Judgment Day in the light of Al-Quran

Judgment Day in the light of Al-Quran – আল কুরআনের আলোকে বিচার দিবস

কেউ মামলা দিচ্ছি। কেউ মামলা খাচ্ছি। কেউ শাস্তি দিচ্ছি। কেউবা দিব্যি পাড় পেয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ শক্তি দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে। তাই এর অপব্যবহার করে নিজের মত করে জেলে ঢুকাচ্ছি, শাস্তি দিচ্ছি! কিন্তু আমরা কি নিজেদের মামলার জন্য প্রস্তুত আছি? যখন আমরা প্রত্যেকে নিজের মামলার আসামি হয়ে কঠিন বিচারের মুখোমুখি হবো। আমাদের সবার মামলার হাজিরা কিন্তু একই দিনে হবে। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল অপরাধের বিচার, শুনানী, স্বাক্ষ্য-প্রমান, রায়- সবই হবে প্রকাশ্যে। আর সেটা হবে পৃথিবীর সকল মানুষের সামনেই।
কেমন হবে সেই দিনের মামলা? কেমন হবে সেই আদালত? কেমন হবে সেই বিচার কার্যক্রম? আর কেমনই বা হবে আমাদের নিজেদের অবস্থা? আসুন, জেনে নেই:-
সেদিন (অবস্থার ভয়াবহতায়) কিশোর বালকদেরও বৃদ্ধ বানিয়ে দেবে [সূরা মুয্যাম্মিল-১৭]
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে এমন প্রতিটি নারী (ভয়াবহ আতংকে) তার দুগ্ধপোষ্যকে ভুলে যাবে, প্রতিটি গর্ভবতী (জন্তু) তার (গর্ভস্থিত বস্তুর) বোঝা ফেলে দেবে [সূরা হাজ্জ্ব-১ ]
মানুষগুলো সব কবর থেকে বেরিয়ে নিজেদের মালিকের দিকে ছুঁটতে থাকবে [সূরা ইয়াসিন- ৫১]
তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত, অপমান ও লাঞ্চনায় তাদের সবকিছু থাকবে আচ্ছন্ন; [সূরা মা’য়ারিজ- ৪৩ ও ৪৪]
সবাই দন্ডায়মান হয়ে সে বীভৎস দৃশ্য দেখতে থাকবে [সূরা আঝ ঝুমার-৬৮]
মুখ সীলমোহর করে দেয়া হবে, হাত পা-গুলো সাক্ষ্য দেবে [সূরা ইয়াসিন- ৫৯-৬৮]
সেদিন সকলে একত্রিত হবে [সূরা আনআম-২২]
দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায় [মিশকাত-৫২৯৮]
মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেত হবে [বুখারি,মুসলিম]
কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না [মিশকাত-৫৩০২]
কাফেরদেরকে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে [মিশকাত-৫৩০৩]
ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে [বুখারি]
সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে [বুখারি,মুসলিম]
আল্লাহ তায়ালা এবং আল্লাহর আয়াতের ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রকাশকারীর জন্যে অত্যন্ত অবমাননাকর আযাবের দিন [সূরা আনয়াম-৯৩]
দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদাহ করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদাহ করেছে তারা সেদিন আল্লাহকে সিজদাহ দিতে পারবে না [সূরা কালাম-৪২-৪৩]
যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে হবে, সে ধ্বংস হবে [মিশকাত-৫৩১৫]
সে দিনের সময়সীমা হ’ল ৫০ হাজার বছরের সমান [মুসলিম, মিশকাত-১৭৭৩]
দুর্ভোগ সেদিন তাদের জন্যে যারা সত্যকে মিথ্যা সাবস্ত্য করেছে; যারা আল্লাহর দরবারে নত হয়নি [সূরা মুরসালাত-৪৫-৪৯]
যারা দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন [সূরা ফাতির-৩৬]
জাহান্নামের আগুন, তাদের সামনে সকাল সন্ধ্যায় হাযির করা হবে [সূরা মুমিন-৪৬]
আগুনের ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর [সূরা বাক্বারা- ২৪]
জাহান্নামের আগুনে দেহের চামড়া গলে যাবে, তখন পুনরায় নতুন চামড়া বানিয়ে দেয়া হবে [সূরা নিসা-৫৬]
জাহান্নামীদেরকে শৃংখলাবদ্ধ করা হবে, পোশাক হবে আলকাতরার মতো বীভৎস, তাদের মুখমন্ডল আগুন আচ্ছাদিত করে রাখবে [সূরা ইবরাহীম-৪৯-৫০]
জাহান্নামীদের খাবার হবে যাক্কুম বৃক্ষ। গলিত তামার মতো তা পেটের ভেতর ফুটতে থাকবে, ফুটন্ত গরম পানির মতো [সূরা আদ দুখান-৪৩-৪৬]
তবে মুমিনের জন্য ঐ দিনটি একটি ফরজ সালাত আদায়ের সময়ের ন্যায় সহজ মনে হবে [বায়হাকী মিশকাত-৫৫৬৩]
যারা ঈমানদার, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কেয়ামতের দিন তাদের মহামর্যাদা দান করবেন [সূরা মুজাদালাহ- ১১]
তাদের সাথে থাকবে সলজ্জ, নম্র ও আয়তলোচনা সঙ্গিনী [সূরা ছাফফাত-৪৫-৪৯]
ঈমানদারদের জন্যে তাদের মালিকের কাছে রয়েছে মনোরম জান্নাত, যার পাদদেশ দিয়ে প্রবহমান থাকবে অগনিত ঝর্ণাধারা এবং তারা সেখানে অনাদিকাল থাকবে, আরো থাকবে তাদের পূত পবিত্র সংগী ও সংগীনীরা- সর্বোপরি থাকবে আল্লাহ তায়ালার (অনাবিল) সন্তুষ্টি [সূরা আল ইমরান-১৫]
সেই মনোরম জান্নাতে তারা সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে, তাদের সামনে খাবার পরিবেশন করা হবে রৌপ্য নির্মিত পাত্রে আর কাঁচের পেয়ালায় এবং তা হবে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, রূপালী স্ফটিক পাত্র, সেখানে তাদের এমন এক অপূর্ব সুরা পান করানো হবে, যার সাথে মেশানো হবে ‘যানজাবীল’ নামের এক মূল্যবান সুগন্ধ, তাতে রয়েছে জান্নাতের এক অমিয় ঝর্ণা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘সালসাবীল’। বেহেস্তবাসীদের পরনের কাপড় হবে অতি সুক্ষ্ম সবুজ রেশম ও মোটা মখমল, তাদের পরানো হবে রূপার কংকন, তাদের মালিক সেদিন তাদের ‘শরাবান তহুরা’ (মহাপবিত্র উৎকৃষ্ট পানীয়) পান করাবেন [সূরা আদ্ দাহর-১৩-২২]
পরম দয়ালু মালিকের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত জানিয়ে বলা হবে, সালাম [সূরা ইয়াসিন-৫৭-৫৮]
ঈমানদারদেরকে বলা হবে, তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না; তোমাদের কাছে যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছিল, তারই সুসংবাদ গ্রহণ করো [সূরা হা-মীম্ আস সাজদা-৩০]
IDC Partner

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ ক ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ)