গর্ভকালীন সমস্যা ও রুকইয়াহ / Pregnancy-Problems-And-Ruqyia
গর্ভকালীন সমস্যা ও রুকইয়াহ / Pregnancy-Problems-And-Ruqyia
গর্ভকালীন সমস্যা ও রুকইয়াহ / Pregnancy-Problems-And-Ruqyia
লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ
বর্তমানে খুবই কমন একটা প্রশ্ন, “প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কি রুকইয়া করা যায়?? কী রুকইয়াহ করবো??
এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পুর্বে আমার মনে হয় গর্ভকালীন সময়ে একজন গর্ভবতী নারীর হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে যে শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন আসে সেই বিষয়ে কিছু বলা দরকার। এ সময় যে কমন সমস্যাগুলো দেখা যায় তার মধ্যে- মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব, পা ও পিঠে ব্যথা, কোমর ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া করা, ঘুম না হওয়া, অস্থিরতা, বিষণ্ণতা, মাথা ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, কখনো খাবারে অরুচি আবার কখনওবা খুব বেশি ক্ষুধা পাওয়া, পেট খারাপ হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পা ফুলে যাওয়া, কখনো কখনো শ্বাসপ্রশ্বাসেও কষ্ট হয়। এছাড়া ঘুমের সমস্যার কারনে বুক ধড়ফড় ও দুঃস্বপ্নও দেখেন অনেকেই। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত রাগ, বিরক্তবোধ, একা থাকতে ভালো লাগাসহ নানা ধরনের পরিবর্তন আসে।
- সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন। সম্ভব হলে নফল ইবাদাত করুন বেশি বেশি। চেষ্টা করুন তাহাজ্জুদ মিস না দেয়ার। সাথে সালাতুল হাজতও পড়ার চেষ্টা করুন।
- চেষ্টা করুন নিজের জবানকে যিকরে অভ্যস্ত করার। শুয়ে, বসে সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরনে মশগুল থাকুন। অন্তরে প্রশান্তি আসবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন____
“ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ ٱللَّهِۗ أَلَا بِذِكْرِ ٱللَّهِ تَطْمَئِنُّ ٱلْقُلُوبُ
-
- গুনাহ থেকে বাঁচুন। বিশেষ করে মেয়েদের দ্বারা যে সহজ কিন্তু ভয়ংকর গুনাহগুলো সংঘটিত হয় সেগুলো থেকে বাঁচুন। একে অন্যের দোষচর্চা, সিরিয়ালপ্রীতি, পর্দা সম্পর্কে উদাসীনতা, অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া এসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন, দরুদপাঠ করুন। তিন তাসবীহসহ প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য নির্দিষ্ট তাসবীহ সমুহ আদায় করুন।
- ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাবার আগে ওযু করে নিন।
- নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন,”যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের মত করে ওযু করে নিবে।” (মুসলিম : ৪৮৮৪)
- সকাল সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগের মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করুন। বিশেষতঃ তিন কুলের আমল মিস দিবেন না।
- সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ুন। আর ঘুমের আগে তিনবার পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে বুলিয়ে নিন। আর আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবেন। আব্দুল্লাহ ইবনু খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, নবি ﷺ বলেছেন, ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ এবং ‘মুয়াওয়াযাতাইন’ সকালে ও সন্ধ্যায়—তিন বার বল। এটা সব কিছু থেকে তোমার হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
- ফজর এবং আসরের পর অবশ্যই “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া’হদাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল ‘হামদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর” এটা ১০০বার পড়া। কোনোদিন না পারলে অন্তত ১০বার পড়বেন।
- কুর’আন তিলাওয়াত করুন। কুর’আনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। এখন অনেকে বলেন কি সুরা পড়বো?? কুর’আন হাদীসে নির্দিষ্ট সুরার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে অনেক বুজুর্গ এসব সুরা বেশি বেশি পড়তে বলেছেনঃ
♦প্রথম মাসে- সুরা আল-ইমরান।
♦দ্বিতীয় মাসে-সূরা ইউসুফ।
♦তৃতীয় মাসে-সূরা মারিয়াম।
♦চতুর্থ মাসে-সূরা লোকমান।
♦পঞ্চম মাসে-সূরা মুহাম্মদ।
♦ষষ্ঠ মাসে- সূরা ইয়াসীন।
♦সপ্তম, অষ্টম,নবম ও দশম মাসে-সূরা ইউসুফ, মুহাম্মদ ও ইব্রাহীম। এছাড়া এমনতেই খতমের নিয়াতেও কুর’আন পড়তে পারেন, এই লম্বা সময়ে চেষ্টা করলে অনেকবার খতম দেয়া সম্ভব।। এ সময় সবর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে সবর করলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া বেশি বেশি দু’আ করুন। মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, পজিটিভ থাকুন। নিজের সমস্যার কথা পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।। আবারো বলছি মাসনুন আমলগুলো বাদ দিবেন না। যদি ভুলে যান ইয়াদ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নিবেন।। আর যদি কোন সময় সমস্যা বুঝতে পারেন, তাহলে তখন তিনকুল পড়ে শরীর মুছে নিবেন। এগুলো মেনে চললে নানা রকম বালা মুসিবত থেকে রক্ষা পাবেন আর রব্বুল আ’লামীনের নৈকট্যও অর্জনেও সহায়ক হবে। (ইনশাআল্লাহ) আর সবশেষে বললেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হল, দোয়া। অবশ্যই অবশ্যই দোয়া করবেন, নিজের জন্য, সন্তানের জন্য দিল খুলে দোয়া করবেন। যা চান, যেমন চান সব আল্লাহর কাছে বলবেন। আল্লাহ আমাদের বুঝার এবং মানার তাওফিক দিন। আমিন!
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )