Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর জীবনী
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর জীবনী
জম্ম সন ও জম্ম স্থানঃ
সকল ঐতিহাসিকের মতে ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ১৫০ হিঃ সনে ( খৃষ্টাব্দে) মিসরের আসকালনা প্রদেশের গাযাহ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন, যে বছর ইমাম আবূ হানীফাহ (রহঃ) ইন্তেকাল করেন। তিনি জম্মের দুবছর পর তাঁর পিতা মারা যান। ইমামের জন্মস্থান সম্পর্কে কিছু মতামত পরিলক্ষিত হয় কেউ বলেন গাযা নামক স্থানে, মানাকিব (বায়হাকী, ২/৭১ পৃঃ)। কেউ বলেন আসকালান শহরে, (আদাবুশ্শাফেয়ী, ২১, ২২, ২৩ পৃঃ) আবার কেউ বলেন ইয়ামান দেশে। ( আদাবুশ্শাফেয়ী, ২১, ২২, ২৩ পৃঃ)।
এ মতবিরোধের সমাধানে ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন, গাযা ও আসকালান এ দু’টি পাশাপাশি এলাকা, মূলতঃ আসকালান প্রসিদ্ধ নগরী এরই অন্তর্গত (তৎকালীন) একটি এলাকা/গ্রাম গাযা সেখানেই ইমাম শাফেয়ী জন্মলাভ করেন, তাঁর মা ছিলেন ইয়ামানের প্রসিদ্ধ ‘‘আয্দিয়্যাহ’’ গোত্রের, তাই জন্মের দু’বছর পর ছেলে ইয়াতীম হয়ে যাওয়ায় মা ছেলেকে নিয়ে প্রিত্রিকূল ইয়ামানে চলে যান। কয়েক বছর পরেই ইমামের বাবার বংশ কুরাইশ বংশের সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে আবার মক্কায় পাড়িজমান। অতএবImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর জন্মস্থান সম্পর্কে আর কোন মতভেদ থাকেনা। (তাওয়াল্লী তাসীস, ৫১, ৫২ পৃঃ)।
বংশ পরিচয়ঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর পুরো নাম মোহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস ইবনে আব্বাস ইবনে উসমান ইবনে শাফেঈ, আল কুরাশী, আল শাফেয়ী, আল মাক্কী। এ হিসাবে তার নাম-মুহাম্মদ, পিতার নাম-ইদ্রিস, দাদার নাম-আববাস। তার উপনাম আবূ আব্দুল্লাহ্। তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে তাঁর নবম পূর্বপুরুষ আবদুল মান্নাফ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা এর চতুর্থ পূর্বপুরুষ ছিলেন।ইমাম সাহেবের ৫ম প্রপিতামহ সায়িব বদরের যুদ্ধে শত্রু পক্ষে অবস্থান করলেও পরবর্তীকালে তিনি ও তাঁর ছেলে শাফেয়ী সাহাবী হবার মর্যাদা লাভ করেন।
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর বংশ- কুরাইশ বংশের অন্যতম ‘‘আব্দে মান্নাফ বিন কুসাই’’ এর কাছে মিলিত হয়েছে, তাই ইমাম শাফেয়ীর বংশের মূল এবং রাসূল (ছাঃ) এর বংশ একই। এ জন্য তিনি আল-মুত্তালাবী বলে পরিচিত, তিনি কুরাইশ বংশের তাই কুরাশী এবং তাঁর দাদা ‘‘শাফে’’ সাহাবী এর দিকে সম্পৃক্ত করায় শাফেয়ী, মক্কায় প্রতিপালিত হওয়ায় মাক্কী বলে পরিচিতি লাভ করেন। (আল ইসাবাহ, ২/১১ পৃঃ, তাওয়াল্লী তাসীস, ৩৭ পৃঃ, তারীখে বাগদাদ, ২/৫৮ পৃঃ)। তাঁর মাতা ছিলেন ইমাম হাসান (রা)এর বংশধর। তার মাতা বংশ পর্ষ্পরা ছিলেন, উম্মুল হাসান বিনতে হামযা ইবনে কাসেম ইবনে ইয়াযীদ ইবনে হাসান (রা:)।
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর উপাধি হল, ‘‘নাসিরুল হাদীস’’ হাদীসের সাহায্যকারী বা সহায়ক, কারণ হাদীস সংগ্রহ, সংকলন, বিশেষ করে হাদীসের যাচাই-বাছাইয়ে তিনি সর্ব প্রথম অবদান রাখেন, তিনিই সর্ব প্রথম হাদীস শাস্ত্রের নীতিমালা প্রণয়নে কলম ধরেন ‘‘আর রিসালাহ ও আল উম্ম’’ গ্রন্থদ্বয়ে। অতঃপর সে পথ ধরেই পরবর্তী ইমামগণ অগ্রসর হন। (মানাকিব বাইহাকী, ১/৪৭২ পৃঃ, তাওয়াল্লী তাসীস, ৪০ পৃঃ, তাইসীর মুসতালাহিল হাদীস, ১০ পৃঃ)।
বাল্যকালঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ছোট কালেই পিতাকে হারিয়ে ইয়াতীম হয়ে যান, পিতার মৃত্যুর পর অভিভাবকহীনতা ও দারিদ্রতা ইত্যাদি নানা সমস্যার সম্মুখীন হন, পিতা মারা গেলে বিচক্ষণ মা তাকে দু’বছর বয়সে মক্কার পার্শ্ববর্তী নিয়ে আসলে তিনি কুরআন মুখস্ত করায় মনোনিবেশ হন এবং সাত বছর বয়সেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করেন। (মানহাজ ইমাম শাফেয়ী ফি ইছবাতিল আকীদাহ, ১/২৩ পৃঃ)।
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মা ছিলেন একজন সৎ ও ধার্মীক নারী । তাঁর সততা ও ধর্মপরায়নতা্র জন্য সারা দেশে তাঁর নাম ছিল ।এই বিদূষী নারীকে দেশের লোক যেমন শ্রদ্ধা করতেন তেমনি বিশ্বাসও করতেন । অনেকে তাঁর কাছে অনেক আমানত রাখতেন । একবার দুইজন লোক কাপড় ভর্তি একটা বাক্স রাখলেন । কিছু দিন পর একজন লোক তা নিয়েও গেলেন । কিন্তু কিছু দিন পর অন্যজন আবার বাক্স চাইলেন । তাকে বলা হল বাক্সটি তার সাথী নিয়ে গেছেন । তারপর লোকটি বলল আমরা দু-জন যে জিনিস রাখলাম তা আপনি একজনকে দিলেন কিভাবে ? বলা বাহুল্যImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) মা খুব অপ্রস্তত হয়ে গেলেন । তাঁর লজ্জার সীমা রইল না ।Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) তখন পুরো ঘটনাটা শুনলেন । তারপর এক মহুর্তের জন্য কি যেন ভাবলেন । তারপর লোকটিকে বললেন, ‘কিন্তু আপনিই বা বাক্স নিতে একা এলেন কেন? আপনার সঙ্গীকেও আনতে হবে’ ।তাঁর কথা শুনে লোকটি চুপ হয়ে গেলেন এবং নিঃশব্দে সেখান থেকে চলে গেলেন ।
তিনি নিজেই বলেন : আমি যখন মায়ের কাছে ইয়াতীম অসহায়, শিক্ষক দেয়ার মত মায়ের কাছে কিছু নেই এমতাবস্থায় শিক্ষক এর স্থলাভিষিক্তে দায়িত্ব পালনশর্তে পড়াতে রাযি হলে আমি তার কাছে কুরআন মুখস্ত খতম করলাম। অতঃপর মাসজিদে বিভিন্ন আলিমদের কাছে বসে হাদীস ও মাসআলা মুখস্ত করতে লাগলাম এবং কিছু বিষয় হাড়ের টুকরায় লিখে রাখতাম। (তাওয়াল্লী তাসীস, ৫৪ পৃঃ)।
তিনি আরো বলেন, আমার বয়স যখন প্রায় দশ বছর তখন মক্কায় জ্ঞান চর্চায় ব্যস্ত থাকা দেখে আমার এক আত্মীয় আমাকে বললেন : তুমি একাজ কর না বরং অর্থ উপার্জনের পথধর। তিনি বলেন আমি তার কথায় কান দিলাম না বরং শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চায় আমি আরো মগ্ন হলাম ফলে আল্লাহ আমাকে এসব জ্ঞান দান করেছেন। (তাওয়াল্লী তাসীস, ৫৩ পৃঃ)।
তিনি ছোট কাল হতে শিক্ষানুরাগী এবং কঠোর জ্ঞান সাধনার ফলে সাত বছরে কুরআনের হাফেয এবং দশ বছরে মুয়াত্তা হাদীস গ্রন্থ হিফয করে পনের বা আঠার বছর বয়সে ফাতাওয়া প্রদান শুরু করেন। সাথে সাথে মক্কায় আরবী পন্ডিতদের কাছে আরবী কবিতা ও ভাষা জ্ঞানে পূর্ণ পান্ডিত্ব লাভ করেন। (আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১০/২৬৩ পৃঃ)।
সংক্ষেপে তার কর্মময় জীবনঃ
তিনি দশ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন ও মুয়াত্তা মুখস্ত করেন। অতঃপর তিনি মক্কায় মুসলিম আল-জানজী ও সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার নিকট হাদীস ও ফিক্হ শাস্ত্র শিক্ষা করেন। তারপর মদিনায় গিয়ে ইমাম মালেক (রহ:)-এর নিকট ইলমুল ফিক্হ ও মুয়াত্তা শিক্ষা করেন। ১৭৯ হিজরিতে ইমাম মালিকের মৃত্যু পর্যন্ত ইমাম শাফি‘ই তাঁর তত্ত্বাবধানেই থেকে যান। তারপর তিনি ইয়েমেনে গিয়ে শিক্ষাদান শুরু করেন। ১৮৯ হিজরিতে তাঁর বিরুদ্ধে শী‘আহ বিশ্বাসের প্রতি ঝুঁকে পড়ার অভিযোগ দেওয়া হয়। তখন তাঁকে ইয়েমেন থেকে গ্রেফতার করে ইরাকে ‘আব্বাসি খলীফা হারুন আর রশীদের (শাসনকাল ১৭০-১৯৩ হিজরি) কাছে হাজির করা হয় । সৌভাগ্যক্রমে তিনি তাঁর আকীদা-বিশ্বাসের বিশুদ্ধতা প্রমাণ করতে সক্ষম হন। পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
সেখান থেকে তিনি ইয়ামান চলে যান। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। এখান থেকে তিনি ইরাক চলে এলে সেখানে প্রখ্যাত হানাফী ফকীহ ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসানের সাক্ষাত পান এবং তাঁর সাথে শরীয়তের বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হয়। ১৯৮ হিজরী সালে তিনি মিসর গমন করেন।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর শিক্ষকবৃন্দঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) স্বীয় যুগে বিভিন্ন দেশে অগণিত আলিম হতে শিক্ষালাভ করেন, ইমাম বায়হাকী, ইবনু কাছীর, মিয্যী, মুযানী ও ইবনু হাজার আসকালীন স্বীয় গ্রন্থসমূহে ইমামের শিক্ষক বৃন্দের বিস্তারিত অলোচনা করেছেন তন্মধ্যে কয়েকজনের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ, ১০/২৬৩ পৃঃ)।
(১) ইমাম সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ (রহ.) (মৃত: ১৯৮ হিঃ) (মাক্কী)।
(২) ইমাম ইসমাঈল বিন আব্দুল্লাহ (রহ.) (মৃত: ১৭০ হিঃ) (মাক্কী)।
(৩) ইমাম মুসলিম বিন খালিদ (রহ.) (মৃত: ১৭৯ হিঃ) (মাক্কী)।
(৪) ইমাম মালিক বিন আনাস (রহ.) (মৃত: ১৭৯ হিঃ) (মাদানী)।
(৫) ইমাম মুহাম্মদ বিন ইসমাইল (রহ.) (মৃত: ২০০ হিঃ) (মাদানী)।
(৬) ইমাম হিশাম বিন ইউসুফ (রহ.) (মৃত: ১৯৭ হিঃ) (ইয়ামানী)।
(৭) ইমাম ওয়াকী বিন আল জাররাহ্ (রহ.) (মৃত: ১৯৭ হিঃ) (কুফী)।
এ ছাড়াও আরো অসংখ্য বিদ্বান ইমাম শাফেয়ীর শিক্ষক ।
শিক্ষা সফরঃ
মহা মনীষী জ্ঞানপিপাসু Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) – এর এক ব্যক্তি বা অঞ্চল হতে জ্ঞান শিক্ষা করে পিপাসা নিবারণ হয়নি, তাই তিনি এক ব্যক্তি হতে আরেক ব্যক্তি এবং এক অঞ্চল হতে আরেক অঞ্চলে জ্ঞানারহনে ভ্রমণ করেছেন, সাথে সাথে দ্বীন ও জ্ঞান প্রচার ও প্রসারেরও কোন কমতি হয়নি।
মদীনা সফর : সর্ব প্রথম তিনি মদীনা সফর করেন এবং মদীনার ইমাম, ইমাম মালিকের সংকলিত গ্রন্থ মুয়াত্তা মুখস্ত করে তাঁকে শুনান, Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর ছোট বয়সে এই প্রজ্ঞা ও প্রতিভা দেখে তিনি অভিভূত হন। ইমাম মালিক (রহ.) যত দিন বেঁচে ছিলেন ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ততদিন তাঁর সঙ্গ ছেড়েন নি, তাই মুয়াত্তা ছাড়াও আরো অনেক কিছু তাঁর কাছে শিক্ষা লাভ করেন। ( তাওয়াল্লী তাসীস, ৫৪ পৃঃ)।
মদীনার পর তিনি ইয়ামানে শিক্ষার উদ্দেশ্যে বের হন। সেখানে শিক্ষা ও জ্ঞান বিস্তারে আত্মনিয়োগ করেন। জনসমাজে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লে তিনি বিদ্বেষিদের চক্রান্তে পড়েন, ফলে তিনি ইয়ামান ত্যাগ করে আবার মক্কায় ফিরে আসেন। (মানহাজ ইমাম শাফেয়ী ফিল আকীদা, ১/২৯ পৃঃ)।
ইরাক সফর : Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইরাকে দু’বার সফর করেন, প্রথমবার রাজনৈতিক কারণে খলীফা হারুনুর রশীদ তাঁকে ইরাকে জোরপূর্বক পাঠান, যেভাবেই হোক, সেখানে গিয়ে তিনি ইরাকের প্রসিদ্ধ জ্ঞানীদের নিকট শিক্ষা সমাপন করে আবার মক্কায় ফিরে আসেন এবং পূর্ণদমে দরস-তাদরীস ও ইসলাম প্রচার-প্রসারের কাজে একটানা নয় বছর আত্মনিয়োগ করেন। (মানহাজুল ইমাম শাফেয়ী ফি ইছবাতিল আকীদাহ্- ১/৪৩ পৃঃ)।
অতঃপর ১৯৫ হিঃImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) আবারো ইরাক সফর করেন, তবে এ সফর পূর্বের ইরাক সফর হতে অনেক ভিন্ন ছিল, প্রথম সফর ছিল জ্ঞান শিক্ষা গ্রহণের আর এ সফর হলো শিক্ষা গ্রহণ পাশাপাশি শিক্ষাদানের জন্য। ইমাম বায়হাকী (রহ.) স্বীয় সনদে আবূ ছাওর হতে বর্ণনা কারেন, তিনি বলেন, যখনImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইরাকে আসলেন তখন রায়পন্থী (আহলুর রায়) হুসাইন কারাবিসী আমার কাছে আসলেন এবং বললেন যে, আমাদের মাঝে একজন হাদীস পন্থী (আহলে হাদীস) এসেছেন চল আমরা তার কাছে গিয়ে একটু হাসি-ঠাট্টা করি।
আবূ ছাওর বলেন : আমরা তাঁর কাছে গেলাম, হুসাইন ইমামকে এক মাসআল জিজ্ঞাসা করলেন, জবাবে ইমাম সাহেব ‘‘আল্লাহ তা’আলা বলেন এবং রাসূল (ছাঃ) বলেন’’ এভাবে প্রচুর কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে জবাব দিতে থাকলেন এভাবে রাত হয়ে গেল, তখন আমরা তাঁর কুরআন ও হাদীসের অগাধ পান্ডিত্ব দেখে আশ্চর্য হলাম, শেষটায় আমাদের রায় ও কিয়াসের বিদ’আত বর্জন করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আনুগত্য স্বীকার করলাম। (মানাকিব বাইহাকী- ১/২২০ পৃঃ)। এ সফরেই ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর সাক্ষাৎ করেন।
মিসর সফরঃ Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর ইরাকে অবস্থান যেমনি প্রশংসনিয়, তেমনি আবার অপরদিক হতে কালো মেঘ নেমে আসতে লাগল। মুতাযিলা আলিমরা রাজনৈতিক প্রাঙ্গণ দখল করায় খলীফা হারুণসহ সে সময়ের আববাসীয় খলীফাগণ ফালসাফা ও তর্কবিদ্যা-মানতিকে প্রভাবিত হয়ে কুরআন মাখ্লুক (সৃষ্ট) ভ্রান্ত বিশ্বাস পোষণ করে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের ইমাম- ইমাম আহমাদ, Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এবং যারা বিদ’আত মুক্ত সঠিক আকীদাহ্ বিশ্বাসের ধারক-বাহক তাদের উপর নির্যাতন শুরু করে, যার ফলে বাধ্য হয়েImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) ইরাক ত্যাগ করে মিসরে পারি জমান। (মানাকিব বাইহাকী, ১/৪৬৩-৪৬৫ পৃঃ)।
মিসরে আগমন করলেই মিসরবাসী সানন্দে সাগতম জানান, মিসরের বড় মসজিদ – আমর বিন আল আস মসজিদে কিছু আলোচনা পেশ করলে সকলেই তাঁর আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে যান, এবং তারা এক বাক্যে স্বীকার করেন যে, মিসরের বুকে এমন প্রতিভাবান ব্যক্তির কখনও আগমন ঘটেনি, যিনি কুরাইশ বংশোদ্ভুত, যার সালাতের ন্যায় উত্তম সালাত আদায় করতে কাউকে দেখিনি, যার চেহারার ন্যায় সুন্দর চেহারা খুব কমই আছে, যার বক্তব্য ও বাচন ভঙ্গির মত আকর্ষণীয় ও শ্রুতিমধূর কাউকে দেখিনি। ( মানাকিব বাইহাকী, ২/২৮৪ পৃঃ)।
তাঁর হাদীস গবেষণা ও চর্চায় যারা হানাফী বা মালিকী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন, তার অনেকেই হাদীসের আলোকে ইসলাম চর্চার সুযোগ লাভে ধন্য হন। Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) জীবনের শেষ পর্যন্ত মিসরেই অবস্থান করেন এবং তাঁর মূল্যবান গ্রন্থসমূহ সেখানেই সংকলন করেন। (মানাকিব বাইহাকী, ২/২৯১ পৃঃ)।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর ছাত্রবৃন্দঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর ছাত্র হওয়ার যারা সৌভাগ্য লাভ করেছেন তাদের সংখ্যা ও বর্ণনা দেয়া অসম্ভব, কারণ তিনি যে দেশেই ভ্রমণ করেছেন এবং শিক্ষার আসরে বসেছেন সেখানেই অগণিত ছাত্র তৈরী হয়েছে, নিম্নে কয়েকজন প্রসিদ্ধ ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হলঃ
(১) ইমাম রাবী বিন সুলায়মান আল মাসরী।
(২) ইমাম ইসমাঈল বিন ইয়াহইয়া আল মুযানী আল মাসরী।
(৩) ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ্ আলফাকীহ আল মাসরী।
(৪) ইমাম আবূ ইয়াকূব ইউসুফ বিন ইয়াহইয়া আল মাসরী।
(৫) ইমাম আবুল হাসান বিন মুহাম্মদ আয্যাফরানী।
এ ছাড়া অগণিত, অসংখ্য ছাত্র রয়েছে যাদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন। (মানাকিব বাইহাকী, ২/৩২৪ পৃঃ। তাহযীবুল কামাল, ৩/১১৬১)।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.) সম্পর্কে আলিম সমাজের প্রশংসাঃ
সত্যকে সত্য বলাই হলো ন্যায় বিচার, Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আল্লাহ ভীরুতা ও সত্যের দাওয়াতের যথার্থতা বর্ণনায় কেউ কম করেন নি, যারা ন্যায়কে ন্যায় বলেছেন তন্মধ্যেঃ
(১) ইমামুল মাদীনাহ ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, ‘‘আমি এ যুবক (ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মত অধিক বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান আর কোন কোরাইশীকে পাইনি।’’ ( তাওয়াল্লী তাসীস, ৭৪ পৃঃ)।
(২) ইমাম আবূল হাসান আয্যাফরানী (রহঃ) বলেন, ‘‘আমি ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর ন্যায় অধিক সম্মানী, মর্যাদাশীল, দানশীল, আল্লাহ ভীরু দ্বীনদার ও অধিক জ্ঞানী আর কাউকে দেখিনি।’’ (তাওয়াল্লী তাসীস, ৮০ পৃঃ)।
(৩) ইমাম ইসহাক বিন রাহ্উয়াহ (রহঃ) বলেন, আমি ইমাম আহমাদ (রহঃ) সহ মক্কায় ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর কাছে গেলাম, তাঁকে বেশ কিছু জিজ্ঞাসা করলাম তিনি খুব ভদ্রতার সাথে সাবলীল ভাষায় প্রশ্নের জবাব দিলেন। অতঃপর আমাদের চলে আসার সময় একদল কুরআনের আলিম বললেন, ইমাম শাফেয়ী হলেন স্বীয় যুগে কুরআনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী মানুষ।’’ ইমাম ইসহাক বলেন, আমি যদি তাঁর কুরআনের পান্ডিত্ব সম্পর্কে আগে অবগত হতাম তাহলে তাঁর কাছে শিক্ষার জন্য থেকে যেতাম।’’ (তাওয়াল্লী তাসীস, ৯০ পৃঃ)।
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর শাগরিদ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ. (মৃত্যু ২৪১ হিজরি) সবসময় নামাযে ইমাম শাফেয়ী রাহ.-এর জন্য দুআ করতেন। তার পুত্র আবদুল্লাহ তাঁর বাবাকে ইমাম শাফেঈ (রহ:)-এর জন্যে কেন এতো বেশি বেশি তিনি দোয়া করেন এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তাঁর বাবা ইমাম সাহেব জবাবে বলেন,
ওহে পুত্র! মানুষের মাঝেImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মর্যাদা হলো আকাশে সূর্যের উপস্থিতির মতো। তিনি আত্মার (ব্যাধি) নিরাময়কারীস্বরূপ।
(৪)Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) কে এক বস্তুবাদী নাস্তিক বলেছিল, হুযুর! আপনারা কিভাবে আল্লাহর অস্তিত্বের কথা বলেন, বুঝে আসেনা। আল্লাহকে কথনো দেখেছেন? ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বললেন, বল কি! তুমি আল্লাহর অস্তিত্ব দেখ না? আমি তো ছোট্ট তুত পাতার মধ্যেই আল্লাহকে দেখতে পাই। লক্ষ্য করে দেখ, এই তুত পাতা যদি মধু পোকা খায় তখন তা মিষ্টি মধু হয়ে বের হয়। যদি রেশম পোকা খায়, তখন তা দামী রেশম হয়ে বের হয়। আবার যদি কোন বকরী খায় তখন তা শক্ত বড়ির মত লেদা হয়ে বের হয়। যে সত্তা এমন মেশিন ফিট করেছেন তিনিই হলেন ‘আল্লাহ‘।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) কিছু মুল্যবান উক্তিঃ
(১) হাদীস সহীহ হলে সেটাই আমার মাযহাব। (মাজমু ১/৬৩; শা’রানী ১/৫৭)
(২) আমি যে কথাই বলি না কেন অথবা যে নীতিই প্রনয়ন করি না কেন, তা যদি আল্লাহর রাসুল (সা) এর নিকট থেকে বর্ণিত (হাদীসের) খিলাপ হয়, তাহলে সে কথাই মান্য, যা রাসুল (সা) বলেছেন। আর সেটাই আমার কথা। (তারীখু দিমাশ্ক; ইলামুল মুওয়াক্কিঈন ২/৩৬৬,৩৬৪)
(৩) নিজ ছাত্র ইমাম আহমাদকে সম্বোধন করে বলেন) হাদীস ও রিজাল সম্বন্ধে তোমরা আমার চেয়ে বেশি জানো। অতএব হাদীস সহীহ হলে আমাকে জানাও, সে যাই হোক না কেন; কুকী, বাসরী অথবা শামী। তা সহীহ হলে সেটাই আমি আমার মাযহাব (পন্থা) বানিয়া নেবো। (ইবনু আবী হাতীম ৯৪-৯৫ পৃষ্ঠা; হিলয়াহ ৯/১০৬)
(৪) আমার পুস্তকে যদি আল্লাহর রাসুল (সা) এর সুন্নাহের খেলাপ কে কথা পাও, তাহলে আল্লাহর রাসুল (সা) এর কথাকেই মেনে নিও এবং আমি যা বলেছি তা বর্জন করো। (নাওয়াবীর মা’জমু ১/৬৩; ইলামূল মুওয়াক্কিঈন ২/৩৬১)
(৫) যে কথাই আমি বলি না কেন, তা যদি সহীহ সুন্নাহর পরিপন্থি হয়, তাহলে নবী (সা) এর হাদীসই অধিক মান্য। সুতরাং তোমরা আমার অন্ধানুকরন করো না। (হাদীস ও সুন্নাহর মুল্যমান ৫৪ পৃষ্ঠা)
(৬) নবী (সা) থেকে যে হাদীসই বর্ণিত হয়, সেটাই আমার কথা; যদিও তা আমার নিকট থেকে না শুনে থাকো। (ইবনু আবী হাতীম ৯৩-৯৪)
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর চারটি গবেষনা লব্ধ উক্তিঃ
১। চারটি বস্তু দ্বারা শরীর বেশ পরিপুষ্ট হয়ঃ (ক) গোশত, (খ) সুগন্ধি, (গ) প্রতিদিন গোসল করা এবং (ঘ) সুতির কাপড় পরিধান করা।
২। চারটি বস্তু দ্বারা দৃষ্টিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ হয়ঃ (ক) কাবা শরীফ দর্শন করা, (খ) শোয়ার পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (গ) গাঢ় সবুজ গাছপালার দিকে দৃষ্টিপাত করা এবং (ঘ) পরিষ্কার জায়গায় বসা।
৩। চারটি অভ্যাস দ্বারা বেশ বুদ্ধি বাড়েঃ (ক) নিরর্থক বাক্যালাপ পরিত্যাগ করা, (খ) নিয়মিত মিসওয়াক করা, (গ) নেক মানুষের সংসর্গে থাকা এবং (ঘ) আলেমগনের সাথে ওঠাবসা করা।
৪। চারটি অভ্যাস দ্বারা রিজিক বৃদ্ধি পায়ঃ (ক) নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামায পড়া, (খ) বেশী করে তাওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা, (গ) বেশী বেশী সদকা করা এবং (ঘ) বেশী বেশী জিকির করা।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.)-এর রচিত গ্রন্থাবলীঃ
প্রসিদ্ধ চার ইমামের মধ্যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর গ্রন্থাবলী সর্বাধিক, অতঃপরImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর। ইমাম শাফেয়ী অসংখ্য গ্রন্থ রেখে গেছেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
(১) ‘‘কিতাবুল উম্ম’’ মূলতঃ এটি একটি হাদীসের গ্রন্থ, যা ফিকহী পদ্ধতিতে স্বীয় সনদসহ সংকলন করেছেন, এটি একটি বিশাল গ্রন্থ। যাহা ৯টি বড় খন্ডে প্রকাশিত।
(২) ‘‘আর রিসালাহ’’ এটা সেই গ্রন্থ যাতেImam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) উসূলে হাদীস ও উসূলে ফিকহে সর্বপ্রথম কলম ধরেছেন।
(৩) ‘‘আহকামুল কুরআন’’।
(৪) ‘‘ইখতিলাফুল হাদীস’’।
(৫) ‘‘সিফাতুল আমরি ওয়ান্নাহী’’ব।
(৬) ‘‘জিমাউল ইলম’’।
(৭) ‘‘বায়ানুল ফারয’’।
(৮) ‘‘ফাযাইলু কুরাইশ’’।
(৯) ‘‘ইখতিলাফুল ইরাকিঈন’’।
(১০) ইখতিলাফু মালিক ওয়া শাফিয়ী। ইত্যাদি আরো বহু গ্রন্থ রয়েছে। ( তাওয়াল্লী তাসীস, ১৫৪ পৃঃ)।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.)-এর আকীদাহ্-বিশ্বাসঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের ইমাম, যিনি ছিলেন কুরআন ও সুন্নাহর একনিষ্ঠ অনুসারী, আকীদাহ্-বিশ্বাস, আমল-আখ্লাক, ইবাদাত-বন্দেগী সকল ক্ষেত্রে তিনি সব কিছুর উর্দ্ধে কুরআন ও সুন্নাহ্কে প্রাধান্য দিতেন এবং আকড়ে ধরতেন, তিনি কালাম পন্থী যুক্তিবাদী বিদ’আতীদের ঘোর বিরোধী ছিলেন, অনুরূপ রায় ও কিয়াস পন্থীদেরও বিরোধী ছিলেন। সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আহ্লুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের আকীদাহ্-বিশ্বাসই ইমাম শাফেয়ীর আকীদাহ্-বিশ্বাস। এতে কোনই বৈপরিত্য নেই। ( ইমাম শাফেয়ীর আকীদাহ-বিশ্বাস বিস্তারিত দ্রঃ ‘‘মান্হাজ আল ইমাম আশ শাফেয়ী ফি ইছবাতিল আকীদাহ্)।
ইমাম শাফেয়ী (রহ.)-এর ইন্তেকালঃ
Imam Shafei – ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) আল্লাহর নিয়মের বাইরে নন, একই নিয়মে তিনিও এসেছেন আবার সব কিছু রেখে আল্লাহর আহবানে সারা দিয়ে ২০৪ হিজরীর রজব মাসের শেষ দিন জুমআর রাত্রিতে খলীফা আল মামুনের (শাসনকাল ১৯৭- ২১৭ হিজরি) শাসনামলে ইন্তেকাল করেন এবং পৃথিবী হতে বিদায় গ্রহণ করেন। (তাওয়াল্লী তাসীস, ১৭৯ পৃঃ)।
আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।
আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।
আইডিসি মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনি আইডিসি মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.
আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।
কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।
ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!
ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।
বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ। যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।
আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 (নগদ/বিকাশ পার্সোনাল) ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ )