Treatment of OCD – ওয়াসওয়াসা রোগের চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ
Treatment of OCD – ওয়াসওয়াসা রোগের চিকিৎসা তথা রুকইয়াহ
আপনি কি ওয়াসওয়াসা / OCD রোগে আক্রান্ত?
Obsessive-compulsive disorder (OCD) is a mental illness that causes repeated unwanted thoughts or sensations (obsessions) or the urge to do something over and over again (compulsions).
১. আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না?
২. আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না।
৩. সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে ঠিকমতো ওযু হচ্ছে না, নামাজের এই অংশটা ঠিকমত হল না।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা করছেন?
৫. আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেট বা বাথরুমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন?
৬. আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখছেন? যা আপনাকে ভীত করছে?
৭. আপনার কানে কি ফিস ফিস করে শোনা যাচ্ছে আপনি কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছেন (কুফরি করছেন)
৮. আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন? তবুও মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো..
৯. আপনার বারবার মনে হচ্ছে যে, ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না..
১০. আল্লাহ, রাসুল অথবা ঈমানের ব্যাপারে, ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে অবমাননাকর মাথায় চিন্তা আসে?
১১. মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে, তাদের সাথে কথা বলতে লাগলে কি আপনার ভেতর থেকে কেউ বারবার বেয়াদবির জন্য উস্কে দিতে চায়?
১২. আপনি কি কোন অদ্ভুত শব্দ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন? কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবছে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন!
১৩. আপনি কি নামাজের রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? অথবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে ভুল হচ্ছে? সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগছে? আর এসব কি প্রায় দিনই হচ্ছে?
১৪. নামাজে সাজদা করতে গেলে মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে উঠছে?
উত্তর যদি হয় “হ্যাঁ!”
তবে আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত, খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, এক-দুইদিন এরকম হতেই পারে। কিন্তু সবসময়ই বা দিনের পর দিন যদি আপনার মাঝে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে – “হ্যাঁ! সত্যিই আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..”
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )
ওয়াসওয়াসা রোগের জন্য রুকইয়া
১. এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। প্রতি নামাজের আগে-পরে, অন্যন্য ইবাদতের সময়, কোন গুনাহের জন্য ওয়াসওয়াসা অনুভব করলে এটা পড়া – أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ، وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
2. ওয়াসওয়াসা অনুভব করলে বলা (সুরা হাদীদ, আয়াত নং ৩) هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْم [বিশেষতঃ ঈমান নিয়ে সংশয় উদিত হলে এটা পড়া উচিত। আর সকাল-সন্ধ্যায় সুরা ইখলাস পড়া] .
3. আয়াতুল হারক (আযাব এবং জাহান্নাম সংক্রান্ত আয়াত) বেশি বেশি তিলাওয়াত করা অথবা প্রতিদিন ৩-৪বার এসবের তিলাওয়াত শোনা। ( অডিও ডাউনলোড লিংক http://bit.ly/ruqyahdownload অথবা ruqyahbd.org/download । পিডিএফ ডাউনলোড লিংক ruqyahbd.org/pdf) .
4. নাপাক থেকে বেচে থাকা, বিশেষত প্রসাবের ছিটা থেকে বাচা। যথাসম্ভব সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা। .
5. পুরুষ হলে জামাআতের সাথে নামাজ পড়া, মুত্তাকী পরহেজগারদের সাথে উঠাবসা করা। .
6. সকাল-সন্ধ্যায় ও ঘুমের আগের আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করা। টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পড়া। .
7. আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকা। যথাসম্ভবত ওয়াসওয়াসা পাত্তা না দেয়া; ইগনোর করা, এমনকি মুখে বিরক্তির ভাবও প্রকাশ না করা। বিস্তারিত সাজেশনের জন্য এই ভিডিও দেখুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=9m1iw5NGiMc
শয়তানের উঁচু স্তরের ধোঁকা “কোনো গোনাহের প্রতি আসক্তি” /এডিকশন থেকে বাঁচার উপায় কী?
