Some world famous Muslim heroes

Some world famous Muslim heroes-বিশ্ববিখ্যাত কয়েকজন মুসলিম বীর

একসময় গোটা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মুসলিম বীর যোদ্ধারা। তাঁদের তরবারির ঝলকানি দেখে কম্পিত হয়ে উঠত কাফিরদের অন্তরাত্মা। মুহূর্তেই শক্তিশালী অমুসলিম রাষ্ট্র পদানত হয়ে যেত তাঁদের কাছে। নিচে এমন পাঁচ জনের ইতিহাস তুলে ধরা হল।

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)

হজরত আবু বকর (রা.) যতটা পরিচিত ছিলেন তাঁর কোমল ও নম্র ব্যবহারের জন্য, ঠিক ততটাই বজ্রকঠিন ব্যক্তিত্বের কারণে লোকেরা ভয় পেত হজরত ওমর (রা.)-কে। ইসলামের প্রথম যুগেই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হজরত আবু বকর (রা.)-এর মৃত্যুর পর তিনি মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে ইসলাম অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। একে একে বিজয় হয় দিগ্বিদিক রাজ্যগুলো। হজরত আবু বকর (রা.) যে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য আক্রমণ শুরু করে দিয়ে গিয়েছিলেন, হজরত ওমর (রা.) সেটা শেষ করেন। ৬৩৩ সালে পারস্য বিজয়ের প্রাথমিক ধাপ শুরু করেন তিনি। এই যুদ্ধ চলে ৬৫২ সাল পর্যন্ত। ধীরে ধীরে মেসোপটেমিয়ায় দুটি আক্রমণ করা হয় ৬৩৩ ও ৬৩৬ সালে। এরপর ৬৪২ সালে নাহাভান্দর যুদ্ধ হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে পারস্য বিজয় শুরু হয়। প্রতাপশালী সাসানীয় সাম্রাজ্যের হাত থেকে পারস্য কেড়ে নিতে থাকে মুসলিম বাহিনী। প্রথমে ফার্স দখল করে নেওয়া হয়, এরপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পূর্ব পারস্য, সাকাস্তান, আজারবাইজান, আরমেনিয়া ও খোরাসান জয়ের মাধ্যমে পারস্য পুরোপুরি মুসলিমদের অধিকারে চলে আসে। ৬৩৬ সালে বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াস মুসলিমদের কাছে হারানো জায়গাগুলো উদ্ধার করতে আক্রমণ চালান, কিন্তু ইয়ারমুক যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেন তিনি। এভাবে বীরত্বের সঙ্গে রাজ্য জয় করে প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করেন হজরত ওমর (রা.)।

 

হামজা বিন আব্দিল মুত্তালিব (রা.)

ইসলামের প্রথম দিকে যেসব অকুতোভয় আর দুঃসাহসী সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ইসলামের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছেন, হজরত হামজা বিন আব্দিল মুত্তালিব (রা.) ছিলেন তাঁদের অন্যতম। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আপন চাচা। নবুয়তের ষষ্ঠ বছরের শেষ দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।

ইসলাম গ্রহণের পর হজরত হামজা (রা.) বেশ কয়েকটি জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথম হিজরির রমজান মাসে ‘সারিয়াতু হামাজা’য় ইসলামের সর্বপ্রথম ঝাণ্ডা তাঁর হাতে প্রদান করা হয়। ‘আবওয়া’ ও ‘জুল আশিরা’ যুদ্ধেও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ঝাণ্ডাবাহী হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে বহু কুরাইশ নেতা ও সৈন্য তাঁর হাতে নিহত হয়। দ্বিতীয় হিজরির শাওয়াল মাসে সংঘটিত ‘বনু কাইনুকা’র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তৃতীয় হিজরির ৭ শাওয়াল সংঘটিত উহুদ যুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ছিল কিংবদন্তিতুল্য। দুই হাতে এমনভাবে তরবারি পরিচালনা করছিলেন যে শত্রুপক্ষের কেউ তাঁর সামনে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মক্কার কুরাইশ নেতা জোবায়ের ইবনে মুতইম বদর যুদ্ধে নিহত তাঁর চাচা তুআইমা বিন আদির হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ওয়াহশি (রা.)-কে নিযুক্ত করেছিলেন হজরত হামজা (রা.)-কে হত্যা করার জন্য। এর বিনিময়ে তাঁকে মুক্ত করে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। ওয়াহশি (রা.) তখনো মুসলমান হননি। যুদ্ধের একপর্যায়ে তিনি সুযোগমতো হজরত হামজা (রা.)-এর দিকে বর্শা ছুড়ে মারেন। বর্শাটি হজরত হামজা (রা.)-এর নাভির নিচে ভেদ করে ওপারে চলে যায়। ময়দানে পড়ে কিছুক্ষণ কাতরিয়ে শাহাদাত বরণ করেন ইসলামের এই মহান সাহাবি। এ যুদ্ধে শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি একাই ৩০ জনেরও বেশি কাফিরকে হত্যা করেছিলেন। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা বিন উতবাহ বদর যুদ্ধে তার পিতার হত্যাকারী হজরত হামজা (রা.)-এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাঁর বুক ছিঁড়ে কলিজা বের করে চিবাতে থাকে। এমনকি তাঁর নাক ও কান কেটে গলার হার বানায়। যুদ্ধ শেষে এই বীর যোদ্ধাকে উহুদ প্রান্তরে সমাহিত করা হয়। তাঁর জানাজায় দাঁড়িয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করেছিলেন। একবার তাঁর সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি গত রাতে জান্নাতে প্রবেশ করে দেখলাম, জাফর ফেরেশতাদের সঙ্গে উড়ে বেড়াচ্ছে আর হামজা একটি আসনের ওপর ঠেস দিয়ে বসে আছে।’ (আল-মুস্তাদরাকে আলাছ সহিহাইন, হাদিস : ৪৮৯০; সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৩৬৩)

 

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)

তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চাচাতো ভাই এবং ইসলামের চতুর্থ খলিফা। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বালকদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলামের জন্য তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। তিনি তাঁর সসীম শক্তি ও বীরত্বের পুরোটাই ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবদ্দশায় প্রায় সব যুদ্ধেই তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে শৌর্যবীর্যের পরিচয় দেন। বদরের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতে যুদ্ধের পতাকা তুলে দেন। এ যুদ্ধে তিনি কুরাইশদের বিখ্যাত বীর আমর ইবনে আবুদ্দোজাসহ ২০-২২ জন মুশরিককে হত্যা করেন। তাঁর অসীম বীরত্বের জন্য মহানবী (সা.) তাঁকে ‘জুলফিকার’ তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খায়বরের যুদ্ধে কাফিরদের পরাজিত করে বিখ্যাত কামুস দুর্গ জয় করে অসাধারণ শৌর্যবীর্যের পরিচয় দেন। তাঁর বীরত্বে সন্তুষ্ট হয়ে মহানবী (সা.) তাঁকে ‘আসাদুল্লাহ বা আল্লাহর বাঘ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। মক্কা বিজয়ের পতাকাও তিনি বহন করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পরও নাহরাওয়ানের যুদ্ধ, সিফফিনের যুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রদর্শন করেন। (তথ্য সূত্র : আসহাবে রাসুল)

খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)

‘আমি শাহাদাতের ইচ্ছা নিয়ে এত বেশি যুদ্ধে লড়াই করেছি যে আমার শরীরে এমন কোনো ক্ষতচিহ্ন নেই যা বর্শা বা তলোয়ারের আঘাতের কারণে হয়নি। এর পরেও আমি এখানে, বিছানায় পড়ে একটি বৃদ্ধ উটের মতো মারা যাচ্ছি। কাপুরুষদের চোখ যাতে কখনো শান্তি না পায়।’ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) (বিশ্বনবীর সাহাবি, অনুবাদ : আব্দুল কাদের)

হজরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) ছিলেন মুসলিম ইতিহাসে এমন এক মহান সেনাপতি, যিনি রণক্ষেত্রে নিজের শক্তি ও মেধার দ্বারা ইসলামের ঝাণ্ডা সমুন্নত করেছিলেন। মিসরের খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক আব্বাস মাহমুদ আল-আক্কাদ ‘আবকারিয়াতু খালিদ’ নামক গ্রন্থে তাঁর সামরিক ব্যক্তিত্বের পর্যালোচনা করে বলেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের সব গুণাবলিই তাঁর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। অসীম বাহাদুরি, অনুপম সাহসিকতা, উপস্থিত বুদ্ধি, তীক্ষ মেধা, অত্যধিক ক্ষিপ্রতা এবং শত্রুর ওপর অকল্পনীয় আঘাত হানার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।’ (আবকারিয়াতু খালিদ, পৃষ্ঠা ৭৬)

ইসলাম গ্রহণের আগে ওহুদের যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীর ডান বাহুর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিচক্ষণ রণকৌশলে মুসলিম বাহিনীকে কিছুটা ধরাশায়ী হতে হয়। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মাত্র ১৪ বছর জীবিত ছিলেন। এ অল্প সময়েই তিনি মোট ১৫০টি ছোট-বড় যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। দ্রুত সম্প্রসারণমান ইসলামী সাম্রাজ্য হজরত খালিদ (রা.)-এর হাতেই বিস্তৃত হয়। হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর শাসনামলে মুসলমান ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে বিখ্যাত যে ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়, সেই যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন হজরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)। তাঁর অসীম সাহসিকতায় মুসলমানরা বিজয় লাভ করে। এই যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ের ফলে সিরিয়ায় বাইজেন্টাইন শাসনের অবসান ঘটে। সামরিক ইতিহাসে এই যুদ্ধ অন্যতম ফলাফল নির্ধারণকারী যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হয়।

মুতার যুদ্ধে তিনি এতটাই বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন যে তাঁর হাতে ৯টি তরবারি ভেঙে যায়। এ প্রসঙ্গে সহিহ বুখারিতে স্বয়ং খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘মুতার যুদ্ধে আমার হাতে ৯টি তলোয়ার ভেঙেছে। এরপর আমার একটি ইয়ামানি তলোয়ার অবশিষ্ট ছিল।’ (সহিহ বুখারি, মুতার যুদ্ধ অধ্যায় : ২/৭১১)

হজরত খালিদ (রা.)-এর রণনিপুণতায় খুশি হয়ে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ‘সাইফুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর তরবারি উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ও বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে মক্কা বিজয়, হুনাইনের যুদ্ধ, তায়েফ বিজয় ও তাবুক অভিযান উল্লেখযোগ্য। তিনি খলিফা হজরত আবু বকর ও খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর খিলাফতকালেও বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্ব প্রদর্শন করেন।

 

 

সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি

তাঁর আসল নাম ইউসুফ। ছোটবেলা থেকেই ইউসুফ (আ.)-এর মতো রূপ-সৌন্দর্য, চরিত্র-মাধুর্য আর ঈমানি kalerkanthoশক্তিতে তিনি ছিলেন বলীয়ান। প্রত্যক্ষ যুদ্ধ কৌশলের ওপর গভীর জ্ঞান ও আগ্রহের কারণে চাচা শেরেকাহ ও নুরুদ্দিন জঙ্গি তাঁকে স্পেশাল প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এর পরই নুরুদ্দিন জঙ্গি তাঁকে মিসরের গভর্নরের পদের জন্য মনোনীত করেন।

১১৬৯ সালের ২৩ মার্চ ফাতেমি খিলাফতের কেন্দ্রীয় খলিফার নির্দেশে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (র.) গভর্নর ও সেনাপ্রধান হয়ে মিসর আগমন করেন। তাঁর বহু আগে থেকেই (দ্বাদশ শতাব্দীতে) ইউরোপ, ফ্রান্স ও জার্মানির ক্রুসেড শক্তি ইসলামী রাষ্ট্র ভেঙে ফেলার জন্য ক্রুশ ছুঁয়ে শপথ নেন। ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্রুশের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু করে নানা চক্রান্ত। সেই সঙ্গে তারা একের পর এক চালায় সশস্ত্র অভিযান। মুসলিমদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দখল করে রাখে ইসলামের মহান স্মৃতিচিহ্ন প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস। সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মিসরের স্থায়িত্ব আনার পরই বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করতে বেরিয়ে পড়েন। তিনি সর্বপ্রথম খ্রিস্টানদের ফিলিস্তিনের শোবক দুর্গ অবরোধ করে জয় করে নেন। পরে নুরুদ্দিন জঙ্গির সহায়তায় কার্ক দুর্গও জয় করেন। কার্ক দুর্গ অবরোধের সময় ক্রুসেডদের সহায়তায় সুদানিরা আবারও মিসরে সমস্যা তৈরি করতে চাইলে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) কার্কের অবরোধ নুরুদ্দিন জঙ্গিকে নিয়ে মিসরে চলে আসেন। পরে নুরুদ্দিন জঙ্গি কার্ক দুর্গসহ ফিলিস্তিনের আরো কিছু জায়গার দখল সম্পন্ন করেন।

ফিলিস্তিনের শোবক ও কার্ক দুর্গ পরাজয়ের প্রতিশোধস্বরূপ ক্রুসেডাররা পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। স্পেনের পূর্ণ নৌবহর এবং ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়ামের সেনারা যুক্ত হয় এতে। তাদের সাহায্যে আসে গ্রিস ও সিসিলির জঙ্গি কিশতি। এদিকে সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) গোয়েন্দা মারফত তাদের আগমন ও সর্বপ্রথম মিসরের উপকূলের আলেকজান্দ্রিয়া অঞ্চল আক্রমণের খবর পেয়ে যান।

প্রায় ছয় লাখ সেনার বিশাল আক্রমণ সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মাত্র ২০ হাজার মতান্তরে ৩০ হাজার সেনা দিয়ে প্রতিরোধ করেন। রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষ হয়। মুসলমানরা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনে। এরপর সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) ১১৮৭ সালে বাইতুল মুকাদ্দাস অবরোধ করেন। অন্য পক্ষ খ্রিস্টানরাও তাদের দখল করা ভূমি ছাড়তে নারাজ। শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষ হয়। হাঁটু পর্যন্ত বয়ে যায় রক্তের স্রোত। অবশেষে খ্রিস্টান বাহিনী পরাজয় বরণ করে ৬ অক্টোবর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) বিজয়ী বেশে বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন। এটি ছিল সেই রাত, যেদিন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে মিরাজে গমন করেন। এ বিজয়ের ফলে প্রায় ৯০ বছর পর ক্রুসেডারদের অত্যাচার থেকে রেহাই পায় ফিলিস্তিনের মুসলমানরা।

IDC Partner

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )