jesus the son of Mary, and bestowed on him the Gospel, and We ordained in the hearts of those who followed him Compassion and Mercy. But the Monasticism which they invented for themselves, We did not prescribe for them: (We commanded) only the seeking for the Good Pleasure of Allah. but that they did not foster as they should have done. Yet We bestowed, on those among them who believed, their (due) reward, but many of them are rebellious transgressors.

(28 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ يُؤْتِكُمْ كِفْلَيْنِ مِن رَّحْمَتِهِ وَيَجْعَل لَّكُمْ نُورًا تَمْشُونَ بِهِ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজে অনুগ্রহের দ্বিগুণ অংশ তোমাদেরকে দিবেন, তোমাদেরকে দিবেন জ্যোতি, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।

O ye that believe! Fear Allah, and believe in His Messenger, and He will bestow on you a double portion of His Mercy: He will provide for you a Light by which ye shall walk (straight in your path), and He will forgive you (your past): for Allah is Oft- Forgiving, Most Merciful.

(29 لِئَلَّا يَعْلَمَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَلَّا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِّن فَضْلِ اللَّهِ وَأَنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاء وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ

যাতে কিতাবধারীরা জানে যে, আল্লাহর সামান্য অনুগ্রহের উপর ও তাদের কোন ক্ষমতা নেই, দয়া আল্লাহরই হাতে; তিনি যাকে ইচ্ছা, তা দান করেন। আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

That the People of the Book may know that they have no power whatever over the Grace of Allah, that (His) Grace is (entirely) in His Hand, to bestow it on whomsoever He wills. For Allah is the Lord of Grace abounding.

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

27 Para - Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )