দোয়া কবুলের ঘটনা / Story-Of-Accepting-Prayers

 

 

Story-Of-Accepting-Prayers

 

 দোয়া কবুলের ঘটনা / Story-Of-Accepting-Prayers

@@@ অনেক ব্যস্ত এক ডাক্তার। শুধু উনার এপয়েন্টমেন্ট পেতে হলে মাঝে মাঝে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় রোগীদেরকে। খুবই ব্যস্ত থাকেন তিনি। উনাকে প্রায়ই প্লেনে করে এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় যেতে হয় চিকিৎসার কাজে।
@@@ একদিন তিনি প্লেনে করে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেল সারা আসমান। বজ্রপাত, বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়ে গেল। তখন হঠাৎ করেই প্লেনের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিল এবং সেখানের কোন এক এয়ারপোর্টে আমাদের প্লেনকে ল্যান্ড করতে হল। যে এয়ারপোর্টে নামল সে যায়গাটা ছিল শহর থেকে অনেক দূরে এবং সাথে সাথে ইঞ্জিন ঠিক করার জন্য দক্ষ কারিগর সেখানে ছিল না। অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না। কিন্তু তার জরুরী কাজ ছিল যেখানে পৌঁছানো তার জন্য খুবই জরুরী।
@@@ তিনি ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞেস করলেন, কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে? ক্যাপ্টেন বললেন, ঠিক বলা যাচ্ছে না, কিন্তু অনেক্ষন অপেক্ষা করতে হবে। আমি বললাম, কিন্তু আমার তো সেখানে পৌঁছা খুবই দরকার। ক্যাপ্টেন বললেন, তাহলে আপনি গাড়ি করে চলে যান? এখান থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার রাস্তা।
@@@ এ ছাড়া আর কোন উপায়ও ছিল না। তাই তিনি গাড়ি করেই রওয়ানা দিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আবার সেই ঘন কালো মেঘ, বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হয়ে গেল। যেহেতু গ্রামের মাটির রাস্তা তাই বৃষ্টির কারণে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ বৃষ্টির কারণে রাস্তায় এত কাদা হয়ে গিয়েছিল যে গাড়ির চাকা কাদার মধ্য দিয়ে চলছিল না।
@@@ তখন কিছুদূর সামনে একটা বাড়ি দেখা গেল। তিনি ঠিক করলেন ঐ বাড়িতে গিয়ে বৃষ্টি থামার আগ পর্যন্ত যদি আশ্রয় পান তাহলে নামাজ আদায় করতে পারবেন। তিনি ঐ বাড়িতে গেলেন এবং দরজায় নাড়ালেন। এক বৃদ্ধা মহিলা দরজা খুললেন এবং ভেতরে আসতে বললেন।
@@@ তিনি বৃদ্ধা মহিলাকে সবকিছু বললেন এবং নামাজ পড়ার অনুমতি চাইলেন। বৃদ্ধা মহিলা তাকে ভেতরে আসতে বললেন। ভেতরের রুমে একটা জায়নামাজ ছিল এবং জায়নামাজের পাশে এক ছোট্ট ছেলে শুয়ে ছিল। একটু পর পর বৃদ্ধা মহিলা ছেলেটির পাশে এসে বসে দেখে যেতেন ছেলেটি কেমন আছে। এবং তার পাশে বসে বসে দো’আ করতেন।
@@@ বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, ছেলেটির কি হয়েছে? বৃদ্ধা মহিলা বললেন, ছেলেটির মা-বাবা কেও নেই। আমি ওর নানী। ছেলেটা খুবই অসুস্থ। আশেপাশের সকল ডাক্তারকে দেখিয়েছি কিন্তু কোন কিছুই হচ্ছে না। এখানকার ডাক্তাররা বললেন, শহরে একজন ভাল ডাক্তার আছে, যে হয়তো এই ছেলেটার ভাল চিকিৎসা করতে পারবে।
@@@ আমি অনেক চেষ্টা করেছি সে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য কিন্তু তারা বলেছে ছয় মাস পর যোগাযোগ করার জন্য, ছয় মাসের আগে সেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না। সেদিন থেকে আল্লাহ’র কাছে দো’আ করছি, “হে আল্লাহ, আমাদের জন্য সহজ করে দাও। ছেলেটা অসুস্থ, হে আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য কর। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে ডাক্তারের নাম কি? বৃদ্ধা মহিলা বললেন, ডাক্তার ঈষান, এই কথা শোনার সাথে সাথেই ভদ্রলোক কাঁদতে শুরু করলেন। বৃদ্ধ মহিলা তাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন কাঁদছেন? কাঁদতে কাঁদতে ভদ্রলোক বললেন, আপনার দো’আ আল্লাহ কবুল করেছেন। শুধু আপনার দো’আ, আল্লাহ কবুল করেছেন বলেই, এই ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত এসে আমাদের প্লেনকে থামিয়ে দিল, তারপর যখন গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম তখন আবার সেই ঝড়, বৃষ্টি আর বজ্রপাত আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আর আপনাকে প্রশ্ন করার সাথে সাথেই বৃষ্টিও থেমে গেছে।
@@@ ডাক্তারের কথা শুনে বৃদ্ধা মহিলা ও কাঁদতে শুরু করলেন। এই ঘটনা এক আলেমের কাছে বলার পর ডাক্তার ঈষান বললেন, সেদিন আমি শিখেছি, আল্লাহ যার ভাল চান তার জন্য যা কিছু সম্ভব তা তিনি নিজেই করেন। অবশেষে ডাক্তার ঈষান ছেলেটির চিকিৎসা করেছিলেন এবং ছেলেটি পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ করেছিল।
@@@ শিক্ষাঃ একটু ভেবে দেখুন! ৬ মাস আগের এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া যে ডাক্তারের সাথে দেখা করাটাও অসম্ভব ছিল সেই ডাক্তারকে এতদূর একটা গ্রামে টেনে হেঁচড়ে আল্লাহ সেই ঘরেই এনে তুলেছেন যেখানে তার দরকার ছিল। আর এই কাহিনী যদি আসলেই বুঝতে পারেন তাহলে মনে রাখবেন, যখন যা দরকার আল্লাহ’র কাছে চাইতে ভুলবেন না। মনের মধ্যে সেই বিশ্বাসটুকু রেখে আল্লাহ’র কাছে দো’আ করেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের নেক দো’আ অবশ্যই কবুল করবেন, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )