Para 30 – ৩০ পারা / 30 Para- আল কোরআনের ৭৮ থেকে ১১৪ নিং সূরা (শেষ পারা)
Para 30 – ৩০ পারা / 30-Para- আল কোরআনের ৭৮ থেকে ১১৪ নিং সূরা (শেষ পারা)
78) সূরা আন-নাবা – Surah An-Nabaa (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 40)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 عَمَّ يَتَسَاءلُونَ
তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
Concerning what are they disputing?
(2 عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
মহা সংবাদ সম্পর্কে,
Concerning the Great News,
(3 الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে।
About which they cannot agree.
(4 كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে,
Verily, they shall soon (come to) know!
(5 ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
Verily, verily they shall soon (come to) know!
(6 أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
Have We not made the earth as a wide expanse,
(7 وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
এবং পর্বতমালাকে পেরেক?
And the mountains as pegs?
(8 وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি,
And (have We not) created you in pairs,
(9 وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী,
And made your sleep for rest,
(10 وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
রাত্রিকে করেছি আবরণ।
And made the night as a covering,
(11 وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়,
And made the day as a means of subsistence?
(12 وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।
And (have We not) built over you the seven firmaments,
(13 وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি।
And placed (therein) a Light of Splendour?
(14 وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاء ثَجَّاجًا
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি,
And do We not send down from the clouds water in abundance,
(15 لِنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
That We may produce therewith corn and vegetables,
(16 وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
ও পাতাঘন উদ্যান।
And gardens of luxurious growth?
(17 إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে।
Verily the Day of Sorting out is a thing appointed,
(18 يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
The Day that the Trumpet shall be sounded, and ye shall come forth in crowds;
(19 وَفُتِحَتِ السَّمَاء فَكَانَتْ أَبْوَابًا
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে।
And the heavens shall be opened as if there were doors.
(20 وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে।
And the mountains shall vanish as if they were a mirage.
(21 إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে,
Truly Hell is as a place of ambush,
(22 لِلْطَّاغِينَ مَآبًا
সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।
For the transgressors a place of destination:
(23 لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
They will dwell therein for ages.
(24 لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না;
Nothing cool shall they taste therein, nor any drink,
(25 إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে।
Save a boiling fluid and a fluid, dark, murky, intensely cold,
(26 جَزَاء وِفَاقًا
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
A fitting recompense (for them).
(27 إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
For that they used not to fear any account (for their deeds),
(28 وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত।
But they (impudently) treated Our Signs as false.
(29 وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
And all things have We preserved on record.
(30 فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
“So taste ye (the fruits of your deeds); for no increase shall We grant you, except in Punishment.
(31 إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য।
Verily for the Righteous there will be a fulfilment of (the heart’s) desires; (32 حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا উদ্যান, আঙ্গুর, Gardens enclosed, and grapevines;
(33 وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।
Companions of equal age;
(34 وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পূর্ণ পানপাত্র।
And a cup full (to the brim).
(35 لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না।
No vanity shall they hear therein, nor Untruth:-
(36 جَزَاء مِّن رَّبِّكَ عَطَاء حِسَابًا
এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান,
Recompense from thy Lord, a gift, (amply) sufficient,
(37 رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرحْمَنِ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না।
(From) the Lord of the heavens and the earth, and all between, ((Allah)) Most Gracious: None shall have power to argue with Him.
(38 يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।
The Day that the Spirit and the angels will stand forth in ranks, none shall speak except any who is permitted by ((Allah)) Most Gracious, and He will say what is right.
(39 ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَن شَاء اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا
এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক।
That Day will be the sure Reality: Therefore, whoso will, let him take a (straight) return to his Lord! .
(40 إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।
Verily, We have warned you of a Penalty near, the Day when man will see (the deeds) which his hands have sent forth, and the Unbeliever will say, “Woe unto me! Would that I were (metre) dust!”
79) সূরা আন-নযিআ’ত – Surah An-Nazi’at (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 46)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا
শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে,
By the (angels) who tear out (the souls of the wicked) with violence;
(2 وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا
শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;
By those who gently draw out (the souls of the blessed)
; (3 وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا
শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে ,
And by those who glide along (on errands of mercy),
(4 فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا
শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং
Then press forward as in a race,
(5 فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا
শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে।
Then arrange to do (the Commands of their Lord),
(6 يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ
যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী,
One Day everything that can be in commotion will be in violent commotion,
(7 تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ
অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী;
Followed by oft-repeated (commotions):
(8 قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে।
Hearts that Day will be in agitation;
(9 أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ
তাদের দৃষ্টি নত হবে।
Cast down will be (their owners’) eyes.
(10 يَقُولُونَ أَئِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ
তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই-
They say (now): “What! shall we indeed be returned to (our) former state?
(11 أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً
গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও?
“What! – when we shall have become rotten bones?”
(12 قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে!
They say: “It would, in that case, be a return with loss!”
(13 فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ
অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ,
But verily, it will be but a single (Compelling) Cry,
(14 فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
When, behold, they will be in the (full) awakening (to Judgment).
(15 هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?
Has the story of Moses reached thee?
(16 إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,
Behold, thy Lord did call to him in the sacred valley of Tuwa:-
(17 اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।
“Go thou to Pharaoh for he has indeed transgressed all bounds:
(18 فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَى أَن تَزَكَّى
অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি?
“And say to him, ‘Wouldst thou that thou shouldst be purified (from sin)?-
(19 وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى
আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।
“‘And that I guide thee to thy Lord, so thou shouldst fear Him?'”
(20 فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَى
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
Then did (Moses) show him the Great Sign.
(21 فَكَذَّبَ وَعَصَى
কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল।
But (Pharaoh) rejected it and disobeyed (guidance);
(22 ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى
অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
Further, he turned his back, striving hard (against Allah..
(23 فَحَشَرَ فَنَادَى
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল,
Then he collected (his men) and made a proclamation,
(24 فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।
Saying, “I am your Lord, Most High”.
(25 فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى
অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।
But Allah did punish him, (and made an) example of him, – in the Hereafter, as in this life.
(26 إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।
Verily in this is an instructive warning for whosoever feareth ((Allah)).
(27 أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
What! Are ye the more difficult to create or the heaven (above)? ((Allah)) hath constructed it:
(28 رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
On high hath He raised its canopy, and He hath given it order and perfection.
