কিয়ামতের আলামত গুলো ক্রমধারা অনুযায়ী জেনে নিন / Qiyamah

 

Qiyamah

 

 

কিয়ামতের আলামত গুলো ক্রমধারা অনুযায়ী জেনে নিন / Qiyamah

কিয়ামতের আলামত গুলো মোটামুটি একটি ক্রমধারা রক্ষা করে দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা । তবে ভবিষ্যতের আলামতগুলোর সঠিক ধারা বর্ণনা করা সম্ভব নয় ।

# রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ” কিয়ামতের আলামত গুলো ( বড় ) একটির পর একটি এমন ভাবে প্রকাশ পাবে যেন একটি পুতির মালা কেটে দিলে তা একটির একটি পরতে থাকে । ” ( আল জামী আস সাগীর ৩/১৬৭)

আল্লাহ বলেন –
• তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুতঃ কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে ? (সূরা মুহাম্মদ :১৮ )

 

কিয়ামতের অতীত আলামত।

1. চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়া
2. মুহাম্মদ(সা) এর মৃত্যু
3. কোন কারনে হাজার হাজার মুসলিমের মৃত্যু ( উমার (রা) এর সময় আমওয়াস এর প্লেগকে ধারনা করা হয় )
4. মদীনায় একটি বড় যুদ্ধ (ইয়াজিদের খিলাফতের সময় ৬৩ হিজরিতে আল হাররাজের যুদ্ধকে ধারনা করা হয়)
5. মুসলিমদের জেরুজালেম জয়
6. মুসলিমদের কন্সটান্টিপল জয়
7. মুসলিমদের দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ
8. মুসলিমদের সাথে লাল গাত্রবর্নের ছোট চোখওয়ালা, চুলের সেন্ডেল পরা জাতির যুদ্ধ (মঙ্গোলদের ইসলামিক রাজ্যে আক্রমনকে ধারনা করা হয়)
9. মুসলিম ও অমুসলিম হলদে গাত্রবর্নের জাতিদের মধ্যে শান্তিচুক্তি (মঙ্গল, চাইনিজ ইত্যাদি )
10. ৩০ জন ভন্ড নবীর ( দাজ্জাল ) আবির্ভাব হবে ( যাদের আগমন চলছে )

 

কিয়ামতের বর্তমান আলামত।


11. উলঙ্গ, দুঃস্থ, খালি পায়ের মেষ পালক উঁচু দালান বানানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে
12. দাসী তার মালিকের জন্ম দিবে
13. আরবের প্রতি ঘরে একটি ফিতনাহ প্রবেশ করবে
14. জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে নেয়া হবে এবং অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে
15. মদ্যপান হালাল মনে করবে
16. অবৈধ যৌনাচার বিস্তার লাভ করবে
17. ভূমিকম্প বেড়ে যাবে
18. সময় অনেক দ্রুত যাবে
19. দুঃখ কষ্ট বেড়ে যাবে
20. রক্তপাত বেড়ে যাবে
21. কেউ কোন কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় ভাববে যদি সে তার পূর্বের মানুষের জায়গায় থাকত
22. মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবে; যারা নেতৃত্বের যোগ্য না তারা নেতৃত্ব পাবে
23. মানুষ নামাজের জন্য একত্রিত হবে কিন্তু কোন ইমাম পাবে না
24. গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে
25. মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে
26. মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে
27. ঘন ঘন বাজার হবে
28. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে
29. লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে
30. কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে
31. ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে
32. পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে
33. মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে
34. সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে
35. নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে
36. মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে
37. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে
38. হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

 

কিয়ামতের ভবিষ্যৎ আলামত।


39. ভূমি ধস ও চেহারা বিকৃতির শাস্তি দেখা দিবে
40. মু’মিনের স্বপ্ন সত্য হবে
41. জড় পদার্থ এবং হিংস্র পশু মানুষের সাথে কথা বলবে
42. কাহতান গোত্র থেকে একজন সৎ লোক বের হয়ে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিবেন
43. প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফসল হবেনাঃ
44. পুরুষের সংখ্যা কমতে থাকবে, নারীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে যতক্ষন না ১জন পুরুষের বিপ্রীতে ৫০ জন নারী হয়
45. ইউফ্রেতিসে সোনা আবিস্কার হবে, সেই সোনা লাভের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ হবে আর তাতে অনেকে মারা যাবে
46. রোমান(ইউরোপিয়ান)রা আ’মাক বা ওয়াবিক নামক জায়গায় যাবে আর মদীনা থেকে সেরা যোদ্ধাদের সেনাবাহিনী তাদের মুখোমুখি হতে যাবে
47. মুসলিমরা রোম জয় করবে
48. ইমাম মাহদী আসবে
49. দাজ্জাল বা অ্যান্টিক্রিস্ট আসবে, তার ধোঁকাবাজির সকল উপাদান নিয়ে বিশাল বিজয় পাবে। ইরানের ৭০০০০ হাজার ইহুদী তার অনুসারী হবে
50. ঈসা(আ) দামাস্কাসে নেমে আসবেন এবং মাহদী এর পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বেন
51. ইমাম মাহদী এর নেতৃত্বে মুসলিম(যেসব ইহুদী ও খ্রিস্টান যীশু(আ) ফিরে আসার পর তার উপর সত্যিকারের বিশ্বাস আনবে তারাও এর অন্তর্ভুক্ত)ও ইহুদী ও অন্যান্য অমুসলিমদের বড় একটি যুদ্ধ হবে
52. ঈসা (আ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন লুদ এর প্রবেশ পথে বর্তমানে এটি ইসরাইলের একটি এয়ারপোর্ট ও মেজর মিলিটারি বেস)
53. ঈসা (আ) ক্রশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর হত্যা করবেন। মিথ্যা খ্রিস্ট ধর্মের পতন ঘটাবেন
54. ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব হবে
55. ঈসা (আ) এর বাকী সময় অসাধারন শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে
56. সবার এতো বেশি সম্পদ হবে যে যাকাত দেবার লোক পাওয়া যাবে না
57. আরব বাগান ও নদীর দেশে পরিনত হবে
58. সমাজ আবার খারাপের দিকে যাওয়া শুরু করবে
59. যুলখুলসাহ দেবমূর্তির চারপাশে আবারো জাওস গোত্রের নারীরা নিতম্ব দুলিয়ে তাওাফ করবে
60. বশরার অধিবাসীরা হিজাজের ভয়ংকর আগুন দেখতে পাবে
61. পৃথিবীর তিনটি বড় সেনাদল পৃথিবীতে নিমজ্জিত হবে। একটি পূর্বে, একটি পশ্চিমে, একটি আরবে
62. সরু পায়ের আবিসিনিয়ান (নিগ্রো) নেতা কাবা ধ্বংস করবে
63. ধোঁয়ার বিশাল মেঘ আসবে
64. সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে
65. দাবাতুল আরদের আবির্ভাব হবে মুসা(আ) এর লাঠি এবং সোলায়মান(আ) এ আংটি নিয়ে, সে মানুষের সাথে কথা বলবে, এবং ঈমানদার ওকাফেরদের চিহ্নিত করবে
66. একটি বাতাস এসে সকল বিশ্বাসীদের আত্মা নিয়ে যাবে
67. পৃথিবীতে “আল্লাহ সেরা” বা “আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নেই” বলার মত কেউ থাকবে না
68. সবচেয়ে খারাপ লোকদের উপর কিয়ামত আসবে
69. কিয়ামতের সবচেয়ে প্রধান আলামত হিসেবে ঠিক আগের দিন ইয়েমেন থেকে একটা আগুনের আবির্ভাব হবে আর মানুষদের তাদের মিলিত হবার স্থানে একত্রিত করবে
70. ইস্রাফিল(আ) এর শিঙা বাজানো যার ফলে সবাই মারা যাবে

কিয়ামত আরবি শব্দ। অর্থ মহাপ্রলয়, পুনরুত্থান। ইয়াওমুল কিয়ামা, অর্থ কিয়ামতের দিবস। কিয়ামত দিবসের আরো নাম আছে। যেমন: ইয়াওমুল জাজা বা প্রতিদান দিবস, ইয়াওমুল হিসাব বা হিসাবের দিবস, ইয়াওমুল কাজা বা বিচার দিবস, ইয়াওমুদ-দিন বা শেষ বিচারের দিন, ইয়াওমুল হাশর বা সমাবেশের দিন, ইয়াওমুল জাময়ে বা একত্রিত করার দিন, ইয়াওমুল বায়াছ বা পুনরুত্থান দিবস ইত্যাদি।

কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে?

হজরত জিব্রাঈল (আ.) একদা ছদ্মবেশে মহানবী (সা.)-এর কাছে হাজির হয়ে আরজ করেন, কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? মহানবী (সা.) বলেন, জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি থেকে জিজ্ঞাসাকারী অধিক জ্ঞাত নয়। অর্থাৎ কিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে, তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।

আল্লাহ ইরশাদ করেন, কিয়ামতের জ্ঞান কেবল তাঁরই জানা। তাঁর জ্ঞানের বাইরে কোনো ফল আবরণমুক্ত হয় না এবং কোনো নারী সন্তান প্রসব ও গর্ভধারণ করে না। (সুরা : হা-মিম-সাজদা : ৪৭)

অপর আয়াতে বলা হয়েছে, তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কিয়ামত কখন হবে? আপনি বলে দিন, এর খবর তো আপনার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তিনি তা পরিষ্কারভাবে দেখাবেন (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৮৭)

 

মহানবী (সা.) বলেন, গুপ্ত জ্ঞানের বিষয় পাঁচটি:

১. কিয়ামত। তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না।
২. আগামী দিন কী ঘটবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
৩. কখন বৃষ্টি হবে, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
৪. কার কোথায় মৃত্যু হবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
৫. কখন কিয়ামত হবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। (সহিহ বুখারি)।

 

কিয়ামতের আলামত:

কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগে কিছু নিদর্শন দেখা যাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, তারা কি শুধু এই অপেক্ষায় রয়েছে যে কিয়ামত তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়ুক। বস্তুত কিয়ামতের লক্ষণগুলো তো এসেই পড়েছে। সুতরাং এসে পড়লে তারা কিভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? (সুরা : মুহাম্মদ, আয়াত : ১৮)

হজরত জিব্রাঈল (আ.) মহানবী (সা.) থেকে কিয়ামতের কিছু আলামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিয়ামতের একটি আলামত হলো, দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে, অর্থাৎ ছোটলোকের ঘরে বড়লোক জন্মগ্রহণ করবে।
আরেকটি আলামত হলো, নগ্ন পাবিশিষ্ট ও বস্ত্রহীন মেষচালক বিশাল বিশাল প্রাসাদ তৈরি করবে এবং এ কাজে তারা পরস্পর গর্ব করবে। অর্থাৎ একসময় যারা গরিব ছিল, পরবর্তী সময়ে তারা ধনী হয়ে অহংকারী হবে। (মিশকাত)

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

কিয়ামতের আগের সমাজব্যবস্থা:

১. সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হবে।
২. আমানতের মালকে নিজের মালের মতো ব্যবহার করা হবে।
৩. জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে।
৪. ইসলামী আকিদাবর্জিত বিদ্যা শিক্ষা করা হবে।
৫. পুরুষ নারীর অনুগত হবে।
৬. মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হবে।
৭. বন্ধুদের আপন মনে করা হবে।
৮. পিতাকে পর ভাববে।
৯. মসজিদে শোরগোল করবে।
১০. পাপী লোক গোত্রের নেতা হবে।
১১. অসৎ ও নিকৃষ্ট লোকেরা জাতির চালক হবে।
১২. ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হবে।
১৩. গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন হবে।
১৪. মদপানের আধিক্য ঘটবে।
১৫. এই উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করবে। (তিরমিজি)

কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে: দ্বীনি ইলমের ঘাটতি, নগ্নতা ও উলঙ্গপনা, ফিতনা-ফাসাদের বিস্তার, অশ্লীলতার সয়লাব, হত্যাকাণ্ড, ভূমিকম্পের আধিক্য। এমনকি হত্যাকারী বলতে পারবে না কেন সে খুন করছে। মানুষ অট্টালিকা নির্মাণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। মানুষ জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মৃত্যুকে বেশি পছন্দ করবে। ধনসম্পদ এত বেড়ে যাবে যে ধনী সদকা করার মতো কাউকে পাবে না। দুটি বৃহৎ দল একই দাবিতে ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কিয়ামতের আগে ৩০ জন মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার হবে। মুসলমানরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অনুকরণ ও অনুসরণ করবে। মানুষ জালিমকে জালিম বলবে না, খারাপ কাজ থেকে কেউ কাউকে বারণ করবে না। নারীদের আধিক্য হবে, ৫০ জন নারীর দেখাশোনার ভার একজন পুরুষের ওপর অর্পিত হবে। জিনা, ব্যভিচার ও মদের ছড়াছড়ি হবে। ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যুদ্ধ হবে এবং যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হবে। এমনকি জড়পদার্থ পাথরও তোমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসে বলবে, হে মুসলমান! দেখো আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে, তাকে হত্যা করো। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

 

কিয়ামতের বড় আলামতসমূহ:

 

দাজ্জালের আবির্ভাব : কিয়ামতের আগে মানুষকে গোমরাহ করার জন্য পূর্ব দিক থেকে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। মক্কা-মদিনা ছাড়া সে সর্বত্র বিচরণ করবে। দাজ্জালের মাধ্যমে মানুষ দলে দলে গোমরা হয়ে যাবে। তবে খালেস ইমানদাররা তাকে চিনতে পারবে, তার দুই চোখের মাঝখানে কাফের লেখা থাকবে এবং ডান চক্ষু টেরা থাকবে। মহানবী (সা.) বলেন, সমস্ত নবী-রাসুলই তাঁদের উম্মতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন, তবে আমি তার সম্পর্কে বলছি, তার ডান চক্ষু টেরা, তোমাদের প্রভু টেরা নন। (বুখারি, হাদিস : ৭৪০৮)

মহানবী (সা.) বলেন, দাজ্জালের সময়কাল হবে ৪০। হাদিস বর্ণনাকারী ইবনে আমর (রা.) বলেন, আমরা জানি না, ৪০ দ্বারা কী ৪০ মাস, নাকি ৪০ বছর বোঝানো হয়েছে। হজরত নাওয়াস ইবন সামআন (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে চল্লিশের প্রথম দিন হবে এক বছর, দ্বিতীয় দিন হবে এক মাস, তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহ, অবশিষ্ট ৩৭ দিন হবে আমাদের দিনের মতো (মোট ৩৬৫+৩০+০৭+৩৭=৪৩৯ দিন)। পৃথিবীর ধনসম্পদ দাজ্জালের কুক্ষিগত থাকবে। তার আদেশে বৃষ্টি হবে এবং জমিন থেকে ফসল উৎপন্ন হবে।

হজরত ঈসা (আ.)-এর আগমন: হজরত ঈসা (আ.) কিয়ামতের আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করবেন। তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন। তাঁর আগমনের পর পৃথিবীতে ইনসাফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর ওফাত হবে। এক বর্ণনা মতে, তাঁকে রাসুল (সা.)-এর রওজা মুবারকের পাশে সমাহিত করা হবে।

ইয়াজুজ ও মাজুজের আবির্ভাব: কিয়ামতের আগে হজরত নুহ (আ.)-এর পুত্র ইয়াফাসের বংশে ইয়াজুজ ও মাজুজের আবির্ভাব হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেওয়া হবে এবং তারা উচ্চভূমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে (কিয়ামত হবে না)। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৯৬)

তারা বর্বর, নিষ্ঠুর ও জালিম প্রকৃতির। তাদের জুুলকারনাইনের প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তারা প্রাচীর ভেঙে সমতল ভূমিতে চলে এসে হত্যাযজ্ঞ ও লুটতরাজ চালাবে। এদের রোধ করার ক্ষমতা কারো থাকবে না।

 

কিয়ামতের ১০টি বড় নিদর্শন:

 

মহানবী (সা.) বলেন, ১০টি নিদর্শন যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা দেখতে পাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। তা হলো:

১. ধোঁয়া,

২. দাজ্জাল,

২. দাব্বাহ (জমিন থেকে একটি জন্তুর বের হওয়া),

৪. পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়, (কিয়ামতের ১০০ বছর আগে মাত্র এক দিনের জন্য পশ্চিম দিক দিয়ে সূর্য উদিত হবে),

৫. হজরত ঈসা (আ.)-এর আগমন,

৬. ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন,

৭. পূর্ব দিকের তিনটি ভূমিকম্প,

৮. পশ্চিম দিকে ভূমিকম্প,

৯. আরব উপদ্বীপের ভূমিকম্প,

১০. ইয়েমেন থেকে উত্থিত আগুন, যা মানুষকে তাড়িয়ে সমাবেশের স্থানে নিয়ে যাবে। (সহিহ বুখারি)

 

কিয়ামত আর কত দূর?

কিয়ামতের বড় বড় আলামত এখনো পরিদৃষ্ট না হলেও ছোট ছোট আলামতগুলো এমনভাবে সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে, যা রোধ করার ক্ষমতা কারো নেই। কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বদদ্বীনি আচরণ ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে। মানুষ থেকে নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। হিংসা, লোভ ও অহংকারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা করে অট্টালিকা নির্মাণ করা হচ্ছে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের পরিবর্তে দুষ্টের লালন ও শিষ্টের দমনের কার্যক্রম গর্বের সঙ্গে করা হচ্ছে। শিরক, বিদআত, নিফাক ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে, মিথ্যা, আমানতের খিয়ানত, ওয়াদা খিলাফ অহরহ হচ্ছে। সন্তান পিতা-মাতার শুধু অবাধ্য নয়, বরং পিতা-মাতাকে খুন করছে। পিতা-মাতা সন্তানকে আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করার পরিবর্তে নিজেই হত্যা করছে। যা জাহেলি যুগেও করা হতো না। অন্যায়-অবিচার এত প্রকট আকার ধারণ করেছে যে মানুষ অন্যায়কে অন্যায় মনে করছে না। ন্যায়নীতির পরিবর্তে অন্যায়-জুলুম করা হচ্ছে।

নারীরা পর্দা করার পরিবর্তে পর্দাহীনতাকে অহংকারের বিষয় বানিয়ে নিয়েছে। সুদ-ঘুষ, মদ, জিনা-ব্যভিচার বেড়ে গেছে। জাহেলি যুগের মতো সুদকে ব্যবসার ন্যায় হালাল মনে করা হচ্ছে। ঘুষকে স্বাভাবিকভাবে দেখা হচ্ছে। মদপানকে তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে। পাঁচ বছরের বালিকা পর্যন্ত ধর্ষিত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুবতীরা যুবকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে। সমাজে সৎ ও নেককার লোকেরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। অসৎ ও দুষ্ট লোকদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। বদকর্মে পৃথিবী টইটম্বুর হয়ে যাওয়ার ফলে বলতে হয় কিয়ামত আর কত দূর। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের আগে অজ্ঞতা বেড়ে যাবে, ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, মানুষের হৃদয় কঠিন হয়ে যাবে এবং মারামারি, হত্যাযজ্ঞ বেড়ে যাবে। ’ (সহিহ বুখারি)

খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বে, খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব, এটা প্রত্যেক জাতির ঈশ্বরের দ্বারা চূড়ান্ত এবং শাশ্বত বিচার। এই ধারণা সকল ক্যানোনিকাল ধর্মবাণীতে পাওয়া যায়, বিশেষকরে ম্যাথু ধর্মবাণীতে। খৃস্টান ভবিষ্যতবাদীরা মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের পরে এটি ঘটবে বিশ্বাস করেন, এবং সম্পূর্ণ ভূতকালবাদীরা খ্রীষ্টের পুন অগমনে ইতোমধ্যেই তা ঘটেছে বিশ্বাস করেন। সর্বশেষ বিচারের অনেক শিল্পসম্মত চিত্রায়ন অনুপ্রাণিত রয়েছে।

কিয়ামতের আলামত গুলো মোটামুটি একটি ক্রমধারা রক্ষা করে সাজানো হলো। তবে ভবিষ্যতের আলামতগুলোর সঠিক ধারা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ” কিয়ামতের আলামত গুলো ( বড় ) একটির পর একটি এমন ভাবে প্রকাশ পাবে যেন একটি পুতির মালা কেটে দিলে তা একটির একটি পরতে থাকে। ” ( আল জামী আস সাগীর ৩/১৬৭)

আল্লাহ বলেন –
• তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুতঃ কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে? (সূরা মুহাম্মদ :১৮ )


অতীতঃ

১. চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হওয়া।
২. মুহাম্মদ(সা) এর মৃত্যু।
৩. কোন কারণে হাজার হাজার মুসলিমের মৃত্যু (উমার (রা) এর সময় আমওয়াস এর প্লেগকে ধারনা করা হয়)।
৪. মদীনায় একটি বড় যুদ্ধ (ইয়াজিদের খিলাফতের সময় ৬৩ হিজরিতে আল হাররাজের যুদ্ধকে ধারনা করা হয়)।
৫. মুসলিমদের জেরুজালেম জয়।
৬. মুসলিমদের কন্সটান্টিপল জয়।
৭. মুসলিমদের দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ।
৮. মুসলিমদের সাথে লাল গাত্রবর্নের ছোট চোখওয়ালা, চুলের সেন্ডেল পরা জাতির যুদ্ধ (মঙ্গোলদের ইসলামিক রাজ্যে আক্রমনকে ধারনা করা হয়)।
৯. মুসলিম ও অমুসলিম হলদে গাত্রবর্নের জাতিদের মধ্যে শান্তিচুক্তি (মঙ্গল, চাইনিজ ইত্যাদি)।
১০. জন ভন্ড নবীর (দাজ্জাল) আবির্ভাব হবে (যাদের আগমন চলছে)।


বর্তমান:

১. উলঙ্গ, দুঃস্থ, খালি পায়ের মেষ পালক উঁচু দালান বানানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।
২. দাসী তার মালিকের জন্ম দিবে।
৩. আরবের প্রতি ঘরে একটি ফিতনাহ প্রবেশ করবে।
৪. জ্ঞানের গভীরতা নিয়ে নেয়া হবে এবং অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে।
৫. মদ্যপান হালাল মনে করবে।
৬. অবৈধ যৌনাচার বিস্তার লাভ করবে।
৭. ভূমিকম্প বেড়ে যাবে।
৮. সময় অনেক দ্রুত যাবে।
৯. দুঃখ কষ্ট বেড়ে যাবে।
১০. রক্তপাত বেড়ে যাবে।
১১. কেউ কোন কবরের পাশ দিয়ে যাবার সময় ভাববে যদি সে তার পূর্বের মানুষের জায়গায় থাকত।
১২. মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে যাবে; যারা নেতৃত্বের যোগ্য না তারা নেতৃত্ব পাবে।
১৩. মানুষ নামাজের জন্য একত্রিত হবে কিন্তু কোন ইমাম পাবে না।
১৪. গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে।
১৫. মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে।
১৬. মুসলমানেরা শিরকে লিপ্ত হবে।
১৭. ঘন ঘন বাজার হবে।
১৮. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
১৯. লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে।
২০. কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে।
২১. ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
২২. পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে।
২৩. মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে।
২৪. সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে।
২৫. নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে।
২৬. মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে।
২৭. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে।
২৮. হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।


ভবিষ্যৎ:

১. ভূমি ধস ও চেহারা বিকৃতির শাস্তি দেখা দিবে।
২. মু’মিনের স্বপ্ন সত্য হবে।
৩. জড় পদার্থ এবং হিংস্র পশু মানুষের সাথে কথা বলবে।
৪. কাহতান গোত্র থেকে একজন সৎ লোক বের হয়ে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিবেন।
৫. প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফসল হবেনা।
৬. পুরুষের সংখ্যা কমতে থাকবে, নারীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে যতক্ষন না ১জন পুরুষের বিপ্রীতে ৫০ জন নারী হয়।
৭. ইউফ্রেতিসে সোনা আবিষ্কার হবে, সেই সোনা লাভের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ হবে আর তাতে অনেকে মারা যাবে।
৮. রোমান(ইউরোপিয়ান)রা আ’মাক বা ওয়াবিক নামক জায়গায় যাবে আর মদীনা থেকে সেরা যোদ্ধাদের সেনাবাহিনী তাদের মুখোমুখি হতে যাবে।
৯. মুসলিমরা রোম জয় করবে।
১০. ইমাম মাহদী আসবে।
১১. দাজ্জাল বা অ্যান্টিক্রিস্ট আসবে, তার ধোঁকাবাজির সকল উপাদান নিয়ে বিশাল বিজয় পাবে। ইরানের ৭০০০০ হাজার ইহুদী তার অনুসারী হবে।
১২. ঈসা(আ) দামাস্কাসে নেমে আসবেন এবং মাহদী এর পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বেন।
১৩. ইমাম মাহদী এর নেতৃত্বে মুসলিম(যেসব ইহুদী ও খ্রিস্টান যীশু(আ) ফিরে আসার পর তার উপর সত্যিকারের বিশ্বাস আনবে তারাও এর অন্তর্ভুক্ত)ও ইহুদী ও অন্যান্য অমুসলিমদের বড় একটি যুদ্ধ হবে।
১৪. ঈসা (আ) দাজ্জালকে হত্যা করবেন লুদ এর প্রবেশ পথে বর্তমানে এটি ইসরাইলের একটি এয়ারপোর্ট ও মেজর মিলিটারি বেস।
১৫. ঈসা (আ) ক্রশ ভেঙ্গে ফেলবেন, শুকর হত্যা করবেন। মিথ্যা খ্রিস্ট ধর্মের পতন ঘটাবেন
ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব হবে।
১৬. ঈসা (আ) এর বাকী সময় অসাধারণ শান্তি ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে।
১৭. সবার এতো বেশি সম্পদ হবে যে যাকাত দেবার লোক পাওয়া যাবে না।
১৮. আরব বাগান ও নদীর দেশে পরিণত হবে।
১৯. সমাজ আবার খারাপের দিকে যাওয়া শুরু করবে।
২০. যুলখুলসাহ দেবমূর্তির চারপাশে আবারো জাওস গোত্রের নারীরা নিতম্ব দুলিয়ে তাওাফ করবে।
২১. বশরার অধিবাসীরা হিজাজের ভয়ংকর আগুন দেখতে পাবে।
২২. পৃথিবীর তিনটি বড় সেনাদল পৃথিবীতে নিমজ্জিত হবে। একটি পূর্বে, একটি পশ্চিমে, একটি আরবে।
২৩. সরু পায়ের আবিসিনিয়ান (নিগ্রো) নেতা কাবা ধ্বংস করবে।
২৪. ধোঁয়ার বিশাল মেঘ আসবে।
২৫. সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে।
২৬. দাবাতুল আরদের আবির্ভাব হবে মুসা(আ) এর লাঠি এবং সোলায়মান(আ) এ আংটি নিয়ে, সে মানুষের সাথে কথা বলবে, এবং ঈমানদার ওকাফেরদের চিহ্নিত করবে।
২৭. একটি বাতাস এসে সকল বিশ্বাসীদের আত্মা নিয়ে যাবে।
২৮. পৃথিবীতে ‘আল্লাহ সেরা’ বা ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রভু নেই’ বলার মত কেউ থাকবে না।
২৯. সবচেয়ে খারাপ লোকদের উপর কিয়ামত আসবে।
৩০. কিয়ামতের সবচেয়ে প্রধান আলামত হিসেবে ঠিক আগের দিন ইয়েমেন থেকে একটা আগুনের আবির্ভাব হবে আর মানুষদের তাদের মিলিত হবার স্থানে একত্রিত করবে।
৩১. ইস্রাফিল(আ) এর শিঙা বাজানো যার ফলে সবাই মারা যাবে।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।

 

বিশাল একটি ধোঁয়ার আগমণ এবং এস্টেরয়েড 1998 OR 2.

 

কিয়ামতের বড় আলামত কি 2020 সালেই প্রকাশিত হবে?

কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত হচ্ছে আখেরী যামানায় কিয়ামতের সন্নিকটবর্তী সময়ে বিশাল আকারের একটি ধোঁয়া বের হয়ে আকাশ এবং যমীনের মধ্যবর্তী খালি জায়গা পূর্ণ করে ফেলবে। এই ধোঁয়া মুমিন ব্যক্তিদেরকে সামান্য একটু সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত করে দিবে। কাফেরদের শরীরের ভিতরে প্রচন্ডভাবে প্রবেশ করবে। ফলে তাদের শরীর ফুলে যাবে এবং শরীরের প্রতিটি ছিদ্র দিয়ে ধোঁয়া বের হবে। এটি তাদের জন্য একটি যন্ত্রনাদায়ক আযাবে পরিণত হবে।

আপনি কি জানেন? এবছর ২৯ এপ্রিল একটি ৪ কিলোমিটারের এস্টেরয়েড পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে।এস্টেরয়েড টির নাম 1998 OR2.(গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন)।
বিজ্ঞানীরা আশংকা করছে এটি যদি পৃথিবীকে আঘাত করে তাহলে হিউম্যান সিভিলাইজেশন ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখন কথা হলো, হাদিসে পাওয়া যায় যে কিয়ামতের পূর্বে রমজান মাসে এক বিকট আওয়াজ হবে।এতে ৭০ হাজার মানুষ বধির হবে,৭০ হাজার বোবা হবে এবং ৭০ হাজার মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবে। এটা ইমাম মাহদী আত্মপ্রকাশের ও আলামত। ভাববার বিষয় হলো, ২৯ এপ্রিল কিন্তু রমজান মাস পরে।জানিনা এটা সেই রমজান মাস কিনা।

এস্টেরয়েড টি যদি আকাশে বিস্ফোরিত হয় তাহলে বিকট শব্দ হবে। আবার সূরা- দোখানের সেই ধোয়া ও সৃষ্টি হতে পারে।আল্লাহু আলাম।

এখনই ভাবুন। পাপ কাজ ছেরে দিন।আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।(আমিন)।

 

তাহলে কি #কিয়ামত সন্নিকটে ?

 

🇸🇦 সৌদি আরবের গৃহযুদ্ধ -বিশাল ধোঁয়া ও কেয়ামতের আলামত।

সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর এই তিনটি গ্রুপ তিনজন প্রিন্সকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়েছে। তারা হলেনঃ

• ১. মুকরিন বিন আব্দুল আজিজ ।
• ২. মুহাম্মদ বিন নায়েফ।
• ৩. মুহাম্মদ বিন সালমান।

হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের ধনভাণ্ডারের (রাজত্বের জন্য) নিকট তিনজন বাদশাহ এর সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার (রাজত্ব) তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক খোরাসান(আফগানিস্তান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাহী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি।”

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
“তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে।
তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে।
যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি।”
📚[সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ডঃ- ২, পৃষ্ঠাঃ- ১৩৬৭। মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ডঃ- ৪, পৃষ্ঠা ৫১০]

আর এই গৃহযুদ্ধের পর ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন ঘটবে। তাই সকল সচেতন মুসলমানদের এই বিষয়ে নজর রাখা দরকার।◾
আল্লাহু আ’লাম।

( উপরের এই অংশ এক ভাইয়ের ওয়াল থেকে নেয়া)

এবার আসি অন্য কথায়-

⭕কেয়ামতের আলামত বিশাল একটি ধোঁয়ার আগমণ বনাম বর্তমান এস্টেরয়েড 1998 OR 2.

কিয়ামতের বড় আলামত কি 2020 সালেই প্রকাশিত হবে ?

কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত হচ্ছে আখেরী যামানায় কিয়ামতের সন্নিকটবর্তী সময়ে বিশাল আকারের একটি ধোঁয়া বের হয়ে আকাশ এবং যমীনের মধ্যবর্তী খালি জায়গা পূর্ণ করে ফেলবে। এই ধোঁয়া মুমিন ব্যক্তিদেরকে সামান্য একটু সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত করে দিবে। কাফেরদের শরীরের ভিতরে প্রচন্ডভাবে প্রবেশ করবে। ফলে তাদের শরীর ফুলে যাবে এবং শরীরের প্রতিটি ছিদ্র দিয়ে ধোঁয়া বের হবে। এটি তাদের জন্য একটি যন্ত্রনাদায়ক আযাবে পরিণত হবে।

আপনি কি জানেন ? এবছর ২৯ এপ্রিল একটি ৪ কিলোমিটারের এস্টেরয়েড পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে।এস্টেরয়েড টির নাম 1998 OR2.(গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন)।

বিজ্ঞানীরা আশংকা করছে এটি যদি পৃথিবীকে আঘাত করে তাহলে হিউম্যান সিভিলাইজেশন ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখন কথা হলো, হাদিসে পাওয়া যায় যে, কিয়ামতের পূর্বে রমজান মাসে এক বিকট আওয়াজ হবে।এতে ৭০ হাজার মানুষ বধির হবে,৭০ হাজার বোবা হবে এবং ৭০ হাজার মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাবে। এটা ইমাম মাহদী আত্মপ্রকাশের ও আলামত। ভাববার বিষয় হলো, ২৯ এপ্রিল কিন্তু রমজান মাস পড়ে। জানিনা এটা সেই রমজান মাস কিনা ?

এস্টেরয়েডটি যদি আকাশে বিস্ফোরিত হয় তাহলে বিকট শব্দ হবে। আবার সূরা- দোখানের সেই ধোয়া ও সৃষ্টি হতে পারে।

⭕ তালেবানরা স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র
গঠন করতে যাচ্ছে, যেখান থেকে বেরিয়ে আসবেন ইমাম মাহদী।

⭕ ইন্ডিয়া যে পথে আগাচ্ছে তাতে মুসলিমদের সাথে হাদীসে বর্ণিত সেই হিন্দের যুদ্ধ অত্যাসন্ন মনে হচ্ছে।

⭕ইমাম মাহদী মক্কায় যে বছর বায়াত নেবেন সে বছর মক্কায় মানুষ কম থাকবে। করোনার কারণে এ বছর সে সম্ভাবনাও প্রবল।

এই বিষয়ে মহান আল্লাহ্ ভালো বলতে পারবেন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  এই লিংক দুটি ( লিংক০১ ও লিংক০২ ) ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )