যাদুর চিকিৎসার আগে যা জানা জরুরী / Important-To-Know-Before-Magic-Treatment

 

 

Important-To-Know-Before-Magic-Treatment

 

 

যাদুর চিকিৎসার আগে যা জানা জরুরী / Important-To-Know-Before-Magic-Treatment

 

পূর্বকথা প্রথম কথা হচ্ছে, অন্যান্য সিরিজের মত এই সিরিজে লম্বাচওড়া ইন্ট্রু দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত। সত্যি বলতে ইদানীং আর মাথা চলছেনা অতটা।

দ্বিতীয়তঃ যাদু সিরিজে আমাদের আলোচনার স্ট্র্যাকচার ইনশাআল্লাহ এমন হবে

১. ভূমিকা

২. আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

৩. লাইভ রুকইয়া

৪. সেলফ রুকইয়া

৫. মন্তব্য।

তৃতীয়তঃ রুকইয়ার শরঈ বিধান নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক-অনেকবার আলোচনা হয়েছে। এজন্য এখানে আর বলা হবেনা। আগ্রহীরা চাইলে ইনডেক্স থেকে পুরাতন নোট দেখে নিবেন, লিংক কমেন্টে।

চতুর্থ: এবং শেষ কথা, জানিয়ে রাখা ভালো, আমাদের আলোচনায় অনেক ক্ষেত্রে শাইখ ওয়াহিদ আব্দুস সালামের আস-সরিমুল বাত্তার.. গ্রন্থের সর্বশেষ (২১তম) আরবি সংস্করণ এর সহায়তা নেয়া হবে, (উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানালে একদমই অনুচিত হতো, আল্লাহ উনাকে জাযায়ে খায়ের দিক)

এছাড়াও অন্যান্য সোর্স, আমার এবং বিভিন্নজনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতারও সহায়তা নেয়া হবে। ইনশাআল্লাহ।

লক্ষণীয়ঃ পরবর্তি পোস্টগুলোতে বাববার এই লেখাটির রেফারেন্স ব্যবহার করা হবে। এজন্য আজকের আলোচনাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার প্রস্তুতি রাক্বির ব্যক্তিগত সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, জ্বিন সিরিজের ৫ম পর্বে সেগুলো আলোচনা করা হয়েছে, অনুগ্রপূর্বক খেয়াল রাখবেন। এরপর যে ঘরে চিকিৎসা করা হবে, তাঁর পরিবেশ মানানসই হওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কাউকে রুকইয়া করলে তো এসব খেয়াল রাখবেনই, নিজে নিজের জন্য রুকইয়া (সেলফ রুকইয়া) করলেও ঘরের পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখবেন। (এই আলোচনা পূর্বেও গত হয়েছে, ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে

আবার বলা হচ্ছে)

১. চিকিৎসার পূর্বে ঘর টাঙানো বা সাজিয়ে রাখা কোন জীবের ছবি এবং ভাস্কর্য থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে। যেন রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে।

২. কোনও মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে।

৩. রুগীর সাথে কোনও তাবিজ থাকলে খুলে ফেলতে হবে। তাবিজ আল্লাহর ওপর তাওয়াককুলের প্রতিবন্ধক।

৪. সেখানে উপস্থিত কেউ যেন অনৈসলামিক অবস্থায় না থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। যেমন: কোনও পুরুষ স্বর্ণ পরে আছে, অথবা কোনও মহিলা বেপর্দা হয়ে আছে।

৫. রুগী এবং তার পরিবারকে এবিষয়ে ইসলামি দর্শন সংক্ষেপে বলবেন, যেমন: এই চিকিৎসায় আমার কোনও ক্ষমতা নাই, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার। আল্লাহ তা’আলা কোরআন এর মাঝে শিফা (আরোগ্য) রেখেছেন, আর রাসূল সা. কোরআন দ্বারা চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন এজন্য আমরা রুকইয়াহ পারফর্ম করবো। আর শিরকি ঝাড়ফুঁক বিষয়েও সতর্ক করবেন।

৬. রুগী মহিলা হলে… রুগীকে সম্পূর্ণ পর্দাবৃত অবস্থায় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় “যদি মাহরাম পুরুষ রুকইয়াহ করে, তাহলে অতিরিক্ত কোনও ঝামেলা হবেনা।”

৭. আর মহিলা রুগীর কোন মাহরাম যেন অবশ্যই উপস্থিত থাকে, যেমন: বাবা, ভাই অথবা স্বামী থাকতে পারে। এছাড়া সেখানে অন্য গাইরে মাহরাম কেউ যেন না থাকে। পর্দার বিধান যেন লঙ্ঘন না হয়, এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

৮. প্রতিটা যাদুর সেসব লক্ষণ রয়েছে (পর্যায়ক্রমে বলা হবে ইনশাআল্লাহ) সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করে নিন। জ্বিনের সমস্যার লক্ষণগুলোর ব্যপারেও প্রশ্ন করুন। যেমনঃ স্বপ্নে কোনও প্রাণী ধাওয়া করে কি না। বোবায় ধরে কি না। অনেক উঁচু থেকে পড়তে দেখে কিনা। ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে বা ভুল বকে কিনা। ইত্যাদি ইত্যাদি। মোটকথা, জ্বিনের সমস্যা লক্ষণ এবং যাদুর যে সমস্যা মনে হচ্ছে তাঁর লক্ষণগুলো নিয়ে প্রশ্ন করে, অবস্থা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা নিয়ে রুকইয়া শুরু করবেন।

৯. চিকিৎসা করার পূর্বে রুগী এবং আপনি; উভয়েরই ওযু করে নেয়া উচিত। উত্তম হচ্ছে কোনো নামাজের পরপরেই রুকইয়া করা। এবং নামাজ পড়া নিষিদ্ধ এমন কোনো সময়ে রুকইয়া না করা।

১০. সবশেষে, মনে মনে ইস্তিগফার-দরুদ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে চিকিৎসা শুরু করুন…

 

রুকইয়ার আয়াত সমূহঃ

১ সুরা ফাতিহাহ

২ সুরা বাকারা ১-৫

৩ সুরা বাকারাহ ১০২

৪ সুরা বাকারাহ ১৬৩-১৬৪

৫ সুরা বাকারাহ ২৫৫

৬ সুরা বাকারাহ ২৮৫-২৮৬

৭ সুরা আলে ইমরান ১৮-১৯

৮ সুরা আ’রাফ ৫৪-৫৬

৯ সুরা ইউনুস ৮১-৮২

১০ সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২

১১ সুরা ত্বহা ৬৯

১২ সুরা মু’মিনুন ১১৫-১১৮

১৩ সুরা সফফাত ১-১০

১৪ সুরা আহকাফ ২৯-৩২

১৫ সুরা আর-রাহমান ৩৩-৩৬

১৬ সুরা হাশর ২১-২৪

১৭ সুরা জিন ১-৯

১৮ সুরা ইখলাস

১৯ সুরা ফালাক

২০ সুরা নাস [পিডিএফ ডাউনলোড] সাধারণত ভার্শন: http://bit.ly/2pVTBHz মোবাইল ভার্শন: http://bit.ly/2oYYUZw রুকইয়া ডাউনলোড পেইজের একদম শেষেও পাওয়া যাবে উপরে বলা আয়াতগুলো কমন আয়াত। অর্থাৎ সবধরনের রুকইয়ার ক্ষেত্রেই এগুলো পড়া যাবে।

রুকইয়া করার সময় যেসব খেয়াল রাখবেন-

১. সিহরের জন্য রুকইয়া করলে- ‘সুরা বাকারার ১০২, আরাফ ১২০, ইউনুস ৮১এর মাঝের অংশ (ইন্নাল্লহা সাইউবতিলুহ), ত্বহা ৬৯, সুরা ফালাক ৪’ -এসব আয়াত বারবার পড়বেন। আর এক্ষেত্রে প্রতিবার বিসমিল্লাহ পড়ার দরকার নেই, শুধু প্রথমে পড়বেন।

২. তিলাওয়াতের সময় অবশ্যই সহীহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করবেন। উদাহরণ হিসেবে পছন্দের কোনো ক্বারির তিলাওয়াত শুনে নিন। আমি শায়েখ সুদাইসেরটা সাজেস্ট করবো।

৩. তিলাওয়াতের সময় (জ্বিনের সমস্যা থাকলে) রুগী চিল্লাচিল্লি করলে থামবেন না। পড়তে থাকবেন। যদি জ্বিন চলে যেতে চায় ওয়াদা করাবেন যেন আর না আসে।

৪. এত কিছু পড়তে ইচ্ছা না হলে সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস এগুলো বারবার পড়ে রুকইয়া করতে পারেন, এতেও উপকার হবে।

লক্ষণীয়ঃ

১. কি দিয়ে যাদু করেছে যদি পাওয়া যায়, অথবা কোন সন্দেহজনক তাবিজ পাওয়া যায়। তাহলে ভেতর থেকে তাবিজের কাগজটা বের করবেন। (সতর্কতা হিসেবে যাদুর কোন জিনিশ খালি হাতে ধরা উচিত না)

২. এরপর একটা পাত্রে পানি নিবেন, তারপর “সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২, ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯” একবার, এরপর সুরা ইখলাস ফালাক নাস ৩বার পড়বেন, এবং পানিতে ফুঁ দিবেন। তারপর যাদুর জিনিশগুলো পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখবেন । তাবিজ হলে, কাগজ, ঠোঙা, সুতা সব ডুবাবেন। তারপর কাগজটা নষ্ট করে দিবেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ যাদু ধ্বংস হয়ে যাবে।

৩. যদি যাদুর জিনিশগুলো খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে বাড়িতেই কোথাও পুঁতে রাখা আছে এরকম জানা যায়। তাহলে উপরের আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে তিনদিন পুরো বাড়িতে ছিটিয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ যাদু নষ্ট হয়ে যাবে।  

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )