Sustenance Is In The Sky-আকাশের মাঝে রয়েছে রিযক
Tawhid
0
Sustenance Is In The Sky-আকাশের মাঝে রয়েছে রিযক
বসরার একজন বিখ্যাত আলিম আল-আসমাঈ তার জীবনের একটি অসাধারণ গল্প বলেছিলেন..
একদিন আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে নগরীর অলিগলিতে হাঁটছিলাম। এমন সময় আমার দিকে এগিয়ে এল রুক্ষ ও কঠোর চেহারার এক বেদুইন। এক হাতে থালা আরেক হাতে তলোয়ার। আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি কোন গোত্রের লোক? আমি বললাম, আসমা গোত্রের।
বেদুইন এবার প্রশ্ন করল, তুমি কি আল-আসমাঈ?
হ্যা। আমিই সেই লোক।
বেদুইন আল-আসমাঈকে সালাম দিয়ে বসে পড়লো। তারপর আবার প্রশ্ন করল, তুমি কোন অঞ্চল থেকে এসেছ? কোন এলাকা? আমাকে বিস্তারিত বলো।
আল-আসমাঈ দ্বীনের দাওয়াহর দেবার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইলেন। এমনভাবে উত্তর দিলেন, যেন আলোচনার মোড় ঘুরে যায় ইসলামের মৌলিক বিষয়ের দিকে। তিনি বললেন, আমি এমন এক ভূমি থেকে এসেছি, যেখানকার অধিবাসীরা রাহমানের কালাম পাঠ করে।
বেদুইন অবাক হয়ে গেল। বলল, আর-রাহমানের এমন কালাম আছে যা মানুষের মুখে উচ্চারিত হয়? কী সেটা! আমাকে শােনাও! আল-আসমাঈ কুরআন তিলাওয়াত শুরু করলেন। সূরা আয-যারিয়াত ২২ নম্বর আয়াতে পৌঁছালেন-
وفي السماء رزقكم وما توعدون
‘আকাশের মাঝে রয়েছে তোমাদের রিযক এবং তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ [সূরা যারিয়াত ২২]
যথেষ্ট হয়েছে! এবার থামো! বেদুইন বলে উঠল।
আল-আসমাঈ বললেন, এটা আল্লাহর কালাম। এগুলো আল্লাহর কথা।
বেদুইন প্রশ্ন করল, এগুলো আল্লাহর কথা?
আল-আসমাঈ বললেন, হ্যাঁ। এগুলোই আল্লাহর কথা। তিনি তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর কাছে তা নাযিল করেছিলেন।
বিস্মিত বেদুইন উঠে দাঁড়াল। কোনো কথা না বলে সোজা গিয়ে তার উট জবাই করে ফেলল। চামড়া ছাড়াল। তারপর আল-আসমাঈকে বলল, এসো, গরিব মানুষের মধ্যে এই মাংস বিলিয়ে দিতে আমাকে সাহায্য করো। মাংস বিলানোর পর বেদুইন তার তলোয়ার আর ধনুক ভেঙে ফেলল। তারপর বারবার সেই আয়াত তিলাওয়াত করতে করতে চলে গেল মরুভূমির দিকে, “আকাশের মাঝে রয়েছে তোমার রিযক। তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত সবকিছু….”
আল আসমাঈ নিজেকে দোষ দিতে শুরু করলেন, আমার ঈমান কেন এই বেদুইনের মতো শক্ত না?
বেদুইনদের অনেকেরই আরবী ভাষার ওপর বেশ দক্ষতা থাকত। আয-যারিয়াতের ২২ নম্বর আয়াত শোনা মাত্রই বেদুইন নিজের অন্তরে তা গেঁথে নিয়েছিল। আল-আসমাঈর সাথে দেখা হবার আগে সে রিযক নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকত, রিযকের খোঁজে ছুটে বেড়াত সবসময়। এই আয়াত শোনামাত্র তাঁর সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেল। আরে! আমি রিযক নিয়ে এত কেন পেরেশান হচ্ছি— যেখানে আল্লাহ সাত আসমানের ওপর থেকে আমাকে রিযকের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন? আসমান থেকে রিযক আসছে এটা জানার পর তার দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেল। অন্তরে প্রশান্তি এল।
বেদুইনের কাহিনি এখানেই শেষ না। অনেক বছর পরের কথা। আল-আসমাঈ খলীফা হারুনুর রশীদের সঙ্গে হজ্ব করতে মক্কা গিয়েছেন। পেছন থেকে তার নাম ধরে ডাকল কেউ একজন। বসরার গলিতে দেখা সেই বেদুইন। বেদুইন বৃদ্ধ হয়েছে। চেহারায় বয়সের ছাপ। পুরোনো দিনের মতোই তাঁরা আবার একসঙ্গে বসলেন। বেদুইন তাঁকে অনুরোধ করল কুরআন থেকে কিছু তিলাওয়াত করে শোনাতে। আল-আসমাঈ আবার সূরা আয-যারিয়াত তিলাওয়াত শুরু করলেন। একের পর এক আয়াত তিলাওয়াত করে যাচ্ছেন। অবশেষে পৌঁছালেন সূরা আয যারিয়াতের সেই ২২ নম্বর আয়াতে, ‘আকাশের মাঝে রয়েছে তোমাদের রিযক এবং তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত সবকিছু।’
পুরনো দিনের মতোই বেদুইন তাঁকে থামিয়ে দিলো। বলল, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি আমি সত্য পেয়েছি। তিনি যা বলেছেন তা অবশ্যই সত্য। আমাকে আরও কিছু আয়াত তিলাওয়াত করে শোনান। আল-আসমাঈ তিলাওয়াত করলেন,
فو رب السماء والأرض إنه لحق مثل ما أنكم تنطقون
‘অতএব এ আসমান ও যমীনের মালিকের শপথ, এসব কথা তোমাদের কথাবার্তার মতোই নিশ্চিত সত্য [আয যারিয়াত ২৩]
আল্লাহ এখানে নিজের নামে শপথ করছেন। তিনি বলেছেন, …এ আসমান ও যমীনের মালিকের শপথ। আর এই শপথের ঠিক পরেই এসেছে لحق ‘লা হাক্ব। ‘লা হাক্ব’ এর এই লাম হলো ‘লাম-আত-তাওকিদ’। লাম-আত-তাওকিদের মাধ্যমে নিশ্চয়তা, গুরুত্ব, সত্যায়ন এবং দৃঢ়তা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ এখানে আল্লাহ জোর দিয়ে, দৃঢ়ভাবে বলছেন নিশ্চিতভাবেই, কোনো সন্দেহ ছাড়াই, অবশ্যই, অবশ্যই রিযক আসে আসমানের ওপর থেকে।
এই আয়াত শোনার পর আরো বিস্মিত হয়ে গেল বেদুইন। চিৎকার করে বলল, কারা সেই নির্বোধ, যারা মহান আল্লাহর ওয়াদা অবিশ্বাস করেছিল? কারা সেই নির্বোধ যারা আল্লাহকে এতটাই ক্রোধান্বিত করেছে, যার কারণে তিনি— আল-জালীল, আল-কারীম, আল-কাইয়ূম— নিজের নামে শপথ করলেন? কারা সেই মুর্খ?
বেদুইন আল-আসমাঈর সামনেই সূরা আয-যারিয়াতের ২৩ নম্বর আয়াতটি তিলাওয়াত করতে থাকল এবং তৃতীয়বার তিলাওয়াত করার সময়ে সেই স্থানেই মৃত্যুবরণ করল! সে মৃত্যুবরণ করল এই আয়াতের ওজনে, এর গভীরতায়।
বই – তাওহীদের মূলনীতি
Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ
আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
Post Views: 311