[ক.] শয়তানের সব ধোঁকা এক লেভেলের না। হাজারো এটাক স্ট্রাটেজি আছে শয়তানের! সাধারণ ওয়াসওয়াসা তো একবার পাপ করলেন, তাওবাহ ইস্তিগফার করলেন, কাহিনী শেষ। কিন্তু কিছুকিছু ওয়াসওয়াসা এডিকশনের লেভেলে চলে যায়। এটা এডিকশন সম্পর্কে একটা লেসন বলতে পারেন। আজ এজন্য এবিষয়ে আলোচনা করছি কারণ, এই প্যাঁচে পড়লে খুব কম মানুষই বেরিয়ে আসতে পারে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আসক্ত হই, খেলা খাওয়া ঘোরাফেরা করা ইত্যাদি। আমাদের কেঁউকেঁউ অনেক খারাপ বিষয়ে আসক্ত হয়ে যায়, সেটা ছেড়ে দিতে চায় কিন্তু পারে না। এবিষয়গুলো আসলেই খুব সিরিয়াস, অনেকে বাহিরে বেশ পরহেজগার থাকেন, চেষ্টাও করেন ভালো থাকতে কিন্তু কোনো একটা আসক্তি তাকে কুরেকুরে খায়। না পারেন কারো সাথে পরামর্শ করে সমাধান চাইতে, আর না পারেন এই পাপ ছাড়তে। এজন্য একসময় বলে বসে, আমি জানি বিএফ/জিএফএর সাথে কথা বললে আমার পাপ হবে কিন্তু আমি কথা না বলে থাকতে পারছিনা যে! আমি জানি পর্ণ দেখা, মাস্টারবেশন করা অনেক বড় পাপ, কিন্তু আমি কি করবো? আমিতো আপারগ!! আমি ছাড়তে পারছিনা যে..। এটা চেইনিং ওয়াসওয়াসার ২য় লেভেল! .
[খ.] এই অবস্থায় শয়তান আপনাকে একটা সার্কেলে বন্দি করে ফেলে- কোন একটা কারণে আপনার চিন্তায় পাপের ব্যাপারটা আসে, (হতে পারে সেটা কোন বাজে পিকচার দেখে, অথবা কাউকে তার প্রেমিকার হাত ধরে ঘুরতে দেখে, অথবা কারো লেখা কোনো গল্প পড়ে) ব্যাপারটা মাথায় আসার পর আপনার মনে হয় নাহ এটা করা উচিত হবে না; এটা পাপ, আপনি চেষ্টা করেন এভোইড করতে, নিজের নফসের সাথে ধ্বস্তাধস্তি করেন। এরপর নফসকে সামান্য ছাড় দেয়ার চেষ্টা করেন। (যেমনঃ এবার করার পর তাওবাহ করে নিব, এই একবারই শেষ; আর করবো না, কত পাপই তো করি দৈনিক; এ আর তেমন কি) এই পয়েন্টটাই সবচেয়ে ভয়াবহ, এই স্টেপে বাহিরের শয়তান আর ভেতরের নফসে আম্মারা ঐক্যবধ্য হয়ে আপনার বিরুদ্ধে লাগে। অবশেষে আপনি নিজের প্রবৃত্তির কাছে পরাজিত হয়ে সেই কাজে জড়িয়ে পড়েন। (জিএফ/বিএফকে ফোন দেন, অথবা পর্ণ দেখতে শুরু করেন কিংবা মাস্টারবেট…) পাপ করার পর আপনার মনে অনুশোচনা জাগে, আর আপনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন; তাওবাহ-ইস্তিগফার করেন যে, ভবিষ্যতে আর কখনো একাজ করবেন না। এর কয়েকদিনপর আবার কোনো ট্রিগারে চাপ পড়ে… আবার আপনি পাপ করেন, আবার…… (কমেন্টে দেয়া পিকচারটা দেখে নিন, পুরো ব্যাপারটা সহজে বুঝে আসবে) এখন এথেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? .
[গ.] প্রশ্নটা দেখতে ছোট হলেও দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলোর মাঝে এটি একটি। সম্ভবত কোনো ইসলাহি মুরব্বি / শাইখ এর সবচেয়ে ভালো সলিউশন দিতে পারবে। তবে আমরা ভাইব্রাদার হিসেবে কিছু ডিসকাস তো করতেই পারি, তাইনা? .
১. এখানে সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ হচ্ছে আপনাকে আল্লাহর কাছে সারেন্ডার করতে হবে, কারণ শয়তান অনে-ক শক্তিশালী, অনেক বুদ্ধিমান এবং অনেক জ্ঞানী। একজন মানুষ হিসেবে আমাদের মাঝে আল্লাহ যতটুকু শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছেন এটা শয়তানের সাথে টেক্কা দেয়ার জন্য যথেষ্ট না, শয়তানকে পরাস্ত করার জন্য অবশ্যই আমাদের আল্লাহর সাহায্য দরকার হবে। এজন্য আল্লাহ কোরআন-এ আমাদের বারবার শিখিয়েছেন তাঁর কাছে কিভাবে আত্মসমর্পন করতে হবে, কিভাবে শয়তানের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইতে হবে। যেমনঃ >> বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, হে আমার প্রভু! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি। (সুরা মুমিনুন, আয়াত ৯৭-৯৮) >> অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন। (সুরা নাহল, ৯৮) >> যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। (হা-মীম সেজদাহ ৩৬, আল আ’রাফ ২০০) . প্রথম আয়াত থেকে দু’আটা মুখস্ত করে নিতে পারেন, মুনাজাতে বলবেন বেশিবেশি। এছাড়াও আপনি যেভাবে আল্লাহর কাছে চান সেভাবে নিজের মত করেই আপনার সমস্যার কথা বলুন, আল্লাহকে বলুন- আমি দূর্বল, ইয়া আল্লাহ! তুমি ছাড়া আমার কেউ সহায় নাই, তুমি ছাড়া আর কারো এই বিপদ থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা নাই, আল্লাহগো! তুমি আমাকে এই পাপ থেকে বাচাও (নির্দিষ্টভাবে পাপের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান) তিরমিযী মুস্তাদরাকে হাকেমে বর্ণিত কোরআন হিফযের জন্য রাসুলের শিখিয়ে দেয়া দু’আর প্রথম অংশটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) “allahummar’hamnee bitarkil ma’aaswi, abadammaa abqaitanee, war’hamnee an atakallafa maa laa ya’neenee, warjhuqnee husnannan najari feemaa yurdeeka ‘annee” দুয়াটা ফাযায়েলে কোরআন এর পরিশিষ্টেও আছে, আগ্রহীরা অর্থ দেখে নিয়ে মুখস্ত করে ফেলতে পারেন, রাসুলের শিখিয়ে দেয়া দো’আর স্পিরিট-ই অন্যরকম… e-ilm এ ফাযায়েলে কোরআন এর শুধুওই অংশটার পিডিএফ আছে, কমেন্টে লিংক দিয়ে দিলাম।
২. গুনাহ থেকে বাঁচার দ্বিতীয় স্টেপ হচ্ছে ওয়াসওয়াসার ট্রিগার শনাক্ত করা এবং এসব থেকে বেচে থাকা। একটা নোটবুক রাখুন, সাধারণ কাগজের নোটবুক রাখতে পারেন, অথবা আপনার ডায়েরির কিছু পৃষ্ঠা বরাদ্দ দিতে পারেন, প্লেস্টোরে হাজার হাজার নোটবুক অ্যাপ আছে আপনার পছন্দ মত একটা ডাউনলোড করে নিন, ফোনে কোনো নোটবুক থাকলে এজন্য একটা ফোল্ডার বরাদ্দ দিন। যেকোনো একটা দরকার… এরপর মাইগ্রেন ডায়েরির মত প্রতিটা কেসনোট লিখে রাখুন, যেমনঃ প্রতিদিন কোন সময়টাতে আপনি পাপে জড়িয়ে পড়ছেন, আজ কিভাবে আপনি পাপে জড়ালেন, পাপটা করার আগে কি ঘটনা ঘটেছিল। কোন জিনিসটার সূত্র ধরে আপনি আজ পাপটা করে ফেললেন এসব নোট রাখুন। আমার মাইগ্রেন ডায়েরিতে কয়েকটা পয়েন্ট রাখি- date n time, event summary, starting time, ending time, cause of pain, cause of cure. আপনি আপনার নিজের মত সিন্স ডায়েরী সাজিয়ে নিন, তবে খেয়াল রাখবেন এটা যেন বেহাত না হয়, চাইলে সংকেতিক শবদ ইউজ করতে পারেন, অথবা পাসওয়ার্ড ইউজ করতে পারেন। . এবার কিছুদিন গেলে আপনার অনেকগুলো কেস সামনে নিয়ে বসুন, আপনি অনেকগুলো কমন ট্রিগার খুঁজে পাবেন, যেমন বাজে পিকচারের দিকে দৃষ্টি যাওয়া, কোনো গল্প পড়া, কাউকে জিএফ/বিএফ এর সাথে ঘুরতে বা ফোনে কথা বলতে দেখা ইত্যাদি। এখন আপনাকে এই ট্রিগারগুলো থেকে বেচে থাকতে হবে। এরপর থেকে এই বিষয়গুলোর কোনটা আপনার সামনে চলে আসলে আপনি সতর্ক হয়ে যান। সাথে সাথে ইস্তিগফার দুয়া পড়ুন, পর্ণ দেখতে খুব ইচ্ছা হলে দেরি না করে ওযু করে এসে কোরআন তিলাওয়াত করতে বসে যান, অথবা ওযু করে ফোনেই তিলাওয়াত করুন। কিছু নতুন এবং ভালো শখ/hobby ধরুন, যখনি এসব চিন্তা আসবে সাথে সাথে ইস্তিগফার করে অন্য কাজে মন দিন। আর দিনের বেলা অহেতুক বসে থাকলে যদি শয়তান কুমন্ত্রণা দেয়, তাহলে দিনে কখনই আপনার অহেতুক বিছানায় শুয়ে বসে থাকা উচিত হবেনা।
৩. আর তৃতীয় টনিক হচ্ছে জিকির বাড়িয়ে দিন, কোনো শাইখের পরামর্শ নিয়ে জিকির করতে পারেন। রাতে নামাজের অভ্যাস না থাকলে ধরতে চেষ্টা করেন, যদি শেষ রাতে জাগনা পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তবে ইশার সুন্নাত ও বিতরের মাঝে কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদের নিয়াতে কয়েক রাকাত পড়ে নিন আর শেষ রাতে নামাজ পড়ার তাওফিক চেয়ে দুয়া করুন। নিশ্চয় দু’আ মুমিনের হাতিয়ার! . গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য এভাবে নিজে পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার চেষ্টা আর আল্লাহর কাছে দু’আ করতে থাকলে ইনশা-আল্লাহ অচিরেই আপনি চেইনিং ওয়াসওয়াসার এই লেভেল থেকে বেচে যেতে পারবেন…। ———- { ৩য় লেভেল নিয়ে অবশিষ্ট আলোচনা এখানে https://www.facebook.com/thealmahmud/posts/1205226552900206 } আর হ্যাঁ! আমরা আলোচনার সুবিধার্থে এই লেভেলগুলো ভাগ করে নিচ্ছি, বাদবাকি সালাফের কিতাবে এর কোনো উদাহরণ থাকলে তো নুরুন আলা নুর} … লেখাটি গুরুত্বপুর্ণ মনে হলে শেয়ার অথবা কপি-পেস্ট করতে ভুলবেন না, আর আমার এবং আমার রিলেটিভদের জন্যও আপনার দু’আয় অংশ রাখবেন, আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে শয়তানের সর্বপ্রকার ধোঁকা থেকে হিফাজত করে।
শয়তান আর খারাপ জ্বিন কখন আপনাকে সহজে আক্রমণ করতে পারে? (সাথে এডিকশনের ৩য় স্তর সম্পর্কে কিছু কথা।
[ক] নিজের চিন্তার সাথে বড়দের চিন্তার মিল খুঁজে পেলে খুবই ভালো লাগে। ব্যাপারটা আমি বেশ আগেই চিন্তা করেছিলাম। আমার পর্যবেক্ষণ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও এমনই সাক্ষ্য দিচ্ছিলো। এর ওপর আল্লাহর রহমতে সেদিন মিসরের এক আলেমের লেখা পড়ছিলাম, সেখানে দেখলাম উনিও এমনটাই বলেছেন। তো শুরুতে একটা গল্প বলি। ওই শায়েখই ঘটনা শোনাচ্ছিলেন… উনার কাছে এক মহিলাকে তাঁর স্বামী নিয়ে এসেছে। ওই মহিলাকে জ্বিন সমস্যা করছিলো, উনি কোরআন এর আয়াত তিলাওয়াত করলে দুষ্ট জ্বিনটা ওই মহিলার ওপর আসে। তখন উনি বললেন যে, তুমি এই মহিলাকে আর কষ্ট দিওনা, একে ছেড়ে চলে যাও। জ্বিন বলছে যাবোনা! :/ শায়খ বললেন, তাহলে কোরআনের আয়াত দ্বারা তোকে জ্বালিয়ে দিব! – আচ্ছা চলে যাবো, তবে আপনার ভেতর ঢুঁকবো!! — আচ্ছা পারলে ঢোঁক! এবার জ্বিন চলে গেলো, একটুপর আবার আসলো, এবার কাঁদতে লাগলো! শায়েখ বললেন, কী হয়েছে? – আমি আপনার ভেতর ঢুকতে পারবো না — কেন? – কারণ আপনি সকালে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হ্ামদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর” এটা ১০০বার পড়েছেন তাই! . শায়খ ঘটনা বর্ণনা করার সময় বলছিলেন, আমার তখন রাসূল সা. এর হাদীস মনে পড়লো। রাসূল সা. সত্যই বলেছেন- যে সকালে ‘ওই’ দু’আ ১০০বার পড়বে সে ১০টি গোলাম আযাদ করার ফযিলত পাবে, ১০০টি সওয়াব পাবে এবং ১০০টি গুনাহ মাফ হয়ে যাবে! আর সারাদিন সে শয়তান থেকে হিফাযতে থাকবে। আর ওইদিন তাঁর চেয়ে ফযিলতপ্রাপ্ত কেউ হবেনা, তবে কেউ যদি তাঁর চেয়ে বেশি পড়ে সে ব্যতীত! .
[খ] তো আমি যে বিষয়ে চিন্তার মিলের কথা বলছিলাম, খারাপ জ্বিন সর্বাবস্থায় আপনার ওপর আক্রমণ করতে পারেনা। শয়তানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। সবসময় আপনাকে বশ করতে পারেনা। তবে আক্রান্ত হয়ে গেলে হইছে কাম…। আমার কথা বাদ দেই।
শায়খ বলছিলেন খবিস জ্বিন ৪ অবস্থায় মানুষের ভেতর ঢুকতে পারে।
১. খুব ভীত অবস্থায় ২. খুব রাগান্বিত অবস্থায় ৩. খুব উদাসীন অবস্থায় ৪. কুপ্রবৃত্তির গোলামী করা অবস্থায় (মানে যখন কোনো খারাপ কাজ করছে) তো এসব হচ্ছে খারাপ জ্বিন মানুষের ওপর আসর করার অবস্থা। এ
অবস্থায় নাকি জ্বিনের অনেক কষ্ট হয়, বিশেষত কেউ যদি দু’আ কালাম পড়ে, আর অপরদিকে জ্বিনকে যদি কোনো যাদুকর জোর করে পাঠায় তাহলে তো বেচারা জ্বিনের জান খারাপ। এদিকেও বিপদ, ওদিকেও বিপদ। যাহোক টপিক ছেড়ে আমরা অনেক দূরে এসেছি। সারকথা হচ্ছে, এসব থেকে আমরা বুঝতে পারছি হাদিসে বর্ণিত সকালসন্ধ্যার দু’আগুলো পড়ার অভ্যাস করা উচিৎ আর গাফেল না হওয়া উচিৎ… এতে খারাপরা সুযোগ পেয়ে যায়। . [গ] এডিকশনের তৃতীয় স্তরের ব্যাপারে আমাদের কিছু কথা বাকি ছিলো সেদিন। তৃতীয় স্তরটা এরকম, আপনি যখন বিভিন্নভাবে গুনাহকে এভোইড করতে অভ্যস্ত হয়ে যান, তখন শয়তান আপনার দূর্বল সময়ের অপেক্ষায় থাকে। যেমন, একজন তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলো। বেচারা পর্ণ স্টোরি এডিক্ট। আল্লাহ তাঁকে হিফাজত করুক, হিদায়াত দিক। সে সবসময় চেষ্টা করে বেচে থাকতে। গত পর্বে বলা আমার ওই টিপসগুলোও নাকি ফলো করতে চেষ্টা করে। তো কখনো কখনো তাও হয়না। যেমন, সে ভালো কোনো বই বা লেখা পড়ছে, কখনো মাত্র একটা ‘ইয়ের’ ইঙ্গিতসূচক শব্দও নাকি তাঁকে আকড়ে ধরে, মাথা থেকে সরাতেই পারেনা। শেষে শয়তানের কাছে হার মেনে কখনো বাজে ছবি দেখতে বসে, কখনো খারাপ গল্প… কখনো নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠছে “হালকা ঘুম হালকা জাগ্রত এমন অবস্থায় এসব ধোকা ওর মাথায় আসে”, আর তাড়াতে পারেনা। শেষে… আমি উনাকে তেমন কোনো সল্যুশন দিতে পারিনি, বললাম জানিনা ভাই কি করা উচিৎ 🙁 . এসএসসিতে আমার ব্যাচমেট ছিল একটা ছেলে, আমরা একসাথে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি প্রাইভেট পরতাম। সে আমার সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতো, আল্লাহ তাকেও হিফাজত করুক, হিদায়াতের পথে রাখুক। সে নাকি দিনের বেলায় বিছানায় শুতে পারেনা। বিছানায় শুইলেই আজেবাজে চিন্তা মাথায় আসে। একেও কোনো সল্যুশন দিতে পারিনি। তবুও বলছিলাম, মাথাকে ফাঁকা রাখা যাবেনা। চেষ্টা করতে হবে কিছুনা কিছুতে ব্যস্ত থাকতে। সত্যি বলতে আমার আসলেই তেমন কোনো সল্যুশন জানা ছিলনা, এখনও নাই। তবে কেউ জিজ্ঞেস করলে হয়তো উপরের ওই হাদিসের ওপর আমল করতে আর দু’আ করতে বলবো। আর কী? আপনাদের কোনো সমাধান জানা থাকলে শেয়ার করবেন প্লিজ…
অনাহূত ভাবনা (ওয়াসওয়াসা রোগ) ও তার প্রতিকার
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ওয়াসওয়াসাকে জয় করুন | লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ
গতকাল সকালে এক ছোট আপুর সাথে কথা হচ্ছিলো, কথা প্রসংগে ওয়াসওয়াসার কথা উঠলো। তাই মনে হলো এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। সত্যি বলতে এই সমস্যাটা আমি নিজেও ফেস করি। আমার মনে হয় প্রায় প্রতিটা মানুষই এমন সমস্যা কমবেশি ফেস করেছেন। কারন শয়তানের কাজই হচ্ছে মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয়া। আর যার যা কাজ তা তো সে করবেই। এখন কথা হচ্ছে আপনি শয়তানের ফাঁদে পা দিচ্ছেন নাকি ইগনোর করছেন। কারন শয়তানের কাজ যেমন ওয়াসওয়াসা দেয়া তেমনি আপনার কাজ হচ্ছে সেটাকে পাত্তা না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া। আপনি এই সমস্যাকে যত বেশি গুরুত্ব দিবেন, এটা তত বেশি জেঁকে বসবে। . আমার বাবাকে দেখি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেন। বুঝতে পারি উনিও ভুক্তভোগী। অনেকেই বলেন উনার শুচিবায়ু রোগ আছে। কিন্তু আমরা কখনো উনাকে বলিনি এইটা নিয়ে আবার কেউ বললেও সেইটাকে ইগনোর করেছি। উনিও এইটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ উনাকে এইজন্য কোন ডাক্তার বা বিশেষ কোন তদবির করা লাগেনি। শুধু বাবা না আমি নিজেও বেশ বাজে রকমের ওয়াসওয়াসা ফেস করি অন্যদের ব্যাপারে। কারো সাথে একটু ভালো সম্পর্ক হলে বা কারো প্রতি ভালোলাগা তৈরি হলে তার সম্পর্কে বেশ খারাপ চিন্তা আসে। আবার কারো সাথে সামনাসামনি কথা বলতে গেলেও তার একটা বাজে ইমেজ তৈরি হয় চোখের সামনে। মনে হয় উনি যা বলেন বা করেন সবই ফেইক। যেহেতু আমি বুঝি যে এইটা নিছকই শয়তানের কুমন্ত্রণা তাই ইগনোর করার চেষ্টা করি। খুব বেশি ভালো সম্পর্ক না থাকলে চেষ্টা করি তার সাথে ভালো একটু সম্পর্ক তৈরি করার যেন তার সম্পর্কে ভুল ধারনাটা ভেঙ্গে যায়। আর ভালো সম্পর্ক থাকলে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখি। যেন সে টের না পায় যে আমার ভেতরে কি চলছে। আর ফেবু রিলেটেড হলে তাকে একটা সালাম পাঠাই। ইতিমধ্যে অনেকে পেয়েও গেছেন। পরে অবশ্য সময় সুযোগ বুঝে বলে দেই কথাগুলো। নাহলে ভেতরে একধরনের খারাপ লাগা কাজ করে। আর বলার পরে অনেক ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ।আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )