Benefits of Having Beard – শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি রাখার উপকারিতা ও না রাখার ক্ষতিসমূহ

 

Benefits of Having Beard

 

 

Benefits of Having Beard – শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি রাখার উপকারিতা ও না রাখার ক্ষতিসমূহ

 

  • শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি রাখার ফায়দা ও না রাখার ক্ষতিসমূহঃ  শরীয়তের দৃষ্টিতে পুরুষদের জন্য দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব। দাঁড়ি মুন্ডানো বা কেটে ছেঁটে নিজের হাতের এক মুষ্টির (চার আঙ্গুল পরিমাণের ছোট করা) কম করা হারাম-কবীরা গুনাহ ও গুনাহে জারিয়া। আর মোঁচ এতটুকু ছোট করা সুন্নাত যাতে উপরের ঠোটের কিনারা ছাফ থাকে। বড় বড় মোঁচ রাখা অমুসলিমদের তরীকা এবং মোঁচ একেবারে মুন্ডানোও নিষেধ। [আদদুররুল মুখতার, ৫:২৮৮]

 

  •  সেনাবাহীনির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী মেজরের কোন হুকুম পালন করতে যেয়ে কোন সিপাহী এই প্রশ্ন করে না যে, এটা কোন ধরনের হুকুম? এ হুকুমে কি পরিমান গুরুত্ব রয়েছে? ইত্যাদি জানার কোন অধিকার একজন সাধারন সৈনিকের থাকতে পারে না। ঠিক তদ্রুপ দাঁড়ি রাখা কি ধরনের আমল তাহা জানার আমার কোন অধিকার নাই, দরকারও নাই। রাসুল সঃ দাঁড়ি রেখেছেন আমারও রাখতে হবে। আর মহব্বতের দাবীও তাই। এটা কোন ধরনের আমল তাহা জানার কোন দরকার নাই। দাঁড়ি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এটি সব নবীর সুন্নত। সব নবীরই দাঁড়ি ছিল।

 

  •  হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ”দশটি বিষয় ফিতরতের অন্তর্ভুক্ত। (মোচ ছোট করা, দাঁড়ি লম্বা করা। সহীহ মুসলিম, হা.২৬৩)  হাদীসে উল্লেখিত এই ফিতরতের অর্থ কি? উলামায়ে কেরাম এর ব্যাখ্যায় বলেছেন ফিতরত হচ্ছে সুন্নাহ অর্থাৎ সব নবীর সুন্নাহ এবং সব শরীয়তের সর্বসম্মত বিধান যা আকড়ে ধরার জন্য আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে। (শরহু মুসলিম, নভভী: ৩/১৪৮; মাজমাউ বিহারিল আনওয়ার ৪/১৫৫)  একজন মুসলমান দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য উপরোক্ত হাদীসটিই যথেষ্ট। দাঁড়ি সব শরীয়তের বিধান সব নবীর সুন্নাহ, কোনো মুসলমান এটা জানার পর কি দাঁড়ি ছাঁটাই করতে কিংবা মুণ্ডাতে পারে! উপরন্তু নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দাঁড়ি রাখার সুস্পষ্ট আদেশ বর্ণিত হয়েছে।

 

  •  হযরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত নবীজী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর; দাঁড়ি বাড়াও এবং মোচ ছোট কর। (সহীহ বুখারী, হা. ৫৮৯২; সহীহ মুসলিম, হা.২৬২)  আর একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে, একজন অমুসলিমের চেহারা যত সুন্দরই হউক না কেন, বৃদ্ধ হলে চেহারাটা একেবারেই বিস্ত্রী হয়ে যায়। পক্ষান্তরে একজন বিস্ত্রী চেহারার মুসলমান যখন বৃদ্ধ হয় তখন তার চেহারাতে এক প্রকার নুরের আভা দেখা যায়। তাহা অন্য কিছু নয়, দাঁড়ির বরকত।

 

Benefits of Having Beard – শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি রাখার উপকারিতা ও না রাখার ক্ষতিসমূহ

 

  • ১) দাঁড়ি রাখা শিআ’রে ইসলাম অর্থাৎ, এর দ্বারা মুসলমানদের জাতীয় নিদর্শনের পরিচয় পাওয়া যায় এবং শরীয়াতের হুকুম পূর্ণ করা হয়। [মুসলিম শরীফ হাঃ নং ৫৬, ২৬১]
  • ২) আল্লাহ তাআ’লার খিলকাত ও সৃষ্টি বৈশিষ্ট্যকে ঠিক রাখা হয়, পবিত্র কুরআনে যার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [মুসলিম শরীফ হাঃ নং ৫৬, ২৬১]
  • ৩) মহিলাদের সামঞ্জস্যতা থেকে বাঁচা যায়।
  • ৪) চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে।
  • ৫) ইমাম ও মুআযযিন হওয়ার যোগ্যতা বিদ্যমান থাকে।
  • ৬) মুসলমানদের সম্মান ও সালাম পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয়।
  • ৭) চেহারার মধ্যে নূর চমকাতে থাকে ও চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • ৮) অনেক গুনাহের কাজ হতে বিরত থাকা সহজ হয়ে যায়। কারণ দাঁড়িওয়ালা ব্যক্তিকে শয়তান সহজে অন্যায় কাজে লিপ্ত করতে পারে না। দাঁড়ির কারণে সে ব্যক্তি অবৈধ কাজে অংশগ্রহণ করতেও লজ্জা বোধ করে।
  • ৯) শেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থের অপচয় বন্ধ হয়।
  • ১০) ওয়াজিব আদায়কারী হিসেবে দ্বীনদার পরহেজগার এ জাতীয় সম্মানিত উপাধিতে ভূষিত হয়।
  • ১১) একজন মুমিন হিসেবে সহজে পরিচিত হওয়া যায়। নতুবা মুমিন ও কাফের পার্থক্য করা খুবই মুশকিল হয়ে যায়।
  • ১২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্তর মুবারক খুশী করা হয়।
  • ১৩) গুনাহে জারিয়া (তথা চলমান গুনাহ্) হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ১৪) পুরুষদের সৌন্দর্য হচ্ছে দাঁড়ি। কারণ, পুরুষ জাতি তো সিংহের ন্যায় বাহাদুর। আর সিংহের মুখের শোভা হল দাঁড়ি।
  • ১৫) রাস্তা ঘাটে বা অপরিচিত স্থানে মারা গেলে মুসলমান হিসেবে তার গোসল ও কাফন-দাফন নসীব হয়।
  • ১৬) কবরে মুনকার নাকীরের সুওয়াল-জওয়াব সহজ হয়।
  • ১৭) এর দ্বারা হাশরের ময়দানে উম্মতে মুহাম্মাদী বলে চেনা সহজ হবে এবং হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুপারিশ লাভের উসীলা হবে।

 

Disadvantages of not having beard – শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি না রাখার ক্ষতিসমূহ

 

  • ১) দাঁড়ি মুন্ডালে অথবা এক মুষ্টি থেকে ছোট করলে শিআ’রে ইসলাম তথা মুসলমানদের জাতীয় নিদর্শন এবং শরীয়াতের হুকুম তরক করা হয় যা জায়েয নয়।
  • ২) আল্লাহ তাআ’লার খিলকাত ও সৃষ্টি বৈশিষ্ট্যকে নষ্ট করা হয়। [বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫৮৮৬, মেরকাত ৮/২৭৯]
  • ৩) পুরুষ জাতি মহিলাদের সাদৃশ্য হয়ে যায়, যা শরীয়তে হারাম।
  • ৪) চোখের দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পেতে থাকে।
  • ৫) সূরাহ-ক্বিরাআত সহীহ থাকলেও শরীয়াতে তার আযান, ইক্বামত ও ইমামতির যোগ্যতা থাকে না। কেননা যে দাঁড়ি এক মুষ্টির কম করে রাখে সে ফাসিক, আর ফাসিক ব্যক্তি ইমাম ও মুআযযিন হওয়ার যোগ্য নয়। [আদদুররুল মুখতার ১/৫৬৭]
  • ৬) মুসলমানদের সম্মান ও সালাম পাওয়ার যোগ্য হয় না। কেননা ফাসিককে সালাম দেওয়া মাকরুহ। [ফাতাওয়ায় শামী ৬/৪১৫]
  • ৭) চেহারার নূর চলে যায় এবং প্রকৃত সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে পারস্যের দাঁড়িবিহীন দূতকে মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখে চেহারা ফিরিয়ে নিয়ে বলেছিলেন যে, তোমার চেহারা এত বিশ্রী বানাতে কে বলেছে? [আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া ৪/২৯১]  তাছাড়া দাঁড়ি মুন্ডালে অল্প দিনেই তার দাঁড়ি পেকে সাদা হয়ে যায়। যার ফলে তখন তার দাঁড়ি রাখতে ইচ্ছা করলেও লজ্জার দরুন তা রাখা মুশকিল হয়।
  • ৮) বিভিন্ন ধরনের গুনাহ্ থেকে বাঁচা কঠিন হয়ে যায় এবং সহজে বিভিন্ন গুনাহের মধ্যে জড়িয়ে পড়তে হয়।
  • ৯) শেভ করার মাধ্যমে সময় ও অর্থের অপচয় হয়। যা স্পষ্ট নাজায়েয। [সূরায়ে বনী ইসরাঈল ২৬, ২৭] ১০) তার শরাফত বা বুযুর্গী নষ্ট হয়ে যায় এবং মানুষ তাকে ফাসিক, পাপী ও নাফরমান ইত্যাদি বলে স্মরণ করে থাকে।
  • ১১) ঐ ব্যক্তি মুমিন, নাকি কাফের? তা বুঝা যায় না এবং তার হকও আদায় করা যায় না।
  • ১২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তর মুবারকে আঘাত দেয়া হয়।
  • ১৩) অন্যান্য গুনাহ্ একবার করলে তার বাহ্যিক আছর পরক্ষণেই অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু দাঁড়ি না রাখলে সর্বদা গুনাহগার হিসাবে চিহ্নিত হতে থাকে।
  • ১৪) পুরুষের সৌন্দর্যের বিকৃতি ঘটে এবং তার গাম্ভীর্যতা শেষ হয়ে যায়।
  • ১৫) দাঁড়িবিহীন লোক রাস্তা ঘাটে মারা গেলে তার গোসল, কাফন-দাফন নিয়ে দারুণ সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাকে শশ্মানে নেয়া হবে? নাকি গোরস্থানে নেয়া হবে? তা নির্ণয় করাও মুশকিল হয়ে যায়।
  • ১৬) কবরে মুনকার-নাকীরের সুওয়াল-জওয়াব কঠিন হয়ে যাবে।
  • ১৭) হাশরের ময়দানে উম্মতে মুহাম্মাদী বলে দাবী করা ও উম্মতে মুহাম্মাদী হিসেবে পরিচয় দিয়ে শাফাআ’তের আশা করাও মুশকিল হবে।
  • আল্লাহ তাআ’লা আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ বুঝার, মানার ও আমল করার তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )