পালক সন্তান পালনের বিধান / Adopt-Child
পালক সন্তান পালনের বিধান / Adopt-Child
☪ দত্তক বা পালক সন্তান পালনের বিধি-বিধানঃ
☪ ইসলামে দত্তক নেওয়া হারাম, দত্তক নেওয়া জায়েজ নেই। তবে মানুষকে (কোন সন্তানকে) আপনি দয়া করে তাঁকে লালন-পালন করতে পারেন শরীয়ার ভিত্তিতে। কিন্তু সন্তান দত্তক নেওয়া জায়েজ নেই, এটা হিন্দুদের মধ্যে আছে। এটা কখনো ইসলামে নেই। ইসলামে দত্তক নিলে সে সন্তান কোনো ওয়ারিশ হবে না, সে কোনো সম্পত্তির ভাগ পাবে না।
✝ পালক সন্তান পালনের শরীয়াগত শর্তাবলীঃ-
১) পালক সন্তানের আসল বাপের পরিচয় গোপন করা যাবে না, করলে তা হারাম।
২) পালক সন্তানকে নিজের সন্তান বা নিজের ছেলে বলে পরিচয় দেয়া যাবে না, দিলে তা হারাম।
৩) একইভাবে পালক সন্তান সেই পিতাকে আসল পিতা বলে পরিচয় দিতে পারবে না, দিলে তা হারাম।
৪) সন্তান কেনা বেচা করা যাবে না, এটি হারাম।
৫) পালক সন্তান বড় হবার (বয়ঃপ্রাপ্ত) হবার সাথে সাথেই পালক সন্তানের প্রতি মাতা পিতার পর্দা করা ফরজ হবে।
৬) পালক সন্তানের আসল মা বাবাকে তার সন্তানের সাথে সম্পর্কছেদ করার শর্ত দেয়া যাবে না। দেখা সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
৭) পালক সন্তানের সার্টিফিকেটে বা জন্ম নিবন্ধনে তার আসল পিতার নাম লিখতে হবে। নকল পিতার নাম লেখা যাবে না, লিখলে তা হারাম।
৮) পালক সন্তান সম্পত্তির ভাগ পাবে না/উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকারী হবে না।
৯) যে ব্যক্তি অন্যকে পিতা বলে দাবী করবে অথচ সে জানে যে, এ ব্যক্তি তার পিতা নয় তার জন্য জান্নাত হারাম। (সহীহ বুখারী হা: ৬৭৬৬, সহীহ মুসলিম হা: ৬৩)
☪ পালক সন্তানের প্রতি পর্দার বিধানঃ-
লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তান পর্দার ক্ষেত্রেও পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে চলতে হবে। নিজ হাতে লালন-পালন করেছি বলে পর্দার বিধান লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক নেওয়া মায়ের সঙ্গে পর্দা করতে হবে। অন্যদিকে পালক নেওয়া শিশুটি মেয়ে হলে তাকে পালক নেওয়া বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। কেননা ইসলামী শরিয়ত মতে, দত্তক সংক্রান্ত সম্পর্ক কখনো বংশীয় সম্পর্কে পরিণত হয় না। এমনকি তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও অন্য সাধারণ মানুষের ন্যায়ই বৈধ, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। (তুহফাতুল ফুকাহা: ২/১২৩)
✝ তবে পর্দার ক্ষেত্রে একটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, তা হলো পালক শিশুটি দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় তাকে লালন-পালনকারীর এমন কোনো মহিলা আত্মীয় থেকে দুধ পান করিয়ে নেবে, যাতে শিশুটির সঙ্গে তাদের দুধসম্পর্কের আত্মীয়তা হয়ে যায়। তখন তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ হবে। এ ক্ষেত্রে পর্দাও জরুরি হবে না এবং বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। (বুখারি: ২৬৪৫)
✝ মহান আল্লাহ ও রাসূল (সা.) দুধপান করানো দ্বারা একজন অন্য জনকে বিবাহ করা হারামের যে বিধান আরোপ করেছেন, তা শুধুমাত্র শিশুবেলার সাথে সম্পর্ক। দেখুন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﺎﺗِﻲ ﺃَﺭْﺿَﻌْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔِ –
অর্থ: তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে যারা তোমারেদকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ বোন……… (সূরা নিসা-২৩)
✝ সহীহ বুখারীর বর্ণনার মাঝে এসেছে-
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻢُ ﺑْﻦُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻫَﻤَّﺎﻡٌ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻗَﺘَﺎﺩَﺓُ، ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﺯَﻳْﺪٍ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓِﻲ ﺑِﻨْﺖِ ﺣَﻤْﺰَﺓَ : « ﻻَ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟِﻲ، ﻳَﺤْﺮُﻡُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻉِ ﻣَﺎ ﻳَﺤْﺮُﻡُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺴَﺐِ، ﻫِﻲَ ﺑِﻨْﺖُ ﺃَﺧِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔِ –
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হযরত হামজা (রা.) এর কন্যাকে বিবাহের বিষয়ে রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে বিবাহ করা তোমার জন্য বৈধ না। কেননা দুধ পান করার দ্বারা যেমন বিবাহ হারাম হয়, তেমনি বংশের কারণেও হারাম হয়, আর হামজা (রা.) এর কন্যা তোমার দুধ বোন। বুখারী- ৩/১৭০, হাদীস- ২৬৪৫।
✝ শিশু বয়সে দুধপান করানো দ্বারা শুধুমাত্র বিবাহ বন্ধন হারাম হয়, এর সময় সীমা বর্ণনা দিতে গিয়ে, মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
ﻭَﺍﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﺍﺕُ ﻳُﺮْﺿِﻌْﻦَ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻫُﻦَّ ﺣَﻮْﻟَﻴْﻦِ ﻛَﺎﻣِﻠَﻴْﻦِ ﻟِﻤَﻦْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﻥْ ﻳُﺘِﻢَّ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔَ –
অর্থ: আর সন্তানবর্তী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। (সূরা বাকারা-২৩৩)
☪ শিশুদের দুগ্ধপান করার সময়সীমা তথা দুই বা আড়াই বছরের মাঝে কোন সন্তান যদি কোন মহিলার স্তনের দুধ এক ফোটাও গলধকরণঃ করে থাকে, তাহলেই হুরমতে রিজাআত তথা দুগ্ধ সম্পর্কিত হুরমত প্রমাণিত হবে।
✝ কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা এই দত্তক প্রথা নিষেধ করার জন্য সরাসরি তাঁর নবীকে দিয়ে একটি বিরাট কাজ করিয়েছেন। সেটা হচ্ছে, জায়েদ ইবনে হারেছ, যাকে বলা হতো জায়েদ ইবনে মুহাম্মদ, অর্থাৎ মুহাম্মদের (সঃ) ছেলে জায়েদ। সেটা বন্ধ করার জন্য
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যাদের তোমরা সন্তান বলে ডাকো, তারা তোমাদের সন্তান নয়।’ তা সরাসরি আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করে দিয়েছেন সূরা আহজাবে।
✝ এরপর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, এগুলো তোমাদের মুখের কথা, আল্লাহ সঠিক কথা বলেন। অর্থাৎ দত্তক নেওয়া কোনোভাবেই জায়েজ নেই। এ জন্য জাহেলি যুগে নবী (সা.) যাঁকে লালন-পালন করেছেন, আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে তাঁর (পালক সন্তানের) স্ত্রীকে তিনি বিয়ে করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন, ‘যাদের তারা নিজের সন্তান বলে ডাকে, তাদের স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম নয়, বরং তা হালাল।’ এটা প্রমাণ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাঁর (পালক) সন্তানের স্ত্রীকে, অর্থাৎ জায়নাবকে বিয়ে দিয়েছেন মুহাম্মদ (সা.) এর সঙ্গে।
✝ সুতরাং ইসলামে দত্তকের কোনো সুযোগ নেই।
যে ব্যক্তি অন্যকে পিতা বলে দাবী করবে অথচ সে জানে যে, এ ব্যক্তি তার পিতা নয় তার জন্য জান্নাত হারাম। (সহীহ বুখারী হা: ৬৭৬৬, সহীহ মুসলিম হা: ৬৩)
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )
☪ পালক/দত্তক সন্তানের বিধানঃ
কোন লোক যদি নিজ পিতা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও অন্য কাউকে তার পিতা বলে দাবী করে তবে সে আল্লাহর সাথে কুফরী করল এবং যে ব্যক্তি নিজেকে এমন বংশের সঙ্গে বংশ সম্পর্কিত দাবী করল যে বংশের সঙ্গে তার কোন বংশ সম্পর্ক নেই, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (বুখারীঃ ৩৫০৮)
✝ মহানবী (সা.) এর নবুওয়েতের পূর্বে কৃতদাস শিশু যায়েদ ইবনে হারেছাকে মুক্ত করে দত্তক পুত্র করে রেখেছিলেন। সে রাসূল (সা.) এর ঘরে, তারই পিতৃস্নেহে লালিত-পালিত হয়ে বড় হয়। আমরা তাকে যায়েদ ইবনে মুহাম্মাদ (মুহাম্মদের পুত্র যায়েদ) বলেই সম্বোধন করতাম। যখন সুরা আহজাবের ৫ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ করে আল্লাহ নির্দেশ দিলেন, ‘তাদের (পালক সন্তানদের) পিতৃ-পরিচয়ে তোমরা তাদের ডাকবে’ তখন আমরা আমাদের পূর্বের ডাক পরিবর্তন করি। (সহিহ মুসলিম: ৬৪১৫)
✝ তোমরা তাদেরকে (পালক সন্তানকে) তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। আল্লাহর নিকট এটাই বেশী ন্যায়সংগত। অতঃপর যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই এবং বন্ধু। আর এ ব্যাপারে তোমরা কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই; কিন্তু তোমাদের অন্তর যা স্বেচ্ছায় করেছে (তা অপরাধ) আর আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (আহযাব: ৫)
✝ লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুসংস্কারের সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়, ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না। (আহকামুল কোরআন: ৩/২৯২)
(আর এতে পালক সন্তানের মনে মিথ্যে আশার সৃষ্টি হতে পারে।)
পালক-পুত্রদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা বৈধ, এরা আপন ছেলেদের মত নয়ঃ আল্লাহ বলেন,
অতঃপর যায়েদ (নবীর পালক পুত্র) যখন তার (স্ত্রী যায়নাবের) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল (তালাক দিল) তখন আমি (আল্লাহ) তাকে (যায়নবকে) তোমার সঙ্গে (নবীর সাথে) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম যাতে মু’মিনদের পোষ্য/পালক পুত্ররা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে (তালাক দিলে) সেসব নারীকে (পালক পুত্রের স্ত্রীকে) বিবাহ করার ব্যাপারে মু’মিনদের কোন বিঘ্ন না হয়। আল্লাহর আদেশ কার্যকরী হবেই।[সুরা আহযাবঃ ৩৭]
☪ পালক সন্তান উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকারী হবে না, লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর ওই সন্তান উত্তরাধিকার হিসেবে তার সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। লালন-পালনকারীরাও ওই সন্তানের ওয়ারিশ হবে না। হ্যাঁ, লালনকারী জীবদ্দশায়ই পালক সন্তানকে সম্পত্তি থেকে দান করতে পারবেন বা মৃত্যুর পর তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী এই অসিয়ত কেবল এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকেই কার্যকর হবে। অনুরূপ সন্তানের আসল মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন থেকে অবশ্যই সে উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকারী হবে। তাকে পালক দেওয়ায় তার উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকার খর্ব হয়নি। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির: ১০/১২২)
✝ এটা মনে করার সুযোগ নেই যে পালক নেওয়ায় সন্তানের আসল মা-বাবা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন লালনকারীই তার সব কিছু এটা মনে করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সন্তান কেনা যেমন হারাম কাজ, তেমনি সন্তান বেচা ও হারাম কাজ।
ইসলাম সওয়াবের নিয়তে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে বলেছে, কিন্তু সন্তান দখল করা কিংবা তার প্রকৃত পরিচয় বিলুপ্ত করার অনুমতি দেয়নি। অনেক সময় দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে গরিব মা-বাবা সন্তান দত্তক দেন। এটি হল সন্তান বেচাকেনা । এটি কেবল অমানবিকই নয়, ঘৃণ্যও বটে। ইসলামে এ ধরনের স্বাধীন মানুষ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ হারাম।
আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, কিয়ামতের দিবসে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হবো। এক ব্যক্তি, যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল। আরেক ব্যক্তি, যে কোন স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল। আর এক ব্যক্তি, যে কোন মজুর নিয়োগ করে তার হতে পুরো কাজ আদায় করে এবং তার পারিশ্রমিক দেয় না। (বুখারীঃ ২২২৭)
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এই লিংক দুটি ( লিংক০১ ও লিংক০২ ) ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )
ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )
Related Posts
Leave a Reply Cancel reply
Categories
- advices
- Ahle Hadis
- Allah
- Amal
- Arabic Communication
- Arabic Grammar
- Arif Azad
- Bangladesh
- Biography
- Child care
- Country
- Death
- Dowry
- Dua
- Education
- Eid
- Family
- Fasting
- Fatwa
- Gazwatul Hind
- Hadith
- Hajj
- Halal or Haram
- Humble
- Husband & Wife
- IDCM
- Iman
- Interest
- Islamic Books
- Islamic Days
- Islamic Economi
- Islamic Education
- Islamic FAQ
- Islamic Future
- Islamic History
- Islamic Lectures
- Islamic Life
- Islamic Politics
- Islamic Rules
- islamic song
- islamic story
- Jihad
- Jinn
- let's learn arabic
- Magic
- Marriage
- Mosque
- Motivation
- Muhammad SM
- Muslims
- News
- Parenting
- Patriotism
- Pending
- Personal Development
- Poet
- Pornography
- Press Release
- Prophets
- Quran
- Quran and Science
- Quran Interpretation
- Qurbani
- Relations
- Rizq
- Ruqyah
- Sacrifice
- Sadaqah
- Safety
- Sahaba
- Salah
- Salat
- Sex
- Sin
- Tajweed
- Taqwa
- Tasawwuf
- Tawba
- Tawhid
- Veil
- Weed
- Zakat
Recent Posts
- ব্যাংকে রাখা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর কি প্রতি বছর যাকাত আবশ্যক? – Zakat on Fixed Deposit – সমিতির টাকার ওপর জাকাত আসবে কি? March 25, 2023
- Symptoms of Bad and Good Death – খারাপ এবং ভালো মৃত্যুর আলামত সমূহ March 20, 2023
- Taweez in Islam – ইসলামে তাবিজ জায়েজ হলেও কেন তাবিজ থেকে দূরে থাকা উত্তম? March 20, 2023
- Dua to be rich – ধনী হওয়ার দোয়া/আমল- আজ থেকেই শুরু হোক ধনী হওয়ার পথচলা March 7, 2023
- Islam has never encouraged polygamy – ইসলাম একাধিক বিয়েকে কখনো উৎসাহিত করে নি! January 9, 2023