(29 وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
Its night doth He endow with darkness, and its splendour doth He bring out (with light).
(30 وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।
And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);
(31 أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَا
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন,
He draweth out therefrom its moisture and its pasture;
(32 وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
And the mountains hath He firmly fixed;-
(33 مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।
For use and convenience to you and your cattle.
(34 فَإِذَا جَاءتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَى
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।
Therefore, when there comes the great, overwhelming (Event),-
(35 يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَى
অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে
The Day when man shall remember (all) that he strove for,
(36 وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَى
এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে,
And Hell-Fire shall be placed in full view for (all) to see,-
(37 فَأَمَّا مَن طَغَى
তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে;
Then, for such as had transgressed all bounds,
(38 وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে,
And had preferred the life of this world,
(39 فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَى
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
The Abode will be Hell-Fire;
(40 وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে,
And for such as had entertained the fear of standing before their Lord’s (tribunal) and had restrained (their) soul from lower desires,
(41 فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
তার ঠিকানা হবে জান্নাত।
Their abode will be the Garden.
(42 يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?
They ask thee about the Hour,-‘When will be its appointed time?
(43 فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ?
Wherein art thou (concerned) with the declaration thereof?
(44 إِلَى رَبِّكَ مُنتَهَاهَا
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।
With thy Lord in the Limit fixed therefor.
(45 إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।
Thou art but a Warner for such as fear it.
(46 كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا
যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে।
The Day they see it, (It will be) as if they had tarried but a single evening, or (at most till) the following morn!
80) সূরা আবাসা – Surah Abasa (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 42)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 عَبَسَ وَتَوَلَّى
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
(The Prophet) frowned and turned away,
(2 أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।
Because there came to him the blind man (interrupting).
(3 وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّى
আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
But what could tell thee but that perchance he might grow (in spiritual understanding)?
(4 أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَى
অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।
Or that he might receive admonition, and the teaching might profit him?
(5 أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَى পরন্তু যে বেপরোয়া,
As to one who regards Himself as self-sufficient, (6 فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّى
আপনি তার চিন্তায় মশগুল। To him dost thou attend;
(7 وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّى
সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই।
Though it is no blame to thee if he grow not (in spiritual understanding).
(8 وَأَمَّا مَن جَاءكَ يَسْعَى
যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো
But as to him who came to thee striving earnestly,
(9 وَهُوَ يَخْشَى এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে,
And with fear (in his heart),
(10 فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّى
আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।
Of him wast thou unmindful.
( 11 كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।
By no means (should it be so)! For it is indeed a Message of instruction:
(12 فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।
Therefore let whoso will, keep it in remembrance.
(13 فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
এটা লিখিত আছে সম্মানিত,
(It is) in Books held (greatly) in honor,
(14 مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,
Exalted (in dignity), kept pure and holy,
(15 بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
লিপিকারের হস্তে,
(Written) by the hands of scribes-
(16 كِرَامٍ بَرَرَةٍ
যারা মহৎ, পূত চরিত্র।
Honorable and Pious and Just.
(17 قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!
Woe to man! What hath made him reject Allah.
(18 مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
From what stuff hath He created him?
(19 مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন।
From a sperm-drop: He hath created him, and then mouldeth him in due proportions;
(20 ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,
Then doth He make His path smooth for him;
(21 ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।
Then He causeth him to die, and putteth him in his grave;
(22 ثُمَّ إِذَا شَاء أَنشَرَهُ এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
Then, when it is His Will, He will raise him up (again).
(23 كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।
By no means hath he fulfilled what Allah hath commanded him.
(24 فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক,
Then let man look at his food, (and how We provide it):
(25 أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاء صَبًّا
আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি,
For that We pour forth water in abundance,
(26 ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি,
And We split the earth in fragments,
(27 فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য,
And produce therein corn,
(28 وَعِنَبًا وَقَضْبًا
আঙ্গুর, শাক-সব্জি,
And Grapes and nutritious plants,
(29 وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
যয়তুন, খর্জূর,
And Olives and Dates,
(30 وَحَدَائِقَ غُلْبًا
ঘন উদ্যান,
And enclosed Gardens, dense with lofty trees,
(31 وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
ফল এবং ঘাস
And fruits and fodder,-
(32 مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।
For use and convenience to you and your cattle.
(33 فَإِذَا جَاءتِ الصَّاخَّةُ
অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে ,
At length, when there comes the Deafening Noise,
(34 يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,
That Day shall a man flee from his own brother,
(35 وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
তার মাতা, তার পিতা,
And from his mother and his father,
(36 وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
And from his wife and his children.
(37 لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
Each one of them, that Day, will have enough concern (of his own) to make him indifferent to the others.
(38 وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল,
Some faces that Day will be beaming,
(39 ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
সহাস্য ও প্রফুল্ল।
Laughing, rejoicing.
(40 وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।
And other faces that Day will be dust-stained,
(41 تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।
Blackness will cover them:
(42 أُوْلَئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।
Such will be the Rejecters of Allah, the doers of iniquity.
81) সূরা আত-তাকভীর – Surah At-Takwir (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 29)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে,
When the sun (with its spacious light) is folded up;
(2 وَإِذَا النُّجُومُ انكَدَرَتْ
যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে,
When the stars fall, losing their lustre;
(3 وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ
যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে,
When the mountains vanish (like a mirage);
(4 وَإِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ
যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে;
When the she-camels, ten months with young, are left untended;
(5 وَإِذَا الْوُحُوشُ حُشِرَتْ
যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে,
When the wild beasts are herded together (in the human habitations);
(6 وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ
যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
When the oceans boil over with a swell;
(7 وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
When the souls are sorted out, (being joined, like with like);
(8 وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
When the female (infant), buried alive, is questioned
(9 بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?
For what crime she was killed;
(10 وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ
যখন আমলনামা খোলা হবে,
When the scrolls are laid open;
(11 وَإِذَا السَّمَاء كُشِطَتْ
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে,
When the world on High is unveiled;
(12 وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ
যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে
When the Blazing Fire is kindled to fierce heat;
(13 وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ
এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে,
And when the Garden is brought near;
(14 عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا أَحْضَرَتْ
তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে।
(Then) shall each soul know what it has put forward.
(15 فَلَا أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়।
So verily I call to witness the planets that recede,
(16 الْجَوَارِ الْكُنَّسِ
চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়,
Go straight, or hide;
(17 وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
শপথ নিশাবসান ও
And the Night as it dissipates;
(18 وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
প্রভাত আগমন কালের,
And the Dawn as it breathes away the darkness;
(19 إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,
Verily this is the word of a most honorable Messenger,
(20 ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ
যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী,
Endued with Power, with rank before the Lord of the Throne,
(21 مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ
সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন।
With authority there, (and) faithful to his trust.
(22 وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ
এবং তোমাদের সাথী পাগল নন।
And (O people!) your companion is not one possessed;
(23 وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ
তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
And without doubt he saw him in the clear horizon.
(24 وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।
Neither doth he withhold grudgingly a knowledge of the Unseen.
(25 وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়।
Nor is it the word of an evil spirit accursed.
(26 فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ
অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
When whither go ye?
(27 إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ
এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ,
Verily this is no less than a Message to (all) the Worlds:
(28 لِمَن شَاء مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ
তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়।
(With profit) to whoever among you wills to go straight:
(29 وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
But ye shall not will except as Allah wills,- the Cherisher of the Worlds.
82) সূরা আল ইনফিতার – Surah Al-Infitar (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 19)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 إِذَا السَّمَاء انفَطَرَتْ
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
When the Sky is cleft asunder;
(2 وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ
যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,
When the Stars are scattered;
(3 وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ
যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,
When the Oceans are suffered to burst forth;
(4 وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ
এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,
And when the Graves are turned upside down;
(5 عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
(Then) shall each soul know what it hath sent forward and (what it hath) kept back.
(6 يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
O man! What has seduced thee from thy Lord Most Beneficent?
(7 الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।
Him Who created thee. Fashioned thee in due proportion, and gave thee a just bias;
(8 فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاء رَكَّبَكَ
যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।
In whatever Form He wills, does He put thee together.
(9 كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ
কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।
Day! nit ye do reject Right and Judgment!
(10 وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।
But verily over you (are appointed angels) to protect you,
(11 كِرَامًا كَاتِبِينَ
সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।
Kind and honorable, Writing down (your deeds):
(12 يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
তারা জানে যা তোমরা কর।
They know (and understand) all that ye do.
(13 إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।
As for the Righteous, they will be in bliss;
(14 وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ
এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;
And the Wicked they will be in the Fire,
(15 يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ
তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।
Which they will enter on the Day of Judgment,
(16 وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ
তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।
And they will not be able to keep away therefrom.
(17 وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
And what will explain to thee what the Day of Judgment is?
(18 ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?
Again, what will explain to thee what the Day of Judgment is?
(19 يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ
যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃêত্ব হবে আল্লাহর।
(It will be) the Day when no soul shall have power (to do) aught for another: For the command, that Day, will be (wholly) with Allah.
83) সূরা আত-তাতফীফ – Surah Al-Mutaffife (মক্কায় অবতীর্ণ-Ayah 36)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ
যারা মাপে কম করে, তাদের জন্যে দুর্ভোগ,
Woe to those that deal in fraud,
(2 الَّذِينَ إِذَا اكْتَالُواْ عَلَى النَّاسِ يَسْتَوْفُونَ
যারা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণ মাত্রায় নেয়
Those who, when they have to receive by measure from men, exact full measure,
(3 وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ
এবং যখন লোকদেরকে মেপে দেয় কিংবা ওজন করে দেয়, তখন কম করে দেয়।
But when they have to give by measure or weight to men, give less than due.
(4 أَلَا يَظُنُّ أُولَئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ
তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে।
Do they not think that they will be called to account?
(5 لِيَوْمٍ عَظِيمٍ
সেই মহাদিবসে,
On a Mighty Day,
(6 يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব পালনকর্তার সামনে।
A Day when (all) mankind will stand before the Lord of the Worlds?
(7 كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ
এটা কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে।
Day! Surely the record of the wicked is (preserved) in Sijjin.
(8 وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ
আপনি জানেন, সিজ্জীন কি?
And what will explain to thee what Sijjin is?
(9 كِتَابٌ مَّرْقُومٌ এটা লিপিবদ্ধ খাতা। (
There is) a Register (fully) inscribed.
(10 وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের,
Woe, that Day, to those that deny
(11 الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ
যারা প্রতিফল দিবসকে মিথ্যারোপ করে।
Those that deny the Day of Judgment.
(12 وَمَا يُكَذِّبُ بِهِ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে।
And none can deny it but the Transgressor beyond bounds the Sinner!
(13 إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা ।
When Our Signs are rehearsed to him, he says, “Tales of the ancients!”
(14 كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ
কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে।
By no means! but on their hearts is the stain of the (ill) which they do!
(15 كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
কখনও না, তারা সেদিন তাদের পালনকর্তার থেকে পর্দার অন্তরালে থাকবে।
Verily, from (the Light of) their Lord, that Day, will they be veiled.
(16 ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُوا الْجَحِيمِ
অতঃপর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
Further, they will enter the Fire of Hell.
(17 ثُمَّ يُقَالُ هَذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ
এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।
Further, it will be said to them: “This is the (reality) which ye rejected as false!
(18 كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْأَبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ
কখনও না, নিশ্চয় সৎলোকদের আমলনামা আছে ইল্লিয়্যীনে।
Day, verily the record of the Righteous is (preserved) in ‘Illiyin.
(19 وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ
আপনি জানেন ইল্লিয়্যীন কি?
And what will explain to thee what ‘Illiyun is? (20 كِتَابٌ مَّرْقُومٌ
এটা লিপিবদ্ধ খাতা।
(There is) a Register (fully) inscribed,
(21 يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ
আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ একে প্রত্যক্ষ করে।
To which bear witness those Nearest (to Allah..
(22 إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
নিশ্চয় সৎলোকগণ থাকবে পরম আরামে,
Truly the Righteous will be in Bliss:
(23 عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ
সিংহাসনে বসে অবলোকন করবে।
On Thrones (of Dignity) will they command a sight (of all things):
(24 تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ
আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন।
Thou wilt recognize in their faces the beaming brightness of Bliss.
(25 يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ
তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে।
Their thirst will be slaked with Pure Wine sealed:
(26 خِتَامُهُ مِسْكٌ وَفِي ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ
তার মোহর হবে কস্তুরী। এ বিষয়ে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত।
The seal thereof will be Musk: And for this let those aspire, who have aspirations:
(27 وَمِزَاجُهُ مِن تَسْنِيمٍ
তার মিশ্রণ হবে তসনীমের পানি।
With it will be (given) a mixture of Tasnim:
(28 عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُونَ
এটা একটা ঝরণা, যার পানি পান করবে নৈকট্যশীলগণ।
A spring, from (the waters) whereof drink those Nearest to Allah.
(29 إِنَّ الَّذِينَ أَجْرَمُوا كَانُواْ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا يَضْحَكُونَ
যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত।
Those in sin used to laugh at those who believed,
(30 وَإِذَا مَرُّواْ بِهِمْ يَتَغَامَزُونَ
এবং তারা যখন তাদের কাছ দিয়ে গমন করত তখন পরস্পরে চোখ টিপে ইশারা করত।
And whenever they passed by them, used to wink at each other (in mockery);
(31 وَإِذَا انقَلَبُواْ إِلَى أَهْلِهِمُ انقَلَبُواْ فَكِهِينَ
তারা যখন তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরত, তখনও হাসাহাসি করে ফিরত।
And when they returned to their own people, they would return jesting;
( 32 وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوا إِنَّ هَؤُلَاء لَضَالُّونَ
আর যখন তারা বিশ্বাসীদেরকে দেখত, তখন বলত, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।
And whenever they saw them, they would say, “Behold! These are the people truly astray!”
(33 وَمَا أُرْسِلُوا عَلَيْهِمْ حَافِظِينَ
অথচ তারা বিশ্বাসীদের তত্ত্বাবধায়করূপে প্রেরিত হয়নি।
But they had not been sent as keepers over them!
(34 فَالْيَوْمَ الَّذِينَ آمَنُواْ مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ
আজ যারা বিশ্বাসী, তারা কাফেরদেরকে উপহাস করছে।
But on this Day the Believers will laugh at the Unbelievers:
(35 عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ
সিংহাসনে বসে, তাদেরকে অবলোকন করছে,
On Thrones (of Dignity) they will command (a sight) (of all things).
(36 هَلْ ثُوِّبَ الْكُفَّارُ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ
কাফেররা যা করত, তার প্রতিফল পেয়েছে তো?
Will not the Unbelievers have been paid back for what they did?
84) সূরা আল ইনশিক্বাক্ব – Surah Al-Inshiqaq (মক্কায় অবতীর্ণ-Ayah 25)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 إِذَا السَّمَاء انشَقَّتْ
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
When the sky is rent asunder,
(2 وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
ও তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং আকাশ এরই উপযুক্ত
And hearkens to (the Command of) its Lord, and it must needs (do so);
(3 وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ
এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে।
And when the earth is flattened out,
(4 وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ
এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।
And casts forth what is within it and becomes (clean) empty,
(5 وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
এবং তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং পৃথিবী এরই উপযুক্ত।
And hearkens to (the Command of) its Lord,- and it must needs (do so);- (then will come Home the full reality).
(6 يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَاقِيهِ
হে মানুষ, তোমাকে তোমরা পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে।
O thou man! Verily thou art ever toiling on towards thy Lord- painfully toiling,- but thou shalt meet Him.
(7 فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ
যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে
Then he who is given his Record in his right hand,
(8 فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا
তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে
Soon will his account be taken by an easy reckoning,
(9 وَيَنقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا
এবং সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে
And he will turn to his people, rejoicing!
(10 وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاء ظَهْرِهِ
এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া, হবে,
But he who is given his Record behind his back,
(11 فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا
সে মৃত্যুকে আহবান করবে,
Soon will he cry for perdition,
(12 وَيَصْلَى سَعِيرًا
এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
And he will enter a Blazing Fire.
(13 إِنَّهُ كَانَ فِي أَهْلِهِ مَسْرُورًا
সে তার পরিবার-পরিজনের মধ্যে আনন্দিত ছিল।
Truly, did he go about among his people, rejoicing!
(14 إِنَّهُ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ
সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না।
Truly, did he think that he would not have to return (to Us)!
(15 بَلَى إِنَّ رَبَّهُ كَانَ بِهِ بَصِيرًا
কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন।
Nay, nay! for his Lord was (ever) watchful of him!
(16 فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ
আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার
So I do call to witness the ruddy glow of Sunset;
(17 وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে
The Night and its Homing;
(18 وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ
এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে,
And the Moon in her fullness:
(19 لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।
Ye shall surely travel from stage to stage.
(20 فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
অতএব, তাদের কি হল যে, তারা ঈমান আনে না?
What then is the matter with them, that they believe not?
(21 وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنُ لَا يَسْجُدُونَ
যখন তাদের কাছে কোরআন পাঠ করা হয়, তখন সেজদা করে না।
And when the Qur’an is read to them, they fall not prostrate,
(22 بَلِ الَّذِينَ كَفَرُواْ يُكَذِّبُونَ
বরং কাফেররা এর প্রতি মিথ্যারোপ করে।
But on the contrary the Unbelievers reject (it).
(23 وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُوعُونَ
তারা যা সংরক্ষণ করে, আল্লাহ তা জানেন।
But Allah has full knowledge of what they secrete (in their breasts)
(24 فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
অতএব, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।
So announce to them a Penalty Grievous,
(25 إِلَّا الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
Except to those who believe and work righteous deeds: For them is a Reward that will never fail.
85) সূরা আল বুরূজ – Surah Al-Buruj (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 22)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
.(1 وَالسَّمَاء ذَاتِ الْبُرُوجِ
শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের,
By the sky, (displaying) the Zodiacal Signs;
( 2 وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ
এবং প্রতিশ্রুত দিবসের,
By the promised Day (of Judgment);
(3 وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ
এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয়
By one that witnesses, and the subject of the witness;
(4 قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ
অভিশপ্ত হয়েছে গর্ত ওয়ালারা অর্থাৎ,
Woe to the makers of the pit (of fire),
(5 النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ
অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা;
Fire supplied (abundantly) with fuel:
(6 إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ
যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল।
Behold! they sat over against the (fire),
(7 وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ
এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল।
And they witnessed (all) that they were doing against the Believers.
(8 وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَن يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল,
And they ill-treated them for no other reason than that they believed in Allah, Exalted in Power, Worthy of all Praise!
(9 الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের ক্ষমতার মালিক, আল্লাহর সামনে রয়েছে সবকিছু।
Him to Whom belongs the dominion of the heavens and the earth! And Allah is Witness to all things.
(10 إِنَّ الَّذِينَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيقِ
যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা,
Those who persecute (or draw into temptation) the Believers, men and women, and do not turn in repentance, will have the Penalty of Hell: They will have the Penalty of the Burning Fire.
(11 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْكَبِيرُ
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য।
For those who believe and do righteous deeds, will be Gardens; beneath which rivers flow: That is the great Salvation, (the fulfilment of all desires),
(12 إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ
নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।
Truly strong is the Grip (and Power) of thy Lord.
(13 إِنَّهُ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيدُ
তিনিই প্রথমবার অস্তিত্ব দান করেন এবং পুনরায় জীবিত করেন।
It is He Who creates from the very beginning, and He can restore (life).
(14 وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ
তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়;
And He is the Oft-Forgiving, Full of Loving-Kindness,
(15 ذُو الْعَرْشِ الْمَجِيدُ
মহান আরশের অধিকারী।
Lord of the Throne of Glory,
(16 فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ
তিনি যা চান, তাই করেন।
Doer (without let) of all that He intends.
(17 هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْجُنُودِ
আপনার কাছে সৈন্যবাহিনীর ইতিবৃত্ত পৌছেছে কি?
Has the story reached thee, of the forces
(18 فِرْعَوْنَ وَثَمُودَ
ফেরাউনের এবং সামুদের?
Of Pharaoh and the Thamud?
(19 بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي تَكْذِيبٍ
বরং যারা কাফের, তারা মিথ্যারোপে রত আছে।
And yet the Unbelievers (persist) in rejecting (the Truth)!
(20 وَاللَّهُ مِن وَرَائِهِم مُّحِيطٌ
আল্লাহ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।
But Allah doth encompass them from behind!
(21 بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيدٌ
বরং এটা মহান কোরআন,
Day, this is a Glorious Qur’an,
(22 فِي لَوْحٍ مَّحْفُوظٍ
লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ।
(Inscribed) in a Tablet Preserved!
86) সূরা আত্ব-তারিক্ব – Surah At-Tariq (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 17)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالسَّمَاء وَالطَّارِقِ
শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।
By the Sky and the Night-Visitant (therein);
(2 وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ
আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?
And what will explain to thee what the Night-Visitant is?
(3 النَّجْمُ الثَّاقِبُ সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
(It is) the Star of piercing brightness;
(4 إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ
প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে।
There is no soul but has a protector over it.
(5 فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
Now let man but think from what he is created!
(6 خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
He is created from a drop emitted
(7 يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
Proceeding from between the backbone and the ribs:
(8 إِنَّهُ عَلَى رَجْعِهِ لَقَادِرٌ
নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম।
Surely ((Allah)) is able to bring him back (to life)!
(9 يَوْمَ تُبْلَى السَّرَائِرُ
যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে
The Day that (all) things secret will be tested,
(10 فَمَا لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।
(Man) will have no power, and no helper.
(11 وَالسَّمَاء ذَاتِ الرَّجْعِ
শপথ চক্রশীল আকাশের
By the Firmament which returns (in its round),
(12 وَالْأَرْضِ ذَاتِ الصَّدْعِ
এবং বিদারনশীল পৃথিবীর
And by the Earth which opens out (for the gushing of springs or the sprouting of vegetation),
(13 إِنَّهُ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা।
Behold this is the Word that distinguishes (Good from Evil):
(14 وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ
এবং এটা উপহাস নয়।
It is not a thing for amusement.
(15 إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
তারা ভীষণ চক্রান্ত করে,
As for them, they are but plotting a scheme,
(16 وَأَكِيدُ كَيْدًا
আর আমিও কৌশল করি।
And I am planning a scheme.
(17 فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا
অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে।
Therefore grant a delay to the Unbelievers: Give respite to them gently (for awhile).
87) সূরা আল আ’লা – Surah Al-A’la (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 19)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
Glorify the name of thy Guardian-Lord Most High,
(2 الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى
যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
Who hath created, and further, given order and proportion;
(3 وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى
এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন
Who hath ordained laws. And granted guidance;
(4 وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى
এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন,
And Who bringeth out the (green and luscious) pasture,
(5 فَجَعَلَهُ غُثَاء أَحْوَى
অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা।
And then doth make it (but) swarthy stubble.
(6 سَنُقْرِؤُكَ فَلَا تَنسَى
আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না
By degrees shall We teach thee to declare (the Message), so thou shalt not forget,
(7 إِلَّا مَا شَاء اللَّهُ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَى
আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
Except as Allah wills: For He knoweth what is manifest and what is hidden.
(8 وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَى
আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।
And We will make it easy for thee (to follow) the simple (Path).
(9 فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ الذِّكْرَى
উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
Therefore give admonition in case the admonition profits (the hearer).
(10 سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَى
যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,
The admonition will be received by those who fear ((Allah)):
(11 وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى
আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে,
But it will be avoided by those most unfortunate ones,
(12 الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَى
সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
Who will enter the Great Fire,
(13 ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَى
অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না।
In which they will then neither die nor live.
(14 قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّى
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়
But those will prosper who purify themselves,
(15 وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى
এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
And glorify the name of their Guardian-Lord, and (lift their hearts) in prayer.
(16 بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও,
Day (behold), ye prefer the life of this world;
(17 وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।
But the Hereafter is better and more enduring.
(18 إِنَّ هَذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَى
এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;
And this is in the Books of the earliest (Revelation),
(19 صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى
ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে।
The Books of Abraham and Moses.
88) সূরা আল গাশিয়াহ – Surah Al-Gashiya (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 26)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ
আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
Has the story reached thee of the overwhelming (Event)?
(2 وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত,
Some faces, that Day, will be humiliated,
(3 عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ
ক্লিষ্ট, ক্লান্ত।
Labouring (hard), weary,
(4 تَصْلَى نَارًا حَامِيَةً
তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে।
The while they enter the Blazing Fire,
(5 تُسْقَى مِنْ عَيْنٍ آنِيَةٍ
তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে।
The while they are given, to drink, of a boiling hot spring,
(6 لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ
কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই।
No food will there be for them but a bitter Dhari’
(7 لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ
এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না।
Which will neither nourish nor satisfy hunger.
(8 وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব,
(Other) faces that Day will be joyful,
(9 لِسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ
তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট।
Pleased with their striving,
(10 فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
তারা থাকবে, সুউচ্চ জান্নাতে।
In a Garden on high,
(11 لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً
তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা।
Where they shall hear no (word) of vanity:
(12 فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ
তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা।
Therein will be a bubbling spring:
(13 فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ
তথায় থাকবে উন্নত সুসজ্জিত আসন।
Therein will be Thrones (of dignity), raised on high,
(14 وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ
এবং সংরক্ষিত পানপাত্র
Goblets placed (ready),
(15 وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
এবং সারি সারি গালিচা
And cushions set in rows,
(16 وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ
এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট।
And rich carpets (all) spread out.
(17 أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ
তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?
Do they not look at the Camels, how they are made?
(18 وَإِلَى السَّمَاء كَيْفَ رُفِعَتْ
এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?
And at the Sky, how it is raised high?
(19 وَإِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ
এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে?
And at the Mountains, how they are fixed firm?
(20 وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?
And at the Earth, how it is spread out?
(21 فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
Therefore do thou give admonition, for thou art one to admonish.
(22 لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
আপনি তাদের শাসক নন,
Thou art not one to manage (men’s) affairs.
(23 إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ
কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
But if any turn away and reject Allah,
(24 فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
Allah will punish him with a mighty Punishment,
(25 إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ
নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
For to Us will be their return;
(26 ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ
অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
Then it will be for Us to call them to account.
89) সূরা আল ফজর – Surah Al-Fajr (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 30)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالْفَجْرِ
শপথ ফজরের,
By the break of Day
(2 وَلَيَالٍ عَشْرٍ
শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার,
By the Nights twice five;
(3 وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ
যা জোড় ও যা বিজোড়
By the even and odd (contrasted);
(4 وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে
And by the Night when it passeth away;
(5 هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ
এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে।
Is there (not) in these an adjuration (or evidence) for those who understand?
(6 أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,
Seest thou not how thy Lord dealt with the ‘Ad (people),
(7 إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
Of the (city of) Iram, with lofty pillars,
(8 الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
The like of which were not produced in (all) the land?
(9 وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
And with the Thamud (people), who cut out (huge) rocks in the valley?
(10 وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে
And with Pharaoh, lord of stakes?
(11 الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ
যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
(All) these transgressed beyond bounds in the lands,
(12 فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ
অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল।
And heaped therein mischief (on mischief).
(13 فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন।
Therefore did thy Lord pour on them a scourge of diverse chastisements:
(14 إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ
নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
For thy Lord is (as a Guardian) on a watch-tower.
(15 فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।
Now, as for man, when his Lord trieth him, giving him honor and gifts, then saith he, (puffed up), “My Lord hath honored me.”
(16 وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।
But when He trieth him, restricting his subsistence for him, then saith he (in despair), “My Lord hath humiliated me!”
(17 كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না।
Nay, nay! but ye honor not the orphans!
(18 وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।
Nor do ye encourage one another to feed the poor!
(19 وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল
And ye devour inheritance – all with greed,
(20 وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস।
And ye love wealth with inordinate love!
(21 كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে
Nay! When the earth is pounded to powder,
(22 وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন
And thy Lord cometh, and His angels, rank upon rank,
(23 وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
And Hell, that Day, is brought (face to face),- on that Day will man remember, but how will that remembrance profit him?
(24 يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!
He will say: “Ah! Would that I had sent forth (good deeds) for (this) my (Future) Life!”
(25 فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না।
For, that Day, His Chastisement will be such as none (else) can inflict,
(26 وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।
And His bonds will be such as none (other) can bind.
(27 يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন,
(To the righteous soul will be said:) “O (thou) soul, in (complete) rest and satisfaction!
(28 ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
“Come back thou to thy Lord,- well-pleased (thyself), and well-pleasing unto Him!
(29 فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
“Enter thou, then, among My devotees!
(30 وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
“Yea, enter thou My Heaven!
90) সূরা আল বালাদ – Surah Al-Balad (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 20)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 لَا أُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ
আমি এই নগরীর শপথ করি I
do call to witness this City;
(2 وَأَنتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ
এবং এই নগরীতে আপনার উপর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
And thou art a freeman of this City;
(3 وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ
শপথ জনকের ও যা জন্ম দেয়।
And (the mystic ties of) parent and child;
(4 لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي كَبَدٍ
নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।
Verily We have created man into toil and struggle.
(5 أَيَحْسَبُ أَن لَّن يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ
সে কি মনে করে যে, তার উপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না ?
Thinketh he, that none hath power over him?
(6 يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا
সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি।
He may say (boastfully); Wealth have I squandered in abundance!
(7 أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি?
Thinketh he that none beholdeth him?
(8 أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ
আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,
Have We not made for him a pair of eyes?
(9 وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ
জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ?
And a tongue, and a pair of lips?
(10 وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।
And shown him the two highways?
(11 فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ
অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি।
But he hath made no haste on the path that is steep.
(12 وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ
আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি?
And what will explain to thee the path that is steep?
(13 فَكُّ رَقَبَةٍ
তা হচ্ছে দাসমুক্তি
(It is:) freeing the bondman;
(14 أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ
অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান।
Or the giving of food in a day of privation
(15 يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ
এতীম আত্বীয়কে
To the orphan with claims of relationship,
(16 أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ
অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে
Or to the indigent (down) in the dust.
(17 ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ
অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার।
Then will he be of those who believe, and enjoin patience, (constancy, and self-restraint), and enjoin deeds of kindness and compassion.
(18 أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
তারাই সৌভাগ্যশালী।
Such are the Companions of the Right Hand.
(19 وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا هُمْ أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা।
But those who reject Our Signs, they are the (unhappy) Companions of the Left Hand.
(20 عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌ
তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে।
On them will be Fire vaulted over (all round).
91) সূরা আশ-শামস – Surah Ash-Shams (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 15)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا
শপথ সূর্যের ও তার কিরণের,
By the Sun and his (glorious) splendour;
(2 وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا
শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,
By the Moon as she follows him;
(3 وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا
শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে,
By the Day as it shows up (the Sun’s) glory;
(4 وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا
শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে,
By the Night as it conceals it;
(5 وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا
শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর।
By the Firmament and its (wonderful) structure;
(6 وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর,
By the Earth and its (wide) expanse:
(7 وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا
শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর,
By the Soul, and the proportion and order given to it;
(8 فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا
অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন,
And its enlightenment as to its wrong and its right;
(9 قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
Truly he succeeds that purifies it,
(10 وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
And he fails that corrupts it!
(11 كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا
সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল।
The Thamud (people) rejected (their prophet) through their inordinate wrong-doing,
(12 إِذِ انبَعَثَ أَشْقَاهَا
যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।
Behold, the most wicked man among them was deputed (for impiety).
(13 فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا
অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক।
But the Messenger of Allah said to them: “It is a She-camel of Allah. And (bar her not from) having her drink!”
(14 فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا
অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন।
Then they rejected him (as a false prophet), and they hamstrung her. So their Lord, on account of their crime, obliterated their traces and made them equal (in destruction, high and low)!
(15 وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا
আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না।
And for Him is no fear of its consequences.
92) সূরা আল লায়ল – Surah Al-Lail (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 21)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
. (1 وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে,
By the Night as it conceals (the light);
(2 وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى
শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়
By the Day as it appears in glory;
(3 وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন,
By (the mystery of) the creation of male and female;
(4 إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى
নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
Verily, (the ends) ye strive for are diverse.
(5 فَأَمَّا مَن أَعْطَى وَاتَّقَى
অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়,
So he who gives (in charity) and fears ((Allah)),
(6 وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى
এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে,
And (in all sincerity) testifies to the best,
(7 فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى
আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
We will indeed make smooth for him the path to Bliss.
(8 وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى
আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়
But he who is a greedy miser and thinks himself self-sufficient,
(9 وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى
এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে,
And gives the lie to the best,
(10 فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
We will indeed make smooth for him the path to Misery;
(11 وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى
যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না।
Nor will his wealth profit him when he falls headlong (into the Pit).
(12 إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى
আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা।
Verily We take upon Ourselves to guide,
(13 وَإِنَّ لَنَا لَلْآخِرَةَ وَالْأُولَى
আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের।
And verily unto Us (belong) the End and the Beginning.
(14 فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى
অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।
Therefore do I warn you of a Fire blazing fiercely;
(15 لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى
এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে,
None shall reach it but those most unfortunate ones
(16 الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى
যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Who give the lie to Truth and turn their backs.
(17 وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى
এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে,
But those most devoted to Allah shall be removed far from it,
(18 الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে।
Those who spend their wealth for increase in self-purification,
(19 وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَى
এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।
And have in their minds no favor from anyone for which a reward is expected in return,
(20 إِلَّا ابْتِغَاء وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى
তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত।
But only the desire to seek for the Countenance of their Lord Most High;
(21 وَلَسَوْفَ يَرْضَى
সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে।
And soon will they attain (complete) satisfaction.
93) সূরা আদ্ব-দ্বোহা – Surah Adh-Dhuha (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 11)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالضُّحَى
শপথ পূর্বাহ্নের
, By the Glorious Morning Light,
(2 وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى
শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়,
And by the Night when it is still,-
(3 مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى
আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি।
Thy Guardian-Lord hath not forsaken thee, nor is He displeased.
(4 وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْأُولَى
আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।
And verily the Hereafter will be better for thee than the present.
(5 وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
And soon will thy Guardian-Lord give thee (that wherewith) thou shalt be well-pleased.
(6 أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَى
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।
Did He not find thee an orphan and give thee shelter (and care)?
(7 وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى
তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
And He found thee wandering, and He gave thee guidance.
(8 وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَى
তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।
And He found thee in need, and made thee independent.
(9 فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ
সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না;
Therefore, treat not the orphan with harshness,
(10 وَأَمَّا السَّائِلَ فَلَا تَنْهَرْ
সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না।
Nor repulse the petitioner (unheard);
(11 وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন
। But the bounty of the Lord – rehearse and proclaim!
94) সূরা আল ইনশিরাহ – Surah Al-Sharh (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 8)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?
Have We not expanded thee thy breast?-
(2 وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,
And removed from thee thy burden
(3 الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ
যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।
The which did gall thy back?-
(4 وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
And raised high the esteem (in which) thou (art held)?
(5 فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
So, verily, with every difficulty, there is relief:
(6 إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
Verily, with every difficulty there is relief.
(7 فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
Therefore, when thou art free (from thine immediate task), still labor hard,
(8 وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
And to thy Lord turn (all) thy attention.
95) সূরা ত্বীন – Surah At-Tin (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 8)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
96) সূরা আলাক – Surah Al-Alaq (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 19)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
Proclaim! (or read!) in the name of thy Lord and Cherisher, Who created-
(2 خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
Created man, out of a (mere) clot of congealed blood:
(3 اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু,
Proclaim! And thy Lord is Most Bountiful,-
(4 الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন,
He Who taught (the use of) the pen,-
(5 عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।
Taught man that which he knew not.
(6 كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى
সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে,
Day, but man doth transgress all bounds,
(7 أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى
এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
In that he looketh upon himself as self-sufficient.
(8 إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে।
Verily, to thy Lord is the return (of all).
(9 أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى
আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে
Seest thou one who forbids-
(10 عَبْدًا إِذَا صَلَّى এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে?
A votary when he (turns) to pray?
(11 أَرَأَيْتَ إِن كَانَ عَلَى الْهُدَى
আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
Seest thou if he is on (the road of) Guidance?-
(12 أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى
অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়।
Or enjoins Righteousness?
(13 أَرَأَيْتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلَّى
আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
Seest thou if he denies (Truth) and turns away?
(14 أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى
সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন?
Don’t you know that Allah doth see?
(15 كَلَّا لَئِن لَّمْ يَنتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ
কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই-
Let him beware! If he desist not, We will drag him by the forelock,-
(16 نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ
মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ।
A lying, sinful forelock!
(17 فَلْيَدْعُ نَادِيَه
অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক।
Then, let him call (for help) to his council (of comrades):
(18 سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ
আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে
We will call on the angels of punishment (to deal with him)!
(19 كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন।
Day, heed him not: But bow down in adoration, and bring thyself the closer (to Allah)…!
97) সূরা কদর – Surah Al-Qadr (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 5)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
We have indeed revealed this (Message) in the Night of Power:
(2 وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
And what will explain to thee what the night of power is?
(3 لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
The Night of Power is better than a thousand months.
(4 تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
Therein come down the angels and the Spirit by Allah.s permission, on every errand:
(5 سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
Peace!…This until the rise of morn!
98) সূরা বাইয়্যিনাহ – Surah Al-Baiyina (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 8)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত।
Those who reject (Truth), among the People of the Book and among the Polytheists, were not going to depart (from their ways) until there should come to them Clear Evidence,
(2 رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً
অর্থাৎ আল্লাহর একজন রসূল, যিনি আবৃত্তি করতেন পবিত্র সহীফা,
An apostle from Allah, rehearsing scriptures kept pure and holy:
(3 فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ
যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু।
Wherein are laws (or decrees) right and straight.
(4 وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَةُ
অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই।
Nor did the People of the Book make schisms, until after there came to them Clear Evidence.
(5 وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।
And they have been commanded no more than this: To worship Allah, offering Him sincere devotion, being true (in faith); to establish regular prayer; and to practice regular charity; and that is the Religion Right and Straight.
(6 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।
Those who reject (Truth), among the People of the Book and among the Polytheists, will be in Hell-Fire, to dwell therein (for aye). They are the worst of creatures.
(7 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।
Those who have faith and do righteous deeds,- they are the best of creatures.
(8 جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ
তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর।
Their reward is with Allah. Gardens of Eternity, beneath which rivers flow; they will dwell therein for ever; Allah well pleased with them, and they with Him: all this for such as fear their Lord and Cherisher.
99) সূরা যিলযাল – Surah Al-Zalzalah (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 8)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে,
When the earth is shaken to her (utmost) convulsion,
(2 وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
And the earth throws up her burdens (from within),
(3 وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ?
And man cries (distressed): ‘What is the matter with her?’
(4 يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,
On that Day will she declare her tidings:
(5 بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন।
For that thy Lord will have given her inspiration.
(6 يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়।
On that Day will men proceed in companies sorted out, to be shown the deeds that they (had done).
(7 فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে
Then shall anyone who has done an atom’s weight of good, see it!
(8 وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
And anyone who has done an atom’s weight of evil, shall see it.
100) সূরা আদিয়াত – Surah Al-Adiyat (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 11)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের,
By the (Steeds) that run, with panting (breath),
(2 فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের
And strike sparks of fire,
(3 فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের
And push home the charge in the morning,
(4 فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে
And raise the dust in clouds the while,
(5 فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে
And penetrate forthwith into the midst (of the foe) en masse;
(6 إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।
Truly man is, to his Lord, ungrateful;
(7 وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
And to that (fact) he bears witness (by his deeds);
(8 وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত।
And violent is he in his love of wealth.
(9 أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে
Does he not know,- when that which is in the graves is scattered abroad
(10 وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে?
And that which is (locked up) in (human) breasts is made manifest
(11 إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত।
That their Lord had been Well-acquainted with them, (even to) that Day.?
101) সূরা কারিয়া – Surah Al-Qari’a (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 11)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী,
The (Day) of Noise and Clamour:
(2 مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী কি?
What is the (Day) of Noise and Clamour?
(3 وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
And what will explain to thee what the (Day) of Noise and Clamour is?
(4 يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত
(It is) a Day whereon men will be like moths scattered about,
(5 وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত।
And the mountains will be like carded wool.
(6 فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
অতএব যার পাল্লা ভারী হবে,
Then, he whose balance (of good deeds) will be (found) heavy,
(7 فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
সে সুখীজীবন যাপন করবে।
Will be in a life of good pleasure and satisfaction.
(8 وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ
আর যার পাল্লা হালকা হবে,
But he whose balance (of good deeds) will be (found) light,
(9 فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ
তার ঠিকানা হবে হাবিয়া।
Will have his home in a (bottomless) Pit.
(10 وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ
আপনি জানেন তা কি?
And what will explain to thee what this is?
(11 نَارٌ حَامِيَةٌ
প্রজ্জ্বলিত অগ্নি!
(It is) a Fire Blazing fiercely!
102) সূরা তাকাসূর – Surah At-Takathur (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 8)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
The mutual rivalry for piling up (the good things of this world) diverts you (from the more serious things),
(2 حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
Until ye visit the graves.
(3 كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
But nay, ye soon shall know (the reality).
(4 ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
Again, ye soon shall know!
(5 كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
Nay, were ye to know with certainty of mind, (ye would beware!)
(6 لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
Ye shall certainly see Hell-Fire!
(7 ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
Again, ye shall see it with the certainty of sight!
(8 ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
Then, shall ye be questioned that Day about the joy (ye indulged in!).
103) সূরা আছর – Surah Al-Asr (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 3)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَالْعَصْرِ
কসম যুগের (সময়ের),
By (the Token of) Time (through the ages),
(2 إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
Verily Man is in loss,
(3 إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
Except such as have Faith, and do righteous deeds, and (join together) in the mutual teaching of Truth, and of Patience and Constancy.
104) সূরা হুমাযাহ – Surah Al-Humaza (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 9)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ,
Woe to every (kind of) scandal-monger and-backbiter,
(2 الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
Who pileth up wealth and layeth it by,
(3 يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে!
Thinking that his wealth would make him last forever!
(4 كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে।
By no means! He will be sure to be thrown into That which Breaks to Pieces,
(5 وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
And what will explain to thee That which Breaks to Pieces?
(6 نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
(It is) the Fire of (the Wrath of) Allah kindled (to a blaze),
(7 الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে।
The which doth mount (Right) to the Hearts:
(8 إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,
It shall be made into a vault over them,
(9 فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
লম্বা লম্বা খুঁটিতে
। In columns outstretched.
105) সূরা ফীল – Surah Al-Fil (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 5)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
106) সূরা কোরাইশ – Surah Quraish (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 4)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
107) সূরা মাউন – Surah Al-Ma’un (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 7)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
108) সূরা কাওসার – Surah Al-Kauthar (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 3)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
109) সূরা কাফিরুন – Surah Al-Kafirun (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 6)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
(1 قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুন, হে কাফেরকূল,
Say : O ye that reject Faith!
(2 لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
I worship not that which ye worship,
(3 وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
Nor will ye worship that which I worship.
(4 وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
And I will not worship that which ye have been wont to worship,
(5 وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
Nor will ye worship that which I worship.
(6 لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
To you be your Way, and to me mine.
110) সূরা নছর – Surah An-Nasr (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 3)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
111) সূরা লাহাব – Surah Al-Lahab (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 5)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
112) সূরা এখলাছ – Surah Al-Ikhlas (মক্কায় অবতীর্ণ – Ayah 4)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ | শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
113) সূরা ফালাক্ব – Surah Al-Falaq (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 5)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
114) সূরা নাস – Surah Al-Nas (মদীনায় অবতীর্ণ – Ayah 6)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )