How is it possible to prove the existence of a Creator? কীভাবে প্রমাণ হয় যে স্রষ্টা তথা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে?
How is it possible to prove the existence of a Creator? কীভাবে প্রমাণ হয় যে স্রষ্টা তথা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব আছে?
১।হুমায়ুন আহমেদের আত্মজীবনী “রংপেন্সিল” থেকে আংশিক পরিবর্তিত👇
ধরুন আপনি চাঁদে হাটছেন।এমন সময় পায়ের কাছে একটি Iphone 13 pro পেলেন।যদি জিজ্ঞেস করা হয় এই ফোন কারা তৈরি করেছে?
আপনি বলবেন আমেরিকায় Apple কোম্পানি এটার নির্মাতা।হয়তোবা কোনো মহাকাশচারীর হাত থেকে পড়ে গেছে।
কিন্তু এটা কিন্তু ভাববেন না যে চাঁদে উপস্থিত সিলিকন,তামা,লোহা একত্রিত হয়ে নিজে থেকে প্রোগ্রামিং হয়ে IPhone 13 pro তৈরি হয়ে গেছে।
মূল ঘটনার মূলভাব ছিলো চাঁদে এক কঠোর নাস্তিক চাঁদের এবড়ো খেবড়ো মাটিকে নিজ থেকে সৃষ্ট বলবে।কিন্তু চাঁদে নাইকন ক্যামেরা পেলে তাকে মানবসৃষ্ট বলবে।কিন্তু চাঁদে খরগোশের দেখা পেলে কি বলবে যেখানে খরগোশের চোখ নাইকন ক্যামেরা থেকেও জটিল সৃষ্টি?
বইয়ের পৃষ্ঠাটি মন্তব্যে যুক্ত করা হলো।
২।মহাবিশ্ব সুপকল্পিত।সূর্যের চারপাশে ঘোরা থেকে প্রাণীজগতের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন এমনকি পানিচক্র সকল কিছু সুপরিকল্পিত।
প্রোটনের চারপাশে ইলেকট্রন ঘুরে পরমাণু তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনে এ মহাবিশ্ব পরিচালিত হচ্ছে।
সূর্যের ultra violate ray থেকে রক্ষা পেতে ওজন স্তর কিংবা ক্রোমোজমে সুশৃঙ্খলা সুপরিকল্পিত মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রমাণ দেয়।
৩।বিবর্তনবাদ নারী পুরুষ পার্থক্যের কি ব্যাখ্যা দেয় জানি না।কিন্তু বিষয়টি ইন্টারেস্টিং।ভাবুন নারীর নির্ধারিত স্থানে ছিদ্র থাকা ও সেই ছিদ্রে ঢোকানোর মতো লিঙ্গ সকল কিছুই যথাযথ যেন কারো সুচিন্তিত সৃষ্টি।
৪।Xiaomi Phone এর সকল component,উপাদান,যন্ত্রাংশ এনে একত্রে রেখে দিলেও কয়েকদিন পর Xiaomi Phone পাওয়া যাবে না।
কারণ সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত সুপরিকল্পিত বস্তু নির্মিত হয় না।
৫।হাইড্রো কার্বন বা জৈব যৌগ দ্বারা জীবদেহ নির্মাণ সম্ভব হলেও তাতে প্রাণ সঞ্চার সম্ভব নয়।
৬।আলোর বেগ 3*10^8 m/s.কেন?3*10^9 বা 7.05*10^22 m/s কেন নয়?কে নির্ধারণ করে দিয়েছে আলোর বেগ 3*10^8 -ই হতে হবে?
৭।প্রজননের প্রক্রিয়ায় প্রচুর আনন্দ অনুভূতি হয় ডোপামিন বা অন্যান্য হরমোনের জন্য।আর প্রকৃতি এই আনন্দ রেখেছে যেন সন্তান লালন পালনের মহা যন্ত্রণা সত্ত্বেও মানুষ বা অন্যান্য জীব যৌনতায় আগ্রহী হয় আর প্রজননের ধারা স্থায়ী থাকে।আর ছোট বাচ্ছা সুপার কিউট হয় কারণ তারা একা একা কিছুই করতে পারে না।তাদের কিউটনেস এই পৃথিবীতে টিকে থাকার হাতিয়ার।তেমনি শারিরীকভাবে শক্তিশালী ও শক্তিশালী ফোকাসম্পন্ন পুরুষরা পৃথিবীর প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারলেও নারীদের সৌন্দর্য তাদের টিকে থাকার হাতিয়ার।এজন্যই তারা পুরুষদের কাছ থেকে নিরাপত্তা পায়।
সকল কিছু যেন কারো সুচিন্তিত সুপরিকল্পিত সৃষ্টি।
৮।গ্রীক দর্শনে সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই তা নিয়ে একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত আছে।আপনাদের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা কে?
ধরুন একটি ফুটবলের।এর পিছনে কার্যকারণ হচ্ছে মানুষের পরিকল্পনা,শ্রম,রাবার,সুতা,সুই ইত্যাদি।এসব কার্যকারণের পিছনেও কার্যকারণ আছে।যেমন রাবারের কার্যকারণ রাবার গাছ,সুতার কার্যকারণ তুলো।আবার রাবার গাছের কার্যকারণ রাবার গাছের বীজ।
এভাবে কার্যকারণের পিছনে কার্যকারণ খুজতে গেলে অসীম ধাপ পর্যন্ত পিছনে যাওয়া সম্ভব।
একইভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে ভাবা যাক।মহাবিশ্ব সৃষ্টির কার্যকারণ বিগ ব্যাং।বিগ ব্যাং এর কার্যকারণ কি?
ধরলাম বিগ ব্যাং এর কার্যকারণ হচ্ছে x.আবার x এর কার্যকারণ y.
এভাবেও অসীম ধাপ পর্যন্ত পিছনে যাওয়া সম্ভব।
কিন্তু গ্রীক দার্শনিকরা সিদ্ধান্ত দেন এভাবে অসীম ধাপ পর্যন্ত পিছনে যাওয়া জরুরি নয়।সকল কার্যকারণ এর পিছনে এমন কার্যকারণ থাকা সম্ভব যেটি অন্যান্য সকল কার্যকারণের কার্যকারণ হলেও এই কার্যকারণটির কোনো কার্যকারণ নেই।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিষয়টি দেখা যাক।
বিগ ব্যাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারণ।বিগ ব্যাং এর কারণ হচ্ছে X।এই X নিজেই নিজের কার্যকারণ।X এর কোনো কার্যকারণ নেই কিন্তু X সকল কার্যকারণের কার্যকারণ।X এর মাধ্যমেই সকল কার্যকারণের সুচনা হয়েছে।
এই X -ই হচ্ছেন ঈশ্বর।যার নিজের কোনো কার্যকারণ নেই,সূচনা নেই কিংবা সৃষ্টিকর্তা নেই।কিন্তু তার কারণেই সকল কার্যকারণ তথা মহাবিশ্ব ও সৃষ্টির উদ্ভব ও সূচনা ও যাত্রার সূত্রপাত।
ইংরেজিতেই এই কার্যকারণহীন কার্যকারণকে An Uncaused Causer বা The first Cause বলা হয় যা ঈশ্বরকে নির্দেশ করে।
এটিকে যুক্তিবিদ্যায় Kalam Cosmological Argument বলা হয়।এই Argument-টির জনক সক্রেটিস।সর্বপ্রথম প্লেটো ও অ্যারিষ্টটল এটি নিয়ে কাজ করে,গ্রীক দার্শনিকদের হাতে এর সুচনা ঘটে,পরবর্তীতে খ্রিস্টান ও ইসলাম দার্শনিকদের হাত ধরে এটি বিকশিত হয় এবং Thomas Aquinas এটিতে পুনরায় প্রকাশ করেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন👇
https://oxford.universitypressscholarship.com/view/10.1093/oso/9780190842215.001.0001/oso-9780190842215-chapter-24
https://plato.stanford.edu/entries/cosmological-argument/
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Cosmological_argument
https://www.mytutor.co.uk/answers/17980/A-Level/Philosophy-and-Ethics/Can-you-explain-Thomas-Aquinas-account-of-the-uncaused-causer/
ঈশ্বরকে স্বীকৃতি দেয়া না হয় তবে কার্যকারণের infinite chain create হবে যার শুরু থাকবে না।আর যদি infinite chain create হয় তবে এসবের সূচনা করলো কে?সুতরাং Starting is a must.And God is the starting.
God is the first cause,The infinite who caused the finite.
সুতরাং সৃষ্টিকর্তার কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই কিন্তু আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা আছে।
৯।সূর্য সবসময় পূর্বদিকে ওঠে,আম গাছে সবসময় আম হয়,অর্থাৎ কেউ নির্ধারণ করে দিয়েছেন সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে না,আম গাছে জাম হবে না।মহাবিশ্বের সুশৃঙ্খলা ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র রক্ষা করতে অবশ্যই ঈশ্বরের প্রয়োজন।
নাস্তিকদের বক্তব্য মহাবিশ্ব ও পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা একটি দূর্ঘটনা।কিন্তু আস্তিকদের বক্তব্য মহাবিশ্ব ও পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা সুপরিকল্পিত ফলাফল।
এখন দূর্ঘটনা কিংবা কারো সুপরিকল্পনা কোনটি সঠিক তা বিশ্বাস করা আপনার নিজস্ব ব্যপার।
মানুষ শুধুমাত্র রূপান্তর করতে পারে,সৃষ্টি করতে পারে না।শক্তি কিংবা অনু কোনো কিছু সৃষ্টি করা মানুষের সাধ্যের বাইরে।আমি মনে করি এটি অন্যতম প্রমাণ এমন কোনো সত্ত্বা বিদ্যমান যিনি সৃষ্টি করতে সক্ষম।
https://www.irishtimes.com/culture/unthinkable-the-islamic-thinker-who-proved-god-exists-1.2931754
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Proof_of_the_Truthful
https://quotefancy.com/quote/857974/Mahatma-Gandhi-There-is-only-one-God-for-us-all-whether-we-find-him-through-the-Koran-the
https://www.mytutor.co.uk/answers/17980/A-Level/Philosophy-and-Ethics/Can-you-explain-Thomas-Aquinas-account-of-the-uncaused-causer/